![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাঈদ সৌম্য। ঘুরা ঘুরি করতে ভাল্লাগে আমার ব্যাক্তিগত সাইট http://www.shoummo.com/
খুব সাধারন কথায় ট্রেকিং বলতে বুঝায় কান্ধে একটা বস্তা (ব্যাগপেক যার মধ্যে ৪/৫ দিনের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র) ঝুলিয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া। টুরিজম কিংবা ট্রাভেলিং বর্তমান কালে সবচেয়ে জনপ্রিয় হবি গুলোর একটা। আজকাল আমরা সুযোগ পেলেই বের হয়ে যাই ঘর থেকে। পৃথীবীকে দেখবো বলে। কিন্তু টুরিজম এর বিস্ফোরণের একটা বড় নেতিবাচক দিক হল অধিকাংশ লোকের প্রাকৃতিক দুষণ সম্পর্কে অসেচতনতা। আমরা সুন্দর বনে গেলে মনের আনন্দে চোরাশিকারীদের কাছ থেকে হরিণের মাংশ খাই, সেন্ট মার্টিন থেকে লুকিয়ে প্রবাল পাথর কিনে ঢাকায় ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখি, কিংবা কক্সবাজারকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হিসাবে ভোট দিয়ে হাসি মুখে বীচের পানিতে ওয়ানটাইম গ্লাস আর বিস্কুটের প্যাকেট ফেলতে ফেলতে ভাবি কক্সবাজারকে ভোট দিয়ে আমরা বিশাল এক দেশপ্রেমিকের কাজ করে ফেললাম। খুব বাস্তব একটা কথা হচ্ছে যে আমরা জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পটগুলোকে ১০০ ভাগ খাটি প্রাকৃতিক ভাবে রাখতে পারবো না। আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন। তাই যারা সম্পুর্ন ভাবে নির্ভেজাল প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে চান তাদের জন্যে আদর্শ হচ্ছে ট্রেকিং। আর সবাই মুলত ঘুরতে গেলে এডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে যান, ট্রেকিং(TREKKING) হচ্ছে পুরোদস্তুর এডভেঞ্চার।
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/shoummo71_1225032487_2-n513036304_1051997_8009.jpg
নেপাল, ভুটান, ভারতের দার্জিলিং এবং অন্যান্য এলাকা, দক্ষিন আমেরিকার দেশ গুলো ট্রেকিং আর হাইকিং এর জন্যে খুব বিক্ষাত। বাংলাদেশেও রয়েছে ট্রেকিং করার কিছু অসাধারণ স্পট। তার আগে ট্রেকিং কে আরেকটু সহজ কথায় বলি। নর্মালি ট্রেকিং করা হয় কোন দুর্গম এলাকায়, যেখানে যোগাযোগ ব্যাবস্থা অনুন্নত, রাস্তা ঘাট নেই, হোটেল-গেস্ট হাউজ কিংবা ইঞ্জিন চালিত যানবাহন, ইলেক্ট্রিসিটি, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি আধুনিক সুযোগ সুবিধা নাই। যেহেতু যোগাযোগ সুবিধা অনেক খারাপ তাই ওখানে টুরিস্টরা গন হারে গিয়ে ঝক ঝকে লেকের মাঝে চিপসের প্যাকেট কিংবা ঘন সবুজ বনের ভেতরে সিগারেটের টুকরো ফেলে আসে না। যারা ট্রেকিং করে তারা স্বাভাবিক ভাবেই দুষন সচেতন। আর ওখানকার আদিবাসীরা প্রকৃতিরই অংশ। ট্রেকাররা তাদের মত জীবন যাপন করে। সাধারন ভাবে ট্রেকারদের বাহন হয় তার নিজের দুই পা, কোন ধরনের মেকানিক্যাল বাহন যত সম্ভব কম ব্যাবহার হয়, অবস্থা ভেদে, ঘোরা, গাধা, খচ্চর কিংবা নৌকাও বাহন হয়ে যায়। যেহেতু জনবসতী খুব কম তাই ট্রেকাররা মুলত আদীবাসীদের সাথে ঘনিষ্টভাবে মিশে যায় এবং তাদের মত করে বাঁচে। প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে হয় একটা ব্যাকপেক এর ভিতরে। তাই ট্রেকিং এর আরেক নাম ব্যাক পেকিং।
ট্রেকিং সবচেয়ে বড় দরকার মনের জোর। ট্রেকিং এ মুলত ট্রেকাররা কোন বড় পর্বত চুড়া সামিট করে কিংবা কোন বিখ্যাত লেক কিংবা কোন প্রাকৃতিক স্পট হাজির হয়। ট্রেকিং এর সাথে তাই মাউন্টেনিয়ারিং আর সারভাইভেলেরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে। ট্রেকিং অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে, দলের কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, বিপদ আপদ হতে পারে, পথ ভুল হতে পারে, আবহাওয়া বিরুপ হতে পারে কিংবা আদিবাসীরা অসহোযোগিতা করতে পারে। এসব সময় শুধু মাত্র মনের জোরের সাথেই মোকাবেলা করতে হয় প্রতিকুলতাকে ।
ট্রেকিং এর সময় দরকারী কিছু জিনিসপত্র নিতে ভুলবেন না। যেমনঃ খুব ভালো একটা আরামদায়ক ব্যাগপেক (ঢাকার নিউমার্কেটে ৭০০-১৫০০ টাকায় ক্যামেল মাউন্টেনের খুব ভাল ব্যাগ পাওয়া যায়, কিন্তু সম্ভব হলে কেউ বাইরে থেকে প্রফেশনাল ট্রেকিং বা ক্যাম্পিং ব্যাক পেক আনাতে পারেন), ওডোমস ক্রিম, সান ক্রিম, শুকনা খাবার (চিড়া, গুর,ম্যাগি নুডলস)পানির বোতল, লাইটার, চাকু, সানগ্লাস, ক্যাপ। লিস্টের জিনিসগুলো বাংলাদেশে ট্রেকিং করার জন্যে। আমাদের দেশে মুলত ৪/৫ দিনের ট্রেক করে সবাই। দির্ঘ দিন ট্রেক করতে হলে টেন্ট, জিপিএস ইত্যাদি নিতে পারেন।
আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেকিং ডেস্টিনেশন কেওকারাডং পর্বত চুড়া। ঢাকা থেকে বাসএ বান্দারবান, এরপরে চান্দের গাড়িতে করে রুমা বাজারের পথে, সদরঘাট বলে একটা জায়গায় গাড়ি থামবে, এর পরে সাঙ্গু নদীতে নৌকায় অথবা পায়ে হেটে ৪/৫ কিলো গেলে রুমা বাজার। সেখান থেকে গাইড নিয়ে নিতে হবে। এর পরে ট্রেকাররা মুলত ঝিরি পথ অথবা মেইন রোড ধরে বনের ভিতর দিয়ে হেটে (৪/৫ ঘন্টার হাটা) বগালেকে পৌছায়। বগালেকে রাত্রিযাপন করে কেওকারাডং অথবা তাজিন ডং এর দিকে চলে যায়। এছাড়া, সাজেক ভ্যালী, তিন্ডু, সিপ্পি আরসুয়াং আরো অনেক জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন আছে।
ট্রেকিং অবশ্যই দল বেধে করতে হবে। নুন্যতম ৩ জনের দল। অবশ্যই একজন গাইড থাকা লাগবে। ট্রেকিং করার সময় ওয়াইল্ড লাইফের সম্মুখিন হবেন প্রতিনিয়ত। হরিন, সাপ, পাইথন (খুব লাকি একজনকে চিনি যিনি গেছো বাঘ পেয়েছিলেন) ইত্যাদির দেখা মিলতে পারে, কোন অবস্থায় এদের ক্ষতি করা যাবে না। বাংলাদেশের জঙ্গলগুলোতে দাবানলের ভয় খুব বেশি এ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, আর কোন অবস্থায় পাহাড়িদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করা যাবে না। সরকারী আইন ও সকল রীতি নীতি মেনে চলতে হবে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৪
সৌম্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:২১
তারিন১৯৭৫ বলেছেন: দারুন লিখেছেন। ধন্যবাদ। ++++ দিলাম আর প্রিয়তে যোগ করলাম।
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৪
সৌম্য বলেছেন: ওয়েলকাম তারিন ভাই। আমি কনফিউজ হইনাই, আপনি আপু না, ভাইয়া। ঠিক না।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৩৯
মানবী বলেছেন: এটা সত্যি খুব দুঃখজনক যে আমাদের দেশের (!)শিক্ষিতজনরাও যেখানে সেখানে অবলীলায় আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দুষন করেন। প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সংরক্ষণে এসব দুষন যে কি ভয়ানক ক্ষতিকর তা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ সচেতন নন।
আপনার এ্যাডভেচন্চারের পোস্টগুলো চমৎকার।
এটা মনে হলো অভিজ্ঞতার চেয়ে ত্রেকিং টিপস বেশি। এই পোস্টটি পড়ে একজন মানুষও যদি পরিবেশ দুষন সম্পর্কে সচেতন হন, তাহলে আপনি স্বার্থক :-)
সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ সৌম্য।
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৪১
সৌম্য বলেছেন: ট্রেকিং করে অনেক আনন্দ পাইছি। কিন্তু দল তৈরি করা, সমমনা মানুষদের এক করা এবং সময় বের করা খুব কঠিন। যদি ইন্টারেস্টেড মানুষদের এক করতে পারি তাহলে তো অনেক সুবিধা
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৪২
বরুণা বলেছেন: সাহসীরা বন ভ্রমনে যায়।দুঃসাহসীরা পাহাড়ে ওঠে।আর ভীতুরা পরিবেশ দুষন করে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৬
সৌম্য বলেছেন: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত চুড়া সাকা হাফলং এর আবিষ্কারক সাজ্জাদের সাথে বগা লেকে গেসলাম। কথায় কথায় চিল্লায় উঠে সৌম্য ভাই সিগারেট খাইলেন, বাট টা কই, দেন আমি পকেটে করে ঢাকায় নিয়ে যাব। দাবানলের সময় গেছি তো। ও একটা বস্তা নিয়া যায় ট্রেকিং এ। টুরিস্টরা যেসব ময়লা ফেলে যায় ওগুলো টূকিয়ে নিয়ে আসে ঢাকায়
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৫২
নম্রতা বলেছেন: ট্রেকিং শখ আছে সেই ছোটবেলা থেকে, করেছিও অল্প স্বল্প। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে কালই বেড়িয়ে পরি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আরো এডভেঞ্চারাস লেখা আমাদের উপহার দিবেন আশা করি! +++
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
সৌম্য বলেছেন: বগা লেক দিয়ে শুরু করেন। ওখানে আর্মি ক্যাম্প আর অন্যান্য ব্যাবস্থা ভাল। লারাম বম আর্মিদের সাহায্যে একটা কটেজ চালায়, সিয়াম দিদি নামের আরেক বম মহিলা ছোট্ট একটা খাবার ঘর চালান।
অনেকেই দাবী করে বগা লেক নাকী একটা মৃত আগ্নেয়গীরি (আশে পাশে অনেক আগ্নেয়শিলা আছে), ৩৫০০ হাজার ফিট আবোভ সী লেভেল দুর্দান্ত একটা লেক। জাফর ইকবালের টি রেক্সের সন্ধানে বইতে একটা হ্রদের কথা বলেছেন। স্যারের উপরে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি লেকটা তার বর্ননার লেকের চেয়েও হাজার গুন সুন্দর
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:০৫
দারাশিকো বলেছেন: কি আশ্চর্য বলেন তো! আমি আজই ভাবছিলাম কিভাবে ট্র্যাকিং - হ্যাকিং করা যায়, আর আপনি পোস্ট দিলেন!
আমার কিছু প্রশ্ন আছে -
- আপনি ৪/৫ দিনের বেশী হলে তাবু নিতে বল্লেন, এ কদিন থাকার ব্যবস্থা কোথায় হবে? আদিবাসীরা কি তাদের এলাকায় থাকতে দেবে? কি শর্তের বিনিময়ে?
- গাইড হিসেবে যাদের নেবো, তারা কারা? ফ্রি ল্যান্সার নাকি সরকারী কিংবা বেসরকারী?
- গাইডের খরচ সম্পর্কে কোন আইডিয়া দিলে ভালো হয়।
- নিরাপত্তা কতটুকু? পাহাড়ী এলাকাগুলো সম্পর্কে যতটা খারাপ কথা শোনা যায়, তা কি সত্যি?না হলে কতটুকু মিথ্যা?
- শীতকালে বেরোচ্ছি, সাথে কি কম্বল নিতে হবে?
পরে আরও প্রশ্ন আসছে। তৈরী থাকুন!
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৩
সৌম্য বলেছেন: বাংলাদেশে আমরা মুলত ট্রেকিং করি বম ম্রো কিংবা টিপরা এরিয়াতে। ওরা খুব ভালো। আসলে একটা পাড়া থেকে আরেক পাড়া যেতে একদিন লাগে, তাই কেউ এক পাড়ায় আসলে রাত কাটিয়ে পড়ের দিন যায়। তাই সব বাড়িতেই অতিথি রাখার ব্যাবস্থা আছে। যে কোন পাড়ায় ঢুকে কারবারীকে রিকোয়েস্ট করবেন, থাকতে দেবে
কেও কাড়াডং এ প্রফেশনাল গাইড লাগে। বাঙ্গালী গাইড লাগে, কিন্তু গাইড হিসাবে বাংগালীরা খুব বাজে। কিন্তু অন্যান্য জায়গায় সহজে লোক যায় না, ধরেন বাজার টাজার করতে কেউ শহরে আসছে, গ্রামে ফিরছে এমন কাউকে রিকোয়েস্ট করে গাইড করে নেবেন। ওরা খুব গরীব হয়। তাই কিছু টাকা পয়সা ধরায় দিবেন
নিরাপত্তা কি সম্পর্কে বলছেন? পাহাড়ে সাবধানে চলবেন। ভালো জুতা পরবেন, পারলে পড়া শূনা করবেন, বন্য জীবজন্তুকে ঘাটাবেন না, ওরাও ঘাটাবেনা। আর শান্তিবাহিনী বিলুপ্তীর পর এখন অবস্থা অনেক ভালো। কিন্তু টেরোরিস্ট কিছু আছে হয়তো, ড্যানিডার সুমনের মত দুর্ভাগ্য হলে কি আর করা।
পাহাড়ে যেহেতু অনেক উপরে, মেঘ আর অন্যান্য স্তর পাতলা দিনে অনেক গরম রাতে ভয়ঙ্কর ঠান্ডা, কম্বল নিয়েন।
জোকের হাত থেকে সাবধান, এই মাসে আরসুয়াং পর্বত উঠেছিলাম, নামার পর ঝর্নার পানিতে জামা কাপড খুলে আধা ঘন্টা শুয়ে ছিলাম, গা থেকে ৩০টা জোক বের হইছে
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:২৮
রাতুল২০০৮ বলেছেন: ভাই দারাশিকো, Easiest Way হল আগে গেছে কাঊরে সাথে নিয়া নেন। সব ANswer পথে পথে পাইয়া যাবেন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৪৬
সৌম্য বলেছেন: ঠিক। যেতে যেতেই শিখা হয়।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:১৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: দারুণ,সিম্পলি দারুণ একটা লেখা। শোকেসে গেল।
২৭ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০
সৌম্য বলেছেন: আজ সকালে পাইখং পাড়ার স্কুল টিচার লাল তুয়ার ছেং ফোন করেছিলেন, আগামী ১২ তারিখে উনাদের চন্দ্র উতসব রণীন পাড়াতে। খুব জমকালো উতসব। তাদের নিজস্ব ট্রাডিশনাল গান বাজনা আছে আর সাথে থাকে বম দের বিখ্যাত ব্যাম্বু ড্যান্স।
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৮
ভাঙা চাঁদ বলেছেন: এই ডিসেম্বরে যাইতাছি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১
সৌম্য বলেছেন: সাফল্য কামনায় রইলাম। অনেক এডভেঞ্চারাস একটা ট্রেক করেন। আর ব্লগে শেয়ার কইরেন। অপেক্ষায় রইলাম
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৩
আশফানুর আরেফিন বলেছেন: নাদাম মা সৌম্য ভাই। আপনার লেখা খুব সুন্দর হইছে। এই জন্য আপনাকে আমি কাজাংখা। লেখা বুজতে পারলে ভাল না বুজতে পারলে ফক্কর লারাম এর কাছ থেকে অনুবাদ করে নিয়েন।
মজার ব্যাপার হল যে কেউ লারাম এর কাছে গিয়ে ফক্কর বলে ও ধরে নেয় আমাদের সার্কেলের কেউ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১২
সৌম্য বলেছেন: কালো মে আরেফিন ভাই।
ঢাকায় কালো মে বললে মাইর খাবার চান্স আছে।
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:১৩
আশফানুর আরেফিন বলেছেন: বাংলাদেশ এর ট্রাকিং শেষ করে নেপাল যাবার আগে আওআজ দিয়েন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:৫৪
সৌম্য বলেছেন: মুসা ভাই ১২ তারিখে গেছেন কই জানি, মনে হয় অন্নপুর্না। সজল ভাই আগামী বছর নেপাল যাচ্ছেন, মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে। সাথে যান। আমি এখনো নভীশ। বাংলাদেশ শেষ করতে টাইম লাগবো।
১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০১
আশফানুর আরেফিন বলেছেন: ওখে। stay connected.
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩২
সৌম্য বলেছেন: আইচ্ছা
১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫০
শিবলী বলেছেন: দারুন !
আমরা আগামী কিছুদিন এর মদ্যে কেওকারাডাং যাব বলে ভাবছি।
এই নিয়ে আপনার বগা লেক পোস্ট টা কাজে দেবে,
থাংকু
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৭
সৌম্য বলেছেন: রুমা ক্যাম্পের সৈনিক তারেক সম্পর্কে সাবধান। অতি বদ লোক। লারাম বম নামের একটা ছেলে আছে। ও অনেক কাজের লোক। চাল্লু বেশী তাই বদনাম। কেওকারাডং এ রেডিও ফুর্তি শূনা যায়। টেলিটকের সিম নিয়া যাইয়েন,
১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২০
শিবলী বলেছেন: হুম লারাম বম কে আমাডের আগের দল টা পেয়েছিল। ওরা -ও ওকে নিতে বলল।
তারেক মিয়ারে নিয়া কি করতে হৈব?
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০৫
সৌম্য বলেছেন: অতিশয় তেড়া একটা লোকজন। সুর্য ডোবার পর চলাচল নিষেধ। ৪টার পর তাই পার্মিশান দেয় না। একজন জেসিও আমাগো পার্মিশান দিছিলো। যেই সেই লোক পেট্রোলিং এ গেল আমাগো কয় যাইবার দিমু না। ব্যাগ প্যাক নিয়া ৩/৪ মাইল দৌড়ায়া ওনারে ধরলাম। রেডিওতে কই দিল ছাইড়া দাও। ক্যাম্পে আসার পরে কয় স্যার তো ১৫ মিনিট আগে কইছে যাইতে, ১৫ মিনিট পর আর দিমু না, আমাগো তো পাখা নাই যে, উইড়া উইড়া মাইল খানেক রাস্তা সাথে সাথে আসবো। পরে অনেক গেঞ্জাম হইছিলো। ৫৪ ধারা জানেন তো। সন্দেহ জনক গতিবিধি।
১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৯
শিবলী বলেছেন: খাইছে রে...
তয় পাম পুম দিলেও কাম হয়না?
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:১৬
সৌম্য বলেছেন: বজ্জাত।
১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৮
"নিরব" বলেছেন: দারুন লিখেছেন। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ....প্রিয়তে যোগ করলাম।
১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৩
"নিরব" বলেছেন:
লেখক বলেছেন: করে অনেক আনন্দ পাইছি। কিন্তু দল তৈরি করা, এক করা এবং সময় বের করা খুব কঠিন। যদি ইন্টারেস্টেড মানুষদের এক করতে পারি তাহলে তো অনেক সুবিধা
------------------------------------
ভাইরে তিন বছর ধইরা শুধু প্ল্যান করেই যাচ্ছি বান্দবান ট্রেকিং করার। কিন্তু সমমনা মানুষ ও সময় করে উঠতে পারছিনা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩২
সৌম্য বলেছেন: কয়েকটা এডভেঞ্চার ট্রিপের কথা জানাতে পারি।
১। বড়দিনের সময় পাহাড়ে অনেক উতসব হবে। এসময় অনেক গুলা টিম গভীরে যাবে। খোজ করলেই পাবেন
২। জানুয়ারীতে আমরা একটা দল যাব। সাকা হাফলং প্রাইমারী টার্গেট। থানছির অবস্থা গরম। না পারলে রাইখাং লেক। পথে কেওক্রাডং আর বগা লেক তো পড়বেই।
৩। ডিসেম্বরে একটা দল নৌকা নিয়ে যাবে ঢাকা টু সেন্ট মার্টিন। এটাও মজার হবার কথা।
১৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩০
"নিরব" বলেছেন: আপনার ভ্রমন বিষয়ক পোষ্ট গুলি আমাকে কি ই-মেইল করতে পারবেন।
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৪১
সুবিদ্ বলেছেন: আমাদের কেওকারাডং ট্রেকিংয়ে ঠিক করা গাইডকে বগা লেকে গিয়ে বিশ্রামের পরে আর খুঁজে না পেয়ে অবশেষে এক ভাইয়াকে পেলাম যার নেশাই হলো পাহাড় চড়া......সেটা ছিল তার ৩৭তম বার কেওকারাডং ওঠা.....প্রথমে চাপাবাজি ভাবলেও পাহাড় সম্মন্ধে তার ধারণা, কৌশল আর উৎসাহ দেখে বিশ্বাস করেছি......
ঢাকা আসর পরেও কয়েকবার ফোন দিয়েছেন, আমরা আবার যাব কিনা.....কিন্তু সময়-সুযোগ (হয়তো ইচ্ছাও) আর হয়ে ওঠেনি......এতদিনে উনার হয়তো হাফ সেঞ্চুরী হয়ে গেছে......
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৪১
সৌম্য বলেছেন: ৩৭বার কে উঠেছেন? নামটা মনে আছে কি?
আমার জানামতে সবচেয়ে বেশী বার কেওকারাডং পিকে ট্রেক করেছেন মীর শামসুল আলম বাবু ভাই।
১৩ তারিখে আমরা আবার যাচ্ছি। বাবু ভাইও যাচ্ছেন। উনার ৩৪তম কেওকারাডং ট্রেক। আমার চতুর্থ।
২০| ২৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৪৫
সুবিদ্ বলেছেন: ওহ.....স্যরি ভাইয়া......একটু গড়বড় করে ফেলছি সংখ্যায়, অনেক আগের কথা তো......উনার নাম.......আনোয়ার হোসেন চৌধুরী......উনি সর্বমোট ২৫বার গেছেন........নাম্বার লাগলে দিতে পারি.....
২১| ১০ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৯
হামিদ পায়োনিয়ার বলেছেন: আমার এই বিষয়ে বেশ আগ্রহ থাকলেও হয়ে ওঠে নাই। ভাল কোন দলের সন্ধান আমাকে দিলে আমিও একটু ট্রেকিং করতাম।যারা আমাকে এই বিষয়ে অবশ্যই সাহায্য করবে।
আর আপনাদের সাথে নিতে চাইলে কিন্তু আমি একপায়ে খাড়া।
আপনার লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগল। ধন্যবাদ এবং +
২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:১০
সায়েন্স জোন বলেছেন: vai. apnar TREKKING bisoyok post gulo pore ami boroi onupranito vai apnar sathe aktu contact korte chai. TREKKING korar itca amar matha chara diYa utce. vai apnar aktu help & tips chai apni jodi kindly apnar sathe contact kamne kormu ta koiYa diten or apnar cell no. Yahoo messanger id diten boroi upokar hoitow.
bro, jodi apnar kono apotti na thake then kindly apnar cell no. Yahoo messanger id ta jodi amay
[email protected]
mail kore diten.
২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮
ঘরকাতুরে বলেছেন: কই আছিলেন এতো দিন। আপনার সাথে আগে ক্যান দেখ্যা হইল না। আফসোস। ভাই আমার অক্ষনি যাইতে ইচ্ছা করতাছে। আমার পার্টনারে রেডি। খালি সাহস হয় না। আমারে নিতে পার্টনারে আমারে নিতে চায় না। আট্টু কষ্ট করবেন। একটা ম্যাপ দিতে পারবেন?
২৪| ১১ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৮
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: কাপ্তাই নেভী ক্যাম্পে থাকার সময় মধু আর অর্কিড ফুল খুজতাম আর গভীর বনে ট্রেকিং, ব্যাগ পেকিং আর হাইকিং, এডভেঞ্চার করা হইতো সব্বোচ্চ ১২ দিন । সে আরেক দুনিয়া ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৮:৫৯
তামিম ইরফান বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য....প্রিয়তে নিলাম।