নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রহমান সংশয়

রহমান সংশয়

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এসেছিলাম বিরান প্রান্তরে সেখান থেকে চারাগাছ জন্মেছে; কিছু বিষন্ন চারাগাছ

রহমান সংশয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাডেন ইউফোরিওটিক লাভ

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

সংশয়ের নতুন একটা রোগ

ধরা পড়েছে । বারমাসী ফলের মত

বারমাসী রুগী ছেলেটার

দিকে তাকালে এমনিতেই

মায়া লাগে তার উপর এই নতুন রোগ

যুক্ত হয়ে মায়া লাগার

পরিমাণটা আরো বেড়ে গেছে ।

রোগটা গতানুগতিক কোন রোগ নয় ।

সংশয়ের খুব কাছের বন্ধু শিশির এই

রোগের নাম দিয়েছে "সাডেন

ইউফোরিওটিক লাভ ।"

দাঁতভাঙ্গা নাম ।

ব্যাখ্যা করলে এরকম দাঁড়ায় , কোন

সুন্দরী মেয়ে দেখলেই সংশয়ের

হঠাত্ করে খুব ভালো লাগতে শুরু

করে এবং এক

পর্যায়ে ভালো লাগাটা সর্বোচ্চ

সীমায় পৌঁছে যায় এবং সংশয় ঐ

মেয়েটার প্রেমে পড়ে যায় ।

মেয়েটা দৃষ্টির আড়াল হলেই সংশয়

পা থেকে মাথা পর্যন্ত আবেগ

নিয়ে বলে "মামা ,

আমি ওরে ভালোবাইসা ফেলছি মামা !"

ভালো করে শুনলে কথাটার

মাঝে সত্যি সত্যি কিছুটা আবেগ

পাওয়া যায় । ব্যাপারটা এতটুকুই

তাই বন্ধু বান্ধব খুব

একটা বিচলিত নয় । শুধু শিশির

একটু চিন্তিত ।

**

শিশিরের প্রচেষ্টায় সংশয়ের ঐ

"সাডেন ইউফোরিওটিক লাভ" নামক

রোগটার বিলুপ্তি হয়েছে । এখন

সে পুরোপুরি সুস্থ । আগের

চেয়ে এখন একটু লাজুকও

হয়ে পড়েছে আর বাচালীয় স্বভাবটাও

খোয়া গেছে । বেশীর ভাগ সময়ই তার

মুখে একটা মুচকি হাসি পরীলক্ষীত

হয় । কিভাবে কি হলো একটু

ব্যাখ্যা করি । শিশিরের

প্রেমিকার একটা বান্ধবী ছিলো ।

নাম সুস্মিতা । শিশির করেছে কি ,

সংশয় আর সুস্মিতার

মাঝে একটা ইয়ে ঘটিয়ে দিয়েছে ।

ব্যাস , সংশয় সুস্থ ।

বারোমাসী রুগী সংশয়ের মুখে এখন

বারোমাস মুচকি হাসি ।

**

শিশির আর

সাদিয়া রিক্সা করে যাচ্ছে ।

সাদিয়া হচ্ছে শিশিরের

প্রেমিকা । সুস্মিতার বান্ধবী ।

শিশির

জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে রিক্সায় ।

সাদিয়া ভ্রু

কুঁচকে তাকাচ্ছে একটু পরপর ।

আসলে হয়েছে কি শিশির একটু একটু

ভয় পাচ্ছে ।কারণ কিছুদিন যাবত্

শিশিরের

একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে । হঠাত্

করে বেফাঁস কথা বের

হয়ে যাচ্ছে মুখ দিয়ে । সাদিয়ার

সামনে বেফাঁস কিছু বের

হলে নির্ঘাত ফাঁসির আদেশ

হয়ে যাবে । শিশির ফাঁসির ভয়ে চুপ

করে বসে থাকার চেষ্টা করছে ।

সাদিয়ার

ভালো লাগছে না এভাবে রিক্সায়

একটা জড় পদার্থের সাথে যেতে ।

রাস্তার মাঝখানেই তাই

রিক্সা দাড় করালো । নেমে পড়ল

দুজনই । শিশির মানিব্যাগ বের

করে রিক্সা ভাড়া মিটিয়ে দিল ।

দুজনে পাশাপাশি হাঁটছে । ঠিক

এসময় তাদের সামনে এক অতীব

সুন্দরী রমণীর উদয় হলো । শিশির

অনিচ্ছাকৃত

ভাবে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো রম

দিকে আর

সাদিয়া তাকিয়ে থাকলো শিশিরের

দিকে । সুন্দরী রমণী যখন তাদের

ক্রস করে গেলো তখন হঠাত্

করে শিশির সাদিয়ার হাত

ধরে ফেললো । তারপর স্পষ্ট গলার ,

স্পষ্ট উচ্চারণে বললো "মামা ,

আমি ওরে ভালোবাইসা ফেলছি মামা !"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.