![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রফিক তখন পুলিশের অত্যচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রভাষা বাংলাচাই স্লোগানে সোচ্চার।
হঠাৎ আকাশ কাপিয়ে ছাত্রজনতা কে লক্ষ করে
গর্জে উঠল কাপুরুষের থ্রি নট থ্রি রাইফেল।
রফিক দৌরে চলে আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে।
ঠিক তখনি বাতাস চিরে আকর্ষিক একটি তপ্ত সীসা রুদ্ধ করে দেয় রফিকের কন্ঠ।
উরে যায় মাথার খুলি
ছিটকে বেরিয়ে আসে মগজ!
মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নাম্বার রুমের পূর্ব দিকে তার লাশ পরে ছিল।
৬-৭ জন ধরাধরি করে তার লাশ এনাটমি হলের বারান্দায় এনে রাখেন।তারপর রফিকের গুলিবিদ্ধ লাশ যখন নিয়ে আসা হয় মেডিকেল কলেজের মধ্যবর্তী গেটে।
নার্স,ওয়াডবয় রা ক্রোধে চিৎকার করে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকে।
বুলেড়ে উরে যাওয়া লাশটির খুলি থেকে তখন ধোয়া বেরুচ্ছিল।
সে এক বিভৎস দৃশ্য!!!
বসন্তের রাঙা বিকেলে শানাইয়ের সুর,বিয়ের শাড়ী আর গয়না নিয়ে যে তরুন তার প্রিয়তমা কে ঘরে তুলবে বলে কথা দিয়ে ছিল
মাত্র ২৫ বছর ৩ মাস ২২ দিন বয়সে রাতের অন্ধকারে ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুফ ও মওলানা আব্দুল গফুরের তত্ত্বাবধায়নে শুইয়ে দেয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে।
রফিকের উরে যাওয়া মাথার খুলি,রাজপথে লেগে থাকা মগজের কোষ!
বাংলার জমিনে অ,আ,ক,খ হয়ে দিপ্তি ছরায়।
যার বহমান স্পন্দন ছুয়ে যায় ৬৯,৭১
আর প্রায় অর্ধশত বছর পর ২১শে ফেব্রুয়ারী মর্যাদা পায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
[এটা একটা নাম না যানা লেখকের কবিতা।রেডিও ভুমি থেকে রেকর্ড করে মুখস্ত করে এই পোস্ট করা হইছে]
©somewhere in net ltd.