![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
একটা কান্না'র স্মৃতি বলি। একটু লজ্জারও
একটা শর্ট প্যান্ট কিনলাম। রাতের আলোয় ট্রাফিকের বেল্ট যেমন চকচক করে এমন উজ্জ্বল রঙের। সম্ভবত এইটাকে কমলা রঙ বলে। আমিতো কালার ব্লাইন্ড, তাই কালারটা আমার কাছে ভালোই লাগছিলো।
ঘটনা হইলো, ড্রেসের প্রতি আমি আজন্ম উদাসীন। বিয়ার পর তিনিই ড্রেস কিনে দেন। প্যান্টটা কিনার সময় তিনি সাথে ছিলেন না। বাসায় যাওয়ার পর তিনি বললেন
- এই প্যান্ট পইড়রা রাস্তায় দুইটা চক্কর দিয়া আসো। মিষ্টার বিনের চাইতে বেশী বিনোদন দিতে পারবা পাবলিকরে।
বুঝলাম, আমার পছন্দের লেভেলটা কত হাস্যকর। আর তার পছন্দ যে ভালো তার একটা প্রমান দেই। বন্ধু শাহীনের সাথে বহু বছর পর দেখা কয়দিন আগে। ও আমার উপর থেকে নীচ পর্যন্ত দেখা শুরু করলো। বললাম, কী দেখোস! ও অবাক হয়ে বললো
- তোর ড্রেসাপে গুড চ্যাঞ্জ! সুন্দর লাগছ।
আমি হাসি দিয়ে বললাম
- সব তার ইচ্ছা।
শাহীন পরহেজগার মানুষ। সে এই "তার" মানে তিনি'র কথা বুঝলো না।
এবার কান্না'র কথাটা বলি। তখন অনার্সে পড়ি। বাবা প্রাইমারী স্কুলের টিচার। হাত খরচের জন্য যা পাইতাম তা দিয়া বই কিনতাম। কাপড়ের প্রতি কোন ভাবনাই ছিলো না। আমি আর আমার কাজিন এক সাথে পড়ি। দুইজন মিলে গেলাম এক বন্ধুর বাসায় গ্রুপ ষ্টাডিতে। বন্ধু বাড়াবাড়ি রকমের বড়লোক।
কয়দিন পর দেখাম আমার কাজিনটা কাঁনতেছে। বহুত পিড়াপিড়ির পর সে বললো
- ভাইয়া ঐ দিন তুমি কি একটা ভালো শার্ট পইড়া যাইতে পারলা না! ওর খালা তোমার ময়লা শার্ট নিয়া নাকি ওরে অপমান কইরা বলছে, কাদের সাথে চলোস!
ভাইকে অপমান করাটা সে সহজে নিতে পারে নাই। আমার কারনে দুইজন অপমানিত হইলো। এইটা আমি সহজে নিতে পারলাম না। কারন তখন অলরেডি আমি কবিগুরু পড়েছি
সদা ভয় হয় মনে
পাছে অযতনে
মনে মনে কেহ ব্যথা পায়।
আমার বাপ যে টাকা বেতন পাইতেন, তার চাইতে দ্বিগুনের বেশী টাকা দামেও আমার জন্য এখন টিশার্ট কেনা হয়। কিন্তু আমি তেমন কোন পার্থক্য বুঝি না। আগের ড্রেসে খুব অস্বস্তি লাগতো, এখনের ড্রেসে খুব স্মার্ট মনে হয়, তা না।
আমি ড্রেসফ্রেস অত একটা কেয়ার করি না। আমার মানুষ কাঁদাইতে খুব ভালো লাগে। আমার আড়ালে আমার কথা মনে করে কারো হৃদয়টা মুচড় দিয়া উঠবে। গড়গড় করে কয়েক ফোঁটা পানি গড়ায়ে পড়বে চোখ দিয়ে। এইটাকেই আমি গুরুত্ব দেই।
মৃত্যু নিয়া প্রায়ই একটা হিসাব আমি করি। আর ভাবি, নাহ মরার মত পূঁজি এখনো আমি জমাইতে পারি নাই। কাঁদার মত অন্তত হাজার মানুষ তৈরী না করে আমি মরবো না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
সুখী মানুষ বলেছেন: মন প্রাণ দিয়া ভালোবাসতে হবে। এবং কাজে বা কথায় বা অন্য কোন ভাবে তা প্রকাশ করে যেতে হবে। আর এই ভালোবাসা যদি মানুষের কোন কাজে লাগে তাহলেই মনে হয় সম্ভব হবে । এই বিশ্বাসেই আগাইতেছি...
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০২
এ এস রিপন বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল। ড্রেসের প্রতি অামারও উদাসীনতা আছে। তাই লেখাটার প্রতি একাত্ববোধ করলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
সুখী মানুষ বলেছেন: থ্যাংকিও ভাই।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
তাল পাখা বলেছেন:
মৃত্যু নিয়া প্রায়ই একটা হিসাব আমি করি। আর ভাবি, নাহ মরার মত পূঁজি এখনো আমি জমাইতে পারি নাই। কাঁদার মত অন্তত হাজার মানুষ তৈরী না করে আমি মরবো না।
বড়ই কঠিন কথা।
তবে মৃত্যু না বলে কয়েই দুয়ারে হাক মারে।না শোনে বারণ,না শোনে কারন।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
আজিজার বলেছেন: কাঁদার মত অন্তত হাজার মানুষ তৈরী না করে আমি মরবো না। সবাই যদি এমন করে ভাবতো, সমাজ কতই না সুন্দর হইত।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার +++
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। +।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
সুলতানা রহমান বলেছেন: প্রথম দিকে মজাই লেগেছে। মাঝখানে খারাপ লাগা। শেষে প্রশ্ন।
কাঁদার মত হাজার মানুষ তৈরি করতে কি করা লাগবে জানেন কি?