![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক এই রকম একটা দিন,হালকা হিম হিম শীত যখন চারে দিকে ঘিরে ধরছে,আমি সেই মুহুত্তে বাণিজ্য মেলার টিকিট কিনতে সিরিয়ালে দাড়িয়ে।
ঠিক সেই মুহুত্তে পিছন থেকে একটি শব্দ ভেসে আসল কানে
Can U help me to buy 2 tickets please?
বোকা মত ব্যাভাচেকা খেয়ে বললাম
Ohhh sure
(আমি অনেক আগে থেকেই বিদেশিদের সাথে কথা বলাতে অভ্যস্ত,কিন্তু কলেজ ড্রেস পড়া কোন বাংলাদেশী মেয়ের এই ধরনের ইংলিশে ১ম Co...nversation )
তার পর টিকেট কিনে দেওয়ার পর হালকা একটা ট্যাঙ্কস দিয়ে বিদায় নিল
ফেব্রুয়ারি :-
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে অমর একুশে বই মেলা
সিটি কলেজের কয়েকটা বাঁদর টাইপের বান্ধবীদের সাথে বইমেলায় ঘুরব বলে আমি তাদের আগেই বইমেলায় এসে তাদের জন্য ঘুরে ঘুরে বই দেখছিলাম আর অপেক্ষা করছিলাম তাদের জন্য
ঠিক সেই মুহুত্তে
Excuse me , Can u recognized me ???
কলেজ ড্রেস পড়া ওকে প্রথমে ভাল করে চিনতে না পারাতে,একটু সময় করে পরখ করে নিচ্ছিলাম
আমাকে সময় না দিয়ে সেই বলে দিল
I introduced with u at banijjo mela
আমি চরম বিস্মিত হয়ে বললাম ohhh sure, Now i can recall my memory
Nice to meet u again
তাঁরপর সেদিন অল্পকিছুক্ষন তাঁর সাথে বই মেলাতে ঘুরলাম
কিন্তু আমার দুষ্ট বান্ধবীরা দেখে ফেললে সমস্যা,তাই তারাতারি করে ওকে বললাম
If u don't mind,can i get ur contact number or something else ??
ohhh sure,
এই বলে তাঁর মোবাইল নাম্বার ও ফেসবুক আইডি দিল
সেই থেকে শুরু নতুন এক জীবনের
প্রথম যেদিন তাঁর সাথে মোবাইলে কথা হচ্ছিল সেদিন সে বলল
if U don't mind, can u continue our English conversation only
No bangla plz
সেইদিন মনে মনে আমি নিজেও খুশি হলাম,কারন এই প্রথম কোন মেয়ে আমাকে নিজ থেকে ওর সাথে ইংলিশে কথা বলার প্রস্তাব দিল,সেই প্রস্তাব লুফে নিতে দেরি করলাম না
ও ছিল ঢাকা মেফলিপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী,তাই ইংলিশে কথা বলাতে চরম এক্সপার্ট,আমাদের এই ইংলিশে কথা বলা বন্ধ হল সেদিনই যেদিন আমারা দু’জন দুজন কে ভালবেসে ফেলি,তাঁরপর থেকে তাঁর দেয়া শর্ত তুলে নিয়ে বাংলা-ইংলিশ দু ভাবেই আমাদের কথা হত।
এভাবে কয়েক দিন তাঁর সাথে রেগুলার Contact হত,মাঝে মাঝে ভার্সিটির ক্লাস করার পর পরই চলে যেতাম বসুন্ধরা সিটিতে,এক সাথে দু'জন অনেক কথাবার্তা বলতাম।
একসময় আমি নিজেও পান্থপথের IELTS এ ক্লাস করতাম ফলে আমাদের দুই জনের সাপ্তাহে ২ বার দেখা হত।কখন গ্রিন রোডের পথ ধরে রিক্সায় করে ঘুরতাম,কখনবা ধানমণ্ডির লেকের পারে সৃতিময় সময় পার করে দিতাম,আর বাসায় আসলে fecebook তো ছিলই,সে সবসময় রাতে ঠিক ১২.২০ এ ফোন দিত।
তাই ফেসবুকে রাত ১২.১০ এ বন্ধুদের ঘুমাতে যাই এই রকম মিথ্যা কথা বলে তাদের থেকে বিদায় নিতাম. এতে বন্ধরা আমার উপর অনেক রাগও করত
শুধু একটাই কারন,সে ফোনে কথা বলা অবস্থায় কারো সাথে চেটিং পচন্দ করে না,সারা রাত কথা বলতাম আর সকাল বেলা ঘুম ঘুম চোখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ ধরা
এই ভাবে চলতে চলতে আমার দুজন দুজনকে কখন যে এত গভীর ভালবেসে ফেলেছি,
কোন এক বিকেল বেলায় টিএসসির ভিতরে আমার কাঁধে মাথা রেখে বলল
“ আমি জানি না তুমি কতটুকু আমাকে ভালবাসো,কিন্তু আমি যে তোমার চেয়ে কয়েক হাজার গুন তোমাকে ভালবাসি তা আমি নিজেও পরিমাপ করতে পারছি ”
আমরা দুজন অনেক জাগায় ঘুরতে যেতাম কখন ধানমণ্ডি কখন টিএসসি কখনবা আফতাব নগর কাশফুলে ঘেরা অসাধারণ জায়গায়
ও আমাকে এটাই ভালবাসত যে আমি নিজেই অবাক হয়ে যেতাম,আমার দিনের ২৪ ঘণ্টার হিসাব যে জানত,আমি কখন কোথায় কি অবস্থায় সব কিছুর তদারকি করত,ক্যাম্পাস থেকে ঠিক মত বাসায় গিয়েছি কিনা ? আগামীকাল কয়টায় ভার্সিটিতে যাব ? বাসায় ভাইয়ারা কেমন আছে
অদ্ভুদ অদ্ভুদ সেই দিন গুলো একটা মানুষ একটা মানুষকে এতটাই কেয়ারিং করতে পারে ! ! !
তাঁর প্রতিটি কোথায় মাঝে ছিল এক নিখাদ ভালবাসা।তাঁর কথাগুলো আমি শুনতাম মন্ত্র মুগ্ধের মত
অসম্ভব ভালবাসায় জড়ানো ছিল তাঁর সেই কেয়ারিং গুলো
সেদিন তাঁর সাথে দেখা হবে না সেই দিনগুলো নাকি তাঁর ভয়ংকর দিন মনে হত,আর টাই সারা রাত কথা বলত
কথা বলতে বলতে কখন যে ভোরে ফজরের আজান দিত খেয়ালেই করতাম না
এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার সেই ক্যাম্পাসের পথে রওনা দিতাম
কি ছিল না তাঁর কথার মাঝে
সকাল থেকে শুরু হওয়া তাঁর দিনগুলো সে বলে যেত পাণ্ডুলিপির ন্যায়,বাচ্চা সুলভ মানসীকথা আজও আমার মনে নাড়া দিয়ে যায়,সামান্য হাতে ব্যাথা পাওয়া থেকে শুরু করে, কলম হারিয়ে ফেলা,বান্ধবীদের সাথে ফুসকা খাওয়া,কোন কথাই বাদ পরত না
অসম্বব সুন্দর করে রবিন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারত,আমি নিজে রবিন্দ্র সঙ্গীত একদমই বিরক্তি লাগত,কিন্তু সেই জোড় করে বলত “প্লিজ একটু শোন,If my song don’t touch ur heart,I will never sing the song again
ওর কণ্ঠে সেই রবিন্দ্র সঙ্গীত আমার অনেক ভাল লেগে যায়।
যখন তাঁর সাথে ঘুরতে যেতাম
রিক্সায় বসা অবস্থায় সে বলত চল একটা গেমস খেলি
আমি তো অবাক রিক্সায় গেমস
সে বলত যদি তুমি আমার এই আঙ্গুলটি ধরতে পার তাহলে তুমি জয়ী তা না হলে আমি জয়ী
আমি তো রিক্সায় লজ্জায় শেষ
কি বলে এই A level এ পড়া এই পিচ্চি মেয়ে ! !!
রিক্সায় এই রকম পাগলা করলে মানুষকে কি বলবে ??
কিন্তু আমার সেই আনুযোগকে পাত্তা না দিলে সেই শুরু করে দিত
তাঁর হাঁসিগুলোতে ছিল অদ্ভুত এক শিশুসুলভ স্নিগ্ধতা,
তাঁর সাথে কাটানো অনেক সৃতির অনেক ছবি ছিল শুধু তাঁর মোবাইলেই,কারন আমার কাছে এত দামি ক্যামেরা সিস্টেম মোবাইল ছিল না
এক রজমান মাসে সে গেল ময়মনশিং বাড়িতে,সে খানে ঘটে এক অঘটন
তাঁর বাবা ছিল অনেক ধনী লোক,সরকারের এক উধতন কর্মকর্তা,
কোন এক ভাবে দেখে ফেলে আমার দুজনের তুলা ছবি,এই নিয়ে তাঁর ফ্যামিলিতে অনেক কথা হয়
সেই দিন তাঁর বাবা তাকে চার্চ করে যে তুই যে এই ছেলেকে ভালবাসিস,কিন্তু ছেলে কি সত্যিই তকে ভালবাসে ??????
সেই ছেলে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া স্টুডেন্ট আর তুই হচ্চিস A Level এ পড়া একজন পিচ্চি মেয়ে,যে জাস্ট তোর সাথে ফান করছে,তুই তাঁর সাথে আর কখন মিশলে তোর পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়ে বাসায় রেখে দিব
তাঁর বাবা তাকে এও বলে সে যদি সত্যিই তোকে ভালবাসে তাহলে সে তোকে স্বীকৃতি দিবে, ও তাঁর ফ্যামিলিগত ভাবে তোকে মেনে নিবে তাহলেই আমি তোদের এই সম্পরকের মেনে নিব আর আমি চাই না যে আমার মেয়ে কোন ছেলের পাল্লায় পড়ে তাঁর পড়াশুনা নষ্ট হোক
আর সে যদি তোকে তা না করে থাহলে তোর সাথে ওর চলাফেরা আমি কিছুতেই মেনে নিব না,তোকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসব
এই কথা বলে তাঁর মনে একধরনের সন্ধেহ এর বিজ বপন করে দেয়
সেই থেকে তাঁর মনে একধনের সন্ধেহ কাজ করতে লাগল
ঢাকায় এসে সব খুলে বলল যে " তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালবাসো তাহলে তোমার বাসায় ভাইয়া ভাবি আম্মু সবার সাথে আমাকে তোমার প্রেমিকা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিবে ও আমি মাঝে মাঝে তোমাদের বাসায় গিয়ে তোমাদের সবার সাথে গল্প করব ও রেগুলার যাওয়া আশা করব"
আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি তোমাদের ফ্যামিলির সাথে রিলেশন রাখব
কিন্তু যা ছিল আমার পক্ষে এক অসম্বব কাজ
কারন আমার পরিবার ছিল রক্ষণশীল পরিবার,তারা কখনই অন্তত এইটা চাইবে না যে তাদের ছেলে অন্য এক মেয়ের সাথে প্রেম করে যাচ্ছে ,আর সেই মেয়ে আমাদের বাসায় রেগুলার এসে সবার সাথে মিশবে ।
সবচেয়ে বড় কথা তাকে আমার বাসায় আমার প্রেমিকা হিসাবে কখনই পরিচয় দেয়া অসম্ভব,আর বিয়ে সেটা নিজের পায়ে দাঁড়ানো পরই একমাত্র সম্বব তাঁর আগে কখনই নয়
কারন আমি নিজেই এখনো স্টাব্লিস না,আমার বিয়ে করাও সম্ভব না কারন আমাকে বিবিএ-এমবিএ করে তাঁর পরই নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারব
তাছাড়া তাকে আমি অনেক বুঝিয়ে বললাম যে তোমাকে আমি সত্যিই অনেক ভালবাসি কিন্তু এই কাজটা ছাড়া আমি সব করতে রাজি,
কারনটা সব বুঝিয়ে বলার পরও সে কিছুতেই রাজি হচ্ছে না
তাঁর শুধুই একটাই প্রশ্ন তোমার-আমার-কথা যদি আমার বাবা জানতে পারে,তাহলে তোমাদের ফ্যামিলিতে কেন আমাকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবে না,???
কিন্তু আমি যদি আজ আমার ফ্যামিলিতে ওর কথা বলি তাহলে আমার ফ্যামিলি কখনই রাজি হবে না এমনকি আমাকে তারা সব সাপোর্ট দেয়াও বন্ধ করে দিবে।
আর আমি ফ্যামিলি থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও তারা কোন ফ্যামিলি থেকে বিচ্ছিন্ন ছেলের হাতে তাদের এই মেয়েকেও দিবে না।আমি পড়লাম উভয় সঙ্কটে ।এক দিকে তাঁর জিদ অন্য দিকে আমার ফ্যামিলি :ঃ(
এর মাঝে আমাদের কথা হলেও সেই গুলো ছিল, আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাঁর কাছে বলা,দিন দিন সে আমার উপর চরম ক্ষোভ করতে লাগল,আর আমি হয়ে পড়লাম অথই সাগরে। আমার উপর রাগ করে সে দিন দিন দূরে যেতে লাগল
কখন কখন আমার উপর রাগ করে মোবাইল বন্ধ রাখা,কখনবা কল দিলে শুধু আমার উত্তরের জন্য হা না কিছু বলা,কিন্তু আমি তাকে কিছুতেই বুঝাতে পারলাম না যে আমার ফ্যামিলি কখনই এটা মেনে নিবে না
এই ভাবে দিন চলতে লাগল,একদিন ঠিক রাত ১২.২০ এ ফোন করে বলল আমি হয়ত আর তোমাকে পাচ্চি না,কারন আমার বাবা এমন কোন ছেলের হাতে তাঁর মেয়েকে তুলে দিবে না যে তাঁর মেয়েকে স্বীকৃতি দিতে পারছে না,তুমি যেমন শুধু তোমার ফ্যামিলির দোহাই দিচ্ছ,আর আমার দ্বারাও আমার বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে তোমার সাথে থাকা সম্বব নয়,আমি হয়ত ভেবেছিলাম তুমি যে করেই হোক তোমার ফ্যামিলিতে আমাকে তোমার প্রেমিকা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবা,কিন্তু সত্যিকার অর্থে তুমি পারলে না,শুধু একটা কথাই যেন রেখ আমি তোমাকে সত্যিই অনেক অনেক ভালবাসি,আমার কাছে ভালবাসার সবটুকু তোমাকে দিয়ে দিয়েছি,আর আমি চলে যাচ্ছি রিক্ত হস্তে শুধু তোমার দেয়া সৃতিগুলো নিয়ে।
আজ থেকে তুমি ইচ্ছা করলেও আমাকে পাবা না কারন আমি ফেসবুক আইডি ডিএক্তিভ করে দিয়েছি আর তোমার সাথে কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার সিমটাও ভেঙ্গে ফেলছি,তুমি আমার জীবনে এসেছিলে এক বিস্ময়কর ভাবে আজ আমি নিজেও চলে যাচ্ছি তোমাকে বিস্মিত করে। ভালবাসি সত্যিই অনেকটুকু,যতটুকু আমার কাছে ছিল ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: এটি কি গল্প নাকি বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা? যাই হোক না কেন, শেষটায় এসে মন খারাপ হয়ে গেল।