নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুলে ভরা ইতিহাস!

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৬


মরা সবাই জানি ইতিহাস রচিত হয় বিজেতার হাতে। তবে সেই ইতিহাস যুগে যুগে পাল্টে গেছে ভাষা দেশ জাতি ধর্মের কারনে। কখনো পণ্ডিত, আর্য শ্রেনীরা, ইতিহাস রচয়িতারা, শাসকেরা একটু একটু করে নিজেরদের মর্জি মত পাল্টে দিয়েছেন। ইতিহাস যত পুরনো তত বেশী গোজামিলে ভরা গোলমেলে। মুল সমস্যা হচ্ছে; কোন কোন ইতিহাসের জন্য একটা মাত্র রেফারেন্সের উপর নির্ভরশীলতার কারনে সত্য মিথ্যা নিরূপন করার কোন উপায় থাকে না।
কোন কোন ইতিহাস শুধু তদ্বেশীয় মানুষ দ্বারা নয়, বিদেশী ইতিহাসবিদ ও পর্যটকদের দ্বারাও ভুলভাল লিপিবদ্ধ ও বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।(এখানে নাম, স্থান ও জাতি গড়মিল খুব বেশী পরিলক্ষিত হয়।)
জকে আমরা যখন কোন কিছু লিখতে বসে যে কোন কিছুর রেফারেন্স দেই তখন কেউ হয়তো প্রশ্ন করে বসেন এর সুত্র কি?
আমরা অবলীলায় বলে দিই; উইকিপিডিয়া, উইকিমিডিয়া, ওয়াশিংটন পোস্ট, হিন্দুস্টান টাইমস, অমুক হিস্টোরি সাইট ব্লা ব্লা ব্লা
যিনি প্রশ্ন কর্তা তিনি এসব শুনে নিশ্চিত হন যে, রেফারেন্স যেহেতু পোক্ত আছে সেহেতু কথা ঠিক। জেনে না জেনে আমরা বিভিন্ন অনলাইনের তথ্য বইয়ে পড়া, কিংবা পাঠ্য বইয়ের তথ্য বিশ্বাস করছি। কিন্তু আসলে এসব কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য।
***
ঙ্গভুমি, বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতি নয়ে যখন আলোচনা হয় তখন কিছু উগ্রপন্থী সনাতনধর্মী এমনভাবে কথা বলে যে, পুরো বাঙ্গালী মুসলিম জাতি আসলে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। এই জাতিস্বত্তা, ভাষা ও ভুমির উপরে পুরো অধিকার তাদের। ওদিকে কিছু উগ্রপন্থী মুসলিম মনে করেন এই ভুমি ভাষা ও সংস্কৃতি পুরোপুরি হিন্দুয়ানী প্রভাবযুক্ত ও অপবিত্র। তারা দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন আরবী-ফারসী শব্দ যুক্ত করে ভাষাকে পরিশুদ্ধ, পুত ও পবিত্র করার চেষ্টায় রত আছেন। এই দুই দল-ই বাঙ্গালী হবার পরেও সুযোগ পেলে একে অপরের বিরুদ্ধে উসকে দেই।
***
মার আচমকা দুর্মতি হল, 'বাংলায় মুসলিম ইতিহাস' জানার। বলতে দ্বীধা নেই যে, আমার ধারনা থেকে অনেক বেশী কিছু জেনেছি। তবে এটা বলতেও দ্বীধা নেই যে, একটু ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে দেখি, আমি যা জেনেছি তাঁর প্রায় অধিকাংশই ভুল। আরো বেশী পরিসরে ঘেটে দেখি যাবত 'ইতিহাসই ভুলে ভরা'; আসলে আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ভুল ইতিহাস শিক্ষা দেয়া হয়।
আজ আপনাদের একটা ইতিহাসের গল্প শোনাব। মাত্র ৬১০ বছর আগের বাংলার ইতিহাস। অতি চমকপ্রদ সে ইতিহাস! কিন্তু কি বিকৃতি, কি ভু্ল কতটা ভয়াবহ গোলমেলে সে ইতিহাস, যা জানলে পৃথিবীর লেখ্য সব ইতিহাস থেকে আপনার মন উঠে যাবে।

বাংলায় মুসলিম শাসনের ইতিহাসের শুরু ১২০৩ সাল থেকে সেন সম্রাজ্যের পতনের দিন থেকে ইখতিয়ারউদ্দিন বখতিয়ার খিলজির হাত ধরে।
সেই থেকে শুরু শেষ হল, মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের সিরাজুদ্দৌলার মাধ্যমে বৃটিশদের কাছে।
এর মাঝে মাত্র দুই বছর মতান্তরে ৪(মতান্তরে ৫ কিংবা ৬) বছর হিন্দু রাজার শাসন ছিল। সেই রাজার নাম ছিল ‘গনেশ’। কোথাও তাঁর উল্লেখ কংস রাজা। পৌরানিক কাহিনীতে কংস নামে এক রাজার উল্লেখ আছে, তবে সেই কংস এই কংস নন।
তবে উইকি আমাদের জানাচ্ছে যে, তাঁর নাম কানস রাউ বা কানস শাহ বলে উল্লেখ রয়েছে। ইন্দো-পারসীক ইতিহাসবিদরা তাঁকে রাজা কংস বা কানসি বলে উল্লেখ করেছেন। একে সংস্কৃত গণেশ শব্দের ভুল আরবি বানান বলে মনে করা হয়।
এক নামের কতগুলো রূপ;
তাঁর মুল নাম আমরা জানতে পারি (মহারাজ) গণেশ নারায়ণ রায়ভাদুড়ি
তাঁকে কোথাও কংস, কোথাও কানসি রাউ, কোথাও কানস শাহ, কোথাও কানসি, কানস, কাঁসি, কাংসি, খো-শো, শা-সে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
****
মহারাজ গনেশের বাংলা শাসনের সময়কাল নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক এক ইতিহাসঃ

৬০০ বছর খুব কি বেশী সময়? ইতিহাসের বিচারে এটা খুব বেশি সময় আগের কথা নয়। আমরা বাঙ্গালীরা আমাদের ইতিহাস সংস্কৃতি ভাষা ঐতিহ্য নিয়ে খুব গর্ব-টর্ব করে বুক চিতিয়ে বেড়াই। যীশুর জন্মের বহুকাল আগে দ্যা গ্রেট আলেকজান্ডার ব্যর্থ বাংলা অভিযাজের গল্প বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। অথচ মাত্র দুশো পাঁচশ বছর আমরা পেছন ফিরে তাকাই-অজস্র ভুলে ভরা ইতিহাস আমাদের। তাঁর মানে ওই আদ্যিকালের ইতিহাসগুলো গপ্পের গরুর গাছে ওঠানো ইতিহাস কি? আমরা যা জানি তাঁর কতটুকু ঠিক জানি?
আমরা আসলেই কি ভুল জানা জ্ঞানী মানুষ সব? আসুন একটু দেখি 'মহারাজা গনেশের ইতিহাস'

উইকিপিডিয়া বাংলাঃ মহারাজ গণেশনারায়ণ রায়ভাদুড়ি (পঞ্চদশ শতাব্দী) (শাসনকাল ১৪১৫) ছিলেন বাংলার একজন হিন্দু শাসক। তিনি বাংলার ইলিয়াস শাহি রাজবংশকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় এসে সমগ্র বাঙ্গালা জুড়ে স্বাধীন হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপন করেন ।তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ১৪১৫-১৪৩৫ সময়কালে বাংলা শাসন করে।

একটি ইসলামিক ওয়েব সাইটঃ খৃষ্টীয় ১৪১২ সনে সুলতান গিয়াসুদ্দীন আযম শাহের ইন্তিকালের পর তাঁর পুত্র সাইফুদ্দীন হামযা শাহ বাঙালাহর সুলতান হিসেবে পাণ্ডুয়ার মসনদে বসেন। তিনি পিতার যোগ্য ছেলে ছিলেন। সুলতানের সভাসদদের মধ্যে একটি ইসলামী গ্রুপ ছিলো। এই গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন রাজা কংস বা গনেশ। রাজা কংস সাইফুদ্দীন হামযা শাহকে হত্যা করেন।
হামযা শাহের অনুগত ব্যক্তিত্ব শিহাবুদ্দীন রাজা কংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তিনি রাজা কংসের শক্তি খর্ব করতে সক্ষম হন। তিনি শিহাবুদ্দীন বায়েজিদ শাহ নামে পাণ্ডুয়ার মসনদে বসেন। রাজা কংস মরিয়া হয়ে উঠেন। তিনি তাঁর সমমনা ব্যক্তিদেরকে সংগঠিত করে সুলতানের ওপর হামলা চালান ও তাঁকে হত্যা করেন।রাজা কংস এবার নিজেই পান্ডুয়ার মসনদে বসেন।

এখানে ক্ষমতাশাল দেখানো হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ সাল নাগাদ। তিনি হত্যা করলেন; সাইফুদ্দিন হামজা শাহ্ ও শিহাবউদ্দিন বায়েজিদ শাহ্‌ কে।

বাংলাদেশের ইতিহাস/ রমেশচন্দ্র মজুমদার। মহারাজা গনেশ ছিলেন গৌড়ের রাজা। প্রথম দিকে তিনি ইলিয়াস শাহী রাজবংশ-এর চতুর্থ শাসক হামজা শাহ (১৪০৯-১৪১৩ খ্রিষ্টাব্দ) অধীনে জমিদার ছিলেন। হামজা শাহ-এর মৃত্যুর পর, শিহাবউদ্দিন বায়াজিদ অল্প সময়ের জন্য সিংহাসনের অধিকারী হন। এই সময় রাজা গণেশ ক্ষমতার শীর্ষে চলে আসেন।
'রিয়াজ-উস-সুলতান' নামক গ্রন্থ মতে তিনি রাজশাহী অঞ্চলের ভাতুরিয়ার জমিদার ছিলেন। তিনি হামজা শাহ -এর আমলেই একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। ১৪১৫ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ-কে হত্যা করে, সিংহাসন দখল করেন। এই সূত্রে ইলিয়াস শাহী রাজবংশ প্রথম পর্যায় (১৩৪২-১৪১৫) শেষ হয় এবং শুরু হয় রাজা গণেশের রাজত্বকাল।

এখানে তিনি আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ্‌ কে হত্যা করে ক্ষমতায় আসলেন। আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করবেন;হামজা শাহ ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন ১৪১২ সালে , তাঁর মানে গিয়াসুদ্দিন আজম শাহ্‌ ১৪০৯ সালে নয় ১৪১২ সালে মৃত্যুবরন করেছিলেন।

ওদিকে আমাদের বাংলা পিডিয়া কি বলছে শুনে আসি আসুন;
বাংলা পিডিয়াঃ রাজা গণেশ
রাজা গণেশ রাজশাহী জেলার ভাতুরিয়া ও দিনাজপুরের হিন্দু জমিদার গণেশ (মুসলিম ঐতিহাসিকদের রচনায়‘কন্স’ হিসেবে উপস্থাপিত) পনের শতকের প্রারম্ভে ইলিয়াসশাহী বংশের দুর্বল সুলতানের নিকট থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বাংলার রাজা হন।
তাঁর জন্ম ও বংশ পরিচয় সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা যায় না। গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের রাজত্বকালের শেষের দিকে ফিরুজাবাদের ( পান্ডুয়া) ইলিয়াসশাহী রাজদরবারে যেসকল অমাত্য প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন, গণেশ তাঁদের অন্যতম। তিনি সাইফুদ্দীন হামজাহ শাহ, শিহাবউদ্দীন বায়েজীদ শাহ ও আলাউদ্দীন ফিরুজ শাহের রাজত্বকালে বাংলার রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রমূলক ভূমিকা পালন করেন এবং কম করে হলেও চার বছর (১৪১০-১৪১৪) রাজ্যের প্রকৃত ক্ষমতা তাঁর হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল। তিনি রাজ্যের শাসন কর্তৃত্ব কুক্ষিগত করেন এবং বিশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক গোলযোগের সুযোগে আলাউদ্দীন ফিরুজ শাহকে সিংহাসনচ্যুত (সম্ভবত হত্যা) করে ১৪১৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সিংহাসন দখল করেন।

এখানে বলা হচ্ছে আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ্‌কে সিংহাসনচ্যুত (সম্ভবত হত্যা) করে ১৪১৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সিংহাসন দখল করেন। বাংলাপিডিয়া বলছে ১৪১৪ থেকে ১৪১৮ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন। বাহ্

এবার দেখে আসি আরবী উইকিপেডিয়া কি বলে;
রাজা গণেশ (বাংলা: রাজা গণেশ; শাসিত ১৪১৫) ছিলেন বাংলার একজন হিন্দু শাসক, যিনি প্রথম ইলিয়াস শাহী রাজবংশের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলায় ক্ষমতা দখল করেন। মধ্যযুগের আধুনিক ইতিহাসবিদরা তাকে একজন দখলদার বলে মনে করেন। তিনি যে গণেশ রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা ১৪১৫ থেকে ১৪৩৫ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করেছিল। তাঁর নাম তাঁর পুত্র সুলতান জালালুদ্দিন মুহাম্মদ শাহের মুদ্রায় "কাংস শাহ" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্দো-পারস্য ইতিহাসবিদরা তাঁর নাম রাজা কাঁসি বা কাঁসি বলে উল্লেখ করেছেন। অনেক সমসাময়িক পণ্ডিত ধনুজামর্ধনদেবের সাথে রাজা গণেশকে চিহ্নিত করেছেন কিন্তু এই পরিচয় সর্বজনীনভাবে গৃহীত নয়।

এখানে খুব বেশী গড়মিল না পেলেও সামনে আসবে। ‘ধনুজামর্ধনদেব’ এই নামটা খেয়াল রাখবেন।

এবার দেখি রুশ উইকিপেডিয়ায় তাঁর রাজত্বকাল সন্মন্ধে কি বলেছেঃ
রাজা গণেশ (? - ১৪১৮) - বাংলার হিন্দু শাসক (১৪১৪-১৪১৫, ১৪১৬-১৪১৮)। রাজা গণেজা ইলিয়াস শাহ রাজবংশের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখল করেন। সমসাময়িক মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিকরা তাকে একজন দখলদার হিসেবে দেখেন। তাঁর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গণেশ রাজবংশ ১৪১৪ থেকে ১৫৩৬ (!!! এখানে ১০১ বছর বাড়িয়ে বলা হয়েছে ১৪শ সালের যায়গায় ১৫শ ভুল হলেও ৩৫ সালের যায়গায় ৩৬ সালটা ভুল নয়, ১ বছর বেশি দেখানো হচ্ছে।) সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করেছিল। তাঁর পুত্র সুলতান জালাল আদ-দীন মুহম্মদ শাহের মুদ্রায় তাঁর নাম খো-শো বা শা-সে হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্দো-পারস্য ইতিহাসবিদরা তাঁর নাম রাজা খো বা খে উল্লেখ করেছেন। অনেক আধুনিক পণ্ডিত তাকে দেবতাদের সাথে শনাক্ত করেছেন, কিন্তু এই পরিচয়টি সাধারণত গৃহীত হয় না।

আর হিন্দী উইকিতে মাত্র ছয় লাইনে নমঃ নমঃ করে এই বাঙ্গালী হিন্দু রাজার কাহিনী শেষ করা হয়েছে। তবে এখানে একটা বড় স্ট্রোক আছে;
মহারাজা গণেনারায়ণ রায়বাদুরী (১৫শতক) (রাজত্বকাল ১৪১৫) ছিলেন বাংলার একজন হিন্দু শাসক। বাহ ইলিয়াস শাহী রাজবংশকে উৎখাত করে সমগ্র বাংলায় একটি স্বাধীন হিন্দু ব্রাহ্মণ রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পুত্র ছিলেন যদুনারায়ণ বা জালালুদ্দিন মুহম্মদ শাহ। ইন্দো-পারস্য ঐতিহাসিকরা তাকে কংস বা কংস নামে অভিহিত করেন। কাঁসি। আকারে উল্লেখ করা হয়েছে যা সংস্কৃত শব্দ "গণেশ" এর একটি ভুল গঠন বলে মনে করা হয়। তবে এটি অবশ্যই দনুজমর্দন দেব ছিলেন না। কারণ তিনি ছিলেন বরেন্দ্রী সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ এবং দনুজমর্দন দেব ছিলেন কায়স্থ।

তাঁর মানে 'ধনুজামর্ধন' বা 'দনুজামর্দন' যাই হোক এই নাম কায়স্ত বা ব্রাহ্মণের ফেরে পড়ে বাতিল হল। (তবে এই নাম পরে ফের ফিরে আসবে)।

এবার চমক লাগানো এক তথ্য নিয়ে আসছেন;
© তমাল দাশগুপ্তঃ মধ্যযুগের সমস্ত ফার্সি নথিতে রাজা ‘কানস’ বলে পরিচিত গণেশ রাজত্ব করেছেন ১৪০৯-১৫ খ্রিষ্টাব্দের সময় (এই বিষয়ে সবকটি ফার্সি নথিই একমতঃ রিয়াজ-উস-সালাতিন, তারিখ-ই-ফিরিশ্তা, তবাকত-ই-আকবরি সবাই বলছে গণেশ মোটামুটি সাত বছর ক্ষমতায় ছিলেন) । তিনি নিজের নামে মুদ্রাঙ্কন করতেন না, ইলিয়াস-শাহী বংশীয় বায়াজিদ শাহের নামে মুদ্রা চালাতেন। গণেশ নিজে সিংহাসনে বসেন নি, গৌড়ের সিংহাসনে কাফিরের পক্ষে সরাসরি শাসন করা সে যুগে প্রায় অসম্ভব ছিল।

এই ইতিহাস বলছে একেবারে ভিন্ন কথা। তিনি নাকি রাজত্ব করেছেন ১৪০৯ সাল থেকে ১৪১৫ সাল পর্যন্ত! তাজ্জব ব্যাপার, বাকি সবার শুরু যখন ইনার শেষ হল তখন। আর তিনি নাকি সিংহাসনেই বসেন নি। এই ইতিহাস পড়ে আমি তব্ধা মেরে গিয়েছিলাম। এটা কিন্তু ফেলা দেবার মত ইতিহাস নয়।

তাঁর এই কথায় সুর মিলিয়েছেন ' নিউজ নাইনে'র অনিন্দ্য দত্ত তাঁর
Raja Ganesh: How Bengal’s Hindu kingmaker put his son on the throne as a Muslim - নিবন্ধে
তিন বছর পর যখন শিহাবুদ্দিন বায়েজিদ শাহ্‌ মারা যান, গণেশ একটি পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি একজন চতুর ব্যক্তি ছিলেন এবং জানতেন যে তিনি যদি সিংহাসনের জন্য দাবি করেন তবে মুসলিম ধর্মতত্ত্ববিদেরা ও রাজ্যের মিত্ররা তাকে সমর্থন করবে না - একজন কাফের। সুলতানি শাসিতদের মানসিকতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এবং রাজদরবারের জটিলতা সম্পর্কে জ্ঞানের সাথে বিপুল ছলচাতুরি ব্যবহার করে গণেশ একটি অভ্যুত্থান ঘটান।
তিনি তার বছর বয়সী ছেলে যদুকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন এবং তাকে বাংলার সালতানাতের সিংহাসনে বসান। অল্পবয়সী ছেলেটি মূলত নামেই মহারাজা ছিল আসলে পেছন থেকে রাজ্য শাসন করেছিলে রাজা গণেশ। পরিস্থিতির একটি উদ্ভট সংমিশ্রণ বলে মনে হয় , গণেশ একজন হিন্দু সম্ভ্রান্ত জমিদার দারুণ চতুরতা ও কৌশলের সাথে এখন বাংলার মুসলিম সালতানাতের দায়িত্বে ছিলেন।

**** ও ভাই .... কি বুঝলেন????

****
তাঁর ছেলে যদু বা জালালুদ্দিনকে নিয়ে ফের গল্প হবে। তবে এর পরের পর্বে লিখব মহারাজা কংস বা গনেশ কি আদৌ মুসলিম নিপীড়ক ছিলেন না হিতৈষী এই নিয়ে বিভ্রান্তিকর এক ইতিহাস।
এখন ব্লগাররা বলুন; আপনি কি জানেন আসলে মহারাজা গনেশ কত সাল থেকে কত সাল বাংলা শাসন করেছিলেন? তিনি আসলে কোন মুসলিম রাজাকে হটিয়ে বা হত্যা করে সিংহাসনে বসেছিলেন নাকি তিনি কোনদিন মহারাজ পদবী গ্রহন করেননি( এর পক্ষে তো নিরেট যুক্তি আছে)?
এমন বিভ্রান্তিমূলক ইতিহাস আসলে আমাদের কি শেখাচ্ছে? পৃথিবীর সব ইতিহাসই কি এমন ভুলে-ভরা বিভ্রান্তিকর এলোমেলো? অতীত নিয়ে আমরা যা জানছি তার সব-ই কি প্রায় ভুল?

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:



উইকিপিডিয়ায় ইতিহাসের অনেক তথ্য গোলমেলে । আবার ইরেজিতে একরকম এবং বাংলায় অনুবাদ পড়লে আরেক রকম লেগেছে অনেক যায়গায়।

বিরাট খাটনি করছেন এই পোষ্টটার জন্য । পোষ্টে +++++++

শুভকামনা।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: শুধু ইংরেজি নয় একেক ভাষাতে ইতিহাসকে এক এক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে আবার একেক ধর্মে একেক জাতিতে একেক ভাবে ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি যে ভাষা একটু একটু পড়তে পারি বা একটু একটু বুঝি সে ভাষায় ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
অতীতকালের ইতিহাস তো বটেই মধ্যযুগের ইতিহাসে ব্যাপক ভুল সেটা যে ভাষাতেই হোক না কেন সবখানেই।
সময় সুযোগ পেলে সামনে আরো অনেক কিছু জানানোর চেষ্টা করব আসলে আমারও জানার গন্ডি কম বোঝার গন্ডি আরো কম আমি ক্ষুদ্র মানুষ কতটুকু জানি কতটুকুই বা বুঝি কোন ভুল থাকলে সেটা শুধরে দিবেন।
সাথে থাকবেন ভালো থাকবেন অনুপ্রেরণার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: পরাজিতদের কি আসলেই কোন ইতিহাস নাই বা তারা কি তাদের গল্প লিখে যান নাই ?

১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: পরাজিতরা অবশ্যই ইতিহাস লিখেছে- মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাকিস্তানিরা লিখেছে তাদের মতো করে তবে সেই ইতিহাস কেউ পড়ে না এই হল সমস্যা! পড়লেও তারা ছাড়া কেউ বিশ্বাস করে না সে কথা।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
জাস্টিফাই করলে পৃথিবীর অনেক ইতিহাস ই এমন মিথ্যা, ছল ছাতুরীতে ভরা।+++

১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমার তো মনে হয় অনেক নয় প্রায় সব ইতিহাসই ভুল শুধু সাল তারিখ আর নাম এলাকা ছাড়া বাদবাকি প্রায় ইচ্ছে মতো লেখা। শুধু কাঁচা মাছটাই ঠিক আছে কিন্তু তরকারির সব মসলাই বাবুর্চিরা ইচ্ছেমতো প্রয়োগ করেছে।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

ফেনা বলেছেন: পোষ্ট ভাল লাগল। নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: লেখা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: দুষ্ট লোকজন দুধে পানি মেশায়।
তাই বলে খাটি দুধ ও দুধের স্বাদ কেমন সেটা আমরা জানি।

সত্য ইতিহাস কেউ চেপে রাখতে পারবে না।
বিশেষ করে এই আধুনিক যুগে। নবীজির আমলে বহু রুপকথা সৃষ্টি হয়েছে। নবীজি জন্মের বহু বছর আগেও বহু রুপকথা ছিলো। কিন্তু এখন প্রযুক্তির কল্যাণে কল্যাণে মিথ্যা বলে পার পাওয়া যাবে না। প্রযুক্তির উন্নয়ন মিথ্যাবাদীদের কোণঠাসা করে ফেলেছে।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: দুষ্টু মিষ্ট জ্ঞানী মুর্খ জেনে কিংবা অল্প জেনে সবাই কিছু কিছু ভেজাল মেশায়।
আপনি সবখানে নবিজীকে কেন টেনে আনেন বলেন তো? যে প্রসঙ্গে আলাপ হচ্ছে সেটা থেকে নজর সরিয়ে দিয়ে কি উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান?
অযথাই বিতর্ক উসকে দিবেন না।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও, ব্যাপক গবেষণা করে ফেলেছেন দেখি!

তবে, ইতিহাস রচনা নিয়ে আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝি তা হলো, একই ঘটনা যখন একাধিক ব্যক্তি লেখেন, তখন বর্ণনার তারতম্য ঘটবেই। সামান্য তারতম্যই কালের প্রবাহে বিরাট ব্যবধান সৃষ্টি করে। আবার, সব লেখক সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বা নির্মোহভাবে লিখবেনও না, নিজ গোত্রের স্বার্থ বজায় রেখে লিখবেন। এজন্য দেখবেন, কাচ্চি ভাইয়ের আগুনের ঘটনা একেক পত্রিকার বর্ণনায় একেক রকম, যদিও 'আগুন লেগেছে' এ কথাটা কমন।

১০০ বছর আগের ইতিহাসেরই সঠিক কোনো আগামাথা পাওয়া যায় না, ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব ও নির্দেশনা নিয়াই প্রায় প্রতিদিন নতুন ইতিহাস শুনি, ৭১-এর ইতিহাসও একেক সময় একেক রকম হয়ে যায় - এ বলে ও ইতিহাস বিকৃত করছে, ও বলে এ ইতিহাস বিকৃত করছে - এজন্য ভালো হয়, সঠিক ইতিহাসটা জানার জন্য আপনি টাইম ট্রাভেলারে চড়ে ঐ সময়ে পৌঁছে গিয়ে দেখে আসুন, কী ঘটেছিল।

গণেশ উল্টাইয়া যাওয়া বা গণেশ উল্টাইয়া ফেলা - এই প্রবাদটা কি রাজা গণেশ মামা থেকেই এসেছে নাকি? এ সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে দয়া করিয়া হাইলাইট করিবেন। তবে, পুত্রের নাম পাল্টাইয়া মুসলিম নাম করণে তার দূরদর্শিতা ও অসীম প্রজ্ঞার পরিচয় পাওয়া যায়, যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে :)



১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১

শেরজা তপন বলেছেন: এটা কি তারতম্য ভাই!!!
কেউ বলছে উনি ৪ থেকে ছয় বছর বাংলা শাসন করেছেন আবার কেউ বলছে উনি আসলে রাজা ছিলেনই না। সাল তারিখের গণ্ডগোল না হয় মানা যায় কিন্তু কারো হিসেবে ২/৩ জন মুসলিম রাজাকে হত্যা করে সিংহাসন দখল ফের কারো মতে তিনি কাউকে হত্যাই করেন নি। এটা তো কিছুই না, সামনে দেখেন কি তালগোল পাকানো ইতিহাস আছে!!!
তা ঠিক সঠিক ইতিহাস জানার জন্য টাইম ট্রাভেলে চড়ে অতীতে যাওয়া ছাড়া উপায় কি! :(
আসলেই সেদিনের একাত্তুরের ইতিহাসও কতশত ভুলে ভরা। ভাবলে কষ্ট হয়।
তাঁর পুত্রের ঘটনা সত্যি। এই ঘটনার পেছনে আরো অনেক পেছনের ঘটনা য়াছে, কে জানে তাঁর কতটা সত্য। তাঁর ছেলের ( যদু বাবু)শাসনের সময়ে বিখ্যাত এক চৈনিক পর্যটক দুইবার বাংলা ভ্রমন করেছিলেন। তাছাড়া তিনি মসজিদে নববীর কাছে বাংলা মাদ্রাসা নামে নাকি এক মাদ্রাসা করেছিলেন। এছাড়া তাঁর সাথে মামুলুক সুলতান চীনের সম্রাটের সাথে বেশ সখ্যতা ছিল। এগুলো সম্ভবত ভুল নয়।
সাথে থাকবেন ভাই। আমি জানি ইতিহাস আপনার ভাল লাগে। আপনার কাছ থেকে শেখার ও জানার কত কিছু আছে।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বেশ ঘাটাঘাটি করেছেন লেখাটা লিখতে গিয়ে। পোস্টে +++

আমারও বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে বেশ আগ্রহ আছে। তবে একেক জনের বয়ানে একেক রকম ইতিহাস বেশ গোলমাল পাকিয়ে দেয়। এমনকি সিরাজ উদ দৌলাকে নিয়ে পর্যন্ত দুই রকম ইতিহাস পড়েছি, বেশির ভাগ জায়গায় মীর জাফর ভিলেন হলেও কিছু জায়গায় তাকে নায়ক হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও তেমনটাই পড়েছি। এই নিয়ে বেশ কিছু লেখার ইচ্ছে হয়েছিল এক সময়। (মীর জাফর)
ভালবাসা আন্তরিকতা ও অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।


* অনেক দিন চোখে ব্যাথা ছিল না- সেটা ফের ফিরে এসেছে :(

৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

সেতু আমিন বলেছেন: বেশ ভালো একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। তবে উপরে একজন অহেতুক ইসলাম ধর্মকে খোঁচা মেরে মন্তব্য করেছেন। যার কোন প্রয়োজন ছিল না।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

শেরজা তপন বলেছেন: সেটা আমিও দেখেছি। যখন ধর্ম নিয়ে আলাপ করব তখন দেখি তিনি কি বলেন- অপেক্ষায় রইলাম...
আন্তরিক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য। এসব বিষয়ে তেমন আগ্রহী পাঠকের সংখ্যা কম। শুধু ব্লগেই দু'চারজন এখনো পড়েন বোঝেন আলোচনা করেন।
ভাল থাকুন।

৯| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত যে ৭১ সালের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর জয় হয়েছিল। নইলে বর্তমান প্রজন্ম যে তাদের প্রতি কী ভয়ংকর ঘৃণা নিয়ে বেড়ে উঠত, ভাবতেও আতঙ্ক লাগে।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

শেরজা তপন বলেছেন: :) এটা কি এই লেখার বিষয়বস্তু ধরেই আলোচনা?
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত তো অবশ্যই। একবার পরাজিত হলে কি যে হত সে কথা ভাবা যায় না!! স্বাধীন দেশ পেয়েছি সস্তায় তাই মুল্য বুঝি না। ফিলিস্তিনীরা সুদে আসলে মুল্য দিচ্ছে।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে চমৎকার আর দারুন সব বিষয়বস্তু ঠিক করেন; তথ্যও অনেক কষ্ট করে জোগাড়-যন্ত্র করেন। কিন্তু সেগুলি মন দিয়ে জোড়াতালি দেন না। কিংবা দেয়ার পরে আর পাঠক হিসাবে পড়ে দেখেন না। সেইজন্য লেখাগুলো অগোছালো মনে হয়। একটা উদাহরন না দিলে বুইলবেন যে ভুয়া মফিজ বুইলছে। তাই একটা উদাহরন দেই........

তিনি যে গণেশ রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা ১৪১৫ থেকে ১৪৩৫ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করেছিল। তাঁর নাম তাঁর পুত্র সুলতান জালালুদ্দিন মুহাম্মদ শাহের মুদ্রায় "কাংস শাহ" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনের এই লাইনটা পড়লে যে কেউ প্রথমেই ভিরমি খাবে। এর ব্যাখ্যা আপনে করছেন অনেক পরে গিয়া। কোন মানে হয়? ওই ব্যাখ্যা আপনের এইখানেই দেয়া উচিত ছিল। তাছাড়া পুরা লেখাটার সম্পাদনা বেশ দূর্বল।

একটা লেখা কিভাবে ইন্টারেস্টিং করা যায়, এইটা আপনেরে শেখানোর কিছু নাই। আপনের বহু পুরানো লেখায় এর প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু ইদানীং সেইসব ডেডিকেশান আপনের লেখায় দেখা যায় না। কেমন জানি আগোছালো খাপছাড়া লেখা। এইটা কি পাঠকদের সাথে একধরনের প্রতারণা না? একটা দারুন বিষয়বস্তুরে এইভাবে ধর্ষণ করা ঠিক না। এইটা অনেকটা ইলিশ মাছকে প্রচুর গরম মশলা দিয়া রান্না করার মতো একটা ব্যাপার (গরম মশলা দিয়া ইলিশ মাছরে ধর্ষণ)!!!! =p~

অফ টপিকে একটা কথা কই। ব্লগে আসি না বইলা আপনে অভিযোগ করেন। এই যে একটা মন্তব্য করলাম, এইটা করতে গিয়া পুরা পোষ্ট আস্তে আস্তে দুইবার পড়ছি। তারপরে হৃদয়ঙ্গম করছি। তারপরে চিন্তা-ভাবনা কইরা এতোবড় একটা মন্তব্য লেখলাম। সাকুল্যে আমার প্রায় ৩০ মিনিট ব্যয় হইছে। একটা মন্তব্যে যদি ৩০ মিনিট খরচা করি, তাইলে আমার সবকিছু চাট্টি-বাট্টি গোল হয়া যাবে। এতো সময় আমার নাই। সেইজন্য নিয়মিতভাবে ব্লগে আসতে পারি না। অবশ্য...........ঠিকমতোন না পইড়া ''পড়লাম'' মন্তব্য করলে ৩০ মিনিটে ৩০টা মন্তব্য করা যায়। সেক্ষেত্রে নিজের পরিসংখ্যানরে অনেক তরতাজাও করা যায়, যেইটা সেলেব্রিটি ব্লগার হওয়ার জন্য অপরিহার্য!!! :P

১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: জোড়াতালির ইতিহাসে পুরা লেখাটাই জোড়াতালি দেয়া। এইখান থেকে ওইখান থেকে এই ভাষা ওই ভাষা একটু আধটু করে নিয়ে জোড়াতালি দেয়া যে কত কষ্ট যে করে সে বোঝে।
কোনটা লাল করে রাখছি কোনটা নীল, হলুদ সবুজ বেগুনী। কোন ইতিহাস পাঁচ ছয় পাতার। সেখান থেকে নিয়েছি দুই লাইন। বাকিটা রেখেছি পরের লেখার জন্য। কেউ আমারে মাথার কিরা দেয় নাই এই কাম করার জন্য।
আমার চেষ্টা হল ম্যসেজ দেয়া। একটা স্পার্ক জ্বালানো- আগুন না ধরলে ক্ষতি নেই।
জীবনে খুব গুছিয়ে হিসাব কিতাব করে কিছু করি নাই। জোশ আছি বিন্দাস আছি।
আপনি ক্যান যে আমার পেছনে আপনার কিমতি সময় ক্ষেপন করেন :) আপনি তো এমনিতেই সেলিব্রেটি ব্লগার আছেন।
শুনেন এই লেখা লেখার সময়ে ভীষন বিরক্ত ছিলাম আমি ইতিহাসবিদদের উপরে। অযথাই পাগলা কুত্তার কামড়ে আমার অনেক পড়াশুনা করতে হইছে। পড়াশুনা করছি আর ওগো বাপ মা তুলে গালি দিছি। এমনিতেই ব্যাবসার টেনশন, রোগ বালাই হায়াত মউতের ফ্যাকরা তারপরে চোখের প্যারা। সে আর এক ইতিহাস।
আপনি কি সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দার লেখক রকিব হাসানের ইদানিং কালের কোন সাক্ষাতকার পড়েছেন?
না পড়লে অনলাইনে খুঁজে পড়ে নিবেন।

১১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম প্যারাতে যা যা কইলেন, সবই ফিচার লেখার ঝন্ঝাট। এইটা মাইনাই ফিচার লেখতে হবে। কিরা তো আপনেরে কেউ ব্লগিং করতেও দেয় নাই। তারপরেও তো করতাছেন। সেইজন্যই কইলাম, পাঠকদের কথা একটু ভাবলে ক্ষতি কি?

আপনি ক্যান যে আমার পেছনে আপনার কিমতি সময় ক্ষেপন করেন সব সময়ে পারি না, কিন্তু পছন্দের মানুষদের পেছনে কিমতি সময় ক্ষেপন করতে ভালো লাগে।

আপনি তো এমনিতেই সেলিব্রেটি ব্লগার আছেন। মজা লইলেন নাকি, বুঝলাম না। ব্লগারই হইতে পারলাম না, তার আবার সেলেব্রেটি!!! B:-/

রকিব হাসান আমার একসময়ের অত্যন্ত প্রিয় একজন লেখক। সাক্ষাতকার অবশ্যই পড়বো। পারলে একটা লিঙ্ক দিয়েন।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: কয়জন পাঠক পড়ে আর কয়জন দেখে সেইটাই বুঝলাম না!!!
সময় সুযোগ করে ঝেড়েপুছে দিব। দেখি কতদুর পারি। তয় আপনি 'ধর্ষন' শব্দটারে বেশী আক্রমনাত্বক হিসেবে ব্যাবহার করেছেন- যদিও আমি মাইন্ড করি নাই।
আপনি মানেন না মানেন আপনি ব্লগের সেলিব্রেটি ব্লগার!
রকিব হাসানের সাক্ষাতকারের সেই লিঙ্কটা খুঁজে পেলে আমি আপনার সাথে শেয়ার করব।

১২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কথামৃত বলেছেন: বহুদিন পর কেউ ব্লগে, ব্লগের মতো পোস্ট করেছে। ধন্যবাদ নিরন্তর

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে দারুনভাবে আনন্দিত প্রীত ও অনুপ্রাণিত হলাম।
পাঠ ও মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।

* আইডির ছবিটা পাল্টে গেছে দেখি।

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৫

কামাল১৮ বলেছেন:

“সেই সত্য যা রচিবে তুমি,
ঘটে যা তা সব সত্য নহে।
রবি ঠাকুর

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: একেবারে খাঁটি কথা।
সাধেই কি তিনি গুরু!

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বড়ই আচানক ঘটনা।
বড়ই সৌন্দর্য!!

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
অবশ্য ভুলে ভরা ইতিহাস পড়ে আমি শুধু বিরক্ত হয়েছি- সৌন্দর্যের কিছু পাইনি।

১৫| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার কাছে হিন্দী উইকির তথ্যটা আগ্রহপূর্ণ মনে হলো - বেশ একটা ব্রাহ্মণ্যবাদী জোষ আছে।

তবে উইকিপিডিয়ার তথ্য প্রায়শই ভুলে ভরা এটা আমরা জানি। যেকোন একাডেমিক আলোচনায় সম্ভবত শুধুমাত্র রমেশচন্দ্র মজুমদার (যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের বিখ্যাত শিক্ষক এবং পরবর্তীতে ভিসি ছিলেন) এবং উল্লেখিত ফারসী সোর্সগুলো গ্রহনযোগ্য হবে।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে হিন্দীর উইকির তথ্য আগ্রহপূর্ন কিন্তু ওদের তথ্য কেন এত অসম্পুর্ন, যেখানে রুশ ও আরবী ভাষায় তথ্য অনেক বেশি সুদীর্ঘ ও বিস্তারিত! বেঙ্গল রিজিয়নের রাজাদের নিয়ে মনে হয় এদের উৎসাহ কম।
রমেশ চন্দ্র মজুমদারের প্রতি পরিপূর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, সেই ইতিহাসেও প্রচুর গোঁজামিল আছে। তবে সেটা তাঁর দোষ নয় নিশ্চিত। তাঁর পূর্বসূরীরাই ভ্যাজাল পাকিয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্যটা ছোট্ট হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ন।

১৬| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমার চোখের সমস্যার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
সুস্থ না হলে, এমন লেখা পাব না।

মীর জাফর নিয়ে সময় সুযোগ পেলে লিখবেন আশা করি। আমি অপেক্ষায় থাকলাম।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: এক বয়সে অনেক মলা ঢেলা মাছ খেয়েছি কাম হয়নি :)
এই সমস্যা খুব বেশী সমাধান হবার নয়- এভাবেই মানিয়ে গুছিয়ে চলতে হবে। ধীরে ধীরে ক্ষয় হয় রে জীবন .....

মীর জাফর নিয়ে সময় সুযোগ পেলে লিখবেন~ এইটা নিয়ে আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম ...

১৭| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: কিন্তু আমার প্রতিউত্তরে আপনার কিছু একটা বক্তব্য আশা করেছিলাম -সেইটা কই?

১৮| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৭

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ~ এইটা নিয়ে আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম ...

আমি টুকটাক চেষ্টা করি ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা করার। তবে আপনার মতন গুছিয়ে লিখতে পারি না। একটা দুইটা বিষয় নিয়ে লিখেছি, তবে তা আপনার মতন অত তথ্যবহুল না।

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি লিখি গুছিয়ে!! তাহলেই হয়েছিল!!!
আপনি যা বলেছেন, শুনে অর্ধেক ব্লগার হাসবেন। আমি অনেক তথ্য যোগাড় করার চেষ্টা চালাই বটে কিন্তু গোছানো ব্যাপারটা এখনো হয়ে ওঠেনি। আপনিই পারবেন।

১৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরে এসে নাপড়া অনেকটাই হয়ে গেছে।আসছি সময় নিয়ে পড়াশোনা করে।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ অনেক বেশী কিছু লিখে ফেলেছি- অল্প সময়ে :)

২০| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: পোষ্টটি আগে দেখেছিলাম, তখন পড়া হয়নি।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে অনেক ইতিহাসই এমন ভুলে ভরা, ইতিহাস যিনি লেখেন তার আইডিওলজিও মূল ঘটনাকে প্রভাবিত করেন, তাছাড়া পক্ষ বিপক্ষের ইতিহাসবিদ-তো আছেই। রাজা কংস বা গণেশ সম্পর্কে আমার জানা ছিল না! আর কোন পর্ব কি আসবে? নতুন কোন পর্ব পড়ার আশায় রইলাম।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। পরের পর্ব দিয়েছি- আশা করি পড়বেন।


*আপনার পোস্ট দেখেছি-সময় করে আসব।

২১| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট। ভুলে ভরা ইতিহাস হলেও ইতিহাস বিষয়ক পোস্টের কদর পাঠক সমাবেশের কাছে অত্যন্ত রুচিকর। ইমন জুবায়ের ভাই বিখ্যাত হয়েছেন মূলত ইতিহাস বিষয়ক পোস্ট লিখে। তিনি ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন। বিজ্ঞান অনেকের কাছে নিরস বিরস বিষয়। তবে সঠিক ইতিহাস জানতে পারলে ভালো হতো। ইতিহাসের শুদ্ধি অভিযান করা অসাধ্য কাজ। ভুল শুধু বিভ্রান্ত করে। ইতিহাস রচিত বিজয়ীর কলমের কালিতে। ফলে পরাজিত মানেই খারাপ কতলযোগ্য অপরাধী।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই, ইতিহাস নিয়ে কোন আলোচনা হলে পোস্টের বিষয় ও আলোচনা কাঠখোট্টা হলেও পাঠক ও মন্তব্য মেলে।
এই বিষয়ে সবারই কম-বেশি আগ্রহ থাকে।
ইমন জুবায়ের ভাই অন্য লেভেলের লেখক ছিলেন।
আপনার সাথে সহমত না হয়ে উপায় কি। তবে সমস্যা হল- ইতিহাস যতবার যত হাত ঘুরে রচিত হয়েছে তত বেশী ফিল্টার হয়েছে। একসময় আসল ইতিহাসটাই হারিয়ে গেছে!!!

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইতিহাস বিজয়ী কিংবা বিজিত যার দ্বারাই লেখা হউক না কেন, সেখানে কিছু অতিরঞ্জন থাকেই। আবার গবেষক ইতিহাসবিদদের দ্বারা সেগুলো ক্রমাগতভাবাে সংশোধিতও হতে থাকে। কে কোন ইতিহাস অনুসরণ করবেন সেটা নির্ভর করবে পাঠকের জ্ঞানের পরিসীমা, বিশ্বাস ও ব্যক্তিগত অভিরুচির উপর।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গণেশ উল্টাইয়া যাওয়া বা গণেশ উল্টাইয়া ফেলা - এই প্রবাদটা কি রাজা গণেশ মামা থেকেই এসেছে নাকি? এ সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে দয়া করিয়া হাইলাইট করিবেন। তবে, পুত্রের নাম পাল্টাইয়া মুসলিম নাম করণে তার দূরদর্শিতা ও অসীম প্রজ্ঞার পরিচয় পাওয়া যায়, যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে - আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে এ প্রশ্ন/পর্যবেক্ষণ দুটো আমারর মনেও উদিত হয়েছিল।
শ্রাবণধারার মন্তব্যটা ছোট, কিন্তু উত্তম পর্যবেক্ষণ ও বিবেচনাপ্রসূত। +

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। আপনার মত বিজ্ঞ প্রজ্ঞাবান মানুষ এমনটাই বলবেন বলে আশা করে থাকি সর্বদা। আসলে সমস্যা কি জানেন; কালকের কথা আজকে আমরা ভুলে যাই, একেবারে ঠিকঠাক বলতে পারি না। আপনি দেখবেন এক বাসায় দাওয়াত খেয়ে এসে পরদিন পাঁচজনের কাছে জিজ্ঞেস করবেন কি কি খাওয়াল? তারা দেখবেন প্রত্যেকেই বর্ণনায় গুলিয়ে ফেলবে, একসাথে বসলে একটা তর্কের সৃষ্টি হবে। কিন্তু প্রত্যেকেই ভাববে তারটাই ঠিক ছিল।
ইতিহাসবিদদের একই সমস্যা, এর সাথে জড়িত আছে; ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাত, জাতীয়তাবাদ, নিজের পছন্দ-অপছন্দ এইসব। আর মঙ্গড়া কিছু জুড়ে দেয়া মানুষেরতো স্বভাব। আগে সেটা বেশ সহজ ছিল। ব্যক্তি পণ্ডিত হলেতো কথাই নেই- সবাই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে ফেলত।

বরাবরের মত পুরনো পোস্ট খুঁজে খুঁজে অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ তো মাত্র ৫৩ বছর আগের ইতিহাস। সেটা তো আমার এবং আমার বয়সীদের চোখের সামনেই ঘটেছিল। তখন আমি ষোল বছরের তরুণ ছিলাম, তাই ঘটনাপ্রবাহের অনেক কিছুুই বুঝতাম। সে যুদ্ধকে তখন যেমন ঘটতে দেখেছি, এবং যুদ্ধকে নিয়ে আপামোর জনতার মাঝে যে উদ্দীপনা ও আশা আকাঙ্খা দেখেছি, গত ৫৩ বছরে ধীরে ধীরে সে ইতিহাসে বিকৃ্তির অনুপ্রবেশও ঘটতে ধদেখেছি।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: এই দেখুন, এই ক'বছরেই এই অবস্থা! সেই সময়ের লক্ষ মানুষ এখনো বেঁচে বর্তে আছে, তাদের চোখের সামনেই ইতিহাস দিন দিন বিকৃত হয়ে যাচ্ছে- আর অতীতের এসব ইতিহাস বিকৃত হওয়া তো অতি স্বাভাবিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.