নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাম বিকৃতির খেলা!! বিকৃতির নামের ফ্যাশন!! আসুন সচেতন হই।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

আজকাল বিভিন্ন ইসলামিক নাম আমাদের হাসি তামাশার খোরাক হয়ে উঠেছে। একজন মুসলিম হয়েও
অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে এই গোনাহর কাজ করে চলেছি। আসুন দেখি এর কিছু উদাহরণ -
.
১) মোখলেস: টিভি-রেডিওতে ‘প্রাণ ম্যাঙ্গো ক্যান্ডির কল্যাণে’, এই নামটিকে ফান হিসেবেই দেখা হয়। এমনকি যাদের নাম মোখলেস, তারাও এই নাম নিয়ে
বেশ বিপাকে পড়েন আমরা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছি, এই নামটির অর্থ কী ? মোখলেস নামটি
আরবি ‘এখলাস’ শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ,একনিষ্ঠভাবে এবাদত করা। আল্লাহর নিকট ইখলাস ছাড়া কোনো আমলই গ্রহণযোগ্য নয়। আর সেই
নামকেই আমরা ফান বানিয়েছি?
.
২) মফিজ: এটি একটি আরবি নাম, যার অর্থ সফলকাম হওয়া। সাধারণত পরকালের সফলতা বুঝাতেই শব্দটি
ব্যবহৃত হয়। আমরা কে না চাই পরকালে সফল হতে ? তবে কেন ‘ম্যাজিক টুথ পাওডারের কল্যাণে’ এই নাম নিয়ে ঠাট্টা করি। পরকালের সফলতা নিয়ে যদি
ঠাট্টা করি, তবে কি আসলেই আমরা পরকালে সফল হতে পারবো?
.
৩) আবুল: এই নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি ফান করা হয়। আমরা কি এই নামের মাহাত্ম্য জানি ? আমাদের
নবীর (স.) এর উপনাম আবুল কাসেম। যার অর্থ হল "কাশেমের পিতা" ভাবুন, কি নিয়ে ফাজলামি করছি।
যেখানে তার নামকে সন্মান করা দরকার ছিলো, সেখানে আমরা তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছি ! হায়রে মুসলিম !
.
৪) কুদ্দুস: সর্বাধিক ফান করা হয় এই নামটি নিয়ে। অথচ আল্লাহর একটি গুনবাচক নাম। যার অর্থ ‘মহাপবিত্র’।
কেউ যদি কাউকে শুধু কুদ্দুস বলে, তবে তার পাপ হবে। কারণ এটি আল্লাহর সিফাতী নাম। বলতে হবে আব্দুল
কুদ্দুস। চিন্তা করে দেখুন, আমরা আল্লাহর নাম নিয়েও রসিকতা করছি। আমাদের ঈমানের অবস্থা কেমন?
.
৫) মমিন: আসলে এর শুদ্ধ উচ্চারণ হবে মুমিন। একজন পূর্ণাঙ্গ ঈমানদারকেই মুমিন বলে। কিন্তু দেখুন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন স্থানে "কস কি মমিন" বলে
নামটিকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। এবার বলুন, আর কী নিয়ে আমাদের ফান করা বাকী আছে? আমরা কী একটু সচেতন হতে পারি না? কবে আমরা আমাদের
ইতিহাস জেনে নিবো?
.
আমরা মুসলমান হয়েও ইসলামকে কতোটুকু মর্যাদায়
রেখেছি?
,
আর সবশেষে কোরআন মাজীদের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই-"একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না।
কেউ বিশ্বাস স্হাপন করলে তাকে মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে
তারাই জালেম।" [সূরা হুজরাত-
আয়াতঃ১১]
(সংগৃহীত)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

বিপরীত বাক বলেছেন: যারা ব্যঙ্গ করে তাদের না থামিয়ে বরং ওইসব নামের ব্যক্তিরা যেন সেইসব কাজ করা থেকে বিরত থাকে সে চেষ্টা করেন।।
কারণ কালচার এমনি এমনি তৈরি হয় না।। যুগ যুগ ধরে ওইসব নামের ব্যক্তিরা সেইসব কাজ বা আচরণ করেছে দেখে দুটো ব্যাপার সমার্থক হয়ে গেছে।।।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

সজিব হাওলাদার বলেছেন: আসলে সমাজে যারা সৎ,নীতিবান ও আদর্শবান তাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা,ফান করা আমাদের একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে।আর ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা,ফান করতে তো অনেকে মুখিয়ে থাকে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখার জন্য।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০

নতুন বলেছেন: এইটা হইলো না বুঝে আরবি নাম রাখার ফলে হয়। দেশের কয়জন মানুষ আরবী শব্দের অথ` জানে। কিন্তু নাম রাখতে হবে আরবী।


এক রকমের উল্টা ব্যক্ষা করলেন আপনি।

এই নামের অথ` দেখে এই ব্যঙ্গ করা শুরু হয়নি। বরং ঐ নামের মানুষেরা এমন কাজ কাম করছে যাতে যুগ যুগ ধরে এই ব্যপারগুলি সমাথ`ক হয়ে গেছে।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: শুরু করেছেন ওপারের বুদ্ধিজীবিরা ইসলাম বিদ্বেষ থেকে আর আমরা মূর্খের দল না বুঝেই তাতে মজে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.