নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রংঙ্গের ডানা মেলে আজ উড়ছে প্রজাপতি মন.., এই মন তোমারি আশায়.. স্বপ্নে বিভোর সারাক্ষন.....

shoikot chowdhury

shoikot chowdhury › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীয়া আইনে ধর্ষণের বিচার মৃত্যুদণ্ড

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

আমার অনেক বন্ধুরা প্রায়ই 'সৌদি আরবে ধর্ষণের শাস্থি মৃত্যুদন্ড' বলে সে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যান । সৌদি তে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হাউসমেড রা নিয়মিত ধর্ষিত হচ্ছে কারণ শরিয়া আইনে ক্রীতদাসী ভোগ বৈধ ! সেগুলো কে ধর্ষণের কাতারে ফেলা হয় না । আর সৌদি তে একটা মাত্র জাতীয় পত্রিকা আছেই যা বাদশা দ্বারা পরিচালিত , অন্য কোন পত্রিকা নেই । কিভাবে ধর্ষণের খবর বাইরে আসবে ? শরিয়া আইনে কোথাও ধর্ষণের কথা উল্যেখ নেই , আছে জেনার উল্যেখ । ধর্ষণ আর জেনা কি এক জিনিস ? এই বিষয়ে পাঠকের মতামত আশা করছি ।
--------
আদিবাসী বাচ্চা ধর্ষণে এক আপু কমেন্ট করছিলেন "এবার বুঝতে পারছি, ইসলামে ক্যান ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। " এই আপুটা সম্ভবত ইসলামি শাসন অর্থাৎ শরীয়া আইন সম্পর্কে জানেন না, তা না হলে তিনি শরীয়া আইনের গুনগান গাইতেন না, আমি আঁতকে উঠি যখন
কেউ শরীয়া আইন কায়েমের দাবি করেন। তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দিহান অথবা তিনি শরীয়া আইনের বর্বরতা সম্পর্কে অজ্ঞ। হ্যাঁ, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ডই হওয়া উচিত তবে তা দেশিও আইনে, ছিলও তাই কিন্তু কিছু দিন পূর্বে তা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে।

শরীয়া আইনে ধর্ষণের বিচার মৃত্যুদণ্ড হলেও বিচার না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, উল্টো ফেঁসে যেতে হতে পারে ধর্ষিতাকে।আসুন শরীয়া আইনে ধর্ষণের বিচার সম্পর্কে জেনে নেই। শরিয়া আইনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় যথাঃ ১)হুদুদ, ২) কীসাস ও ৩) তাজির। যে সকল অপরাধের শাস্তি কোরআনে আসেনি সেগুলো শরীয়া আইনের তাজির অংশের অন্তর্ভুক্ত। সুতারং ধর্ষণের বিচার এর আওতা মুক্ত। ধর্ষণের
বিচার হবে হুদুদ ও কীসাস অনুসারে।
.
হুদুদ অনুসারে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং মিথ্যে অভিযোগ হলে নারীকে দেয়া হবে আশিটি বেত্রাগাত। নারীকে প্রমাণ করতে হবে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন এবং তার জন্য তাকে চারজন সাক্ষী নিয়ে আসতে হবে, অবশ্যই তাদের পুরুষ হতে হবে।যারা নারীর যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ দেখেছে। অন্যথায় নারীর বিচার হবে মিথ্যে অভিযোগ আনার জন্য এবং যেনার জন্য। শরিয়া মোতাবেক যেনার শাস্তি অবিবাহিত হলে একশ বেত্রাঘাত এবং বিবাহিত হলে পাথর ছুড়ে হত্যা।
.
পাকিস্তানের ইসলামি আইনে ধর্ষণ নিয়ে সংবিধানের ধারাটি হল “Proof of zina liable to hadd shall be in one of the
following forms, namely:-
(a) the accused makes before a Court of competent jurisdiction a confession of the commission of the offence; or (b) at least four Muslim adult male witnesses... give evidence as eye-witnesses of the act of penetration necessary to the offence: Provided that, if the accused is a non-Muslim, the eye-witnesses
may be non-Muslims.” (Article 8 of The Offence of Zina (Enforcement Of Hudood) Ordinance, 1979, Ordinance No. VII of 1979)"
.
এতক্ষণ আইন দেখলাম এবার প্রয়োগ দেখা যাকঃ সোমালিয়ার মেয়ে আয়শা, হেঁটে নানী বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তিনজনে মেয়েটাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটা বিচার জানালে, চারজন সাক্ষী হাজির করতে পারেনি ফলাফল স্বরুপ মেয়েটাকে জেনার দায়ে (যেহেতু সে স্বীকার করছে) ও মিথ্যে অভিযোগ আনার দায়ে অভিযুক্ত হতে হয়। মেয়েটাকে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়।
.
কীসাস হল খুনের বদলে খুন টাইপের আইন। এখানে সব থেকে বড় সুবিদা হল ব্লাড মানি দিয়ে ওভিযোগ থেকে মুক্তি। এই আইনে অনার কিলিং বৈধ। মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে, পালিয়ে বিয়ে করছে, বিয়েতে সম্মত হয়নি অনার কিলিং এর নামে মেরে ফেলুন। আইন বাধা দিবে না। এমনকি জিজ্ঞেসও করবে না।
.
এইত দুই একদিন আগে সৌদির এক ধর্মপ্রচারক ফায়ান আল গামাদি নিজের ৫ বছরের মেয়ে লামাকে ধর্ষণ করার পর শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলে। সৌদির আইন শাস্তি স্বরুপ ৩৭ লাখ টাকা ব্লাড মানি নির্ধারণ করে দিয়ে তাকে মুক্তি দিয়েছে। এও বলে দিয়েছে লামা ছেলে হলে এর দ্বিগুণ ব্লাড মানি দেয়া হত। ব্লাড মানি পাবে মেয়ের মা।
.
“ফাবিয়াইয়েয়ালা ই রাব্বিকুমা তুকাজ্বিবান!” অর্থাৎ “অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে? " আসুন দলে দলে শরীয়া নামক হিংস্র শুওরদের শাসন ব্যাবস্থা কায়েমের জন্য বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.