![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম বাহিরপানে ।হঠাৎ চোখে পড়ল একটি গাড়ির ভেতরে । স্কুল dress পরিহিত একটি বাচ্চা -মনে হচ্ছে অগোরে ঘুমুচ্ছে । বুঝতে কোন অসুবিধে হচ্ছে না , কেন সে অসময়ে গাড়িতে ই ঘুমিয়ে পড়েছে । সকাল সাড়ে ছ'টায় স্কুলে উপস্থিত হতে হবে । ঘুম থেকে তাহলে সকাল কয়টায় ওঠতে হয় - এটা সহজে ই অনুমেয় । তাই স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে মন্দ কী ! স্কুলে দু ,দুটো শিফট।একটা মর্নিং ,একটা ডে । আগে আমরা এক শিফট স্কুলে পড়তাম ,কারণ সারাদিনে একটা ই শিপ্ট ছিল । ২ শিফট বাচ্চাদের কে বলির পাঁঠা বানিয়েছে ।কী আর করা ।
আমার খুব কষ্ট হয় -বাচ্চারা সবুজ দেখে না ,খোলা আকাশের নীচে ঘুরতে পারে না ,অবারিত প্রান্তরে হাত পা ছুঁড়ে দৌড়াতে পারে না । আমাদের নাগরিক জীবন আমাদের নগরের সুবিধা হয়তবা কিছু দিচ্ছে কিন্তু জীবন থেকে প্রকৃতির সাথে মানুষের মেল বন্ধন টাকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । আমরা যা পেয়েছি ছেলেবেলায় , এখনকার শহরের বাচ্চারা তার ছিটে ফোটা ও পাচ্ছে না ।এদের জন্য দীর্ঘশ্বাস আসে বুক ছিঁড়ে ।হয়তবা তারা ভাল স্কুলে পড়তে পারছে । কিন্তু এই সব স্কুল গুলো বাচ্চাদের কে দিয়ে ভাল ফলাফল করানোর জন্য এক বিধ্বংসী প্রতিযোগিতায় নেমেছে । মুলত এরা ই শেষ করে দিচ্ছে আমাদের বাচ্চাদের কে ।
কেউ হয়ত বলবে ,শহরে life তো এমন ই হয় ।
আমি বলব , না ! শহর শুধু ঢাকা ই না আর শহরে জীবন -ই শুধু জীবন না ।যেখানে বাচ্চারা ন্যাচারাল জীবন কে দেখতে
পায় না ,সেখানে বাচ্চারা কেমন করে সৃষ্টিকর্তাকে চিনবে ,বা খুঁজবে । বিশ্বে অন্যান্য দেশের শহুর গুলো এমন না । আমাদের গরীবের শহর ,অনেক মানুষের শহর ,তাই আমাদের এ্টুকু পেয়ে খুশি থাকতে হয় ।
সমাপনী বাদ হয়েছে ,এতে বাচ্চারা কিছুটা হলে ও শান্তি পাবে ,মা - রা ও শান্তি পাবে । পরীক্ষাতো খালি বাচ্চারা দেয় না মা -দের ও দিতে হয় - তা হল স্নায়ুর পরীক্ষা । আমার বাচ্চাটা কেমন করবে ,জিপি এ ৫ পাবে তো ? না হলে লজ্জা ! ওর ছেলে পাইছে ,তার মেয়ে পাইছে -আমার এরা না পেলে আমার যে লজ্জা হবে । জীবনের অপর নাম পরীক্ষা । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চলবে - মরার পরে থামবে না ...(Continuous process )
বি ঃ দ্র ঃ এই বাচ্চাদেরকে তারা এত পাঠ্যবই বোদ্ধা বানায় -এরা চারপাশে কী ঘটছে তা -ই জানতে পারে না । কোচিং ভিত্তিক পড়া শোনা । খালি সিলেবাস শেষ কর -পরীক্ষা এসে পড়েছে । মাথা ওঠাতে পারে না তারা । তাইত এস এস সি তে যারা জিপিএ ৫ পায় তারা ও normal general প্রশ্নের জবার দিতে পারে না । এরা বলতে পারে না - আমাদের বিজয় দিবস কবে ,
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নাম কি ?
ভাল স্কুলে পড়ে কি লাভ হল ?
আমরা যারা মা - বাবারা , তাদের কে অন্য কোন বই হাতে তুলে দিতে পারি না কারণ অন্য কিছু পড়ার সময় নেই !
স্কুলের পাঠ্য বইয়ে কি সব থাকে ? বা যা জোরকরে পড়ানো হয় তা কি কেউ মনে রাখে ?জীবনের সকল দর্শন পাঠ্য বই হতে আসে না ?আমার খুব কষ্ট হয় -বাচ্চারা সবুজ দেখে না ,খোলা আকাশের নীচে ঘুরতে পারে না ,অবারিত প্রান্তরে হাত পা ছুঁড়ে দৌড়াতে পারে না । আমাদের নাগরিক জীবন আমাদের নগরের সুবিধা হয়তবা কিছু দিচ্ছে কিন্তু জীবন থেকে প্রকৃতির সাথে মানুষের মেল বন্ধন টাকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । আমরা যা পেয়েছি ছেলেবেলায় , এখনকার শহরের বাচ্চারা তার ছিটে ফোটা ও পাচ্ছে না ।এদের জন্য দীর্ঘশ্বাস আসে বুক ছিঁড়ে ।হয়তবা তারা ভাল স্কুলে পড়তে পারছে । কিন্তু এই সব স্কুল গুলো বাচ্চাদের কে দিয়ে ভাল ফলাফল করানোর জন্য এক বিধ্বংসী প্রতিযোগিতায় নেমেছে । মুলত এরা ই শেষ করে দিচ্ছে আমাদের বাচ্চাদের কে ।
কেউ হয়ত বলবে ,শহরে life তো এমন ই হয় ।
আমি বলব , না ! শহর শুধু ঢাকা ই না আর শহরে জীবন -ই শুধু জীবন না ।যেখানে বাচ্চারা ন্যাচারাল জীবন কে দেখতে
পায় না ,সেখানে বাচ্চারা কেমন করে সৃষ্টিকর্তাকে চিনবে ,বা খুঁজবে । বিশ্বে অন্যান্য দেশের শহুর গুলো এমন না । আমাদের গরীবের শহর ,অনেক মানুষের শহর ,তাই আমাদের এ্টুকু পেয়ে খুশি থাকতে হয় ।
সমাপনী বাদ হয়েছে ,এতে বাচ্চারা কিছুটা হলে ও শান্তি পাবে ,মা - রা ও শান্তি পাবে । পরীক্ষাতো খালি বাচ্চারা দেয় না মা -দের ও দিতে হয় - তা হল স্নায়ুর পরীক্ষা । আমার বাচ্চাটা কেমন করবে ,জিপি এ ৫ পাবে তো ? না হলে লজ্জা ! ওর ছেলে পাইছে ,তার মেয়ে পাইছে -আমার এরা না পেলে আমার যে লজ্জা হবে । জীবনের অপর নাম পরীক্ষা । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চলবে - মরার পরে থামবে না ...(Continuous process )
বি ঃ দ্র ঃ এই বাচ্চাদেরকে তারা এত পাঠ্যবই বোদ্ধা বানায় -এরা চারপাশে কী ঘটছে তা -ই জানতে পারে না । কোচিং ভিত্তিক পড়া শোনা । খালি সিলেবাস শেষ কর -পরীক্ষা এসে পড়েছে । মাথা ওঠাতে পারে না তারা । তাইত এস এস সি তে যারা জিপিএ ৫ পায় তারা ও normal general প্রশ্নের জবার দিতে পারে না । এরা বলতে পারে না - আমাদের বিজয় দিবস কবে ,
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নাম কি ?
ভাল স্কুলে পড়ে কি লাভ হল ?
আমরা যারা মা - বাবারা , তাদের কে অন্য কোন বই হাতে তুলে দিতে পারি না কারণ অন্য কিছু পড়ার সময় নেই !
স্কুলের পাঠ্য বইয়ে কি সব থাকে ? বা যা জোরকরে পড়ানো হয় তা কি কেউ মনে রাখে ?জীবনের সকল দর্শন পাঠ্য বই হতে আসে না ?
আমরা চাই না বাচ্চারা ,বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ স্টিফেন হকিং -এর মত বলে ফেলুক - "সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই " বা বিবর্তনবাদের জনক চার্লস ডারউইনে মত যেন না বলে ,"বান্দর থেকে মানুষ হয় "!
২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
শরতের ছবি বলেছেন: তাইতো আমার বাচ্চাদের জন্য কষ্ট হয় ।মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।ভাল থাকুন -এই কামনা রইল ।
২| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০০
বিজন রয় বলেছেন: আমি অত প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নই। বিষয়টি প্রকৃতই জানলে হলো।
২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
শরতের ছবি বলেছেন: ঠিক তাই । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
রায়ান মুন্সী বলেছেন: কি লাভ! জীবন যেভাবে চলার সেভাবেই চলবে...
২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩২
শরতের ছবি বলেছেন: শহরের জীবন চলবে শহরের নিয়মে । কোন কিছু ভেবে লাভ নেই ।মেনে নেয়াই শ্রেয় । ব্লগে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
৪| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর বিষয়ে লেখা ধন্যবাদ
২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
শরতের ছবি বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
আহলান বলেছেন: সুন্দর বিষয়। এখনকার স্কুল কলেজ প্রাইভেট ভার্সিটিতেও মাঠ নাই .... খোলা ময়দানে বড় বড় দালান কোঠা আর স্থাপনা।