![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুক্ত প্রাণী। কথা বলি গণমানুষের। অধিকার আদায়ের জন্যেই আমার জন্ম।
সাভারে রানা প্লাজার নয়তলা ভবন ধসের আজ দুই মাস পূর্ণ হলো। আজও ঢাকা জেলা প্রশাসন নিখোঁজদের তালিকা করতে পারেনি। দুই মাস পার হলেও ক্ষতিপূরণ পায়নি নিহত পোশাক শ্রমিক ও আহতদের স্বজনেরা।
ক্ষতিপূরণ নিয়ে চলছে নানা রকম তাল বাহানা।আহতদের তালিকা থাকা সত্বেও ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে না সবাইকে।ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নামে চলছে দুর্নীতি অভিযোগ।প্রধান মন্ত্রী কয়েক দফা ক্ষতিপূরণ দিলেও অধিকাংশ শ্রমিকরা পাননি ক্ষতিপূরণ ।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে ৩ হাজার ৫৫৩ জন কে উদ্ধার করা হলেও প্রাণ হারায় ১ হাজার ১২৭ জন শ্রমিক। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ প্রাণহানীর ঘটনা।
অনেকে হাসপাতাল ছেড়ে গেলেও বহু শ্রমিক এখনো চিকিত্সাধীন। আর যাদের এখনো সন্ধানই পাওয়া যায়নি তাদের স্বজনরা বুক বাঁধার জন্য এখন আর কোন আশা খুঁজে পাচ্ছেন না। ২৯১ জনের স্বজনরা পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারায় তাদের বেওয়ারিশ হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
কিন্তু নিখোঁজের দাবি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার চেয়েও বেশি মানুষ। সাভার উপজেলা প্রশাসন ৩১৬ জন নিখোঁজ থাকার একটি তালিকা তৈরি করেছে। আর গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ৯২ জন। সব মিলিয়ে বেওয়ারিশ লাশ আর নিখোঁজ ব্যক্তি বা শ্রমিকের হিসাব মিলছে না।
ভবন ধসের পরপরই উদ্ধার অভিযান-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অস্থায়ী নিয়ন্ত্র্রণ কক্ষ খোলা হয়। ১৩ মে উদ্ধার তত্পরতা সমাপ্তি ঘোষণা করা হলে ওই নিয়ন্ত্রণ কক্ষটির কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.