নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখবো এবার জগতটাকে...

::::: দেখবো এবার জগতটাকে :::::

সৌম্য

আমি সাঈদ সৌম্য। ঘুরা ঘুরি করতে ভাল্লাগে আমার ব্যাক্তিগত সাইট http://www.shoummo.com/

সৌম্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

এডভেঞ্চার পুবের পাহাড়। সবচেয়ে উচু পর্বত শিখরে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৫



চিম্বুকের চুড়ায় রেস্টুরেন্ট থেকে। সকাল ১১টাতেও প্রচুর মেঘ...



পূর্ব কথনঃ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়া কোনটি তা নিয়ে বিতর্ক অনেক দিনের। কেওকারা-ডং এর চুড়ায় সেনাবাহিনীর লাগানো পাথরের ফলকে উচ্চতা লেখা আছে ৩১৭৬ফুট। এখন জিপিএস রিডিং অনুযায়ী সবাই ৩১৯৬ফুটকে সঠিক বলে ধরে নেয়। সবচেয়ে বিতর্কিত চুড়া মনে হয় তাজিনডং। থানছির ভৌগলিক প্রকৃতি অনেক বেশী উচু নিচু আর দুর্গম; রুমার তুলনায়। তাই কেওকারাডং এ ওঠার চেয়ে তাজিংডং উঠা সবসময় একটু বেশী কষ্টের। অনেকেই কোন ধরনের পরিমাপ ছাড়াই এটাকে শীর্ষ চুড়া বলা শুরু করে দেয়। কেওকারাডং এর সাথে পরিচয়ের অনেক পরে তাজিনডং এর নাম বই পত্রে আসতে থাকে। নতুন চুড়াটাকেই বই পত্রে শীর্ষচুড়া লিখে ফেলতে থাকে লোকজন। আসল ভেজাল লাগলো ৯৭ সালে শান্তিচুক্তির সময়। সরকারী ভাবে চুড়াটার নাম পরিবর্তন করে “বিজয় পর্বত” রেখে পাঠ্য বইতে জোর করে বাংলাদেশের উচ্চতম চুড়া বলে চালিয়ে দেয়া হয়। অথচ কেওকারাডং এর প্রায় ৩২০০ ফুটের সামনে তাজিনডং এর ২৭০০ ফুটের একটু বেশী উচ্চতা বেশ হাস্যকর। তাজিনডং এর ৩টি চুড়া। তাজিনডং (সবচেয়ে উচুটা), লং-ফে ডং এবং চিনচিরময় কোনটাই ২৮০০ফুট নয়।



তাজিনডং... শেরকর পাড়ার দিক হতে। আরো দুটো রাউন্ড দিয়ে উঠতে হবে...



তাজিনডং এর চুড়ায় জিপিএস রিডিং ২৭১০ফুট। ১৫ফুট +/-



বাংলাদেশ আর্মির কাছে ডিটেইলস ম্যাপ আছে, কিন্তু সামরিক খাতিরে সেটা সর্বসাধারনের ধরা ছোঁবার বাইরে। অথচ গুগল আর্থের কল্যানে আমরা ঘরে বসেই দুর্গম সব জায়গা গুলো চষে বেড়াতে পারি। প্রসঙ্গক্রমে বলি। ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে আগে ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ আর্মিরা বান্দারবানের উচু পিক গুলোর একটা সামরিক ম্যাপ বানায়। সিআইএ তাদের সংগ্রহে ম্যাপটা পরে উন্মুক্ত করে দেয়। ব্লগার রাব্বি ভাইএর কল্যানে ম্যাপটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ১৯৩৫সালের ম্যাপটার অনেক মজার বিষয় আছে। ২০০৮ সালে আমরা সিপ্পি পর্বত চুড়ায় ট্রেক করি। সিপ্পির ৩টা পিকের মাঝে সর্বোচ্চ আরসুয়াং এর উচ্চতা (সম্ভবত বাংলাদেশের ৪র্থ শীর্ষ চুড়া) আমরা পাই ৩০২০ফুট। ব্রিটিশদের ম্যাপে অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ মিলিয়ে একই স্থানে যেই চুড়োটা আছে তার নাম দেয়া “রাইমু তল্যাং” (বম ভাষায় তল্যাং মানে চুড়া), যেই যুগে জিপিএস ছিলনা। রাইমু-তল্যাং এর উচ্চতা লিখা ৩০২২ফুট। আশ্চর্য রকম ভাবে মিলে যায়।



মেঘে ঢাকা সিপ্পি আরসুয়াং। ৩০২০ফুট। রনীং পাড়া থেকে।



থানছির দক্ষিন-পুবে মদক মোয়াল। অনেক বই পত্রে শীর্ষ চুড়া হিসাবে মদক মোয়াল লেখা থাকে। মজার ব্যাপার মোয়াল মানে পাহাড়ের সারি বা রেঞ্জ। যেমন চিম্বুক রেঞ্জ, কেওকারাডং রেঞ্জ তেমনি মদক রেঞ্জ। ছোট মদক থেকে বেশ কিছুটা দূরে আরেকটা বিশাল চুড়া আছে। যেটা কিনা একদম মায়ানমার বর্ডার ঘেষে। বাংলাদেশের সর্বশেষ পার্বত্য চুড়া। কোন দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা ঠিক করে কোন প্রমিনেন্ট নদী বা পাহাড়ের রিজ ধরে। ঐ পাহাড়টা বরাবর বাংলাদেশ আর মায়ানমারের বর্ডার। যদিও গুগল আর্থে মুল চুড়াটাকে মায়ানমারের ভিতরে দেখায়। কিন্তু বাস্তবে গেলে দেখা যায় রিজের নিচ দিয়ে সীমান্ত পিলার গুলো। নিশ্চিত ভাবে চুড়াটা বাংলাদেশের। ১৯৩৫ সালের ম্যাপে চুড়াটার নাম দেয়া মদক-তোয়াং। উচ্চতা লেখা ৩৪৬৫ফুট, কেওকারাডং এর চেয়ে প্রায় ৩০০ ফুট বেশী। মদক রেঞ্জের (মোয়াল) এক্সটেন্ডেড পার্ট মনে হলেও মদক তোয়াং সম্পুর্ন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পিক। সিআইএর ম্যাপের মদক তোয়াং এর যেই অবস্থানে বাস্তবে ওখানকার লোকেরা পাহাড়টাকে মদক তোয়াং বলে চেনেনা। থানছির গভিরে প্রায় সব কটা উচু চুড়া থেকে ঐ চুড়াটাকে পরিষ্কার দেখা যায়। বমরা বলে তল্যাং ময়। তল্যাং মানে চুড়া আর ময় মানে সুন্দর। অর্থাৎ সুন্দর চুড়া। পাহাড়ের খুব কাছের গ্রাম শালুকিয়া পাড়া। গ্রামবাসীরা ত্রিপুরা আদিবাসী। ওরা ডাকে “সাকা হাফং” বলে। যার অর্থ “পুবের পাহাড়”।



চূড়ার কনক্রিটের ছাউনিটাই কেওকারাডং। গাড়ির রাস্তা থেকে। এই রাস্তাটা এ বছরে নষ্ট হইছে। ট্রেকিং ছাড়া গতী নাই। :)



পুবের পাহাড়ে প্রথম অভিযাত্রি ছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ এক্সপ্লোরার জীন ফুলেন। জীন ফুলেন প্রথম ব্যাক্তি হিসাবে ইউরোপের সবগুলো পর্বত চুড়ায় আরোহন করে গীনেজ রেকর্ড গড়েন। এর পরে বের হন আরো বেশী কিছু করতে। ১৯৪টা স্বাধীন রাষ্ট্রের মাঝে ১৪৯টায় গিয়ে সবচেয়ে উচু চুড়ায় উঠে নতুন গিনেজ রেকর্ড গড়েন। জীন ফুলেন এই রেকর্ড গড়তে ২০০৬সালে থানছি আসেন। বাকলাই পাড়ার স্কুল শিক্ষক লাল-ময় বম কে নিয়ে উনি তল্যাং ময় উঠেন। উনি চুড়ায় নিয়ম অনুযায়ী চিঠি লিখে আসেন পরবর্তি অভিযাত্রীদের জন্যে। তাতে উচ্চতা লিখা ছিল ৩৪৯১ফুট। কিন্তু বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যম মোটেও পাত্তা দেয়নি ব্যাপারটাকে। পড়ের বছর ২০০৭ এর ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো বাংগালী ট্রেকারেরা পাহাড়টা জয় করে। বিএমটিসি (বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এন্ড ট্রেকিং ক্লাব) এবং নেচার এডভেঞ্চার ক্লাব দু-দলই প্রথম পা রাখা দল হিসাবে দাবী করে। বিএমটিসি পাহাড়টির নাম রাখে তল্যাং ময় (বম) আর নেচার এডভেঞ্চার রাখে সাকা হাফং (ত্রিপুরা)। বাংলাদেশের প্রেসে উচ্চতা হিসাবে নেচার ক্লাবের হয়ে আলম ভাইএর জিপিএস রিডিং ৩৪৮৮ফুটকে গ্রহন করে নেয়।



তল্যাং ময় (বম) বা সাকা হাফং (ত্রিপুরা)। অথবা ব্রিটিশ আর্মির ম্যাপের মদক-তোয়াং। দোনারাং পাড়া, রেমাক্রি থেকে।





সাকা হাফং বা তল্যাং ময়ের জিপিএস এলিভেশান। ডেভিয়েশান ১৩ফুট। আমরা সর্বোচ্চ ৩৪৯০ পাইছি, সর্বনিম্ন ৩৪৬০ফুট। এভারেজে ৩৪৭৫এর আশে পাশে ছিল বেশীরভাগ সময়।



২০০৮সালে সাকা হাফং বা তল্যাং ময় এর নাম শুনি নেচার ক্লাব আর বিএমটিসির কাছে। কিন্তু যাবার সুযোগ বা সামর্থ কিছুই হয়ে উঠেনি। ২০০৮ এবং এবং এ বছর আরো ২টি দল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়ায় পা রাখে। পরের দল তৈরির আপ্রান চেষ্টা করেও সফল হই নি। শেষে প্রথম দলের সদস্য আলম ভাই রাজী হলেন। আমি আর আলম ভাই রওনা হলাম ১০ডিসেম্বর রাতের বাসে। মায়ানমার সীমান্তের একদম গা ঘেষে থাকা রহস্যময় জঙ্গল আর অদ্ভুত সুন্দরী রেমাক্রির কোলে দাঁড়ানো চুড়ার দিকে। ওখানে দিনের বেলাতেও হরীণের পাল ঘুড়ে বেড়ায়। বন্য ময়ুর-বন মোরগের পাশা পাশি, ভাল্লুক, মেছো বাঘ আর দাঁতালো বন্য শুকর। আর আছে কালাবাহিনী (আরাকান লিবারেশন আর্মি) আর অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি সংগঠনের নাম। আমাদের দলে সদস্য মাত্র দুজন। দুটো জিপিএস আর বিশাল সাইজের দুই ব্যাগ প্যাক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সাকা হাফং এর দিকে। প্রথমে তাজিনডং এর পরে সাকা হাফং (তল্যাং ময়) সবশেষে কেওকারাডং মেপে দেখবো।



(চলবে)...................................................................

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাহলে সর্বোচ্চ চুড়া কোন্‌টি?

লেখা ভালো লেগেছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৪

সৌম্য বলেছেন: যেটার গল্প বলা শুরু করলাম। থানছির উচু পর্বতগুলোর আশে পাশের সবাই ওটাকে দুর থেকেই চিনায়া দেয় তল্যাং ময় বলে। কিন্তু তল্যাং ময়ের ত্রিপুরারা বলে সাকা হাফং বা পুবের পাহাড়। আর ব্রিটিশরা লিখে রেখেছিল মদক তোয়াং।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৬

অক্টোপাস বলেছেন: চমৎকার লাগলো! এমন লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
----------------
ঠিক একবছর আগে এই সময় বগালেকে ছিলাম!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৯

সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ। এখন ট্যুরিস্টে একদম ভর্তি। মজা পাবেন না।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: চলুক। যাইতে পারলে ব্যাপক হইতো, ছুটি পাই না। :( তাইলে সাকা হাফং বা তল্যাং ময়-ই সর্বোচ্চ? এইটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা যায় না?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৩

সৌম্য বলেছেন: আসলেই ব্যাপক। ওখানকার আনটাচড ওয়াইল্ড লাইফের গল্প শুরু করলে ব্যাপক হিংসা লাগবে। ফেসবুকে দেখেন চিতা বিড়ালের ছবি দিছি।

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪১

চন্দন বলেছেন: সৌম্য ভাই আগামী ২৬শে ডিসেম্বর রাতে রওয়ানা দিচ্ছি পুবের পাহাড়ের দিকে :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৫

সৌম্য বলেছেন: আজকে বাবু ভাই ফোন দিছিলেন। বললেন তিনিও নাকি যাচ্ছেন। আর খান ভাইতো আছেনই। তার সাথে আলাপ হইলো ঢাকায় পা রাখার সাথে সাথে। বিএমটিসির ফার্স্ট টিমটাতে খান ভাইও ছিলেন।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৬

নক্ষত্র জ্যোতি বলেছেন: ++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৬

সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যোতি ভাই।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৭

চন্দন বলেছেন: হ্যা বাবু ভাই আর খান ভাই যাচ্ছেন আমাদের সাথে

Click This Link

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৬

সৌম্য বলেছেন: জীন ফুলেনের লিখে রাখা চিঠিটা এখন আছে বিএমটিসির সজল ভাইএর কাছে। আর ন্যাচার ক্লাবের সাজ্জাদের লেখা চিঠিটা আছে আকাশ ভাইএর কাছে। চুড়ায় দেখবেন পেপসির বোতলের একটু খানি বের হয়ে আছে। ওতে আমার আর আলম ভাইয়ের সাইন করা ৩য় চিঠিটা পাবেন। পরের এক্সপিডিশানের জন্যে শুভেচ্ছা চিঠি রেখে আমাদেরটা নিয়া আইসেন।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫১

নীল ভোমরা বলেছেন: তথ্যবহুল ভাল লেখা! তল্যাং ময়-এর নাম নতুন শুনলাম! কিন্তু তাজিংডন-এর সর্বোচ্চ চূড়ার নাম জানতান সাফা হালং! সাফা হালং নিশ্চয়ই সাকা হাফং নয়!? আপনার পোষ্ট পড়ে বুঝলাম... এতদিন আমি ভুল জানতাম। যেতে হবে... তল্যাং ময়।! আপনার এই পোষ্টের জন্য ক্লিনিক প্লাস!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১০

সৌম্য বলেছেন: ২০০৭এর ২৫এ ডিসেম্বর প্রথম অভিযান হয়। ২০০৮এর জানুয়ারীর দিকে পেপারে সাকা হাফং নামটা আসে। সাফা হালং নামটা কোন দিন শুনি নাই। বম রা তাজিন ডং উচ্চারন করে তার্জিনডং আর ম্রো-রা বলে তার্সিন-দং। যদিও শব্দটা মারমা ভাষার। মারমা তে ডং মানে পাহাড়। তাজিন ডং মানে সবচেয়ে উচু পাহাড়।
তাজিন ডং এর ৩টা চুড়া। তাজিন ডং মেইন পিক, যেখানে সাধারনত সবাই যায়। এছাড়া চিনচিরময় আর লং-ফে ডং নামের আলাদা দুটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট পিক আছে। অনেকেই চিঞ্চিরময়কে মুল পিকের চেয়ে উচু বলে। কারন দুরের পাড়া গুলো থেকে চিঞ্চিরময়কে তাজিনডং এর চেয়ে উচু লাগে। কিন্তু তাজিনডং এর চুড়া থেকে চিঞ্চির ময়ের চুড়া দেখতে পরিষ্কার নিচে তাকাতে লাগে।
লং-ফে ডং এ বেয়ে উঠার কোন রাস্তা নাই। জুমারিং কিংবা সত্যিকারের মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্যে ঝুলে ঝুলে উঠতে হবে।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫২

মুক্ত বয়ান বলেছেন: ব্যাপক। বহুতদিন নিখোঁজ। এইসব কামে বিজি আছিলেন মনে লয়। :)
++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৮

সৌম্য বলেছেন: হ ভাই। ১০ দিন ধইরা প্রতিদিন এক বেলা খাইছি। তাও সিদ্ধ নুডলস। এক ফোঁটা আলু পর্যন্ত নাই। গাইড পাইনাই। রাত্রে বেলা শর্ট কার্ট মারতে গিয়া ভাল্লুকের আড্ডায় ঢুইকা পড়ছিলাম। কি যে কষ্ট।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০১

দ্যা ডক্টর বলেছেন: আমার বলার ভাষা নাই..... তেমন টাইপ জটিল।
যেতে পারলে এই লিখাটায় আমার নামও থাকত।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫২

সৌম্য বলেছেন: হা হা হা। আপনেরে কত ঝুলা ঝুলি করলাম। শেষে মোটে ২ জন মিলে ৩টা মেজর সামিট করছি। মিস করছেন অনেক কিছু।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১০

লুথা বলেছেন: ++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৪

সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৫

তারার হাসি বলেছেন:
খুব ভাল লাগল, ভ্রমণ কাহিনীগুলি এমন তথ্যসমৃদ্ব হওয়া উচিৎ। ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২০

সৌম্য বলেছেন: হা হা হা। এটা গল্প শুরুর আগের প্রস্তাবনা। দুঃখের ব্যাপার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়া নিয়ে এত ভুল ইনফর্মেশান আছে, তাই একটু পাহাড়টাকে চেনানোর জন্যে এত হাবি জাবি।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৬

রংমিস্ত্রী বলেছেন: রোমাঞ্চিত হলাম!

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৭

রংমিস্ত্রী বলেছেন: রোমাঞ্চিত হলাম!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৯

সৌম্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫২

ঘু্ড্ডি বলেছেন: পোস্ট টা ভাল হয়েছে, কিন্তু ছবিগুলো দেখে পুরোনো ফিল্ম এ তোলা মনে হচ্ছে, কাহিনীর বর্ণনা কেমন যেনো wikipedia আর কিছু internet site এর দেয়া তথ্যের মতো লাগছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৪

সৌম্য বলেছেন: উইকিপিডিয়াতে বাংলাদেশের পাহাড়গুলো নিয়া যেই সব তথ্য আছে সেগুলান অতি অদ্ভুত। আমি কিছু এডিট করছিলাম। পরে দেখি আবার আগের গুলাই দিছে। বগালেকের পানি ক্ষারীয় সেখানে কোন জলজ প্রানী বাস করে না এমন তথ্য পাবেন উইকিপিডিয়াতে গেলে।

১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৩

যীশূ বলেছেন: প্রচুর তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ। :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৭

সৌম্য বলেছেন: বিটিএফএর প্রদর্শনীতে আপনার ছবি খুজলাম। কিন্তু আপনার ফুল নাম তো জানি না। মুনতাসির ভাইএর ছবি পাইলাম।

১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০২

পুরাতন বলেছেন: ভালুকের সাথে আড্ডা কেমন হইল কইলেননাতো :)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৬

সৌম্য বলেছেন: হা হা হা। সোজা উলটা দিকে দৌড়...

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৫

রাজিব শাহরিয়ার বলেছেন: এত্তোদিন কই ছিলেন??
যা এক্খান ট্যুর দিলেন .... এক্ষুনিতো চলে যেতে ইচ্ছে করছে....
দারুন পোস্ট ....+

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫২

সৌম্য বলেছেন: ৭ দিন একবেলা করে খাইছি। রেমাক্রি ধরে মদকের দিকে। গভীরে... পাহাড়ের নাম সাকা হাফং। ঐ জঙ্গলে ছিলাম। দুর্দান্ত।

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২০

বাংলাদেশী সাইকেল ভ্রমণকারী বলেছেন: চালিয়ে যাও, সৌম্য। শুভকামনা, ফেব্রুয়ারীর জন্য তোলা রইলো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯

সৌম্য বলেছেন: ধইন্যাপাতা সাঈদ ভাই। ফেব্রুয়ারীতে বীচ ওয়াকিং। কক্সবাজার টু শাহ-পরী দ্বীপ।

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জানজাবিদ বলেছেন: আপনার সবগুলো ভ্রমণকাহিনী একসাথে করে একটা বই বের করলে মন্দ হতো না। এ বছর বা আগামী বছর জিনিসটা ভেবে দেখবেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৬

সৌম্য বলেছেন: হা হাহা।
আমার ট্রাভেলগ গুলার হিট আর এমনি আউল ফাউল বিষয়গুলোর পোস্ট গুলোর হিট। ট্রাভেলগ এত কম যে, দুষ্কে পরান ফাইট্টা যায়।

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব বলেছেন: প্রফাইল পিকে ইলিশ ধরা ট্রলারের ছবিটি আবার ফিরে এসেছে দেখছি। ছবিটি খুব ভালো লাগে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০

সৌম্য বলেছেন: যাবেন্নি এই বর্ষায় ইলিশ শিকারে, উত্তাল সাগরে উথাল পাথাল ঢেউ, ছোট্ট বাদাম খোসার মতো ট্রলার আর ঐ অঞ্চলে বোম্বেটেদের ভয়ঙ্কর অত্যাচার। সত্যিকারের এডভেঞ্চার।

২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব বলেছেন: জানজাবিদ বলেছেন: আপনার সবগুলো ভ্রমণকাহিনী একসাথে করে একটা বই বের করলে মন্দ হতো না। এ বছর বা আগামী বছর জিনিসটা ভেবে দেখবেন।

একমত।

যদি বই আকারে বিক্রি করতে না চান ই-বুক আকারে প্রকাশ করতে পারেন। আমরা পড়তে পারব এবং অনেকের উপকার হবে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৫

সৌম্য বলেছেন: পিডিএফের ব্যাপারটা দারুন। ইচ্ছা আছে।
ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৮

সিংহ বলেছেন: Ekta off topic question chilo. Mone holo apni janben.


"Bangladesh Army 'r sobai Ak-47 ke Sub-Mahinegun bole. Oneklei dekkhechi AK-47 ke smg o bolen. Kintu Onno deshe etake sobai bole assault Rifle (Automatic). Ebong smg er Category te tara mention kore ak-74u, MP5, Uzis (small version), P-90 (Walter),Skorpion (vz. 61) esob ke. Ar Assault Rifle hisebe AK-47 er equivalent bole American M4 Carbine, M14, G3 etc. ke.
Er karon ki ??"

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৩

সৌম্য বলেছেন: কইতে পারলাম না। বেসিকালি মাস্কেট থেকে ছোট ব্যারেলের অস্ত্র আবিষ্কার হবার পরে কারবাইন ধারনাটা চালু হলো। আর অটোমেটিক এতই কার্যকর দেখে মেশিন গানকে ক্ষুদ্রাস্ত্রে পরিনত করতে সবাই উঠে পরে লাগলো। মেশিনগান চালাইতে ৩জন লাগে। আর এরচেয়ে ছোট হালকাটা লাইট মেশিনগান আর তার চাইতেও হালকা যেটা স্মল আর্মস একজন সৈন্যের ব্যাক্তিগত অস্ত্র সেটাই সাবমেশিন গান। যেমন বড় বাস আর মাইক্রোবাস। তবে এক্সপার্টরা শিউর কইতে পারবে আসল কারন।

২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৩

দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগলো...:) আরো ছবি দিলেন না কেন! ট্রেকিংয়ের ছবি কৈ!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৭

সৌম্য বলেছেন: পরের পর্ব গুলা যদি লিখতে পারি তাইলে দিয়া দিব।

২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫২

পাথুরে বলেছেন: স্যালুট বস্

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২০

সৌম্য বলেছেন: তল্যাং ময়ে আমাদের আগে গত ১ বছরে আরো ৩টা টিম উঠছে। সত্যিকারের উচু পর্বতটাকে পিনপয়েন্ট ভাবে যারা খুজে বের করেছে স্যালুট তাদের জন্যে।

২৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৬

ঘাসফুল বলেছেন: চলা শেষ হবে কবে বস ?... জনগন অপেক্ষায়... :(


প্রিয়তে নিলাম পোষ্টটা...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:০৭

সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ ফুল ভাই।
খুব ব্যাস্ত দিন কাটাইলাম। খুব শিঘ্রি।

২৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪২

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এই পর্বটা পড়ছি মনে হয় ৩৬ বছর আগে! :) দ্বিতীয় পর্ব দিতে এতো দেরি কেন?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৬

সৌম্য বলেছেন: এই মাত্র ওয়ার্ডে লিখে শেষ করলাম। কিন্তু নেট এত স্লো যে ছবি আপলোড করতে পারতেছি না। ইনশাল্লাহ কালকে পোস্টাইতে পারবো।

২৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫৭

মুনশিয়ানা বলেছেন: ভাল লাগলো সৌম্য, চালিয়ে যান, আছি পোষ্টের সাথে।

কি করুম বয়ষ হয়ে গেছে, না হলে আপনার সাথে ঝুলে পড়তাম।

আগামী পর্বের অপেক্ষায়।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৫

সৌম্য বলেছেন: পোস্ট দিছি। পড়ে নিয়েন। :#)

২৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৪৮

কাউসার রুশো বলেছেন: ব্লগার রাব্বি ভাইয়ের ম্যাপেরলিংকটা কী পাওয়া যাবে??

২৯| ০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

দূরন্ত প্রজাপতি বলেছেন: কবে যাব?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.