নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: ঐশী

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

ঐশী'র ফাঁশি'র রায় হইছে। ফাঁসি এখনো হয়ে যায় নাই। একেবারে নিজস্ব ধারণা'র দুইটা কথা বলি।

ফাইনালি ঐশী'র ফাঁসি না হইলে কী হবে?
জেল খেটে সে একটা সময় বের হবে। এই সমাজে কোথাও তার ঠাঁই হবে না। সবাই আঙ্গুল উঁচায়ে বলবে - ঐ দেখো, এই মাইয়াটা তার মা-বাপরে মাইরা ফেলছে। ফাঁসির চেয়েও কঠিন যন্ত্রনা সে ক্ষণে ক্ষণে পাবে। হয়ত নিজেই একটা সময় আত্মহত্যা করে ফেলবে।

কারো যদি সুযোগ থাকে, ঐশী'র সাথে একটা বার দেখা করে আসতে পারেন। তার ভিতরেও সুন্দর, নরম একটা মন আছে। যে মনটা তার পরিবারের অমনযোগের কারনে এমনিতেই শক্ত খোলকে ঢেকে ছিলো। আর এখন সমাজের আঙ্গুল তোলার কারনে আরো ঢেকে গেছে। নারিকেলের মত শক্ত খোলকটা ভেদ করে নীচে গিয়ে দেখেন। আপনার, আমার মতই তার একটা সুন্দর মন আছে। যে মনটা'র সন্ধান কেউ কোন দিন করে নাই। বারবার মনযোগের চেষ্টা করেও হয়ত যে মনটা কেঁদেকেঁদে পাষাণ হয়ে গেছে।

আদালতে যেহেতু প্রমান হইছেই যে সে তার বাবা-মা'কে খুন করছে। তাই তা নিয়ে আর প্রশ্ন নাই। কথা হইলো, মনের কেমন পরিস্থিতি হইলে একটা মানুষ তার প্রথম আশ্রয়ের জায়গাটাকে মেরে ফেলে! আমার এই লেখাটা ঐশী'র পড়ার সুযোগ নাই। আমি জানি, এই ক্ষুদ্র লেখাটা পড়েই সে ফুপায়ে ফুপায়ে কেঁদে উঠবে।

ঐশী অন্যায় করছে, এতে কোনই সন্দেহ নাই। কিন্তু অন্যায়ের ভিত্তিটা তৈরী হইছে তার আশেপাশের পরিবেশের কারনে। এমনি এমনি কোন ঐশী তৈরী হয় না। হয়ত ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র অবহেলা আর মাত্রাতিরিক্তি শাষণ একটা কোমল শিশুকে এই ঐশী বানিয়েছে।

ঐশী'র ফাঁসি হোক আর না হোক। এইটা আইনের বিষয়। কিন্তু আমার, আপনার এখনই মনযোগী হইতে হবে সন্তানের প্রতি। বুঝতে হবে তার ভাষা। বুঝাইতে হবে তারে ভালোবাসা'র পথ। আমার আপনার গাইডেন্সের উপরই নির্ভর করছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বিদ্যাসাগর হয়ে মায়ের জন্য নদী পার হয়ে সারা রাত সিথানে দাঁড়িয়ে থাকবে। নাকি আরেকজন ঐশী হয়ে আমাকে আপনাকেই ক্ষুন করে ফেলবে।

(ব্যক্তিগত ভাবে আমার আশা, ঐশীকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাকে শিশুদের সাথে মিশতে দেওয়া হোক। সে নিশ্চয়ই চেষ্টা করবে তার নাপাওয়ার বেদনাগুলা যেন শিশুদের পেতে না হয়। সেও হয়ত একটা সময় বড় কোন মমতাময়ী মানুষ হবে। নিজামউদ্দিন আউলিয়া (আগে নামটা ভুলে ওয়াশকরনী লিখেছিলাম, বিদ্রহী ভৃগু ভাইকে ধন্যবাদ ঠিক করিয়ে দেওযার জন্য।) নামের এক ভদ্রলোক নাকি কয়েকশো ক্ষুণ করেও বেহেস্তের টিকিট পাইছিলেন পরবর্তীতে তার ভালো কাজের জন্য। ঐশীকে তবে আমরা কেন এই কম বয়সেই মরতে দিবো!)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাইফুল তুহিন বলেছেন: "ঐশী অন্যায় করছে, এতে কোনই সন্দেহ নাই। কিন্তু অন্যায়ের ভিত্তিটা তৈরী হইছে তার আশেপাশের পরিবেশের কারনে। এমনি এমনি কোন ঐশী তৈরী হয় না। হয়ত ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র অবহেলা আর মাত্রাতিরিক্তি শাষণ একটা কোমল শিশুকে এই ঐশী বানিয়েছে।" - ভাল লেগেছে কথা গুলো। একদম যথার্থই বলেছেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

সুখী মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমার...

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবেগ আর বাস্তবতা অনেক ব্যবধান।

আর শেষে যে তথ্য দিয়েছেন তাও সঠিক নয়। ওয়াইজ করনী রহ: ছিলেন নবীজির খেরকা মোবারক লাভকালী ব্যক্তির নাম। তিনি খুনতো দূররে কথা সামান্য অন্যায়ও করেননি। মা'য়ের প্রতি এতই নিবেদিত ছিলেন যে মাকে পিঠে করে বহন করতেন।

আর যাঁর কথা বলতে চাইছেন- তিনি হলেন নিজামউদ্দিন আউলিয়া। আর সেই খুনের কারণ প্রেক্ষাপট আর আপন পিতা-মাতাকে খুন কে এক কাতারে ফেলা যায় না। আবার সেই খুনের শাস্তিও ছিল বার বছর মৃত গাছের নীচে বসে থাকার শাস্তি! সেকানে আবার ১০১ তম খুনের ঘটনা ঘটেছিল। এইসব ঘটনা শুধূ কিচ্ছা নয় তার কার্যকারণ অন্তর্নিহীত তাৎপর্য বোঝার উপলদ্ধির।

ঐশির প্রতি অবহেলার দাবী নিতান্ত বাল সুলভ! পিতা মাতার অধিক আদর আর ভালবাসায়ই বরং বখে গেছে বলতে পারেন। মাসে লাখ টাকা হাত খরচ! কল্পনা করতে পারেন? তথাকথিত হাই সোসাইটি মেইনটেন করতে গিয়েই মেয়ে ক্রমে নেশাসক্ত হয়ে গেছে। বারে রাতের পর রাত কাটাত। আবার পিতা মাতা যখন সেসব থেকে ফিরাতে চেয়েছে তখনই তার কথিত কষ্টের জোয়ার নেমেছে! আর সেই জিঘাংসা থেকেই হত্যার মতো ভয়ংকর চিন্তা করতে পেরেছে!!!
এখন এইসব আবেগকে যদি আপনারা মানবিকতার ফ্রেমে ফেলতে চান- তবেতো সকল অপরাধীর অপরাধের পেছনেই দেখবেন কোন না কোন মানবিক কারণ খুঁজে পাবেনই। তবে আর তাদের সাজা কেন?



১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

সুখী মানুষ বলেছেন: ভাই নামের তথ্যটা লেখায় ঠিক করে দিয়েছি। আমার মনে নামটা নিজামউদ্দিন আউলিয়াই ছিলো, কিন্তু লেখার সময় ভুল হয়ে গেছে।
ঐশি'র রিপোর্টগুলা যখন পড়তাম, যতদূর মনে পড়ে তার বয়স তখন ছিলো ১৬। এই অর্থে কিন্তু নাবালিকা। আর নাবালিকা বলেই এতগুলো কথা আমি বললাম। তার বয়স যদি তখন ১৮ হয়ে থাকে, তাহলে সর্বোচ্চ শাস্তিই তার প্রাপ‌্য।

এবং এই ঘটনা থেকে আমাদের (আমরা যারা মাত্রই বাবা-মা হলাম) অনেক শিক্ষা নিতে হবে। আর নাহয় আমাদের ঘরেই হয়ত এমন আরেকজন তৈরী হবে।

আমি আবারো আমার ভুল তথ্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর আপনি শুধরে দিয়েছেন বলে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐশীর ফাঁসি হবে না। কারণ, পরবর্তীতে প্রমাণিত হবে সে শিশু ছিল আর মেয়েদের ফাঁসি হয় না সাধারণত। হয়তো বা জেলখানার পরিবেশে সে অন্য রকম মানুষেও পরিণত হতে পারে। তার চাচা, ফুফু, দাদু কিন্তু এখনো বিশ্বাস করে ঐশী খুন করেনি। কাজেই বের হয়ে পরিবারের সাপোর্ট পাবে সে। সমাজের মানুষ এত কিছু মনে রাখে না। বাংলাদেশে এত বেশী দুর্ঘটনা ঘটে যে কেউ সেটা মাথায় রাখে না। আশরাফুল এখন টিভিতে আলোচক। প্রভা আবার অভিনয় করে যাচ্ছে। তাকে বিয়েও করেছে একজন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

সুখী মানুষ বলেছেন: ভাইরে মেয়েটাকে আমার খুব মায়া লাগে। কেবলই মনে হয় এই ঐশিকে তার বাবা-মা ই এই রকম বানিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত টাকা আর স্বাধীনতা দিয়ে। প্রপার গাইডেন্স পাইলে সে আজকের এই ঐশি হইতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.