নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহরিয়ার পলক

গল্প উপন্যাসে আগ্রহী একা প্রবাসী মানুষ। খুব বেশি লিখালিখি করতে পারি না। মাঝে মাঝে মনের কথা বলার চেষ্টা করি। মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই সবসময়।

শাহরিয়ার পলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি দরিদ্র আগে তারপর আবেগী

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

আপনি যদি বাংলাদেশে খেয়ে পড়ে বেচে থাকতে না পারলেন তাহলে রাজাকারের বিচার চাওয়া বা না চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। একটু লক্ষ করলে হয়তো দেখবেন গেলো সপ্তাহে শুধু একদিন বাদে বাকি সব দিন হরতাল ছিল। এর অর্থ কি বলতে পারেন ? দরিদ্র সীমার উপরে যারা আছে তাদের হয়তো খুব বেশি ক্ষতি হচ্ছে না বা হলেও তারা তা কাটিয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। যেখানে প্রতিদিন কাজ করে তাদের নুন আনতে পান্তা ফুঁড়ায়, সেখানে চার দিন কাজ করতে পারে নি তারা। গাড়ি চালক, হকার, রিক্সা চালক, পথ ব্যাবসায়ী এমন কি রাস্তায় ভিক্ষা দেওয়ার মতো মানুষ না পেয়ে ভিক্ষুকের মুখ দিয়েও তখন বের হবে, আমি ফাঁসি চাই না, হরতাল ও চাই না, বম বা গুলি খাইয়া মরতেও চাই না।

হরতালের কারনে মালামাল পরিবহন বন্ধ। এর অর্থ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। তাতে দরিদ্র মানুষ বাদ দিলাম, একটা বিপুল অংশ মধ্য বৃত্ত যাদের গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না একসময়।



যেখানে আমাদের অর্থনীতির কোমর ভাঙ্গা সেখানে আমরা ৪২ বছর আগের রাজাকারদের পেছনে দৌড়িয়ে হয়তো ফাঁসি আদায় করবো কিন্তু সেই ফাঁসির মূল্য যে কত বড় দিতে হচ্ছে তা আমরা পত্রিকা দেখলেই বুঝতে পারছি। হয়তো রাজাকার শেষ করতে করতে আমরা সত্যি সত্যি ৪২ বছর পেছনে চলে যাবো। নতুন কর শুরু করতে হবে এই দেশটাকে...



আমরা ৪২ বছর পর এসে রাজাকার নির্মূল করতে আমাদের সব কিছু বিলিয়ে দিচ্ছি। কেন ভাই? আগে কি হয়েছিলো? গত ৪২ বছর তো ঠিকই রাজাকারদের সাথে আপস করে থেকেছি এই দেশে। আগে তারা এতটা শক্তিশালী ছিল না, কিন্তু এখন তাদের হিংস্রতা দেখলে বুঝা যায় তারা কতটা সঙ্গবদ্ধ। তবে আরো আগে কেন রাজাকারের বিচার চাই নি?



আমিও রাজাকারের বিচার চাই। তাই বলে আমি চাই না ঐ দু-একজন কুকুরের জন্য আমাদের দেশের শত শত মানুষ মারা যাক। দেশটা জাহান্নামে পরিণত হোক। যদি আপস করতে না চান তাহলে আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে সেটা জেনে নিন এবং তা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: এই সময়ে এই অবস্থায় এসে পিছু হটার কোন উপায় নেই। আপনার এখন মনে হতেই পারে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারিদের বিচার আমরা কি করতে পারবো না? গণধর্ষন, হত্যা, রাহাজানির কোন বিচার আমরা পাবো না? এত শক্ত আবরনে আচ্ছাদিত এই দুষ্কৃতিকারীরা? তাহলেতো আমাদের আর বাংলাদেশী হয়ে বেঁচে থাকায় কোন গৌরব রইলো না, আমরা পরাজিত একটা জাতী হিসেবে খুব শীঘ্রই আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছি বলেই মনে হবে! আর এ দেশে তাহলে আইনের শাসন আর প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না যদি এই সাম্প্রতিক রায়গুলো কার্যকর করা না যায়। কারন, এ রায় এবং বিচার যদি ভেস্তে যায়, তবে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে যে রাজনৈতিকভাবে সাংগঠনিক শক্তি যদি যথেষ্ট থাকে তবে যে কোন ভাবে একজন সর্বাত্নকভাবে প্রমাণীত অপরাধীকেও বাঁচানো যাবে। আর তার প্রেক্ষিতে আমাদের মত আম জনতার আর কখনো ন্যায়বিচার পাবার সম্ভাবনা থাকবে না, যদি সেই বিবাদি একজন রাজনৈতিক নেতা হয়।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

শাহরিয়ার পলক বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত ফয়সল। যদি এই সময়ে এই অবস্থায় এসে আমরা পিছিয়ে যাই তাহলে হয়তো আর কখনোই আমরা স্বাধীন বাংলার বিরোধিতা কারীদের বিচার করতে পারবো না।
কিন্তু আমি কোন কাতারে দাড়িয়ে কথাগুলো বলছি তা আপনার বুঝতে হবে।

কথা হচ্ছে সাধারণ জনগন মানে আমরাও বিচার চাই। আবার সরকারী দল আওয়ামীলীগ ও বিচার করতে চায়। আমরা আগে কোন উদ্যোক্তা ছিল না বলে মনে মনে বিচার চেয়েছি আর এখন উদ্যোক্তা আছে বিধায় প্রকাশ্যে চাইছি। কিন্তু তারা তা যুদ্ধের পর থেকেই চায়। তাহলে কেন ৪২ বছরেও তা বাস্তবায়ন হল না?
আচ্ছা এখন তারা বিচার করছে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা নিশ্চয়ই তারা জানতো। দেশের পরিস্থিতি এমন হতে পারে সেটা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে কি তাদের এই বিচার কাজ শুরু করা উচিৎ ছিল না? কিছু নরপশুর জন্য আমরা পুরো জাতী কেন ভুক্তভোগী হব?

আজকে আমি বা আমার ছোট ভাই কোন সংঘর্ষে পরে মারা গেলো। যদি সে পুলিশের গুলিতে মারা যায় তাহলে তার নামের সাথে ধর্মান্ধ জামাত শিবির ট্যাগ লেগে যাবে আর শিবির ও তা স্বীকার করবে। যদি শিবিরের বোমের আঘাতে মারা যায় তাহলে তাকে নাস্তিক বলে প্রচার করা হবে। এই যদি হয় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের বিচার চাওয়ার ফল, তাহলে আমিতো বলবই, আমি দরিদ্র আগে তারপর আবেগী ভাই।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

করোনী বলেছেন: জঙ্গলের ও একটা নিয়ম আছে যে যার মতো বসোবাস করছে । আর সেই জঙ্গলের অধিপতি ধরা হয় সিংহ কে । হিংস্র জীব যেমন আছে ,.........আছে ছাগল,ভেড়া,গরু, মহিষ ।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ নামক জঙ্গলের অধিপতি হয়ে বসে আছে আওয়ামিলীগ । প্রত্যেকটি দলই শিকার করবে যে সবথেকে বড় দল হলো আওয়ামি লীগ । আর সেই সুবাদে আওয়ামিলীগ নিজেকে সিংহ মনে করে । কিন্ত অধিপতি হওয়ার যে গুণ দরকার সেই গুন আর নেই । জরাজীর্ণ বুড়ো সিংহ । আগের মতো সেই শক্তি ও সাহস নেই যে অন্য দেরকে ধরে ধরে খাবে ।
তার এখন খায়েশ হলো একটা একটা করে ছাগল খাবে । কিন্ত সেই ছাগল ধরে খাবার ও শক্তি নেই । তার চাই সহচর । সিদ্বান্ত হলো সহোচর হিসাবে দরকার শিয়াল কে । এখন একটা মঞ্চ দরকার । জায়গা পছন্দ হলো জঙ্গলবাগ । আর দায়িত্ব প্রাপ্ত শিয়াল-শিয়ালিনী কে বলা হলো সেই জঙ্গলবাগ থেকে রাত-দিন ২৪ঘন্টা চিৎকার করে তাদের সঙ্গী-সাথীদেরকে জড়ো করতে । শুরু হলো চিৎকার-চেচিমেচি । সেই জঙ্গলবাগে জড়ো হলো হাজার হাজার শিয়াল -শিয়ালীনির কিন্ত একটা ছাগল ও ধরতে পারলো না বুড়ো সিংহের জন্য ।
বুড়ো সিংহ নিজেই নেমে গেল সেই প্রচারে ছাগল চাই ...ছাগল চাই নইলে কারো রক্ষা নাই !!!
কিন্ত অন্যদের অবস্থা যে আরো করুন সেই দিকে কোনো খেয়ালই নেই .....একটাই দাবি ছাগল চাই .....ছাগল চাই ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

শাহরিয়ার পলক বলেছেন: ধন্যবাদ আপানাকে মন্তব্যের জন্য। তবে আরো কিছুটা যুক্তিসঙ্গত, নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.