নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকাল আহমেদ

Love can be done by me, is that my fantasy? then why i think of u all night? Roads are narrow in my mind, i will walk until find, just u... yeah i am a lover of romance...little bit touchy and crazy about literature... i love to read and write...

সকাল আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারুন্যে দীপ্তি (রাজাকারদের প্রবেশ নিষেধ)৯

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

'ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো হচ্ছে, না? আজ তোর বাবা আসুক, বোঝাবে মজা!'



'মাগো, আমায় যেতে দাও। রক্ষনশীল পরিবারের শাসনে বড় হয়েছি আমি। তোমাদের মতাদশর্ আমার রক্তে। আমি রক্ষনশীল বলেই রাজাকারদের ফাসি চাই। জনসমুদ্রে ভাসতে চাই মা! আমি তো পুরুষ মা। আমার তো মেরুদণ্ড আছে। রাজাকারগুলো বিজয়চিহ্ণ দেখাচ্ছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্না কাঁদছে! ধষর্িত, নিপীড়িত মা-বোনেরা ৈকফিয়ত চাচ্ছে। ওদের ত্যাগের এই মূল্য মা? এক মুক্তিযোদ্ধা কেঁদে বুক ভাসিয়ে অভিমান করে দেশ ছেড়ে অনন্ত পথে যেতে চাইছে! কোন মুখে তার সামনে দাঁড়াবো মা?'



'বাপধন! সবাই তো আন্দোলন করছে! তুই না গেলেও জনসমুদ্রে ঘাটতি হবে না! আমি তোকে হারাতে পারব না.....



'মা গো! বিবেক আমাকে কুড়ে কুড়ে খাক! এই তুমি চাও? আমি ৫২ দেখি নি! ৭১ দেখি নি! কত বড় দূভার্গা আমি! না পারলাম ভাষার জন্য লড়তে না পারলাম স্বাধীনতার জন্য! মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে একটা দেশ দিয়ে গেল। আর ওদের হত্যাকারীদের বাগে পেয়েও আমাকে ছেড়ে দিতে বলছো? মাগো! শহীদের আত্না আমাকে অভিশাপ দিচ্ছে! আমার ধষর্িত বোনেরা কাঁদছে! মাগো! আমাকে আলো জ্বালতে দাও! আমি যদি দেশের জন্য মরে যাই আমার জন্য গবর্ হবে না তোমার? ভুলে গেছো মা! তুমি আমাকে ভাষা আন্দোলনের গল্প শোনাতে! ভাষার জন্য সবর্ স্তরের মানুষের জাগরণ তোমার শিরা-উপশিরাকে চূনর্-বিচুনর্ করত! মুক্তিযুদ্ধের নেশায় তুমি উন্মত্ত থাকতে! নানু তোমাকে আটকে রেখেছিল! নিজেেক ডানা ভাঙা পাখি ভাবতে! যন্ত্রনায় ছটফট করতে! আজ তুমি আমার ডানা ভাঙতে চাইছো? আমার ছটফট তুমি বুঝতে চাইছো না? মা! কিছু বলো! আর নীরব থেকো না!'



'তুই আমার নাড়িছেড়া ধন বাপ! আমার মানিক রতন.....

'৭১ ভুলে গেলে মা? কবি মেহের-রুন-নেছাকে তার মা ভাইদের সামনে রাজাকারগুলো যখন জবাই করলো, কেমন লেগেছিল ঐ মায়ের? বুঝতে পারছো মা? সব মায়ের মানিক রতনদের হত্যাকারীদের বাগে পেয়েছি। এবার একটা কিছু হবেই মা। মা তোমার রক্ত আজ ঠাণ্ডা কেন? কোথায় গেলো তোমার অগ্নিঝরা কণ্ঠ?'



নিশ্চুপ থাকে মা! হঠাৎ করেই মুখটা থমথমে আর গম্ভীর হয়ে ওঠে! ছেলেকে আর সে আটকাবে না। বাংলার মানুষ আজ জেগেছে! এমনকি খেটে খাওয়া রিক্সাওয়ালাও আছে এই দলে। ভাড়া নিচ্ছে না। পৌছে দিচ্ছে শাহবাগে! সালাম তোমাদের। আমার ছেলে কেন ঘুমিয়ে থাকবে? যৌবনে আমি পারি নি। আমার ছেলেকে পারতে হবে! আমার রক্ত এখনও ঠাণ্ডা হয় নি। প্রতিশোধের নেশায় আমি মত্ত!

"কোনো আপোষ করি নাই!

রাজপথ ছাড়ি নাই!

আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত!

রাজাকারের বিরুদ্ধে হও আরো শক্ত!

রাজাকারের ফাসী চাই!

পক্ষ নিলে রক্ষা নাই!

খোকা! চল! আমিও তোর সাথে যাব!'



আনন্দে চোখে পানি চলে আসে ছেলের! মা ছেলের হাত ধরে! এগিয়ে চলছে ওরা বীরদপর্ে! এগিয়ে চলবে প্রানের বাংলাদেশ!



বিশেষ ধন্যবাদ: অনন্যা গোস্বামী'কে! তার একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস আমাকে দুর্বিনীত করে তুলল!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪১

দূরবী৩২১ বলেছেন: আমার মনের কথাটা বলা হলো

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকারগুলো বিজয়চিহ্ণ দেখাচ্ছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্না কাঁদছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.