নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রহমান সংশয়

রহমান সংশয়

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এসেছিলাম বিরান প্রান্তরে সেখান থেকে চারাগাছ জন্মেছে; কিছু বিষন্ন চারাগাছ

রহমান সংশয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরী কিংবা ভাগ্য পরিবর্তনকারী আংটির গল্প

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

ইন্টারভিউ শেষ করে সোজা রাস্তায়

নেমে আসে রাশেদ । এসি থেকে বের

হওয়ায় একটা গরম বাতাসের

ঝাপটা ছুঁয়ে যায় চোখমুখ জুড়ে । এই

চাকরিটাও হবে না বোঝা যাচ্ছে ।

কোন প্রশ্নই করা হয় নি ইন্টারভিউ

বোর্ডে । নাম , ধাম জিজ্ঞেস করার পর

"আপনি আসুন" বলে বের করে দিয়েছে ।

রাশেদের মন্ত্রণালয়ে কোন যোগাযোগ

নেই । কোন শক্তিশালী মামা চাচাও

নেই যে এই দুর্মূল্যের

বাজারে একটা চাকরী পেতে সাহায্য

করবে । ওদিকে গ্রামের

বাড়িতে মাকে টাকা পাঠাতে হয় ।

দুটা টিউশনি করে যা পাওয়া যায়

তা দিয়ে ঢাকা শহরে নিজের চলাটাই

কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে । অথচ ওর

বাল্যবন্ধু কাম রুমমেট জুয়েল

দিব্যি চলছে । একই সাথে জাতীয়

বিশ্ববিদ্যালয়

থেকে মার্কেটিংয়ে অনার্স

করেছিলো দুজন । তারপর চাকরীর

বাজারে এসে দুজনেই ব্যর্থ । কিছুদিন

ছোটাছুটির পর জুয়েল হাল ছেড়ে দেয় ।

বলে "আমার কপালে চাকরী নাই !

এরচেয়ে ব্যবসা করাই ভালো !" অল্প

কিছু পুঁজি নিয়ে ব্যবসায়

নেমে পড়ে জুয়েল । বেশ ভালোই

চলছে ব্যবসা । মেসের রুমভাড়া সবার

আগে পরিশোধ করে জুয়েল ।

মাঝে মাঝে এদিকে ওদিকে ধারও দেয়



হাঁটতে হাঁটতে সাতরাস্তার

মোড়ে পৌঁছে যায় রাশেদ । পাশের পান

বিড়ির দোকান

থেকে পকেটে থেকে যাওয়া গত রাতের

কমদামী সিগ্রেটটা জ্বালাতে জ্বালাত

পাশের একটা জটলা খেয়াল করে ।

এগিয়ে যায় কৌতুহল বশতঃ ।

একটা হকারকে ঘিরে তৈরী জটলা ।

১০ টাকার বিনিময়ে ভাগ্য

পরিবর্তনকারী আংটি বিক্রী হচ্ছে ।

হকারের দিকে তাকিয়ে খুব একচোট

হেসে নেয় রাশেদ । তারপর

কি মনে করে আধছেঁড়া একটা দশ টাকার

নোট দিয়ে একটা ভাগ্য

পরিবর্তনকারী আংটি কিনে নেয় ।

রাশেদের দেখাদেখি আরো কয়েকজন

উত্সাহিত হয় । বেশ কয়েকজনের পকেট

থেকে দশ টাকার নোট বেরুতে থাকে ।

জটলা থেকে সরে এসে আবার রাস্তায়

নেমে পড়ে রাশেদ । যত্ন

করে আঙ্গুলে পড়ে নেয় ভাগ্য

পরিবর্তনকারী আংটি । তারপর আংটির

দিকে একনজর তাকিয়ে আবার

হেসে ওঠে ।

**

এদিকে ওদিকে অযথা ঘোরাঘুরি করে মা

। বাইরের কাপড় ছেড়ে লুঙ্গি পড়ে নেয়

। তারপর টেবিলের উপর

ঢেকে রাখা বাটিতে রাতের খাবারের

উপর চোখ বুলিয়ে আবার ঢেকে রাখে ।

"প্রতিরাতে একই খাবার"

নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ

করতে করতে বিছানার দিকে এগোয় ।

মশারী টাঙিয়ে শুতে যাবে এমন সময়

পাশের বিছানায় শুয়ে থাকা ওর

বাল্যবন্ধু কাম রুমমেট জুয়েল ঘুমের

মাঝেই চিত্কার করে ওঠে

"আংটি নেন , আংটি ! ভাগ্য

পরিবর্তনকারী আংটি । এই আংটির

বদৌলতেই বারেক মিয়া আজ আম্রিকার

প্রেসিডেন্ট । এই আংটির বদৌলতেই

বিল গেটস আজ এত ট্যাকার মালিক ।

অন্য সময় এই আংটির মুল্য হাজার

হাজার ট্যাকা । কিন্তু আজকে এই

দরবারে , এই আংটি আমি দিচ্ছি মাত্র

দশ টাকায় । দশ টাকা ! দশ টাকা ! দশ

টাকা ! আছেন কোন ভাই ?"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.