![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনাদেনা,বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে-
ফেসবুকে একটা নোট লিখেছিলাম একই শিরোনামে Monday, August 27, 2012 at 11:23am এ। নোট টা হচ্ছে -
' ক্যামেরার প্রতি দুর্বলতা আমার ছোটবেলা থেকেই। নিজের ক্যামেরা না থাকলেও কাজিনদের থেকে নিয়ে অনেকবার ব্যবহার করেছি। ছোটবেলায় ইমরান ভাইয়া ও রিনি আপার একই মডেলের ক্যামেরা ছিল- ইয়াছিকার কোনো একটা ফিল্ম সিস্টেম ক্যামেরা। ফিল্ম কিনে ছবি তুলে অনেক অপেক্ষার পরে নেগেটিভ দেখা... তারপর প্রিন্ট করতে দেওয়া... তারপর প্রিন্টআউট কপি হাতে পাওয়া... একটা আলাদা আনন্দ ছিল।
ক্লাস নাইন কিংবা টেন এ থাকতে একটা অতিপ্রাকৃত টাইপের গল্প লিখেছিলাম, প্রকাশ হয়েছিল একটা স্মরনিকায়- বেশ নাম কামিয়েছিলাম। ঐটায়ও ক্যামেরার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি ছিল।
ক্যামেরার খুব অভাব বোধ করেছিলাম যেদিন গনিত অলিম্পিয়াডে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে দেখা হয়েছিল ।
মোবাইল ফোনের যুগের আবির্ভাবের পর হঠাত একদিন পেপারে দেখি- এমন একটা মোবাইল ফোন আসছে, যেটা দিয়ে নাকি ছবি তোলা যাবে !!! দারুন বিস্মিত হয়েছিলাম খবরটা পড়ে।
ডিজিটাল ক্যামেরার হাতে খড়ি হয় আমার কাকুর বিদেশ থেকে আনা একটা ক্যামেরা দিয়ে। সুযোগ পেলেই ওটা নিয়ে অতি উৎসাহের সাথে ছবি তোলায় মগ্ন হতাম।
ঐ ক্যামেরাটার একটা মজার কাহিনী বলি- আমি কুয়াকাটায় গিয়েছিলাম (অনেক বন্ধুদের সাথে নিয়ে) ঐ ক্যামেরাটি নিয়ে। হোটেলটা ছিল বিচের সামনেই। হোটেল থেকে বেশ দূরে একটা বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ধান পেয়ে ছুটে গেলাম। একটা রিউমর শুনেছিলাম- ওখানে বুদ্ধের ছবি তুলতে গেলে নাকি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যায়।
আমার বন্ধু পলাশ মন্দিরের মধ্যে যেয়ে যেই বুদ্ধের ছবি তুলতে গেল- সত্যিই ঐ ক্যামেরাটা ফ্ল্যাশ মারতে পারলোনা- ব্যাটারিতে চার্জ নেই ! অবশ্য ঐ ব্যাটারিতে এমনিতেও প্রবলেম ছিল। দুইটা সানলাইট পেন্সিল ব্যাটারি কিনলাম, কাজ হলোনা...ওতে হবার কথাও ছিলনা।
কিন্তু ঘটনা হলোকি- তিনজনের আরেক গ্রুপ টুরিস্ট যেই ছবি তুলতে গেলো, ওদের ক্যামেরা আসলেই নষ্ট হয়ে গেলো! কিছুক্ষন পর পলাশ ওদের সাথে কথা বলে আবিষ্কার করলো দুইটা ক্যামেরার একই ব্যাটারি! তারপর ওদের ক্যামেরার ব্যাটারি ধার নিয়ে ছবি তোলা হল।
কুয়াকাটা ভ্রমনে ক্যামেরার অভাববোধ পলাশকে পরে একটা দারুন ক্যামেরা কিনতে সাহায্য করেছে যেটা ব্যবহার করেছি কক্সবাজার ভ্রমনে। অবশ্য ওটা ব্যবহারে আমি বাধ্য হয়েছিলাম কেননা সীতাকুন্ডু পাহাড় থেকে নামার সময় এক্সিড্যান্টালি আমার হাত থেকে পরে নষ্ট হয়ে যায় নেভী কাকুর বিদেশ থেকে আনা আরো আধুনিক ক্যামেরাটি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম ঘটনাটিতে- ক্যামেরা নষ্টের বিষয়টি অনেকাংশে আমার বাকী ভ্রমনের আনন্দটুকু কেড়ে নেয়।
অনেক আবদার করে আম্মুর কাছথেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে একটা ক্যামেরা ফোন কিনেছিলাম, যেটাদিয়ে অনেক ছবি তোলার চেষ্টা করি- কিন্তু এখন ওটা দিয়ে তোলা ছবি খুব একটা স্পষ্ট হয়না বলে আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছি।
আর হ্যাঁ- আমি একটা ক্যামেরা কিনেছিলাম, আব্বুকে বলেই কিনিয়েছিলাম...কিন্তু এমন সময় ঐটা কিনেছি যখন ফিল্ম যুগের শেষ - হ্যাঁ ঐটা ফিল্ম ক্যামেরা ছিল।'
কিন্তু আনন্দের বিষয় এই যে আপাতত ক্যামেরার দুঃখ আমার নেই। অনেক সুন্দর একটা ক্যামেরা জোগার করতে পেরেছি। আমার আম্মুর অর্থায়নে এবং এক বন্ধুর সহযোগিতায় আমেরিকা থেকে আনা এই ক্যামেরাটি অনেক সুন্দর, অনেক ভালো। আমি এইটা নিয়ে অনেক খুশি !
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২
শিহাবুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ঘুরে এলাম আপনার ওখান থেকে, ভাল লাগলো ! আবারো যাব, দেখবো আপনার নতুন নতুন ছবি।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
শিহাবুর রহমান বলেছেন: চমৎকার ছবি তুলেন আপনি । ভাললাগছে
আমাকেও ছবি তুলা শিখতে হবে...
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
পথের পাঁচ . .. বলেছেন: আমারও একটা প্রিয় জিনিস
তবে এখনো খুব ভালো একটা নিতে পারি নি
http://muminphotography.wordpress.com/