![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
...
ইদানিং বাউলা গান খুব ভালো লাগছে। আইপডে রিপিটে দিয়ে 'তুই যদি আমার হইতি রে' কিংবা 'মরিলে কান্দিস না' শুনছি। হঠাৎ মনে পড়লো মাটির ময়নার গানগুলো ভালো লেগেছিল। ডিভিডি ঘেটে শিরোনামের গানটা বের করলাম।
"পাখিটা বন্দী আছে দেহের খাঁচায়,
ও তার ভবের বেড়ী পায়ে জড়ানো,
উড়তে গেলে পড়িয়া যায়...
পাখিটা...
.... মাটির তৈরি ময়না বলে, 'তাইলে কেনে মনটা দিলে,
না দিলে জোড় যদি ডানায়',
পাখিটা বন্দী আছে দেহের খাঁচায়"
ভীষণ ভালো লাগল গানটা। গানটা শুনতে শুনতেই নিউরোসাইন্টিস্ট আমার মাথায় এনাটমি আর ফিজিওলজি ঘুরছিল। দেহ খাঁচার কিছু নিয়ম আছে, যেগুলোর কাছে মন পাখি বরাবর বন্দী। সেই আ-দি-ম যুগের, ফল মূল খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষের মনগুলো যেমন বন্দী ছিল, এখন ইন্টারনেটে চড়ে বেড়ানোর মানুষেরা মনও তেমন বন্দী। দেহ খাঁচাটা সব যুগে মন পাখিকে একই ভাবে খেলিয়ে বেড়ায়। আগ বাড়িয়ে এমন সব মাতবরি করে, যাতে কখনও মন পাখিটা বেঁচে যায়, কখনও বিব্রত হয়, নিদারুণ লজ্জা পায়। এনাটমি পড়ার আগে এভাবে কখনও ভেবে দেখা হয় নি। গানটার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষন আমার খুব মনে ধরেছে, তাই ভাবলাম, একটু একটু করে ব্লগারদের কাছে ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দেই।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২০
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ঘুরে বেড়ায়... তারপরে, একটু পরে কি 'ভবের বেড়ি' তে টান পড়ে না? পুরাপুরি উড়ে চলে যেতে পারে? একটা প্যারা দেই নি...
"নানা রঙের নানান পাখি,
আকাশেতে উইড়া বেড়ায়,
কাঁচা বাঁশের ঘরটা ফেইল্যা
ময়না পাখি পাখা মেইল্যা,
তাদের সাথে মিশিতে চায়!
পাখিটা বন্দী আছে দেহের খাঁচায়!"
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৪
রোকন বলেছেন: এই সিনেমায় (মাটির ময়না) কিন্তু হুজুরদেরকে খারাপ ভাবে দেখানো হইছে
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৮
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: নাহ, মাটির ময়না আর শ্যামল ছায়া দুইটাই আমার প্রিয় মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। বাস্তবমুখী মনে হয়েছে। যদি ভাবেন 'খারাপ ভাবে দেখানো হয়েছে', তাইলে আপনি মুভ্যিটার কিচ্ছু বুঝেন নি। আমি অনেক বার দেখেছি। বাবাটার কথা ভাবুন, ছেলেটার যে হুজুরটা ছিল, ওকে আদর করতো, ওনার কথা ভাবুন। হুজুরদের মানুষ হিসেবে দেখানো হয়েছে, ভুলে ভরা মানুষ, বিভ্রান্ত মানুষ, তবু মানুষ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অন্য কোন সিনেমায় এরকম করে দেখানো হয় না।
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৮
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ও আচ্ছা, ছবিটা আপনার না। তাই সন্দেহের তালিকায় রাখলাম আপনাকে। ভন্ডদের জায়গা দেই না এই ব্লগে।
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯
একেমন দেখা বলেছেন: হ্যাঁ, মন পাখিটা সত্যিই সময়ের অনেক বাকে বাকেঁ বন্দী থাকে আবার খানিকটা সময় আহত হয়, ভবের বেড়ীতে টান পড়ে ফিরে আসে, আবার প্রতিনিয়ত সারকুলেটিং কারেন্ট এর মত অজানায় শুধুই দৌড়ায়।সঠিক নিয়মে মন পাখিটাকে বেড়ে উঠতে না দিলে কিন্তু দেহ খাচাটার আচরন ভিন্নভাবে প্রকাশ পাবে, যা কি না সুন্দর ভাবনার জগতটাকে আহত করবে। বরাবরের মত ভাল লিখা। মোবারকবাদ।
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৭
বজলু মহাজন বলেছেন: দেহতরী দিলাম ছাড়িয়া ও গুরু তোমার নামে
আমি যদি ডুবে মরি, কলংক তোমার নামে....
ছড়ানো ভাবনার সুগন্ধে ব্লগ ম ম করছে.......
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮
আওরঙ্গজেব বলেছেন: ................
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
ফজলে এলাহি বলেছেন: বাউল গানে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, উচ্চাঙ্গের ভাবের আড়ালে অনেক কুফরী ও শির্কী কথা লুক্কায়িত থাকে। সাধারণ মানুষের অনেকেই গান-কবিতা বুঝে শুনে ও পড়ে আবার অনেকেই না বুঝে শুনে ও পড়ে।
তবে আপনার ব্যাপারে সন্দিহান নই, বলা প্রয়োজন বোধ করেছি, তাই বলেছি।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: সেটা টের পেয়েছি, জানি, কিন্তু সে তো যে কোন গানেই থাকতে পারে। বাউলরা তো এক রকম দার্শনিক ছিলেন, ধর্মবিদ তো না। তাই ওদের গানে ধর্মশিক্ষা খুঁজতে গেলে ভুল করতে হবে। শিল্প হিসেবে দেখতে হবে, কিংবা সম্পূর্ণ আলাদা দর্শন। ধর্ম নয়। অবশ্য 'মরিলে কান্দিস না' গানটা শুনে আমি অভিভূত হয়েছি, আমি বিন্দুমাত্র ভুল দর্শন পেলাম না এই ভীষণ ছুঁয়ে যাওয়া গানটায়!
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
আবূসামীহা বলেছেন: ধর্মশিক্ষা খোঁজা নয়। প্রকৃত ব্যাপার হল বাউল বা মারেফতী গানের নামে নিরেট কুফরী কথা ছড়ানো হয়েছে আমাদের মাঝে। এর সাথে রয়েছে কাউয়ালী। আর অনেকটা অজান্তেই আমরা এসমস্ত কুফরী কথাগুলো আবৃত্তি করে যাই। এজন্য সে ব্যাপারেও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
তাদের দর্শন অধ্যয়ন করা ঠিক আছে এর অন্তর্গত অবস্থান উপলব্দি করার নিমিত্তে।
এখানকার উদ্ধৃত গানটা ভাল লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: হুমম..
"মন পাখিটা বন্দী"- এটা বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে..
কই, আমার দেহ খাচায় আঘাত লাগলে মন পাখিটা কষ্ট পায় কিন্তু তাই বলে মন পাখিটা বন্দী বলে তো মনে হচ্ছে না..
সে তো ঠিকই ঘুরে বেরুচ্ছে...
প্রশান্ত মহাসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে...