নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যাচাল মুক্ত ব্লগ

!!!!!

শোয়াইব আহেমদ

!!!

শোয়াইব আহেমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোটা প্রথা বাতিলের দাবি

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিলের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোটা প্রথা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় রিট মামলা দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।



বৃহস্পতিবার ডাকযোগে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, সংস্থাপন সচিব ও পিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।



লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের কোথাও সরকারি চাকুরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের সুযোগ নেই। কোটা প্রথার ফলে দেশের অত্যন্ত মেধাবী শিলমঘার্থী হওয়া সত্ত্বেও সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবীরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। ফলে দেশ সঠিকভাবে চ্লছে না।



লিগ্যাল নোটিশে আরো বলা হয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করা সত্ত্বেও অনেকের চাকরি হয়না কেবল কোটা প্রথার কারণে। এর ফলে দেশ আস্তে আস্তে মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে।



সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের কথা তিনি লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেন।



সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।’ ২৯(২) অনচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।’



আইনজীবী তার নোটিশে উল্লেখ করেন, নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে আদালতে রিট দায়ের করা হবে।



উৎসঃ নিউজইভেন্ট২৪

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

মুসাফির... বলেছেন: সংবিধানের ... এই কথাটা বলতে এত দেরী হলো?
যাই হোক নএবার যাবে কোথায়?

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০০

একিউমেন০৮ বলেছেন: একমত

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৬

রাজনীতির ভাষা বলেছেন: জল কি গড়াবে?

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় একটা করে ফ্লাট দিক, মাস মাস ৫০০০ টাকা দিক, আমার আপত্তি নাই, কিন্তু তাই বলে দেশের মেধাবিদের মেধার অবমূল্যায়ন করে কেন তাদের এই সম্মান?????????????????????????????????????????

সরকার যা খুশি করুক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন ছাত্রদের মেধার উপরে কেন এই হস্তক্ষেপ?
তাদের যদি জজ্ঞতা থাকে তবে তারা কম্পিটিশন করুক না কেন আমাদের সাথে???????????????????????????????
এমনিতেও ভার্সিটি তে যখন ভর্তি হই তখনও কিন্তু এই কোটা এর জন্য তাদের কিছু সিট ছেড়ে দিছিলাম।
তাদের তো একবার করে চান্স দিছিলাম, তবে এখন আবার কেন???????????????????
সো, আমার কথা, কোটা বন্ধ করতেই হবে
এই লিঙ্ক দেখেন।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৮

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: এই কাজটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল।যাই হোক শেষ পর্যন্ত বলা তো হল ।এখন একটা রিট হলেই হয়। সকল ছাত্র ছাত্রী রা তার সাথে আছি কোটা কে বাতিল করার জন্য।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: কুমার সাহা নামে একজন অনলাইনে লিখেছেন, ‘অতি দুঃখ ভারাক্রান্ত হূদয়ে লিখছি। আমি সুনীতি কুমার সাহা। আমি ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত (সাধারণ ও কারিগরি) ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার রেজি: নম্বর ০২২৫২৭। আমার প্রথম পছন্দ ছিল কৃষি ক্যাডার। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে আমাকে পিএসসি কর্তৃক কোনো পদে সুপারিশ করা হয়নি (উল্লেখ্য, কোটা প্রার্থী না থাকায় পিএসসি ৭০টি পদ খালি রাখে)। গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কৃষি ক্যাডারে ২২০টি পদের বিপরীতে ১৩৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পিএসসি কর্তৃক ১৫০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। যে ১৪ জন বাদ পড়েছেন, হয়তো তাঁদের কেউ কেউ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি বা পুলিশ প্রত্যয়ন পাননি বা ৩১তম বিসিএসের আগে অন্য কোনো ভালো পদে কর্মরত আছেন। আমার দুঃখ, এই জায়গায় ৮৪ পদ খালি থাকা সত্ত্বেও আমার চাকরি পাইনি। আমার সমস্ত পরিশ্রমের ফলাফল কোটা সংরক্ষণজনিত নিয়মের কারণে শূন্য। যাঁরা এসব নিয়ম তৈরি করেন, তাঁরা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আগামী ১০-২০ বছর পর আমাদের দেশের প্রসাশনের কী অবস্থা হবে?’

পার্থ নামে আরেকজন লিখেছেন: ‘আমি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গতকাল প্রকাশিত বিসিএস ৩৪তম প্রিলিমিনারির ফল বের হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ৭৫+ পেয়েও সাধারণ পরীক্ষার্থী চান্স পায়নি অথচ কোটার কারণে ৫৯+ পেয়েও অনেকে চান্স পেয়েছে। মেধার বিচারে ৫৯=৭৫ হতে পারে না। ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়ে চরম হতাশ ও বিপথগামী হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় মেধাশূন্য হয়ে যেতে পারে।
সদ্য প্রকাশিত বিসিএস রেজাল্ট, ৩২তম স্পেশাল বিসিএস এবং সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে (সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, আইসিবি ইত্যাদি) শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের আবেদন করার যোগ্যতা কি সাধারণ প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক নয়? কোটা কি শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির জন্য দায়ী নয়?’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.