নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রহমান সংশয়

রহমান সংশয়

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এসেছিলাম বিরান প্রান্তরে সেখান থেকে চারাগাছ জন্মেছে; কিছু বিষন্ন চারাগাছ

রহমান সংশয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিসোসিয়েটিভ পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৬

একহাতে লাগেজ টানতে টানতে কাউন্টার ছেড়ে বাসে উঠে পড়ে লিমা । টিকিট বের করে সিট নম্বর মিলিয়ে নিয়ে বসে পড়ে । কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ । বাস ছেড়ে দিবে কিছুক্ষনের মধ্যে । অথচ রায়হানের কোন দেখাই নেই । ছেলেটা সবসময়ই একটু কেয়ারলেস । সিনসিয়ারিটি একদমই নেই । সব কাজ একদম শেষ মূহুর্তে করবে , তা সে যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন ! ভার্সিটির টিউশন ফি জমা দেয়া , এসাইনমেন্ট জমা দেয়া , ল্যাব রিপোর্ট সাইন করানো সবই একদম শেষ মূহুর্তে । এমনকি প্রতিদিনের প্রথম ক্লাসে সে ক্লাসরুমে ঢুকতো প্রফেসর বের হয়ে যাবার কয়েক সেকেন্ড আগে । এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই একরাশ কথা শুনিয়ে দিত লিমা । রায়হান চুপচাপ শুনে যেত । কখনো দুহাতে কান ধরে উঠবস করার অভিনয় করতো । বলতো " আর কক্ষনো এমন হবে না । দেখে নিও । এবার থেকে সত্যি ভালো হয়ে যাব ।" কিছু বলতো না লিমা । কপট রাগ দেখাতো ।



লিমা জানে আজকেও রায়হান দেরী করবে । বাস ছাড়ার একদম আগমুহুর্তে দৌড়াতে দৌড়াতে বাসে উঠবে তারপর ধপ করে লিমার পাশে বসবে । লিমা তখন জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে বসে থাকবে । রাগ দেখাবে । রায়হান অনেক চেষ্টা করবে রাগ ভাঙানোর কিন্তু লিমা এবার একদমই ছাড় দেবেনা ।



কানে এয়ারফোন গুঁজে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে লিমা । শেষ বারের মতো হর্ণ বাজিয়ে দিয়েছে ড্রাইভার । যারা নিচে দাড়িয়ে পান বিড়ি খাচ্ছিলো তারা সবাই একে একে বাসে উঠে পড়েছে । রায়হান এখনো আসে নি । মেজাজ খারাপ হতে শুরু করলো লিমার । ফোন হাতে নিয়ে রায়হানের নাম্বার ডায়াল করেই কেটে দিলো । নাহ্ ফোন করবেনা সে । বারবার এভাবে একই যন্ত্রণা সহ্য করা যায় না । অনেক সহ্য করেছে । আর না । এবার সময় হয়েছে শাস্তি দেবার । আজকের বাসটা যদি মিস করে তাহলে আর কখনোই রায়হানের সাথে কথা বলবেনা লিমা । সুপারভাইজার টিকিট চেক করতে এসেছে দেখে হাতব্যাগ থেকে টিকিট বের করে এগিয়ে দেয় লিমা । সুপারভাইজার টিকিট ভালো করে দেখে একটা অংশ ছিঁড়ে নেয় । তারপর বাকীটা ফিরিয়ে দিতে দিতে বলে



-"আপনার দুটো সিট ?"



-"কেন ? টিকিটে লেখা নেই ?"



-"না মানে আছে ! তারপরও জিজ্ঞেস করে নিলাম আরকি ! দুটা সিটে একাই যাবেন ?"



-"হ্যাঁ যাব । আপনার কোন সমস্যা আছে ?"



-"আমার আবার কি সমস্যা !"



চলে যায় সুপারভাইজার । বিষদৃষ্টিতে সেদিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে লিমা । তারপর ব্যাগের ভেতর টিকিট ঢুকিয়ে রেখে আবার জানালায় চোখ রাখে । বাস ছেড়ে দিয়েছে । একটু একটু করে গতি বাড়ছে । একইসাথে লিমার দুচোখ জলে ভরে যাচ্ছে । দুঃখে নয় , কষ্টে নয়, অভিমানে । ঠিক সে সময় লিমা অবাক হয়ে দেখলো রায়হান বাসের গতির সাথে তাল মিলিয়ে দৌড়াচ্ছে ।

চোখে জল আর মুখে হাসি নিয়ে চিত্‍কার করে বাস স্লো করতে বললো লিমা । ড্রাইভার বাস একটু স্লো করলো । স্লো হতেই লাফ দিয়ে বাসে উঠে পড়ে রায়হান । তারপর বিশ্বজয়ী হাসি দিয়ে লিমার পাশে এসে ধপ করে বসে পড়ে । ঠিক যেমনটা লিমা কল্পনা করেছিলো ।

লিমার পেছনের সিটে বসে থাকা দুজন যাত্রী তখন অবাক হয়ে লিমার দিকে তাকিয়ে ।



কিছুক্ষন বসে থাকার পর লিমা লক্ষ্য করে রায়হান উশখুশ করছে । কথা শুরু করতে চাচ্ছে কিন্তু সে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে আছে বলে শুরু করতে পারছে না । লিমার হাসি পাচ্ছিলো । কষ্ট করে হাসি চেপে আছে । হাসলেই সমস্ত পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাবে । তারচেয়ে বরং রায়হানকে একটা সুযোগ দেয়া যেতে পারে । লিমা খুব অল্প সময়ের জন্য ভ্রু কুঁচকে রায়হানের দিকে তাকালো । তারপরই চোখ সরিয়ে নিয়ে আবার পূর্বাবস্থায় ফিরে গেলো ।



-"হ্যালো ! একটা মানুষ যে এতক্ষন ধরে আপনার পাশে বসে আছে সেটা কি আপনি দেখছেন না ? নাকি দেখেও না দেখার ভান করে আছেন ?"



লিমা কিছু না বলে মুখ লুকিয়ে হাসলো শুধু ।



-"কি হলো ? কথার জবাব তো দেবেন ? সবসময় তো আর দেরী করি না ! আজ নাহয় একটু দেরী করেই ফেলেছি ! তার জন্য হবু স্ত্রীর কাছ থেকে এরকম অবহেলা অবশ্যই আশা করতে পারিনা ! "



লিমা এবারো কিছু না বলে মুখ লুকিয়ে হাসলো । সে হাসি রায়হানের দৃষ্টিগোচর হলো না !



-"না মানে ঠিক আছে ! দোষ তো একটা করেই ফেলেছি তাইনা ? তার শাস্তি তো পেতেই হবে । তো বলুন কি শাস্তি দেবেন ! যা দেবেন মাথা পেতে নেব । এক কাজ করি বাস ভর্তি লোকের সামনে আমি আধবুড়ো একটা ছেলে কানে ধরে উঠবস করি আর বলি , আর কখনো দেরী করবোনা ! আর কখনো দেরী করবো না । ঠিক আছে ? শুরু করবো ?"



রায়হান সত্যি সত্যি সিট ছেড়ে উঠে যেতে ধরলো । লিমা তাত্‍ক্ষনিক মুখ ফিরিয়ে রায়হানের হাত ধরে ফেললো । তারপর সলজ্জ হাসিমুখে বললো ,



-"কে বলেছে তুমি আধবুড়ো ?"



রায়হানের মুখেও হাসি ফুটে উঠলো । সেই হাসিকে রহস্যময় করার চেষ্টা করতেই লিমা সেটা দেখে ফেলে । তারপর খিলখিল করে হেসে উঠে আবার ।



লিমার পেছনের সিটের যাত্রী দুজন আরো একবার অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ।



***



৩০ মিনিটের স্টপেজ দিয়েছে । প্রায় সমস্ত যাত্রীর সাথে লিমা আর রায়হানও নেমে পড়েছে বাস থেকে । রেস্টুরেন্টে ঢুকে কোনার দিকে একটা টেবিল ঠিক করলো লিমা । রায়হান ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে গেলো আর লিমা অর্ডার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো । রায়হান ওয়াশরুম থেকে ফেরার আগেই খাবার নিয়ে হাসিমুখে উপস্থিত হলো ওয়েটার । কিন্তু লিমার ধমকে সে হাসি মুছে গেলো মুহুর্তেই ।



-"একটা প্লেট এনেছেন কেন ? দুজন মানুষ কি একটা প্লেটে খাব ? নাকি আপনারা এভাবেই সার্ভ করেন ? দুজনের জন্য একটা প্লেট !!?? আশ্চর্য ! যান প্লেট নিয়ে আসেন !"



ওয়েটার একটু খতমত খেয়ে আশে পাশে নজর বুলাতে লাগলো । সম্ভবত দুজনের দ্বিতীয় জন কে সেটা বোঝার চেষ্টা করছে । পাশের টেবিলে বসে থাকা দুজন যাত্রী তৃতীয়বারের মতো অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো লিমার দিকে ।



***



-"রায়হান একটা ব্যাপার খেয়াল করেছো ?"

-"কি ব্যাপার ?"

-"পাশের টেবিলে যে দুজন বসেছে তারা অনেকক্ষন থেকে আমাদের ফলো করছে ।"

-"আরে নাহ ! কি যে বলো ! যেহেতু আমরা একই বাসে যাচ্ছি তাই বারবার দেখা হচ্ছে ।



লিমা একটুক্ষণ কি যেন চিন্তা করলো । তারপর আবার খাবারে মন দিলো ।



গাড়িতে বসে আছে লিমা । একটুপরই বাস ছেড়ে দিবে । রায়হান আশেপাশে কোথাও দাড়িয়ে সিগ্রেট খাচ্ছে । লিমা সিগ্রেট এবং সিগ্রেটের গন্ধ কোনটাই সহ্য করতে পারেনা । রায়হান সেটা বেশ ভালো জানে । সেজন্যই কখনো লিমার সামনে সিগ্রেট খাওয়ার দুঃসাহস করেনি ।



শেষ হর্ণ বাজার সাথে সাথেই রায়হান বাসে উঠে পড়লো । লিমার পাশে এসে বসলো । সিগ্রেটের গন্ধ নাকে আসবে ভেবে লিমা জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে রাখলো । কিছুক্ষণ অতিবাহিত হবার পর লিমা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো সিগ্রেটের গন্ধের বদলে কেমন যেন সুন্দর একটা গন্ধ আসছে । দারুচিনির গন্ধ । লিমা অযথাই ভ্রু কুঁচকে তাকালো রায়হানের দিকে । রায়হান মিটিমিটি হাসছে । ভ্রু কুঁচকে থাকা অবস্থাতেই লিমাও হেসে ফেললো ।



***



ডক্টর ফজলুল করিমের টেবিলের সামনে দাড়িয়ে আছে দুজন ব্যক্তি । একজন লম্বা আরেকজন তুলনামূলক খাটো । ডক্টর ফ করিম তুলনামূলক আরো খাটো । টেবিলের প্রশস্ততা একটু কম বলে ডক্টর ফ করিমকে মাথা উচিয়ে কথা বলতে হচ্ছে



-"তো তোমরা কি অবজারভ করলে ?"





দুজনে একবার দুজনার দিকে তাকালো । চোখের ইশারায় ঠিক হয়ে গেলো কে কথা বলবে । অপেক্ষাকৃত খাটো ব্যক্তিটি একধাপ এগিয়ে আসলো । তারপর বললো



-"স্যার , লিমা আইমিন সাবজেক্ট..."

-"ইউ ক্যান ইউজ দ্য নেইম ।"

-"থ্যাংক ইউ স্যার । প্রথমদিকে লিমাকে দেখে মনে হলো কারো জন্য অপেক্ষা করছে । বাসে তার দুটো টিকিট কাটা ছিলো । টিকিট চেকার টিকিট চেক করে যাওয়ার পর লিমা কথা বলতে শুরু করলো । এমনভাব কথা বলছিলো যেন তার পাশে কেউ আছে । কিন্তু স্যার আসলে তার পাশে কেউ ছিলোনা ।"



এবার অপেক্ষাকৃত লম্বা ব্যক্তি এগিয়ে আসলো । বললো ,

-"স্যার বাস যখন স্টপেজ দিলো তখন লিমা রেস্টুরেন্টে খেতে যায় । সেখানেও দুজনের জন্য অর্ডার করে । যদিও পুরোটা সময় লিমা একাই ছিলো ।"



ডক্টর ফজলুল করিম মুখে একটা স্মিতহাসি ফুটিয়ে তুললেন । তারপর একটা চুরুট জ্বালাতে জ্বালাতে বললেন,



-" তোমাদের অবজারভেশন মতে লিমা পুরোটা সময় একা ছিলো কিন্তু এমনভাবে বিহেইভ করছিলো যেন তার সাথে অন্যকেউ আছে । তাই তো ?"



-"জ্বি স্যার ।" দুজনে একসাথে বলে উঠলো ।



-"এবার বলো তোমরা কি সিদ্ধান্তে পৌঁছালে ?"



অপেক্ষাকৃত খাটো ব্যক্তিটি বললো ,



-"স্যার লিমার কথায় আমরা কয়েকবার রায়হান নামটা শুনেছি । ব্যাপারটা এরকম যে লিমা যেন রায়হানেই সাথেই কথা বলছে । আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি স্যার । রায়হান নামে একজনের সাথে লিমার এক ধরনের সম্পর্ক ছিলো । তাদের দেশের বাড়ীও একি জেলায় হওয়ায় তারা প্রায়ই একই সাথে ঢাকা থেকে দেশের বাড়ীতে যেত । এরকমই একবার দেশের বাড়ী যাবার সময় তাদের বাস এক্সিডেন্ট করে এবং রায়হান ঘটনাস্থলেই নিহত হয় । আর লিমা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় । প্রায় দুই মাস পর লিমাকে রিলিজ করা হয় স্যার ।"



ডক্টর ফজলুল করিমের চেহারায় একটা উজ্জ্বল ভাব আসে । চুরুটে একটা লম্বা টান দিয়ে চেয়ারে বসে পড়েন তিনি । তার ছাত্র দুজনকেও বসার ইঙ্গিত করেন । মুখে একটা কৃতজ্ঞতার ভাব ফুটিয়ে বসে পড়ে দুজন । ডক্টর ফজলুল করিম আরেকবার চুরুটে টান দিয়ে নিভিয়ে রাখতে রাখতে বলেন,



-"লিমার যে রোগটা হয়েছে তার নাম ডিসোসিয়েটিভ পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার । একে মাল্টিপল পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারও বলা হয়ে থাকে । খুবই রেয়ার একটা সাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার । প্রায় দু মাস আগে আমি এই কেইসটা পাই । কিছুদিন অব্জার্ভেশানের পর আমি রোগটা সম্পর্কে নিশ্চিত হই ।



বিভিন্ন কারণে এ রোগ হতে পারে । লিমা এ রোগের শিকার হয় প্রচন্ড শকের কারণে । আচমকা বাস এক্সিডেন্টে রায়হানের মৃত্যুটা লিমা সহ্য করতে পারেনি । প্রচন্ড একটা শক পায় সে । কোন ভাবেই বাস্তবতা মানতে পারছিলো না । আর এর ফলেই লিমার মস্তিষ্ক রায়হানকে তৈরী করে এবং বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময়ে লিমার সামনে উপস্থাপন করে । লিমার কাছে ব্যাপারটা চিরন্তন সত্যের মতোই সত্যি ।"



-"স্যার লিমাকে কি তার অসুস্থতার ব্যাপারে জানানো হয়েছে ?"



-"কয়েক বার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কনো লাভ হয়নি । ধরো তোমরা দুজন একে অপরকে স্পষ্ট দেখছো , একজন আরেকজনের সাথে কথাও বলছো । এখন আমি যদি বলি এসব মিথ্যা । যদি তোমাদের কোন একজনকে বিশ্বাস করাতে যাই যে সে যা দেখছে পুরোটাই মিথ্যা , তাহলে কি হবে ? পরিপুর্ন সুস্থ মানুষটা আমি পাগলের স্বীকৃতি পাব তাই না ?"



ড. ফজলুল করিমের রসিকতায় হেসে ফেললো তার ছাত্র দুজন । এতে করে ঘরের ভেতর একটা হালকা পরিবেশ তৈরী হলো ।



-"স্যার এ রোগের চিকিত্‍সা ?"



-"প্রথমে রোগী এবং রোগের কন্ডিশন বুঝতে হয় । কি কারণে এই ডিসঅর্ডার সেটা জানতে হয় । ট্রিটমেন্ট মূলত তার উপর ডিপেন্ড করে । সবচেয়ে কঠিন কাজটা হচ্ছে মানসিক ভাবে রোগিকে যতটুকু পারা যায় কন্ট্রোলে রেখে তার সামনে বাস্তবতা তুলে ধরা । তাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনা ।

আমেরিকার ফার্গো শহরে একজনকে পাওয়া গিয়েছিলো যার রিকভার করতে প্রায় বিশ বছর লেগেছিলো ।"



ড. করিম একটু সময় নিলেন । নিভিয়ে রাখা চুরুট প্রথমবারের চেষ্টায় জ্বালিয়ে ফেললেন । দুটো আয়েশী টান দিয়ে আবার শুরু করলেন ।



-"আমার চল্লিশ বছরের ক্যারিয়ারে লিমাই একমাত্র ডিসোসিয়েটিভ পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারের পেশেন্ট । তোমাদের ক্যারিয়ারেও এরকম ব্যতিক্রমী কিছু পেশেন্ট পেতে পারো যাদের ট্রিটমেন্ট বই দেখে নয় তোমার অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষনতা দিয়ে করতে হবে । আর কোন প্রশ্ন আছে তোমাদের ?"



অপেক্ষাকৃত খাটো ব্যক্তিটি একটু ইতস্তত করে বললো ,



-''স্যার, লিমা কে হাসপাতালে কেন রাখা হল না ?''



-"হাসপাতালে রাখলে লিমা নিজেকে অসুস্থ ভেবে বসে থাকেবে, এর ফলে মস্তিস্ক অযথাই অনেকটা বিক্ষিপ্ত থাকবে যেটা চিকিৎসার জন্য বাড়তি ঝামেলা ছাড়া আর কিছু না ।"

-"আর কিছু ?"



একটু দম নিয়ে ড. করিম যোগ করলেন ।



ছাত্র দুজন একে অপরের দিকে একবার তাকালো । তারপর চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে করমর্দন করতে করতে বললো "আজ আসি স্যার" । ড. করিম চুরুট মুখে একটু হাসার চেষ্টা করলেন । ছাত্র দুজন বের হয়ে গেলো চেম্বার থেকে । ড. করিম অযথাই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চুরুটটা নিভিয়ে রাখলেন ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ দেওয়ার জন্যে।ইট রেখে গেলাম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫৬

রহমান সংশয় বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ভয়াবহ রোগের কথা জানলাম । আপনি লিখেছেনও খুব চমৎকার করে ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫৬

রহমান সংশয় বলেছেন: প্রশংসা এবং মন্তব্য দুটোর জন্যই ধন্যবাদ মামুন রশিদ ভাই

ভালো থাকবেন । :)

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫২

পড়শী বলেছেন: চমৎকার লাগল। এটাকি সত্যি কোন রোগ। এরকম পেশেন্ট কি আদৌ আছে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৫

রহমান সংশয় বলেছেন: হ্যাঁ এটা সত্যি একটা রোগ এবং এরকম পেশেন্টও আছে ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পটা ভাল হয়েছে। অবাক হলাম চমৎকার গল্পটা ব্লগারদের চোখ এড়িয়ে গেছে দেখে। মনে হচ্ছে রোগের নামে গল্পের নাম দেওয়াটা ঠিক হয়নি, অনেকে হয়ত গল্পটাকে রোগ সংক্রান্ত পোষ্ট ভেবেছে।

তবে গল্পের টুইস্ট খানা অনেকে আগে থেকেই বুঝা যাচ্ছিল। এমনটা ঘটলে পাঠকের শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখতে সমস্যা হয়।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্প ভাল হয়েছে। রোগের নামে গল্পের নাম দেওয়াতে টুইস্ট অনেক আগেই রিভিল হয়ে গেছে, এটা পাঠকের আগ্রহ শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার পথে বাঁধা।

চমৎকার গল্পটা ব্লগারদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেল কেন বুঝলাম না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০০

রহমান সংশয় বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাজিম ভাই ।

পরের গল্পে টুইস্ট যাতে আগেই রিভিল না হয় সে ব্যাপারটা মাথায় রাখবো ।

ভালো থাকুন এবং অটোগ্রাফ দিতে থাকুন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.