![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মায়েরা ছেলে বা মেয়ে সন্তানের সাথে কেমন ব্যাবহার করেন? যেমন সন্তান অনেক বড় অপরাধ করে ফেললে মা তাকে সরাসরি বকবেন। ঐ পর্যন্তই। একটু পরেই তা ভুলে যাবেন।
উদাহরন, আমি প্রথম প্রথম সিগারেট খেয়ে বাসায় ঢুকলেই মা বাবা কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতেন, "পোলাডা একদম নষ্ট হইয়া গেলো। দিনের পর দিন ওর সাহস বাইরা যাইতাছে।" আমি মাথা নিচু করে ঠোটের কোনায় মিষ্টি হাসি নিয়ে নিজের ঘরের দিকে চলে যেতাম। কিছুক্ষন পরেই দেখতাম আম্মু ডিম সিদ্ধ কইরা নিয়া আসছে।
আবার কোন মেয়ে যদি একটু দেরী করে বাসায় ফিরে তাহলে মা বলেন, "কিরে তুই এতো দেরী করলি কেন? কই গেছিলি? মাইয়া বেশি বড় হইয়া গেছো না? খারাও তোমার বাপেরে কইয়া বাইরে বাইরে ঘোরন বন্ধ করতাছি।" এর কিছুক্ষন পরেই দেখা যায় মা মেয়ে একসাথে হিন্দি সিরিয়াল নিয়া গল্প জুইরা দিছে।
এখন একটি মেয়ে যখন বিয়ের পর শশুর বাড়িতে যায় তখন শাশুড়ির কাছে তার বউ আরেক বাড়ির মেয়ে। সেই মেয়ের সাথে তিনি ঠিক সেই ব্যাবহারটি করতে পারেন না যেটি তিনি তার নিজের মেয়ের সাথে করেন। যেমন উপরের ক্ষেত্রে শাশুড়ি চক্ষুলজ্জার কারনে হয়তো কিছু বলবেন না কিন্তু বিষয়টা তার ভালো লাগবে না। এবং মনে মনে তিনি ছেলের বৌয়ের উপরে রেগে থাকবেন এবং সেটা খুব সহজেই চলে যাবে না। অনেকে আবার বৌয়ের সামনে নিজের মুখটি কালো করে রাখেন তখন মেয়েটির কাছেও খারাপ লাগবে আর সেও শাশুরিকে মায়ের মতো ভাবতে পারবে না। এভাবে ছোট খাটো অনেক বিষয়ের জন্য শাশুড়ি আর ছেলের বউয়ের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
শাশুড়ি যদি মেয়েটির সাথে তার মেয়ের মতো ব্যাবহার করতো তবে মেয়েটিও মায়ের বকা ভেবে ভুলে যেতো...
দায়িত্বটি প্রথম শাশুড়ির কাধেই আসে। শাশুড়ি যদি নিজেকে মা বানাতে পারেন তাহলে বউটিও নিজেকে মেয়ে বানাতে পারবে।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৩
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আমাদের সমাজের চিরাচরিত অনেক সমস্যার মধ্যে এটি অনেক বড় একটি সমস্যা। শুধু দৃষ্টিভঙ্গি সামান্য পরিবর্তন আনতে পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব আমি মনে করি
২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: আরেকটা সমস্যা হলো,
নিজের মেয়েকে যখন মেয়ে জামাই খুব খাতির যত্ন করে শশুড় বাড়ির সবাইকে বেশ কদর করে তখন মেয়েজামাই খুব ভালো। খুব দায়িত্ববান।
একই কাজ যখন নিজের ছেলে তার শশুড়বাড়ির জন্য করে তখন আবার নিজের ছেলে শশুড়বাড়ি ছাড়া কিছুই বুঝেনা
১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। দেখুন এখানেও কিন্তু শুধু সামান্য একটু দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
বড়রা যত ছোটদের আপন ভাববে ছোটরাও ঠিক ততটাই সম্মান দেখাবে।
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
আল্লাহ যেনো ভবিষ্যতের একজন শ্বাশুরী (যদি বেঁচে থাকি) হিসেবে আমাকে সেই সেই মেয়েটির মা হ্ওয়ার তৌফিক দান করেন।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: আমীন
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
নিকষ বলেছেন: খুব কম ননদই আছেন যারা ভাইয়ের বৌয়ের বোন হতে পারেন।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: হুম। যে মেয়ে শাশুরির মেয়ে হতে পারবে, সে মেয়ে ঠিকি ভাবির বোন হতে পারবে।
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
চারশবিশ বলেছেন: বিয়ের পর ছেলে সব সময় চিন্তা করে
কখন তার নিজের মা মারা যাবে
এসব ব্যাপারে একটা জিনিষ খেয়াল করবেন শশুরের সাথে কেওয়াজ তেমন একটা লাগেনা
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: বিয়ের পর ছেলে সব সময় চিন্তা করে
কখন তার নিজের মা মারা যাবে
আপনার এ কথার সাথে একমত হতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ আমাদের দেশের সমাজ পরিবেশ এখনো এমন হয়ে যায় নি যে ছেলে নিজের মায়ের মৃত্যু কামনা করবে বা সেটা নিয়ে ভাববে। (অস্বাভাবিক ঘটনা হাজারে একটা ঘটবেই)
শ্বশুরকে তার ছেলের বউ এর সাথে ঘর সংসার করতে হয় না তাই শশুর মশাই নিজের মতই ঘরের মধ্যে টিভি আর খবর নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। ভাবেন যে ছেলে তো আছেই...
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
স্বপ্ন বাংলা বলেছেন: যে বিয়ে করে কেবল সেই বুঝে কত্ত রকম যন্ত্রনা ।ছেলে হয়ত আগের মতই থাকে, তবু সবাই মনে করে অনেক পাল্টে গেছে :-& :-& :-&
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: ভালো বলেছেন। এটাও অনেক পরিবার বুঝতে চায় না যে আগে ছেলে শুধু তার নিজের পরিবারের দায়িত্ব পালন করতো। কিন্তু বিয়ের পর ছেলের শশুর বাড়ির একটা আলাদা দায়িত্ব কাধে এসে পড়ে। সেটাও তার দেখতে হবে।
পরিবর্তন অবশ্য কিছুটা আসবেই সে ক্ষেত্রে। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহন করা উচিৎ...
ধন্যবাদ
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
তারেক বলেছেন: সবাইকে মনে রাখতে হবে ছেলের বউয়ের উপর শ্বাশুড়ির তেমন কোন অধিকার নাই।তবে ছেলের উপর ১০০% অধিকার আছে।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: এটা কি বললেন ভাই?
আপনার ওয়াইফ যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াবে আর আপনার মা তাকে কিছুই বলতে পারবে না?
৮| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: ”শাশুড়ি যদি মেয়েটির সাথে তার মেয়ের মতো ব্যাবহার করতো তবে মেয়েটিও মায়ের বকা ভেবে ভুলে যেতো... দায়িত্বটি প্রথম শাশুড়ির কাঁধেই আসে।”
কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ নায়। শাশুড়ি/মা বা মুরব্বিরা যুগ যুগ ধরে যেমনটি দেখে এসেছে,যে পরিবেশে বড় হয়েছে, তাদের ধ্যন ধারনা সেভাবেই গড়ে উঠেছে। সেটা এমনিতেই পরিবর্তন হবে না এবং এটা আশা করাটাও আমি বোকামি মনে করি। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা এটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিবেনা, বেয়াদবি হিসেবে ধরে নিবে। তাই আমাদের এই কঠিন পথটি বেছে না নিয়ে সহজ দিকে আগান উচিৎ।
আমি মনে করি দায়িত্বটি প্রথম বউকেই নিতে হবে। বউ যদি শাশুড়ি কে নিজের মা বানাতে পারেন তাহলেই কেবল সমস্যাটির সমাধান করা সম্ভব। আমি জানি একজন শাশুড়ি তার ছেলের বউকে নিয়ে পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্তিয় সজনের কাছে প্রশংসা করতে চান। (কারণ কেউই চায়না তার পরিবার বা পরিবারের মানুষদের অন্যদের কাছে ছোট করতে)।এই সুযোগটা করে দিতে হবে বউকেই।
# আসুন এবার দেখি কিভাবে করা সম্ভব।
ধরুন আপনি কোন কাজে বের হলেন এবং আসার সময় মায়ের (শাশুড়ি) প্রিয় কোন খাবার বার তার প্রিয় কোন জিনিস নিয়ে আসলেন। অথবা আপনি কোন কাজে বাসায় আসতে দেরি হল তখন আপনি সরাসরি শাশুড়ির রুমে যেয়ে দেরি হবার কারণ সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বললে দেখবেন মা কত খুশি হয়। মাঝে মাঝে বাসায় মায়ের প্রিয় খাবার তৈরি করে বলবেন মা এটা আপনার জন্য। কিছুদিন পরেই দেখবেন শাশুড়ি পুরই আপনার ভক্ত হয়ে গিয়েছে।
এভাবে করলে দেখবেন সম্পর্কটা কত সহজ হয়েযায়। তখন সুখের বিষয়টি প্রাকৃত-গত ভাবেই আপনার পরিবারে বিরাজ করব। আর আপনি নিশ্চয়ই চাইবেনা যে এই সুখটি সাময়িক হোক…. তাই সামনে আপনার কি করনিয় তা আর বুঝিয়ে বলতে হবেনা আশা করি…
মায়েদের মন সবসময়ই নরম হয়ে থাকে। আপনি যদি নিজেকে মেয়ে বানাতে পারেন তাহলে শাশুড়িও নিজেকে মা বানাতে পারবে।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: ভালো বলেছেন।
কিন্তু আরেকটি বিষয় হয়তো ভেবে দেখা উচিৎ। ভেবে দেখুন তো আমাদের দেশে কয়টি মেয়ে খুব ম্যাচিওর হয়ে শশুর বাড়িতে যায়?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটি কোনদিন রান্না ঘরেও যায় নি বিয়ের আগে। হা আমি জানি এটি মেয়ের মার ভুল। তাই বলে বিয়ের পর এসব ভুল নিয়ে কথা বারিয়েতো আর কোন সমাধান আনা যাবে না।
যাই হোক আপনার কথাগুলো ও খুব মূল্যবান।
ধন্যবাদ
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
নাহিদ তামিম বলেছেন: ভাই একদম মনের ভেতরের কথা বলছেন। আমার মা এর কোন দোষ নাই বোউ এর ও না, কিন্তু দুইজন দুই প্রজন্মের হওয়াতে .................আগে শুনতাম মেয়েদের বিয়ের পর সমস্যা হয়, নিজে বিয়ে করার পর বুঝলাম সবথেকে সমস্যায় থাকে ছেলেরা, একদিকে বউ, একদিকে মা, একদিকে শশুর বাড়ি। আমার চাচার জামাই খুবই ভাল সে শশুরের সব দেখ-ভাল করে, মানে ছেলের মতই, তার ছেলে দেশের বাইরে পড়ে। আমি তাকে একদিন বললাম আপনার ছেলের বেলাই ও যেন এগুলা মেনে নেন যখন সে শশুর বাড়ির লোকের সাথে আপনার জামাই এর মত মিসবে, আমার কথা শুনে সে তো
১০| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৮
চারশবিশ বলেছেন: ভাই যত যাই বলেন
যে সংসারে বউ-শাশুরি বিবাদ আছে
সেই সংসারের পুরুষদের মনের কথা বললাম
মুখে কেউ স্বিকার করবেনা
১১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
না পারভীন বলেছেন: দায়িত্বটি প্রথম শাশুড়ির কাধেই আসে। শাশুড়ি যদি নিজেকে মা বানাতে পারেন তাহলে বউটিও নিজেকে মেয়ে বানাতে পারবে
পোস্টে প্লাস ।
১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: দারুন একটা বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন এবং ভাবনাটি সঠিক আছে।