নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শারমিন হক

শারমিন হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকারের জানাযা!!!!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৪



‘শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে এক কু-খ্যাত রাজাকারের জানাযা হয়েছে ।তিনি শুধু রাজাকারই ছিলেন না ১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধীতার পাশাপাশি খুন,ধর্ষণ,লুটতরাজ জাতীয় ঘৃণিত কাজের নেতৃ্র্ত্বেও ছিলেন ।তাঁর সহযোগিতায় গঠিত হয়েছিল আল-বদর,আল-শামস বাহিনী ।

উপরোক্ত কথাগুলো আমি আমার বুঝ হবার পর থেকেই শুনে আসছি ।কিন্তু,অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুতে যত না বেশি ব্যথিত হয়েছি ,তাঁর থেকে বেশি হতবাক হয়েছি।একজন রাজাকারের জানাযায় জনতার স্রোত প্রকাশ করেছে, মূলত তিনি কি ছিলেন ।যে মানুষটির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ৪২টি বছর রাম-বামদের কলম সদা সোচ্চার থাকা সত্ত্বে ও মানুষের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমে নি,সে যে আসলেই একজন ভালো মনের মানুষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

যেসব কারণে অধ্যাপক গোলাম আযম সহ অন্যান্য যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন তা ২০১৩ সালে এসে মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ।

মানুষ দেখেছে শাহবাগী নাস্তিকদের বেহায়াপনা, ধর্ম অবমাননা যার ধারা শেষ পর্যন্ত আওয়ামি লতিফের মধ্যে ও দেখা গিয়েছে।স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল যাতে বাংলাদেশে তাঁদের দখলদারিত্ব রাখতে পারে এবং বাংলাদেশ একটি ধর্মহীণ রা্ষ্ট্রে পরিণত হয় ।

তাছাড়া ,অধ্যাপক গোলাম আযম কেন পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেছিলেন তা ২০১৩ সালে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে নয়া দিগন্তে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট তিনি করেছেন ।যার মূল বিষয় ছিল –বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য বিস্তার ।বাস্তবে কিন্তু,তাঁর ব্যতিক্রম কিছুই ঘটে নি ।মানুষ ভারতের কাছে প্রতিনিয়ত হেনস্তা হচ্ছে ।যার প্রমাণ শুধুমাত্র সীমান্ত হত্যার দিকে তাকালেই যথেষ্ট বলে মনে করি ।ভারত আজ বাংলাদেশকে নিয়ে খেলছে যেটা তখনই এই বিজ্ঞ লোকগুলো অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, যার প্রেক্ষিতেই তাঁরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা নামক তথাকথিত পরাধীনতাকে উপেক্ষা করেছিল ।তাঁদের মধ্যে জাফরদের মত লোক দেখানো চেতনা না থাকলেও দেশ প্রেমে কোন ঘাটতি ছিল না।কিন্তু,বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে ,বাংলাদেশের অমূল্য রতনদের চিনতে পারে নি । এইসব বুদ্ধিজীবিরা বারবার আসে না,বাংলাদেশ তাঁদেরকে কাজে লাগাতে পারে নি ।

যারা আজ তাঁদের সম্পর্কে কটূক্তি করছে তাঁদের জন্য বলা – আপনারা জানেন না কটূক্তি কাকে বলে , জেনে থাকলে ব্যবহার করার যোগ্যতা হয় নি ।কথাটা রূঢ় মনে হলে ও আপাতত এর থেকে ভালো কিছু মনে আসছে না ।আমাকে জামাত-শিবির খেতাব দিতে পারেন ,কিন্তু এটাই বাস্তব ।যার ভালো গুণ আছে তাঁকে তা বলাটা দোষের কিছু আছে বলে মনে করছি না ।কারো সমালোচনা করার আগে নিজের থলিতে তাকান !!!

অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ধর্মভীরু ।তিনি ইসলামি দল প্রতিষ্ঠার জন্য ৯১ বছর বয়সে জালিমী কারাগারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।আল্লাহ তাঁকে উত্তম মর্যাদা দাণ করুণ ।তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুণ ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৬

খাটাস বলেছেন: আপনার চিন্তা কত সহজেই প্রভাবিত হতে পারে, তা পোস্ট পড়েই বুঝলাম।
আর কাদের দ্বারা কিভাবে কি কি কারনে কেন প্রভাবিত হতে পারে- তাও কিছুটা আঁচ করলাম।
আপনি যদি আজমের জন্য কান্না কাটি ও করতেন, তাও আপনাদের মত মানুষদের কিছু বলার চেষ্টা করা, অতি জ্ঞান চর্চা হত।

এদেশের এক নেত্রি এক টা লাশের বদলে দশ টা লাশ ফেলতে বলেছিলেন, ১/১১ তে তার ফল নিশ্চয় ই দেখেছেন। বড় বড় পর্যায়ে থাকা মানুষ দের সাধারণ সম্মতি যে কত বড় ক্ষতিকর হতে পারে, তা যে অপদার্থ রা বোঝে না, তাদের পূজনীয় জনের অভাব হয় না।

আজমের জন্য দোয়া করতে থাকুন। তবু ও ভালই থাকুন।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমি জামায়তের ধারে কাছে কখনোই ছিলাম না। পরিবারের সব সদস্যই (আমি বাদে) আওয়ামী লীগের গোঁড়া সমর্থক। তারপরেও গোলাম আযম সম্পর্কে পজিটিভ কিছু কথা বলার কারণে ব্লগারদের তীব্র তীক্ষ্ণ আক্রমণ ফেস করতে হল। এর শাস্তিস্বরূপ আমাকে ওয়াচে নিয়ে পোস্ট দেবার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল।

আপনার ধৃষ্টটা দেখে আমি আশ্চর্য হচ্ছি। কোন সাহসে আপনি সামুতে এরকম একটা পোস্ট করতে গেলেন? আপনার ভয় নেই আপনাকে ট্যাগ করা হতে পারে, এমনকি ব্যান খেতে পারেন কোন নিয়ম ভঙ্গ না করেই!

আপনি হয়তবা সত্যি কথাই বলেছেন। কিন্তু সত্য সবার পেটে হজম হয়না - একথা মনে রাখবেন।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একজন মুমিন বান্দা ( যেভাবে বললেন ) আওনার মা বোনকে *** করতে চায় , আপনার ভাই / বাবাকে খুন করতে চায় । এসব করার পর সে হজ্ব করে আসলো । বিভিন্ন ইমামি মাসালা দিল । আপনি অনুসারি হলেন । মুগ্ধ হলেন । তিনি কয়েকটি ইসলামী বই লিখল , ইসলামের লেবাস ধারন করল । আর আপনি বললেন - আলহামদুলিল্লাহ্‌ , হুজুর , শোকর গুজরান , আপনি কি করেছেন তা আমি ভুলে গিয়েছি , আপনি বেহেস্তে নসীব হন । আর আমি তো আছিই !


নিকে কিছু আসে যায় না । খোঁয়াড়ে যাবেন কি না বলেন স্পষ্ট করে । এতো লুকোচুরির কি আছে । যাই বিশ্বাস করেন , ঈমানের জোর যদি এতো বেশী হয় , স্বীকার করেন সুস্পষ্টভাবে , ছুপা থেকে কি লাভ !

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

খাটাস বলেছেন: নীল আকাশ যত দিন পর্যন্ত কোন একটি বিষয়ে সম্মত হউয়া নানা মানুষের মধ্যে লীগের দালাল, উগ্র নাস্তিক, সুশীল আর সাধারণ মানুষেরে আলাদা না করা শিখবেন, তত পর্যন্ত আপনার মানসিক সুস্থতা প্রশ্ন বিদ্ধ থাকা উচিত।

আপনার ওয়ালে গেলেই দেখা যায়, কেম্নে নাস্তিক, শাহাবাগি, সরকার, আরও হাবিহাবি বিষয়ে চুলকানি দেয়া যায়, সেসব পোস্ট।
এমন টাইপ মানুষ কে দেখে হয় অতি বোকা না হয় অতি চালাক মনে হউয়া ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না।
অতি বোকা হলে তার সাথে কথা বয়া সময় নষ্ট। অতি চালাক হলে অবশ্যই ভণ্ড।

সূরা বনী ইসরাইলের ৩৬ নং আয়াত, আর যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।

এবার নিজেই চিন্তা করুন, আমরা বেশির ভাগ মানুষ ই যা করি ব্যক্তিগত অনুভুতিকে কেন্দ্র করে, নীতির কারনে নয়। আমি নিজে ও উরধে যাইতে পারি নাই।

শুধু টুপি পড়ে যারা ঘৃণার চর্চা করে তাও অইসলামিক উপায়ে, তাদের মুরিদ হয়ে নিজে ও সেই কাতারে না গিয়ে জানার চেষ্টা করুন। আমাদের মত সাধারণ দের ও জানান যে কি জানলেন। অবেই আলোচনা হতে পারে।

অনেকেই আপনাদের মত কিছু মানুষ কে বেশ অপছন্দ করে বলে মনে হয়।
আমার কাছে দলীয় নানা মতের লোক দের ভালই লাগে, উগ্রতা ছাড়া।

আর আমি চুদির ভাই শব্দ টি কমেন্টে কাও কে উদ্দেশ্য না করেই রেখে গেলাম, না হলে তো আবার আছে আপনাদের সুশীল ট্যাগ।

ভাল থাকুন। সুস্থ হোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.