![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন পর একজন বন্ধু পেল পৃথিবী। যদিও এখনও এটা সম্পূর্ণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি তাঁরা কতটা ভালো বন্ধু হবে।
পৃথিবী যেমন ঘুরছে সূর্যকে কেন্দ্র করে তেমনি কেপলারও ঘুরছে জি-২ নামক একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে। শুধু তফাৎ হচ্ছে পৃথিবীর প্রয়োজন হয় ৩৬৫ দিন আর কেপলারের প্রয়োজন পড়ে ৩৮৫ দিন। কেপলারের নিজের ওজন এত বেশি, ঘোরাফেরা করতে একটু বেশি সময় তো লাগবেই। বলা বাহুল্য পৃথিবীর চেয়ে কেপলার ১.৬ গুন বড়।
কেপলারও অনেকটা সুবিধাবাদী আমাদের পৃথিবীর মত। সূর্যের মত জি-২ নামক একটি নক্ষত্র থেকে এমন একটা দূরত্বে তার অবস্থান যা কেপলারকে বেশি উত্তাপে গলে যাওয়া থেকে যেমন বাঁচাবে তেমনি বাঁচাবে বেশি ঠান্ডায় জমে যাওয়া থেকেও। অনেকটা কাশ্মীরে ধারণকৃত কোন সিনেমার শুটিংয়ে নায়কের বুকে নায়িকার উষ্ণ পরশের মত। যাকে বিজ্ঞানীরা বলেছেন "হেবিটেবল জোন"।
ধারণা করা হচ্ছে কেপলার ৬ বিলিয়ন বৎসর অতিবাহিত করে ফেলেছে এই হেবিটেবল জোনে যেখানে আমাদের পৃথিবীর করেছে ৪.৫ বিলিয়ন বৎসর। তো বয়স, সাইজ সব দিক মিলিয়ে আমরা এই কেপলারকে পৃথিবীর বড় ভাই বলে সম্বোধন করতেই পারি।
এর আগেও বিজ্ঞানীরা অনেক গ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন যেগুলো নিয়ে তেমন হইচই হয় নি। তাহলে এই কেপলারের মাঝে এমন কি আছে যা বাকি গ্রহ গুলোর মাঝে ছিল না!
বাকি গ্রহ গুলোর মাঝে দেখা গিয়েছে হয় কোনটা খুব বরফ শীতল অথবা কোনটা প্রচণ্ড উত্তপ্ত আগ্নেয়গিরির মত। এক কথায় সেখানে জীবনের অস্তিত্ব থাকাটা মোটামুটি অসম্ভব।
গবেষণার ফল বলছে এই কেপলার এখন যে সময়টার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে হয়তো আমাদের পৃথিবীও আজ থেকে বিলিয়ন বছর পরে একই সময়ের মধ্যে দিয়ে যাবে। এমনও হতে পারে আমাদের পৃথিবীর মত প্রাণ চাঞ্চল্য ছিল কোন এক সময় এই কেপলারে। কোন কারণে হয়তো বা সব কিছু থেমে গিয়েছিল যা কোন একসময় আমাদের পৃথিবীর সাথেও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা থেকে আমরা একটা অনুমান করতেই পারি যে, কোন একদিন পৃথিবীতে যদি প্রলয় এসেও যায় এরপরেও কোন একদিন হয়তো আবার প্রাণের সঞ্চার হবে। সৃষ্টি-প্রলয়-সৃষ্টি এইভাবেই চলতে থাকবে হয়তো বা।
দুঃখজনক হলো আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবী একজন বন্ধু পেলেও তার সাথে রয়েছে আমাদের অনেক বিশাল দূরত্ব। প্রায় ১৪০০ আলোক বর্ষ। সুতরাং যাঁরা যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছিলেন আপাতত টিকেট বুকিং করার দরকার নেই। আরও উন্নত মানের স্পেস ক্র্যাফট আসুক তারপর একসাথে যাওয়া যাবে ক্ষণ।
তবে আপাতত হাবল নামক যেই টেলিস্কোপটি দিয়ে গ্রহ নক্ষত্রকে দূর থেকে চুপি চুপি দেখা হয় ধারণা করা হচ্ছে 'জেমস ওয়েব স্পেস' নামক এমন একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ আসছে যা দিয়ে খুব শীঘ্রই জানা যাবে এই কেপলার সম্পর্কে আরও অনেক বেশি। এই টেলিস্কোপটি এতটাই ক্ষমতাবান যার মাধ্যমে জানা যাবে এই বিশ্ব সৃষ্টির প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে। এমনকি বিগ ব্যাং-এর পরে কিভাবে এই মহাকাশের সৃষ্টি, কিভাবে প্রানের সৃষ্টি সে সম্পর্কেও।
তবে বিজ্ঞান যেহেতু প্রতিদিনই একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে তাই ধারণা করা হচ্ছে সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন গ্রামীন ফোনের বিজ্ঞাপনের মত আমাদের পৃথিবী কোন একদিন কেপলারকে বলতে পারবে,'দূরত্ব যতই হোক, ভাই কাছে আয়'।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
সাদিকনাফ বলেছেন: ধন্যবাদ...।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২২
ক্থার্ক্থা বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
আহলান বলেছেন: পড়তে দারুন লাগলো .....!