![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক
২০৩৫ সাল। মন্ত্রী লিয়াকত সাহবে ও তার পিএস বদিউল্লাহর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে।
--- স্যার,এবার তো স্বাস্থ্য খাতে ১৫০ কোটি টাকা বাজেট পাস হল, কত পার্সেন্ট রাখবেন??। বদি জিজ্ঞাস করল।
--- না, এবার বেশী রাখবো না। মানুষের কথাও তো চিন্তা করতে হবে।আর তাছাড়া আমরা তো নির্বাচিত কেউ না । অন্তত কিছু কাজ করে হলেওতো বুঝাতে হবে আমরা জনদরদি । ঐ শুধু অস্টেলিয়ার বাড়িটা কাজ করার জন্য যা লাগে আর কি?
---স্যার, আশুলিয়ার বাড়িটার কি হবে??
---আরে আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। কয়টার কথা মনে রাখবো বল, বয়স তো আর কম হয়নি। যদিও তোর ভাবি বলে, এখনও নাকি আমার পিছনে অনেক মেয়ে লাইন ধরে আছে।
----ভাবি তো সত্যিই বলছে,। স্যার আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আছে। যদি অভয় দেন তবে বলতে পারি।
---বল।
--- স্যার, আগামী মাসে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। শুধু পরীক্ষার আগের রাতে আপনি একটু সাহস দিলেই হবে।
--- আরে, বদি তুই তো দেখি পাক্কা আমলা।
--- স্যার যে কি বলেন। তবে আমি কোচিং সেন্টার গুলোর সাথে কথা বলে সব ঠিক করে রাখতেছি।
লিয়াকত সাহেব হা সুচক মাথা নাড়েন।
-- স্যার আমার ব্যাপারটা একটু ভাববেন। গত বছর বাড়িটা ধরলাম এখনও দশতলা শেষ করতে পারিনি। বদি বলল।
---সেটা নিয়ে এখন না ভাবলেও চলবে, আগে কাজটা ঠিক ভাবে কর।
বদি সাহেব, লিয়াকত সাহেবকে সালাম করে রুম হতে বেরিয়ে যায়।
২
মন্ত্রী সাহেব হসপিটালের বেডে শুয়ে আছেন। তার পাশে দাড়িয়ে আছে বদি সাহেব।
-- বদি,,, মন্ত্রী ডাকলেন
-- জ্বী স্যার বলুন।
---আমি এক চোখে দেখতে পাচ্ছি না কেন?
--- স্যার, বিকালে অফিস হতে বাসায় যাওয়ার পথে একসিডেন্টে হন। আপনার বাঁ-চোখে প্রচন্ড আঘাত পান। রাত ২টা বাজে অপরেশন সাকসেসফুল হয় ।
--- এত ঘন্টা পযন্ত অপারশন থিয়েটারে ছিলাম।?
---না। আসলে ডাক্তার সাহেব ১২টার আগে কোন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করেন না। তাই এতক্ষন অপেক্ষা।
--- কেন? মন্ত্রী তো রেগে মেগে অাগুন হয়ে বললেন আমি এতক্ষন পড়ে ছিলাম, অযত্নে। আমি এদেশের মন্ত্রী তাকে কি তুমি এই কথা বলো নি?
--- বলছিলাম। কিন্তু মন্ত্রী শুনে সেই কি ভক্তি। আর বললো " চিন্তা করবেন না। ১২টার পর অবশ্যই আমি মন্ত্রীর সঠিক চিকিৎসার উপায় পেয়ে যাবো।একটু ধর্য্য ধরুন "
-- ও তাই বলো। নিশ্চয় পড়ালেখা করেছিল কিভাবে সঠিক উপায় অপারশন করা যায়। কিছুটা আশস্ত মনে বললেন মন্ত্রী ।
--জ্বী অনেক পড়ালেখা করেছে, আমি যখনই উনার রুমে গিয়েছি, দেখি উনি ফেসবুকে চ্যাট করতেছে। বুঝেনি তো এখন আর বই কলমের যুগ না সবই ডিজিটাল। বদি সাহেব হাস্যোজ্জল মুখে বললেন।
---আচ্ছা ডাক্তারের অভিজ্ঞতা কেমন? মন্ত্রী সাহেব জুস খেতে খেতে বললেন।
---স্যার, আমি কি আপনাকে কম অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে আনতে পারি বলেন। এই দেখেন ডাক্তারের ভিজিটিং কার্ডঃ
ডাঃমোঃমতিউর রহমান
এমবিবি্এস(ডিএমসি)
২০ বছরের দীর্ঘ ছাত্রত্বের অভিজ্ঞতা।
স্যার দেখছেন! যে ছেলে বিশ বছর ধরে ডাক্তারি বিষয়ে পড়ালেখা করেছে। সে কি খারাপ ডাক্তার হতে পারে।
--তুই আসলে একটা পাক্কা আমলা। এই ডাক্তার তুই কিভাবে খুজে বের করলি। তোর বেতন ৭.৫% বাড়িয়ে দিলাম। মন্ত্রী সাহেব বললেন।
৩
তিনদিন পর ডাক্তার এলেন। চোখের পর্দা খুলতে। বদি সাহেব, মন্ত্রীর মাথার পাশে বসে ছিলেন। ডাক্তার মন্ত্রী সাহেবের চোখের ওপরের ব্যান্ডেস খুলে মন্ত্রী সাহেবকে আস্তে আস্তে বাঁ চোখ খুলতে বললেন। মন্ত্রী সাহেবও আস্তে আস্তে চোখ খুললেন। কিন্তু তিনি বাঁ চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। তখন ডাক্তার সাহেব ছোট একটা টর্চ লাইট দিয়ে মন্ত্রীর বাঁ চোখটি দেখলেন। অনেক খন দেখার পর ডাক্তার বললেন " স্যরি স্যার, আপনি আর কখনও বাঁ চোখ দিয়ে দেখতে পারবেন না। "
মন্ত্রী আঁতকে উঠে বললেন " কি বলেন ডাক্তার সাহেব "
-- আসলে মন্ত্রী সাহেব ভুল আপনি ভুল সময়ে একসিডেন্ট করেছেন। আর একটা কথা ভবিষ্যতে একসিডেন্ট করলে আবশ্যই রাত বারোটার কাছাকাছি সময়ে করবেন। তাহলে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব। বুজেনই তো সব কিছু ফাঁস হয় রাত ১২ টার পর।
আসি। গুড লাক।
৪
বদি সাহেব ও মন্ত্রী বিষন্ন মনে হসপিটালের বিল জমা দেবার ডেক্সের দিকে যাচ্ছেন। মন্ত্রী সাহেব কল্পনাও করতে পারতেছেন না যে তিনি আর বাঁ চোখ দিয়ে দেখবেন না। এটা ভাবতে উনি যেন বিস্মিত।উনার বিশ্বাসই হচ্ছে না। বারবার ডান চোখের উপর হাত রেখে বাঁ চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করতেছেন কিন্তু না সত্যিই তিনি দেখতেছেন না।
বদি সাহেব যতটা না মন্ত্রীর চোখের জন্য বিষন্ন তার চেয়ে বেশী চিন্তি বেতন নিয়ে। মন্ত্রী যখনই জানতে পারলো তিনি আর বাঁ চোখে দেখবেন না তখনই বদি সাহেবের বর্ধিত বেতন বাতিল করে উল্টো ৭.৫ % কমিয়ে দিয়েছেন। কত আশা করছিল বর্ধিত বেতন দিয়ে নতুন একটা ৩২ ইঞ্চির এলইডি টিভি কিনবে। সব আশায় ধুলো বালি।
ডেক্সের কর্মচারী একটি বিলের কাগজ মন্ত্রী সাহেবের হাতে দিলেন। মন্ত্রী বিল দেখে আবার্ও বিস্মিত। তিনি প্রথমে ভাবলে হয়তো এক চোখে না দেখার জন্য এমনটা দেখাচ্ছে। কিন্তু বদি সাহেব মন্ত্রীর ভুল ভাঙ্গিয়ে দিলেন। ৫ দিনে হসপিটালের যাবতীয় খরচ বাবদ ৩ লক্ষ টা। আর আশ্চয্যের বিষয় ডাক্তারের ভিজিট আর অপারশনেরর খরচ অনেক বেশী। মন্ত্রী বিস্মিত হয়ে কর্মচারী কে জিঙ্ঘস করলেন কেন এত বেশী রাখা হচ্ছে। কমর্চারী শান্ত ভাবে বললেন " এসএসসি, এইচএসসি এবং মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁস করতে নাকি ডাক্তারদের অনেক টাকা খরচ হয়। তাই ডাক্তারদেরই নির্দেশেই বেশী রাখা হচ্ছে রোগীদের কাছ হতে। "
কিছুটা স্থির হয়ে বিলের কাগজের নিচের দিকে ডিসকাউন্ট অপশান দেখি বললেন " তবে আপনি যেহেতু মন্ত্রী তাই ডাক্তার নিজে আমাকে ফোন করে আপনাকে ৭.৫% ডিসকাউন্ট দেবার কথা বলেন। বুঝেনি তো আপনাদের কারণেই তো তিনি আজ এই পর্যায়ে
মন্ত্রী সাহেব আর কিছুই বললেন না। উনি বিল জমা দিয়ে আস্তে আস্তে সিড়ি ভেঙ্গে নিচে নামতেছে, আজ মন্ত্রী হসপিটালের লিফটও ব্যবহার করেননি। আর মনে মনে ভাবতেছে এতগুলো টাকা কোন খাত থেকে উঠাতে হবে??
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন:
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অর্বাচিনের হাতে ক্ষমতা গেলে যা হয়!
আমজনতা অক্ষম নিস্ক্রিয় অর্বাচিন হলে যা হয়
বিরোধীদল অর্বাচিন হলে যা হয়!
মিডিয়া অর্বাচিন দলান্ধ হলে যা হয়!
চুচীল সমাজ চাটুকার অর্বাচীন হলে যা হয়!
ব্লা ব্লা ব্লা.....
গল্পে মস্ত +
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগ,,,, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: জট্টিল হইছে।
ফেইসবুকে বর্তমানে সবচেয়ে চালু কৌতুক।

ফেইসবুকে বর্তমানে সবচেয়ে চালু কৌতুক।
নার্সঃহায় হায় ডাক্তার ,এইটা কি করলেন ?আপনে কি ২০১৫ ব্যাচ?
ডাক্তারঃ কেনো? কি হইছে?
নার্সঃ আপনে ডেলিভারির সময় বাচ্চার নাড়ি না কেটে,নুনু কেটে ফেলেছেন।
নার্সঃহায় হায় ডাক্তার ,এইটা কি করলেন ?আপনে কি ২০১৫ ব্যাচ?
ডাক্তারঃ কেনো? কি হইছে?
নার্সঃ আপনে ডেলিভারির সময় বাচ্চার নাড়ি না কেটে,নুনু কেটে ফেলেছেন।