নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ পাল্টে দেয়া কয় বন্ধুর পানির ব্যাবসা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৬


https://www.somewhereinblog.net/blog/belablog/30357500
গতকাল সোহানী আপুর নিবন্ধটা পড়ে নব্বুই দশকের একটা ঘটনার কথা মনে পড়ল! তখনো বোতলজাত পানি সেভাবে বাজার দখল করতে পারেনি। পলি ব্যাগে ২.৫০/ ৩টাকা করে পানি পাওয়া যেত দোকানে, বোতলের পানির থেকে দাম কম হওয়ায় সেগুলোর জনপ্রিয়তা ছিল বেশী- পরে সেটা ব্যান হয়ে যায়। বিশুদ্ধ পানির জন্য সদ্য বাজারে এসেছে বড় বড় জার ভর্তি পানি- বোর বড় বেকারি হোটেল মলগুলোতে খদ্দেরগুলোতে আকৃষ্ট করার জন্য সেই পানির কদর বাড়ছিল দিন দিন।
সবাই নাকি বিশুদ্ধ মিনারেল ওয়াটারের নাম করে ট্যাপের পানি ভরে দেয়। দেশটা একেবারে উচ্ছন্নে গেল! দেশের সব ব্যাবসায়ীরা দুটাকা লাভের জন্য নিজের নীতি আত্মা বিক্রি করে দিতে দ্বীধা করে না। এই নিয়ে আড্ডায় চরম বাহাস হয়। যুবক ছেলেগুলো সপ্ন দেখে সুযোগ পেলে রাতারাতি দেশটা পাল্টে ফেলার।
আড্ডার মিলন(ছদ্ম নাম) তুখোড় ছাত্র, দারুণ বুদ্ধিমান ও বাঁচাল। হাটা চলা শেখা থেকেই সপ্ন দেখছে বড় ব্যাবসায়ী হবে। ক্লাস এইট থেকেই নানা ব্যাবসার ধান্ধা করছে! কিন্তু সমস্যা একটা নেশায় জড়িয়ে পড়েছে- তাঁর সাথে আড্ডার আরো দু'চারজন জড়িয়ে ছিল। তবে এরা নিয়মিত নেশা করে না। এ হাত ও হাত করে কিছু পয়সা জমিয়ে আমিনবাজারের চিপায় গিয়ে বহু লুকিয়ে ছাপিয়ে দু বোতল ফেন্সিডিল এনে চারজনে ভাগ করে খায়। তবে গাঁজা-মাজা খায় মাঝে মধ্যে। ওই বয়সে একটু গাঁজা মদ কোন পোলাপাইন খায় না ঐসব কেউ ধরে না।
ওর গ্রুপে ছিল আর এক সুদর্শন গায়ক বন্ধু! তাঁর গানের সুরে আড্ডা মাতোয়ারা হয়ে যেত। আমরা সপ্ন দেখতাম নচিকেতার মত সেও কোন একদিন বড় কোন শিল্পী হবে।
দেশের এই দুরবস্থায় চার বন্ধু মিলে কেমনে কেমনে গোপনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তারা ব্যাবসায় নামবে। এভাবে মানুষকে ঠকানো যাবে। ব্যাবসার সাথে সাথে মানুষকে ভাল কিছু দিতে হবে। ব্যাবসায়ী সমাজে নতুন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে যে দুর্নীতি না করে ভেজাল না দিয়ে ব্যাবসা করা যায়।

২২/২৩ বছরের ছেলে-পেলে বড় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট কেনার সামর্থ নেই। ছোট যে করবে তাঁর পয়সা যোগার হবে কেমনে সেই ভাবনায় ঘুম হারাম। হাতে দুই'চারশ টাকা আসলেই ডাইল খাইতে মন চায়। তবুও ওরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ!
মিলনের বড় ভাই বুয়েটে পড়ে। স্বভাবতই ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট! কিন্তু তাঁর ওই এক সমস্যা! সে একটু আপ গ্রেটেড ডাইল খোর! প্রতিদিন এক আদ বোতল ডাইল না হলে চলে না।
মিলন গিয়ে ধরল তাকে ভাইজান আমাদের একটা প্লান দেন? ক্যামনে একেবারে অল্প পয়সায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আমরা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বানাইতে পারি?
ভাই তখন ঘোরে ছিল। ওকে স্বান্তনা দিয়ে বলল মিটিং এরেঞ্জ করতে।
পরের সপ্তাহে খুব গুরুগম্ভীর এক মিটিং হল। মিলনের ভাই ধরে নিয়ে এসেছিল তাঁর এক প্রিয় শিক্ষককে। তিনি নাকি ওয়াটার ট্রিট্মেন্ট প্লান্টের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ!
সেই ভদ্রলোক সারাদিন থেকে খাতা কলমে একে কিছুটা ব্যাবহারিক পরিক্ষা করে সবচেয়ে সহজতম 'পাতন' প্রক্রিয়ায় দেখালেন কিভাবে নোংড়া পানিকে একেবারে বিশুদ্ধ পানিতে রূপান্তর করা যায়!

একটা মরা ইদুরকে কয়েকদিন এক গামলা পানিতে চুবিয়ে রাখার পরে সেই পানি সিম্পল পাতন পদ্ধতিতে পরিশোধন করলে সেটা একেবারে বিশুদ্ধ হয়ে যায়!! অধ্যাপকের কথা শুনে ওরা সেটা দেখে এত হতবাক ও আশ্চর্য হয়ে গেল যে, এত ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে সিম্পলি কয়েকটা বড় বড় পাতিল কিনে ট্যাপের পানি ভরে ক্লোরিন আর ফিটকারি দিয়ে জাল দিয়ে সেটা ঠান্ডা করে জারে ভরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল।
বিনিয়োগ ভীষন কম! চারখানা পাতিল। চারটা বড় গ্যাসের চুলা। কয়েকটা জার আর জারের মুখ লাগানোর ম্যানুয়াল মেশিন। ব্যাস হয়ে গেল বিশুদ্ধ পানির কারখানা! ( এই কারখানা করতে গিয়েই তারা দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে গেল)
মার্কেটিং এ খুব বেশী কষ্ট করতে হয়নি। এলিফ্যান্ট রোডের কয়েকটা দোকানী ওদের স্মার্টনেস আর কথাবার্তায় পটে গেল! শুরু হল পরের সপ্তাহ থেকে পানি বেচা। বিকেল থেকে পানি ফোটানো। সারারাত পানি ঠান্ডা করা আর সকালে বোতলে ভরে একটা ভ্যান চালকের সাথে কন্ট্রাক্ট করে সাথে একজন বা দু'জন গিয়ে পানি সাপ্লাই করে আগের পাওনা নিয়ে আসা।
দেশ উদ্ধারের সপ্ন দিন দিন ফিকে হয়ে আসছে। যে ব্যাবসা তাতে ডাইলের টাকা উঠতে কষ্ট হয়। এরপরেও আগের থেকে স্বচ্ছলতা এসেছে। দু' একদিন পর পর ডাইল খেতে পারে।
***
সেইদিন বেশ জমেছিল! প্রত্যেকে এক বোতল ডাইলের সাথে কড়া লিকারের খাড়া চামচের মিষ্টি চা( এমন চিনি যে চামচ খাড়ায় থাকে) এরপরে গাঁজা। পুরাই জোশ-মজমা, সাথে বাউল গানের আসর। ওইদিকে চার পাতিলে ক্লোরিন আর ফিটিকারির মিশ্রনে পানি ফুটছে।

আসর চলতে চলতেই ওরা চিত কাইত হয়ে ঘুমায় পড়ছে। মাঝরাতে একজন পেসাব করতে উঠে দেখে সারে সর্বনাশ!!
পানিতো সব শুকায়ে গেছে! তাড়াহুড়ো করে সবগুলোরে ঠ্যালা ধাক্কা দিয়ে ওঠাতেই সবার মাথায় হাত। কালকে পানি সাপ্লাই দিবে ক্যামনে???
অনেক ভেবে চিনতে সেই পানিতে সেদিন ট্যাপের পানি ঢেলে না ফুটিয়ে বোতলে ভরে সাপ্লাই দিয়ে আসা হল।


পরের দিন। ভ্যানে করে জার ভর্তি পানি নিয়ে গেছে দুই বন্ধু। নতুন পানি দিবে আর কালকের পাওনা টাকা ওঠাবে।
সর্বপ্রথম বেকারির মালিক তাদের কাছে ডেকে বলল, ভাই পানি আগেই দিয়েন না। বসেন কথা বলি ...
ওদের বসিয়ে তিনি কর্মচারি দিয়ে আশেপাশের দুই চাইরজন দোকানীকে ডেকে আনলেন।
কোর্ট মার্শাল বসল ওদের। গতকাল পানিতে কি মিশাইছিলেন? পানিতে গন্ধ ছিল-খাইতে তিতা লাগছিল আর যতজন লোক খাইছে সবার গাল, জিহ্বা গলা সব ছিল্যা গেছে!!
ওরা দুজন মাথা নিচু করে চুপ! তবে ভদ্র ঘরের ছেলে বলে মাইর খায় নাই। সেদিন আর জার টাকা কিছুই ফেরত পায়নি। ব্যাবসার ইতি ওখানেই। আহা কত সপ্ন ছিল; দেশউদ্ধার আর হোল না!!!!

* তথ্যগত ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। আমি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো শুনে লেখা।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:

বাহাস কি?



১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কেন মনে হল বাহাস আছে? কোন বাহাস নাই। সত্য ঘটনা লিখেছি

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:




জমে নাই :(

শেরজার রম্য গল্পের এই করুণ পরিণতি কবে হলো B:-)
are you okay my friend?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিকাছে রম্য বাদ দিলাম! আমিও বাসা থেকে বের হবার সময়ে তাড়াহুড়ো করে 'রম্য' লিখে পরে ভাবলাম- ভুল হয়ে গেছে!
আমি ঠিক ঠাক আছি। ব্যাবসা নিয়ে একটু পেরেশানি তো থাকেই- সেটা আছে পুরোদমে :)

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আফসোস!
জীবনে রিস্ক না নিলে কোন বাণিজ্যই সফল হয় না।
কবি বলেছেনঃ বাণিজ্য বসতে লক্ষ্ণী।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: ভাই আপনার ওই বিখ্যাত ডায়লগটা পুরাটা দেন ;
বড়ই আচানক ঘটনা

আফসোস!!!


:) :)

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:



শেরজা লিখেছে
এই নিয়ে আড্ডায় চরম বাহাস হয়।

বাহাস মানে জানিনা, তাই জানতে চাইলাম।
শেরজা আসলেই আউট অব মাইন্ড হয়ে আছে।


১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: Yes you are absolutely right- today I am out of mind!

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২১

বিজন রয় বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই আপনার ওই বিখ্যাত ডায়লগটা পুরাটা দেন ;

আচ্ছা আমিই দিলাম...........

বড়ই আচানক ঘটনা
আফসোস!!!


পানি নিয়ে ভাবনা, আর না, আর না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: সাভারের পানি সেরা পানি এখানে বোতলের পানি দরকার হয় না। এইখানকার লোকজন ওই ডায়লগ দিলে ভালো হয় :)

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাহাস শব্দটার মানে আমি জানি।
আমাদের বিক্রমপুর অঞ্চলে বাহাস শব্দটা প্রায়ই ব্যবহার হয়।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: বাহাস মূলত বুদ্ধিমানদের তর্ক বিতর্কের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো এখন আস্তে আস্তে সেটা নিচু লেভেলেও চলে গেছে!
শুধু তর্ক বিতর্কের খাতিরেও সেরা শুধু ব্যবহৃত হয়!

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের লেখা উচিত ছিল 'বাহাস কী?' মিরর লিখেছে বাহাস কি? মানে এটা কি বাহাস? এই কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি এবং কী ব্যবহার করেছেন যখন যেটা প্রযোজ্য। :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাপরে এত দিকদারির থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা ভাষা লেখা থেকে পদত্যাগ করব বলে চিন্তাভাবনা করছি :(

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমি হিন্দী শব্দ পানি-এর চেয়ে বাংলা শব্দ জল বেশী পছন্দ করি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: পানিতে জল বললেও পানি আর জলকে পানি বললেও জল :)
যেটা খুশি মনে হয় বলেন।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

শায়মা বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত!!!


কেমন শয়তানের লাঠি পানিওয়ালাগুলা!!!

লাঠির বাড়ি পিঠে পড়া উচিৎ ছিলো!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আহা এভাবে বলেনা আপু- বাইচ্চা পুলাপান। ছোট ব্যাবসা ছিল ছোট-খাট আকাম করছে এতেই যদি এত ক্ষেপে যান তবে আলম সিকদার এদের নিয়ে কি বলবেন?

ওদের মাফ করে দেন এবারের মতন। বর শিক্ষা পেয়েছিল সেবার। ওদের মধ্যে যে গায়ক, তাঁর সাথে কিছুদিন আগে বহুদিন পরে দেখা; ইয়াব্বড় পাকা দাড়ি মাথায় গোল টুপি, পুরা হুজুর বেশ! আমিতো টাসকি; ওর এই পরিবর্তন আশা করিনি। আচমকা নজরে এলো বুক পকেটে একটা ব্রাশ! ঘটনা কি দোস্ত-ব্রাশ নিয়া ঘুরছ ক্যান?
সে আমার কানে কানে কয়, সব ছাড়ছি দোস্ত কিন্তু গাঁজাটা ছাড়তে পারি নাই। নামাজের কাতারে দাড়াইলে সবাই ক্যামনে তাকায়। তাই নামাজের আগে ব্রাশ করে ঢুকি :)

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। দেশ উদ্ধার আর হইল না ওদের :) ওদের তো ডাইলের পয়সাই উঠতো না :)

তবে, শেষের দিন যখন কোর্ট মার্শাল বসলো, আমি ভয় পাইয়া গেছিলাম, আল্লাহরে, এই বুঝি ওগো ধইরা বাইন্ধ্যা আইচ্ছা কইরা পিটানি দিবে :)

তিতা কেন হয়েছিল? ফিটকিরি আর ক্লোরিনের কারণে?

বাজারে কবে যে মাম পানি আসা শুরু হয়েছিল, দিন তারিখ মনে নাই। তবে, পানিতে একটা হাল্কা ডাবের পানির ঘ্রাণ ছিল। এখনো মিনারেল ওয়াটারে এই প্রচ্ছন্ন ডাবের পানির ঘ্রাণটা আমার ভালো লাগে।

আমাদের দেশে এই মিনারেল ওয়াটার নিয়মিত চেক করা হয় কিনা কে জানে। তবে, এতে যে প্রচুর ভেজাল থাকে এবং অনেক নকল বা রি-প্যাকড ওয়াটার বোতলও থাকে, সেই সংবাদ তো সেই আদিকাল থেকেই 'সংবাদ' হইত :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ যে আকাম করছে, সেইদিন বেঁধে রাখার কথা ছিল।
পুড়ে যাওয়া ফিটকারি ক্লোরিন আর ট্যাপের পানিতে ফের পানি মিশিয়েছিল বলে হয়তো পানি তিতা ছিল।
আগে ফ্রেশ পানিতে ডাবের পানির ঘ্রান পাইতাম। একমিতেও ছিল। একমি পানি নাকি ভাল শুনেছি।

কক্সবাজার পর্যটনের শৈবালের রেস্টুরেন্টে বোতলে ট্যাপের পানি ভরে -খুব ভাবে স্যার বোতল খুলে দেই বলেই উত্তরের অপেক্ষা না করে খুলে দিয়ে পানি ঢেলে দেয়ায় একবার হাতেনাতে ধরেছিলাম। ওদের সবগুলো বোতলের মুখের সিকিউরিটি সিল খোলা ছিল!!!

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

না, আপনি যেটা বলেছেন সেটা ঠিক আছে।
কিন্তু আরেকটি জটিল ব্যাপারও আছে ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোন মোমিন মুসলমান জল বলবে না ।
একইভাবে কোন হিন্দু ভাইয়ও পানি বলবে না ।
যতটা সম্ভব তারা এড়িয়ে চলবে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: এটা একটা আজগুবি ব্যাপার!
কোন হালায় যে এই আকাইম্যা জাত-পাতটা সামনে আনছে কে জানে! আমরাও মেনে চলি নির্দ্বীধায়!

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মাদকে একবার মজলে দুনিয়ার সব ব্যবসাই লাটে উঠবে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: যারা মজে তারা জানে ওইটাতে কি মজা! :) বাকি দুনিয়ার সব কিছু মুল্যহীন।

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৬

করুণাধারা বলেছেন: সোহানীর পোস্ট পড়ার সাথে সাথেই আমার এই জারের পানির কথা মনে পড়ছিল। মনে পড়ছিল, কারণ বেশ কিছুদিন আগে একজন কে জিজ্ঞেস করছিলাম অমুক সাহেবের ছেলে কি করে। তখন তিনি উত্তর দিলেন, "পানির ব্যবসা করে।" পানির ব্যবসাটা কী তা বুঝতে পারছিলাম না। তখন তিনি বললেন, বাথরুমের কল থেকে পানি নিয়ে নীল জার সিল করে সাপ্লাই দেয়, এটাই ব্যবসা। তো সেই হিসেবে আপনার এই চারজন দেশ উদ্ধার করা ব্যবসায়ী যথেষ্ট পরিশ্রমের সাথে ব্যবসা করেছে, ফিটকিরি, ক্লোরিন এসব দিয়ে পানি ফুটিয়ে করে ঠান্ডা করে তারপর সাপ্লাই দিয়েছে।

বাথরুম থেকে পানি ভরে জারে সিল করা হয়, একথা শোনার পর থেকে আমি বাইরে কোথাও পানি খাবার আগে দেখে নিতাম নীল যার থেকে দেয়া হচ্ছে কিনা...

তবে এই কাহিনী শুনে খারাপ লাগলো চারজনের জন্যই। বেচারা! এরপর তাদের ডাইল খাওয়া দাওয়ার অবস্থা/ ব্যবস্থা কী হলো... :|

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক তাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। প্রথমে ভাল কিছু একটা দিতে চেয়েছে। অধিক সন্ন্যাসী, অর্থকরির অভাব আর ডাইলের নেশায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। ওদের মধ্যে দু'জন অবশ্য ভাল অবস্থানে আছে এখন।

নীল জারের পানি আমিও খাই না বহু বছর- ওর থেকে ডাইরেক্ট ট্যাপের পানি খাওয়া ভাল।
তন্মদ্ধ্যে দু'জন নেশায় জেরবার হয়ে একজন পাঙ্খা মানে আধ পাগলা হয়ে গেছে আরেকজনের ২৯ বছ্র বয়সে ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল।

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


দেশ উদ্ধার হইল না। হইলে ভাল হইত এত দিনে রহমান সাহেবরে ধরে ফেলতে পারত। পারত পক্ষে নানভীর সাহেবরেও ধরা ব্যাপার ছিল না।

তবে আপগ্রেডেট ডাইল খোর জিনিসটা কি? :D :D :D :D

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: ওরা ছিল এমেচার ডাইল খোর পাইলে খাইত নাইলে নাই। আর উনি ছিলেন একেবারে (চেইন প্রফেশনাল পাক্কা কোনটাই যায় না তাই) পিওর ডাইল খোর দেখে আপগ্রেডেট বলেছি। :)
আপনার ডিকশনারিতে অন্য কিছু থাকলে বলেন?

১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১২

মিরোরডডল বলেছেন:




সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের লেখা উচিত ছিল 'বাহাস কী?' মিরর লিখেছে বাহাস কি? মানে এটা কি বাহাস? এই কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি এবং কী ব্যবহার করেছেন যখন যেটা প্রযোজ্য। :)

আসছে পন্ডিত সাচু!

লেখক বলেছেন: ওরে বাপরে এত দিকদারির থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা ভাষা লেখা থেকে পদত্যাগ করব বলে চিন্তাভাবনা করছি :(

এমন হলে আমিও পদত্যাগ করবো :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: যেভাবে অনিয়মিত লেখালেখি করেন তাতে আপনিতো মনে হচ্ছে এল পি আর এ আছেন। এমনিতেই অবসরে যাবেন মনে হচ্ছে! পদত্যাগের কি দরকার?

১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:




শিরোনাম দেশ পাল্টে দেয়া কয় বন্ধুর পানির ব্যাবসা,
এটা না দিয়ে দেশ পাল্টে দেয়া চারজন ডাইলখোর বন্ধু সমাচার দিলে ভালো হতো।
কারণ এতবেশি পানির চেয়ে ডাইল কথাটা আসছে :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: ছিঃ ছিঃ বন্ধু না প্রথমেই ডাইলখোর দিলে কেমন দেখা যায়- মনে হইত আমরা গ্রুপ ধরেই ডাইল খাইতাম!!!

আপনার জন্য 'রম্য' তুলে নিয়েছি কিন্তু হুম

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




পদত্যাগের কি দরকার?

বাহরে!! শেরজা যে পদত্যাগ করবে বললো।
শেরজা চলে গেলে আমি থেকে আর কি করবো? :)

এখানে কমেন্ট পড়বে

আউট অভ মাইন্ড হবার কিছু নেই, সবাই শেরজাকে ভালোবাসে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আউট অভ মাইন্ড হবার কিছু নেই
আরে ওই জন্য কিছু না। ব্লগ নিয়ে ভাবনা ব্লগেই। বিষয় অন্য
তিনি সম্ভবত আর কিছু বলবেন না।

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত এখানে লাইন দিলাম :)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: বালতি জার কিছু এনেছেন ভাই - পানি নিবেন কিসে?

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: ছিঃ ছিঃ বন্ধু না প্রথমেই ডাইলখোর দিলে কেমন দেখা যায়- মনে হইত আমরা গ্রুপ ধরেই ডাইল খাইতাম!!!

আমি কখনো ডাইল বা ফেনসিডিল খাইনি, তবে টুসকা খেয়েছি।

আপনার জন্য 'রম্য' তুলে নিয়েছি কিন্তু হুম

ভালো করেছে, এখন মাচ বেটার।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: যখন কাশির সিরাপ হিসেবে বাজারে ছিল তখন মনে হয় খেয়েছি কিন্তু এটা ব্যান হবার পরে কখনো এক ঢোক খায়নি কেউ খাওয়াতে পারেনি।
তবুও এটা রম্য 'করুন রস রম্য'!

২০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫২

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভাবিলাম শেষে চার বন্ধু মিলিয়া একটা পানির কোম্পানি দাঁড় করাইবে, নাম " বন্ধু পানি"। কিছুই হলো না। রম্যে কষ্ট পাইলাম

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: বন্ধু পানি নামে কিছু থাকলে আজ অব্দি তার নাম নিশানা কিছু একটা পাইতেন। যেহেতু নাই সে তো ধরে নিতে হবে সে ব্যবসা লাটে উঠেছে - তবে তাদের ব্যবসার খুব বেশি তাড়াতাড়ি লাল বাত্তি জ্বলে ছিল এটাই যা কষ্ট! :(

২১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন: বাহাস মানে জানিনা, তাই জানতে চাইলাম।

বাহাস মানে তর্ক । যুক্তি অযুক্তি সহযোগে তর্ক ।

লেখক@ এমন ব্যবসা আমিও করতে গেছিলাম দুই তিন টা তার মধ্যে কয়েলের ব্যবসা আর আলুর ব্যবসা । দুইটার ফলাফল বাজারে বিশাল দেনা সহযোগে পিট টান । (দেনা পরে পিতাদেব শোধ করে সারাদিন পেয়ারা তলায় কান ধরে দাঁড়িয়ে রেখেছিল তওবা সহযোগে)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও তো দেখছি ভাইয়া চরম ব্যবসায়ী!! :) তারপরে কি লাইনে এসেছিলেন নাকি ফের চেষ্টা করেছিলেন?
গুল আর বিড়ির ব্যবসাটা বাদ দিলেন কেন? ওই দুটোতে ট্রাই করে দেখতেন অনেকেই তো দেশে ওই দুটো করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে!

২২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

সোহানী বলেছেন: আমি কিন্তু পড়া শুরুতে ধরে নিয়েছিলাম ওরা নিশ্চয় এখন দেশের কোটিপতি :P

করুণাধারা আপুর মতো আমিও বলি, বেচারারা অন্তত কিছুটা বিশুদ্ধ করার চেস্টা করেছে। আর বাকিরাতো ডাইরেক্ট টেপের পানি.. ;)

আমার গল্প শুনেন, দেশে থাকতে বছর খানেক ছিলাম পুরান ঢাকায়। গোসল করার পর গায়ে/চুল থেকে পোকা সরাতে হতো। কয়েক স্তর ছাকনী দিয়েও পোকা থেকে রক্ষা পেতাম না............... হাহাহাহাহা। এখন মনে পড়লে আঁতকে উঠি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: তারাও বলেছিল 'দেখিস একদিন আমরাও' কিন্তু কাম হয় নাই!
ব্যবসা ও দেশ উদ্ধার দুটো একসাথে করা বড় কঠিন কর্ম।
জ্ঞান বিতরণ অনেকেই করতে পারে- কিন্তু কাজের বেলায় বোঝা যায় কে আসলে কেমন কতটুকু কার যোগ্যতা...
মন্তব্যে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গতকালই পড়েছিলাম কিন্তু সময়ের কারনে মন্তব্য করা হয়নি।
পড়ে ভাল লেগেছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো অবশেষে মন্তব্য করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো :)
ভালো থাকবেন সুপ্রিয় ব্লগার!

২৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনিও তো দেখছি ভাইয়া চরম ব্যবসায়ী!! :) তারপরে কি লাইনে এসেছিলেন নাকি ফের চেষ্টা করেছিলেন?
গুল আর বিড়ির ব্যবসাটা বাদ দিলেন কেন? ওই দুটোতে ট্রাই করে দেখতেন অনেকেই তো দেশে ওই দুটো করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে!


ধন্যবাদ । ব্যবসার লাইন ঘাট খুজতেছিলাম । ইশারাই কাফি ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: দেখেন কি চমেতকার বুদ্ধি দিলাম! দাঁড়ায় গেলে কিছু মাল পানি ঝাইড়েন- বাঙ্গালী তো ভুইল্যা যায়

২৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর ভুল দিয়েছেন। যাই হোক, পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিই প্রথম থেকে সিধা করে লিখে দিলেই পারেন। আমি যেইটা জানি সেইটা লিখেছি। আমি কোট করেছি পল্লী কবি জসিমউদ্দীনের থেকে। তিনি লিখেছেন; লালন ফকির মাঝে মধ্যেই ইসলামী মৌলভী,পন্ডিত ও দূর দুরান্ত থেকে আগত জ্ঞানী ব্যক্তিদের সহিত 'বাহাসে' লিপ্ত হইতেন।
এখানে আমি বাহাস অর্থ কী বুঝব বলেন?

২৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



ভাই আমার খুব চেষ্টা পেয়েছে ।
আপনি কি দয়া করে আমাকে এক গ্লাস জল পান করতে দিবেন ?

নাকি

আপনি আমাকে এক গ্লাস পানি খেতে দিবেন ?

কোনটা দিবেন বলেন তো¿!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: যেইটা কহিলে যাহা পাইবেই তাহাই বলিবেন। আমরা পানি বলে অভ্যাস্ত- শুধু গানে আর কবিতায় জল বলি।

২৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৭

জুন বলেছেন: আপ্নের কি কুনো কাজ কাম নাই :-*
ডেইলি একটা কইরা পোস্ট :-/

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আজকেও আরো দু'খানা লিখেছি দিব নাকি?
পড়বেন? :)

অহেতুক রম্য; 'মিঠাই লাগাইন্যা শয়তান' পোস্ট দিয়ে ড্রাফটে নিয়েছি ১০ জানুয়ারি। মাসে ৫/৬ খানা পোস্ট না দিলে গা জ্বালা করে! :)

২৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হা হা! আর এই ছেলেপেলেই একদিন রাজনীতিবীদ হবে তারপর ওরা জনগণের সেবা করবে একদম দূর্ণীতি করবে না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: ওদের ওইদিন শেষ! একজনে পাঙ্খা - আরেকজন তসবিহ গোনে আর গাঞ্জা খায়! বাকি দুজন কানাডা আর ইউকে তে পারমানেন্টলি সেটেল!

২৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তজবি গুণে আর গাঞ্জা খায় এরকম আমি ৪ জন কে চিনি, গাঞ্জা তাদের কাছে পান-সিগারেটের মতই একটা কিছু।

যে দুজন কানাডা, ইউকে সেটেলড হয়েছে তারা সাকসেসফুল ভাবে পুলসিরাত পার হয়েছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: একসময় সবাই 'পুলসিরাত' পার হইতে চায়। ভাবে ওপারেই যত সুখ ...কিন্তু পার হওয়ার পর বেকুব হয়ে এই পারের দিকে চেয়ে থাকে।
... অবশেষে সব পাখি একদিন ঘরে ফিরে আসতে চায়।

৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে ভাইয়া শেষ পর্যন্ত ব্যাটাদের দেশ উদ্ধার করার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তাহলে? যাইহোক একটু বেশি ডাইল খেতে গিয়ে আর স্বপ্ন পূরণ হলোনা। কিন্তু এইভাবেই যে প্রতিনিয়ত দেশ উদ্ধার হয়েই যাচ্ছে সেকথা আমরা অবিশ্বাস করি কেমনে।আর রম্য যে সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস হয়নি এটাই রক্ষে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আহা এভাবে কত শত সপ্ন কুসুমেই ঝরে যাচ্ছে! ওরাতো তবু নেশার ঘোরে এগিয়েছিল দু'কদম - কপাল খারাপ, এমনি করেওতো কত মানুষ আজ মাল্টি মিলিওনার!
ওপার থেকে ডাইলের সাপ্লাইটা না আসলে- এপারে দেশটা উদ্ধার হত ভাই কিন্তু সেটা নিশ্চিত :)

৩১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনাকে চুপিচুপি একটা কথা বলি।
আমার অনেক টাকা-পয়সা হলে ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি টাকা ধার নেব ।
তারপর মাওয়ার কাছে পদ্মায় যে বড় বড় চর আছে ওখানে পানির ফ্যাক্টরি দিব।
আমার পানির ব্রান্ড নাম হবেঃ পদ্মা মিনারেল ওয়াটার ।
টিভিতে ও ইউটিউবে আমার পদ্মা মিনারেল ওয়াটারের বিজ্ঞাপন চিত্র বা টিভি কমার্শিয়াল প্রচারিত হতে থাকবে ২৪ ঘন্টা ধরেই

আমি আমার ব্যবসায়ের পার্টনার খুঁজছি ।
আপনাকে জানালাম ।
আপনি রাজি থাকলে হাত তুলেন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ব্যাবসায়িক আইডিয়া!
আপনি একাই করেন- এত টাকা হইলে পার্টনার লইবেন ক্যান?

৩২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: খালে বিলে অলিতে গলিতে হাজারো এমন রতন অবহেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে- কত সপ্ন তাদের চোখে মুখে, চান্স পাইলেই দেশটার চেহারা পাল্টে দেবে! কিন্তু মাগার চান্স পাইতেছে না :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.