![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এসেছিলাম বিরান প্রান্তরে সেখান থেকে চারাগাছ জন্মেছে; কিছু বিষন্ন চারাগাছ
মোখলেছ তার দোকান গোছাচ্ছে । অনেক রাত হয়েছে । হলের বারান্দায় ঘুমাতে হবে আজকে । সমস্যা নাই , বাসায় বৌ চিন্তা করবেনা । মাঝে মাঝেই বেচাবিক্রি হয়ে গেলে অনেক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হয় । তারপর হলের বারান্দায় শুয়ে একটা ছোট ঘুম । খুব ভোরে আবার দোকান খুলতে হয় । পঞ্চাশোর্ধ বয়সে একটু কঠিন হলেও এখন অভ্যাস হয়ে গেছে ।
মোখলেছ একটা বিখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটা টং দোকানে চা সিগ্রেট বিক্রি করে । বেশ ভালো কামাই হয় । সবচেয়ে বেশী কামাই হয় রাত্রি বেলা । তখন চা সিগ্রেটের সাথে পুরিয়াও বিক্রি করে সে । দুই প্রকার পুরিয়া আছে । একটার দাম ২০ টাকা আরেকটার দাম ২৫০টাকা । ২০ টাকার টাই বেশী বিক্রি হয় । চুপেচুপে বেচতে হয় বলে একটু ভয় ভয় লাগতো আগে । এখন আর লাগে না । টাকার দরকার , অনেক টাকার দরকার ।
মোখলেছের ছেলে আলামিন এবার ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেছে । ভর্তি পরীক্ষা দেবে । মোখলেছ তার জমানো টাকা দিয়ে ছেলেকে মেডিকেল কোচিং এ ভর্তি করিয়ে দেয় । সে চায় না তার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক , যেখানে তার ছেলের বয়সী ছেলেরা এসে তার কাছে থেকে পুরিয়া নিয়ে যায় । বড় পুরিয়া , ছোট পুরিয়া ।
আলামিন মেডিকেলে চান্স পায় । মাইগ্রেশন করে তার এলাকার মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় । মোখলেছ ভীষন খুশি । আনন্দের আতিশায্যে মাঝে মাঝেই ছেলেকে দেখতে যায় । কোনদিন দেখা হয় কোনদিন হয় না ! ছেলে ভীষণ ব্যস্ত থাকে । ক্লাস করতে হয় মনোযোগ দিয়ে । আইটেম , কার্ডের ঝামেলা সামলাতে সামলাতে জীবন পানি ! মোখলেছ ভীষণ খুশী ।
একদিন সন্ধ্যে বেলার কথা । মোখলেছ ছেলেকে দেখতে গিয়েছে মেডিকেল কলেজে । রুমে ছেলেকে পাওয়া গেল না । রুমমেট বললো , ছেলে নাকি লাইব্রেরীতে । পড়াশুনা করছে । সামনে নাকি পরীক্ষা । মোখলেস খুব খুশী । হল থেকে বেরিয়ে পাশের টং দোকান থেকে এক কাপ চা নেয় । পাশের বেঞ্চে বসে আয়েশ করে একটা চুমুক দেয় । আরেকটা চুমুক দেয় । বাহ্ চা টা তার ছেলের মতোই ফাসকেলাশ । তৃতীয় চুমুক দিয়ে মাথা তুলে দেখে তার ছেলে আলামিন পাশে দাড়িয়ে । আবারো খুশী হয়ে ওঠে মোখলেছ কিন্তু এই খুশী বেশীক্ষন স্থায়ী হয় না । মোখলেছ দেখে তার ছেলে খুব গোপনে দোকানির হাতে টাকা গুজে দিয়ে একটা পুরিয়া নেয় । তারপর এদিক ওদিক তাকিয়ে দ্রুত পায়ে চলে যায় । মোখলেছ ঠিক বুঝে উঠতে পারে না ছেলে দোকানির কাছ থেকে পুরিয়া নিলো নাকি তার কাছে থেকে ! ছেলে কি লাইব্রেরীতে গেলো নাকি চিপায় !
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
রহমান সংশয় বলেছেন: আসলেই কঠিন ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্প এইটা অনেক আগে পড়ছি। জট দূর মনে আছে কমেন্ট করছিলাম। কিন্তু এখন কমেন্ট দেখতেছি না কেন?
ভাল কথা! সেইফ হইছ?
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
রহমান সংশয় বলেছেন: ফেবুতে দেয়া ছিল ভাই ।
এখনো সেফ হইনি !!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪২
খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমম.................বড়ই কঠিন।