![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Full time Somalochona Party
একটি গল্প
অনেক অনেক দিন আগে, চীন দেশে লিউ নামে এক মেয়ে বিয়ে করে বাস করতে লাগল তার স্বামী এবং শ্বাশুড়ীর সাথে।
খুব অল্পসময়েই লিউ দেখল যে তার শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করাটা প্রায় অসম্ভব। ক্রমশ তাদের মধ্যে মতনক্য আর ঝগড়া শুরু হয়। শাশুরি প্রায়শ লিউকে কটাক্ষ করতো বিভিন্ন কাজে।
পরিস্থিতি সবচাইতে খারাপ করল যে দিকটা সেটা হল, চাইনিজ পরম্পরা অনুয়ায়ী লিউ তার শ্বাশুড়ীকে সবসময়েই মাথা নুইয়ে সন্মান জানাতে হতো এবং শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মেনে নিতে হতো।
অনেক দিন এবং সপ্তাহ পার হয়ে গেল কিন্তু তাদের বিবাদ না কমে দিন দিন বাড়তেই থাকল।
এ সমস্ত ঘটনা ক্রমেই লিউর স্বামীকে হতাশাগ্রস্থ করে তুলল।
লিউ কোনভাবেই তার শ্বাশুড়ীর এই খারাপ আচরন বরদাস্ত করতে পারছিলনা, এবং সে সিদ্ধান্ত নিল যে কিছু একটা করতেই হবে।
একদিন লিউ তার বাবার এক বন্ধু মি: হং এর কাছে গেল যার একটা ফার্মেসি রয়েছে। লিউ তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললো এবং তার কাছে কিছু বিষ চাইল যা দিয়ে তার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলে এ সমস্ত সমস্যার সমাধান করা যায়।
মি: হং কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন," লিউ, আমি তোমাকে সাহায্য করবো তোমার সমস্যার সমাধান করবার জন্য, কিন্তু আমি তোমাকে যা যা বলবো তাই তোমাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।"
লিউ খুশিমনে তার কথায় রাজী হয়ে গেলো।
মি: হং পেছনের রুমে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন একটা ঔষধের প্যাকেট নিয়ে।
তিনি লিউকে বললেন," তোমার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলবার জন্য এমন কোন বিষ দেয়া উচিৎ হবেনা যা তাৎনিক ভাবে তাকে মেরে ফেলবে। এতে লোকের সন্দেহ তোমার উপর পরবে।
তাই আমি তোমাকে এমন একটা ঔষধ দিচ্ছি যা তোমার শ্বাশুড়ীর শরীরে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া করবে। প্রতিদিন তার খাবারের সাথে এটা অল্প করে মিশিয়ে দিবে। এটার কার্যকারীতা শুরু হতে কয়েকমাস লেগে যেতে পারে, আর তাই তুমি তোমার শ্বাশুড়ীর সাথে এ কদিন ভাল ব্যবহার করতে থাক যাতে লোকের সন্দেহ কোনক্রমেই তোমার উপর না পরে।
কখনই তার সাথে তর্ক করবেনা, তার প্রতিটি ইচ্ছা পুরণ করবে এবং তার সাথে রানীর মতো আচরণ করবে।"
লিউ খুবই খুশী হল।সে মি: হংকে ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এল তার শ্বাশুরীকে হত্যা করবার কাজ শুরু করবার জন্য।
সপ্তাহ পার হয়ে মাস পার হয়ে গেল, লিউ তার ঔষধটা শ্বাশুড়ীকে নিয়ম করে খাওয়াতে লাগল।
সে সবার সন্দেহের উর্দ্ধে থাকবার জন্য মি: হং এর উপদেশও অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে লাগলো। সে তার বাজে রাগকে প্রশমিত করলো, তার শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মাথা পেতে পালন করতো এবং তার সাথে আচরণ করত তার নিজের মায়ের মতই।
ছয়মাস পর পুরো ঘরের দৃশ্যপট পাল্টে গেল।
লিউ তার রাগকে এতটাই দমন করা শিখে গেল যে, সে আর তেমন করে উত্তেজিতই হতে পারত না।
তার সাথে তার শ্বাশুড়ীর এই ছয়মাসে কোন তর্কই বাধল না, আর এখন লিলি তার শ্বাশুড়ীর সাথে অনেক বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল।
লিউর প্রতি তার শ্বাশুড়ীর আচরণেরও পরিবর্তন হল, এবং তিনি লিউকে তার মেয়ের মতই ভালবাসতে শুরু করলেন।
তিনি তার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদেরকে বলতে লাগলেন যে, পৃথিবীতে যত বৌমা আছে তার মধ্যে লিউ হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট।
লিউ এবং তার শ্বাশুড়ী, মেয়ে এবং মা এর মতই বাস করতে লাগল।
সবকিছু দেখে লিউর হাসবেন্ডও খুব খুশি হয়ে উঠল।
একদিন লিউ আবারও মি: হং এর কাছে সাহায্যের জন্য আসল। সে মি: হংকে বলল, " প্রিয় মি: হং, আপনার বাকি ঔষধ আপনি ফিরিয়ে নিন এবং যতটুকু ক্ষতি আমার শ্বাশুড়ীর হয়েছে তা কাটাবার কোন ঔষধ দিন। তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং এখন তাকে আমি আমার মায়ের মতই ভালবাসি।"
মি: হং হেসে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, " লিউ, ভয় পাবার কোন কারন নেই, আমি তোমাকে কোন বিষ দেইনি। যেটা দিয়েছিলাম সেটা ছিল একপ্রকার ভিটামিন। যা তোমার শ্বাশুড়ীর স্বাস্থ্য ভাল হতে সাহায্য করেছে।
Click This Link
একমাত্র বিষ ছিল তোমার মনে এবং তার প্রতি তোমার আচরণে, যেটা তুমি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলেছ তাকে ভালবেসে।"
মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যাবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যাবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যাবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়"
Click This Link
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
তোমোদাচি বলেছেন: চমৎকার!
এই কথাটা লিখতে লগ ইন করলাম!
তবে এত সুন্দর গল্পের শিরোনাম এটা না দিলেও পারতেন; সব কিছুতে ওই দুই মহিলা কে স্মরণ করতে ভাল লাগে না
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
নিজাম বলেছেন: খুব ভাল লাগল।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
কৃষ্ণবিবর বলেছেন: বিষ এর চেয়ে বেশী দরকার মি. হং কে :-)
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
মারজ সোহাগ বলেছেন: কৃষ্ণবিবর ** দু''নেত্রি মি.হং এর কথা মানবেন বলে মনে না
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
মারজ সোহাগ বলেছেন: তোমোদাচি ** ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মথামত দেওয়ার জন্য
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
মারজ সোহাগ বলেছেন: পাঠক১৯৭১** পুরোটাই হাউকাউ
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
মারজ সোহাগ বলেছেন: নিজ+আম ** অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
টেকনিসিয়ান বলেছেন: ধুত্তেরি!! আমি মনে করেছিলাম আমাদেরই দু-নেত্রী..................................
১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
মারজ সোহাগ বলেছেন: টেকনিসিয়ান ** আমরা কখনোই কারো খারাপ কিছু চাইতে পারি না
১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: পাঠক১৯৭১ কে কোন পোস্টে দেখলাম এক ভাই 'দালাল' বলে মধুর সম্ভাষন করেছেন । এর কাছে সবকিছুকেই 'হাউকাউ' ক্যান লাগে কে জানে !! ব্যাটা ফাজিল
গল্পটা চমৎকার !
১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
মারজ সোহাগ বলেছেন: ইসতিয়াক অয়ন*** পাঠক১৯৭১ কে মি.হং এর এর বিষ খাওয়াইলে কেমন হয়?
১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
মারজ সোহাগ বলেছেন: ধন্যবাদ *** মিঃ ইসতিয়াক অয়ন
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২১
ফিলিংস বলেছেন: আগে কোথাই যেন পরেছিলাম..তবে ভাল কথা বার বার শোনা উচৎ।
১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩২
খেয়া ঘাট বলেছেন: তোমোদাচি বলেছেন: চমৎকার!
এই কথাটা লিখতে লগ ইন করলাম!
তবে এত সুন্দর গল্পের শিরোনাম এটা না দিলেও পারতেন; সব কিছুতে ওই দুই মহিলা কে স্মরণ করতে ভাল লাগে না
১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
মারজ সোহাগ বলেছেন: ফিলিংস @ আপনি ঠিক বলেছেন
১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
মারজ সোহাগ বলেছেন: খেয়া ঘাট @ ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ