![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেক সরকার-ই নিজেদের প্রয়োজনে সংবিধানকে বার বার ধর্ষণ করছে।
আমরা সংবিধান বুঝি না, নির্বাচন বুঝি না, ক্ষমতা বুঝি না। যেভাবে পারেন ক্ষমতায় আসেন কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের ১৫০ কোটি টাকা খরচ করবেন না। আমাদের অর্থনীতির উপর হামলা করবেন না।
ঘটনা ১:
তখন বাংলাদেশে নায়িকা হিসেবে 'পপি' খুব জনপ্রিয়। বরিশাল শহরে এক স্মার্ট পাগল সারাদিন শহরে হেঁটে বেড়াতো আর জোরে জোরে চিল্লাত 'পপি পপি পপি, বিশ্ব নায়িকা পপি'। পপি কখনো জানতে পারছে কিনা জানি না। তবে রাস্তার পাশের অনেকেই ঐ পাগলকে দেখে বলে উঠত 'পপি পপি পপি, বিশ্ব নায়িকা পপি'। পপি শুনুক আর না-ই শুনুক রাস্তার পাশের সবাই এই ডায়লগ কে একটা কমেডি আইটেম হিসেবে নিত।
ঘটনা ২:
১ম ব্যাক্তি: জানো? আল্লাহ কি পারে? আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোরে এখান থেকে তুইলা নিতে পারে
২য় ব্যাক্তি: ইস্ !! আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোরে ধইরা একটা আছাড় মারতে পারে
৩য় ব্যাক্তি: আরে আল্লাহ ইচ্ছা করলে এই পৃথিবীটা ধইরা আছাড় মারতে পারে
একসাথে তিনজন: আল্লাহ ইচ্ছা করলে সবকিছু করতে পারে।
বিঃদ্রঃ এটা কোন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের আলোচনা না। তিনজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক লোকের আলোচনা
কাজের কথায় আসি ১৩-০১-২০১৩ তারিখ 'Saima wazed Putul - সায়মা ওয়াজেদ পুতুল' https://www.facebook.com/Saima.Wazed.Putul.2013 নামক একটা ফেন পেইজে দেখলাম 'রাশিয়া, চীন , ভারত এবং আরও অনেক দেশ এই সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে!! এতে কি বোঝা যাচ্ছে??'
প্রশ্ন হল আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের ভূমিকা এবং আ-লীগের সাথে ভারতের সম্পর্কের ব্যাপারে আমরা সবাই আন্দাজ করতে পারি। কেউ কেউ মনে করে আ-লীগের এই খামখেয়ালী বেহায়াপণা ও জাতিকে কলঙ্কের তিলক লাগানোর প্রধান অনুঘটক হিসেবে ভারত কাজ করে। বিনিময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক খাত পোশাকখাতের ৩০% বাজার ইতিমধ্যে দখল করছে।
রাশিয়া: রাশিয়ার নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃন্য দেশগুলোর একটি। তাছাড়া রাশিয়ার কার্যত মিত্র ভারত ছাড়া কেউ আছে বলে হয় না।
চায়না: চায়না বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চষমখোরদের একটি, তারা তাদের বাজার ধরে রাখার জন্য যেকোন ভূমিকা পালন করতে পারে। তাছাড়া যাদের নিজেদের গনতন্ত্র নাই তারা তো কারো গনতন্ত্র ধ্বংস হলে খুশী হবেই।
কাজেই উপসংহারে বলা যায় 'আমরা আমরা-ই তো'। অনেকটা ছোট বেলার রান্না-বাটি খেলার মত; বালু দিয়ে রান্নার অভিনয় করে মুখের কাছে খাওয়ার অভিনয় করে খুব স্বাদ হয়েছে এমন ভাব করা।
অন্যদিকে হাসিনার মুখে শোনা যায়, আমি কারো কাছে (দেশি/বিদেশী) মাথা নোয়াই না (আল্লাহর কাছেও না?)।
নির্বাচন নামক রান্না-বাটি খেলার আগে শুনছি 'এই নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা করো নাই' (আল্লাহর ও নাই?)।
কথা হল ক্ষমতায় কে এল কে গেল সেটা আমাদের কাছে মুখ্য কোন বিষয় না। রাজনীতি মাঠে সব সময়-ই হাসানাত, বাবর, মামুন, সেলিম, শামিম, আব্বাস, মখা, আবুল, পীর-মুর্শীদ, হাজারী এরকম আলোচিত-সমালোচিত নাম থাকবে। আবার সুনাম কুড়াবে এমন লোকও থাকবে থাকবে। কিন্তু তারপরও আমরা এগিয়ে যাব। কথা হল দেশ চালানোর জন্য একটা সরকার থাকলেই হল।
কিন্তু তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমাদের পথ চলা বন্ধ করে দিবে আর নিজেরা নিজেরা বলবে, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, উন্নয়নের সরকার, জননেতা, ইত্যাদি। দেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই আমরা দেখছে প্রত্যেক সরকার-ই নিজেদের প্রয়োজনে সংবিধানকে বার বার ধর্ষণ করছে।
আমরা সংবিধান বুঝি না, নির্বাচন বুঝি না, ক্ষমতা বুঝি না। যেভাবে পারেন ক্ষমতায় আসেন কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের ১৫০ কোটি টাকা খরচ করবেন না। আমদের অর্থনীতির উপর হামলা করবেন না
উপসংহারে বলা যায় 'আমরা আমরা-ই তো'
Click This Link
উপসংহারে বলা যায় 'আমরা আমরা-ই তো'
Click This Link
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
ইউরো-বাংলা বলেছেন: খান আতা বেঁচে থাকলে আমাদের নেতাদের নিয়ে ''আবার তোরা মানুষ হ - ২'' তৈরী করতেন।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
মারজ সোহাগ বলেছেন: একটা Convertor দরকার ".........." to মানুষ/বাঙালী
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: রাশিয়া থেকে নাকি বাংলাদেশকে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা ঋন দেয়া হয়েছে । অতিমাত্রা সুদে কেন এই ঋণচুক্তি ? অস্ত্র কেনার জন্য ! বাংলাদেশের সমরাস্ত্র সরবরাহের প্রধান অংশীদার চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিকে টপকে চড়া সুদে কেন রাশিয়ার কাছেই যেতে হবে আমাদেরকে ?
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শান্তি প্রস্তাব জাতিসংঘ যখন গ্রহণ করছে তখন ঋনের বোঝা কাঁধে নিয়ে এতো অস্ত্র কেনার মানে কি ? কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন প্রধানমন্ত্রী ? যেখানে ছয়বার তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে সে মূহুর্তে ঋণ করে অস্ত্র ক্রয় কিসের স্বার্থে ?
আর রাশিয়ার সাথে এইসব চুক্তির প্রায় সবটাই বড় গোপন ! চুক্তিকালে কোন অ্যাডভাইজার, স্পেশালিস্ট, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেউ কি ছিলেন ? একজন শুধু সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. আবু হেনা মোহাম্মদ শফিউল হক ছাড়া যাদের দেখা গেছে তারা হলেনঃ
১। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা
২। শেখ রেহানার মেয়ে
৩। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়
৪। একজন তরুনী (অপরিচিত)
খুব ভাল কথা । দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । মানুষ মরছে মরুক । রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট লিখিত শুভেচ্ছাবার্তা তো পাঠাচ্ছেন, তাতেই চলবে । এর আগেও শেখ হাসিনা সরকার রাশিয়া থেকে মিগ-২৯ জঙ্গি বিমান কিনেছিল। সেগুলো আকাশে ওড়ার স্বপ্নই শুধু দেখেছে, উড়তে আর পারেনি । মাটিতে মিশে গেছে । মরেছেন অনেক অভাগা পাইলট- দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্নে যারা বিভোর ছিলেন । যাদের মৃত্যুর কোন বিচার হয়নি, হবেও না । আমাদের অভাগী ‘রেইপড’ সংবিধানের উদ্দেশ্য মহান কার্জসাধন । সংবিধান এইসব মৃত্যুর বিচার নিয়ে মাথা ঘামায় না ।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩০
মারজ সোহাগ বলেছেন: ইসতিয়াক অয়ন @ এটা আমাদের সংবিধান না, এটা হল রাজনৈতিক দলগুলার ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
আহলান বলেছেন: ১৫৪ টা সিটে ইলেকশনই করা হলো না, সঙ বিধান অনুযায়ী এটা কি ঠিক? এই সরকার যে ভারতের ক্রিড়ানক সরকারে পরিণত হয়েছে এটা কারোর বুঝতে বাকি নেই।