![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তার সাথে দেখা হয়েছিল রাজধানীর ব্যস্ততম এক রাস্তায়। দিনক্ষণ মনে নেই। উপবাসে খোদার বান্দারা যখন নিরন্তর ব্যস্ত আর সাপ্তাহিক প্রার্থনায় ন্যাস্ত, ঠিক তখনই একটা রিক্সায় বসেছিল ও। আর আমি ফুটপাতে এলোমেলো পায়ে হাটছিলাম। ওকে দেখেই আমার প্রথম ভাবনা এসেছিল এ তো আধুনিক যুগের রবি ঠাকুরের গল্পের নায়িকা। ওর নামটা লাবণ্য হলে বেশ হতো। লম্বা ছিপছিপে শরীর, কাঁধ ছেড়ে নেমেছে চুল, টানাটানা চোখ দুটো কাজলের কারুকার্যে অনেকটাই সুগভীর লেগেছিল। পরনের টি-সার্ট আর জীন্স প্যাণ্ট তাকে আধুনিক করলেও আবেশটা ঠিকই রেখে গেছে রবি ঠাকুরের প্রেমময় কোনা নারীসত্তা। ভাবের ঢংে গেয়ে উঠতে মন চায় তুমি কোন কাননের ফুল। তার পাশে নিজেকে বড্ড বেমানান লাগলেও এক মুহুর্তের জন্যেও নিজেকে ছেড়ে দেই নি। আমার বেশ ছিল বরং বড্ড সাধাসিধে আর ভাব-গাম্ভীর্যপূর্ণ। ও যদি সবুজ শাড়ীতে আর কপালে ছোট্ট কালো টিপ তাহলে তো মনের ভুলে ওকে লাবণ্য বলে বসতাম। প্রথম দেখা হলো অথচ মনে হলো কত দিনের চেনা। তার পাশে নিজেকেই অচেনা লাগল। আমি তো ভাবের ঢংে চলি; সেই ঢংটাকে অব্যাহত রাখলাম। সে কতটুকু মুগ্ধ হলো আমাকে পেয়ে জানি না তবে মুগ্ধতা নিরন্তর আমাকে ছুয়ে ছুয়ে গেলো, ইচ্ছে হলো তার কপালে আলতো চুমু দিতে। চাওয়া গুলো বড্ড বাড়াবাড়ি করে। সময়টাকে যদি নাটাইয়ের সুতোয় বাঁধতে পারতাম তবে তাকে সেদিন আমার বাঁধনে বেঁধে ফেলতাম। একটিবার ওর হাত ধরে, চোখে চোখ রেখে সকাতরে বলে বসতাম, প্রিয়, তুমি লাবণ্য হও। সবুজ শাড়ীতে, এলোকেশে, চঞ্চলা হাওয়ায় আমাকে আদে্যাপান্ত ভাসিয়ে নিয়ে যাও। সপ্নেরা সপ্নের ভেতর বসত গড়ে। আমি তাকে শক্ত করে ধরতে পারি না। সন্ধ্যা হতেই সে চলে যায়; সে কখনই লাবণ্য হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
নূর আদনান বলেছেন: আহাহ......!!!