নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরী নিয়া দুইখান কথা বলি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

চাকরী নিয়া দুইখান কথা বলি।

একজন আমাকে বললো
- ভাইয়া সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করতে চাই। আপনি তো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তো আপনার অভিজ্ঞতা থেকে যদি কিছু বলতেন।

তাকে বললাম
- দেখেন ডেজিগনেশনটাতো কখনোই গুরুত্ব দেই নাই। সামনে যখন যা কাজ পড়ছে, করছি। আমি মোটেই প্রফেশনাল মানুষ না। অতএব এগজাক্টলি কোন কাজগুলান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ তা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলা বিপদ। বেটার আপনি গুগল করেন। গুগল সব জানে।

আমার চাকরী'র অভিজ্ঞতা প্রায় পনেরো বছরেরও বেশী। অফিসের ধূলাবালিগুলাকে পর্যন্ত আমি নিজের মনে করি। তাই যে কয়টা প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছি, সবার সাথেই সম্পর্কটা একেবারেই আপন। হয়ত প্রফেশনাল সম্পর্ক তৈরী হওয়াটাই দরকার ছিলো। কিন্তু ঐ যে, সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না। আমাকে দিয়ে প্রফেশনাল সম্পর্ক হয় নাই। প্রতিষ্ঠানগুলার সাথে, প্রতিষ্ঠানের লোকগুলার সাথে সম্পর্ক হয়ে গেছে একেবারে আত্মার।

বুয়েট থেকে পাশ করে এক ভাতিজা ঢুকছে মারাত্মক লোভনীয় একটা চাকরীতে। কোম্পানী, বেতন, পোষ্ট সবই ঠিক আছে। তার সমস্যা হইলো, চাকরীর কারনে তার আড্ডা দেওয়ার লাইফটা নষ্ট হয়ে গেছে। চাকরীর কারনে তার রেগুলার লাইফ আর আগের মত নাই। তার সব কথাই সত্য। কিন্তু কথাটা ঠিক এই রকম, বিবাহের আগে আমি কুমারী ছিলাম; একমাত্র বিবাহের কারনে আজ আমি দুুই বাচ্চার মা।

জীবনে চাকরীর আগের ও পরের লাইফটা হইলো ঠিক বিয়ের আগে ও পরের লাইফ। দুইটা লাইফই সুন্দর। কিন্তু জানতে হবে কোনটা কিভাবে এনজয় করতে হয়। বিয়ের পর আমার পাশে আরেকটা মানুষ পরম ভালোবাসা নিয়ে ঘুমাবে। এইটাই স্বাভাবিক। এখন কেউ যদি বলে, নাহ বিয়ার আগেতো একলা ঘুমাইতাম, এখন কেন একজন আমার পাশে ঘুমাবে!

চাকরীতে আমরা স্বাধারণত ঢুকি বিশ থেকে পঁচিশ বছরের মধ্যে। আর সব ঠিক থাকলে ষাট, সত্তর বছর পর্যন্ত আমরা চাকরী করি। তার মানে কী দাঁড়াইলো? জীবনের বেশীর ভাগ সময়ই আমরা চাকরী করি / ব্যবসা করি। সকাল দশটা থেকে সন্ধা ছয়টা অফিসিয়ালি অফিস টাইম। কিন্তু তার চাইতেও অনেক বেশী কাজ করতে হয় প্রায়ই। তার মানে, জীবনের সব চাইতে মূল্যবান, কর্মক্ষম সময়টা কিন্তু আমরা অফিসকেই দিচ্ছি। নিজের ভাই, বোনের সাথে হয়দ বছরে দুই, একবার দেখা হয়। কিন্তু অফিসের কলিগগুলার সাথে দেখা হয় প্রতিটা দিন। তার মানে কলিগরই কিন্তু আমার জীবনের সবচাইতে বড় ভাইবোন।

যে টেবিলটাতে বসে কাজ করি, যে যন্ত্রটাতে কাজ করি। অথবা যে দায়ত্বটা পালন করি তা ই কিন্তু আমার জীবনের সবচাইতে একটিভ সময়টার সঙ্গী! তাহলে এই কর্মময় জীবনটাকে আপন করে নেওয়া ছাড়া কোন গতি আছে? ক্যাম্পাস লাইফটাকে যেমন মিস করি। এমন করে চাকরীর পরিবেশটাকেও মিস করা শিখতে হবে। তবেই মায়া পড়বে কাজের প্রতি।

চাকরী'র পরিবেশ কখনোই খারাপ হয় না। কারন পরিবেশ হচ্ছে নিজের কাছে। সব প্রতিষ্ঠানেই কাজের লোক দরকার। সব প্রতিষ্ঠানেই ভালো লোক দরকার। আমি নিজে যদি কাজের এবং ভালো হই তবে প্রতিষ্ঠান আমাকে কেন ভালোবাসবে না? পলিটিক্স হোক আর যাই হোক, এইসব সকল প্রতিষ্ঠানেই ছিলো, আছে এবং থাকবে। এবং কাজের ভালো মানুষগুলা সবসময়ই এইসবের উর্ধে থাকবে। কোন কারনে যদি কাজের ও ভালো একটা মানুষ পলিটিক্সের শিকার হয়েও যায়, অন্য কোন একটা প্রতিষ্ঠান তার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে। আর বর্তমান অফিসটা আপন একটা মানুষকে হারাবে। এইটাই বাস্তবতা।

চাকরী হচ্ছে এমন একটা জায়গা, যেখান থেকে আমার এবং আমার সংসারের রুটি রুজি আসে। প্রতিষ্ঠানকে এই কারনেই ভালোবাসতে হয়। প্রতিষ্ঠানে এই কারনেই নিজের সর্বোচ্চ ভালোটা দিতে হয়। আর কাউকে কিছু দিলে ভালোটাইতো দেওয়া উচিৎ, তাই নয় কি?

কর্মজীবী সমস্ত মানুষ সুখী থাকুক।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আমি সিএসই নিয়ে গ্রাজুয়েশন করব। মাঝে মাঝে ভাবি ওতক্ষন কি অফিসে আমি বসে থাকতে পারব? না কাজের ভয় না, হলে আমি পিসির সামনে সারা দিনই ব্যায় করি। কিন্তু আমার ফর্মালিটি ভালো লাগে না। যেটা অফিসে গেলে অবসম্ভাবী। :(

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

সুখী মানুষ বলেছেন: কে বলেছে আপনাকে ফরমাল হতে হবে? কাজটাকে সততার সাথে ভালোবাসবেন। আর কিছুই করতে হবে না। দেখবেন সবাই আপনার ফ্যান হয়ে গেছে। বিষয়টা আপনি এনজয় করবেন।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

নিশাকর বলেছেন: ভালো লিখছেন। আমি business studies এর একজন ছাত্র। আপনার কথা গুলা কাজে লাগবে আমার। ধন্যবাদ

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

সুখী মানুষ বলেছেন: :)

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

ইফতেখার রাজু বলেছেন: হা হা . বিবাহের আগে আমি কুমারী ছিলাম; একমাত্র বিবাহের কারনে আজ আমি দুুই বাচ্চার মা। ভাই কথাটা খুব মনে ধরলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

সুখী মানুষ বলেছেন: মনে ধরার মত কথা তো ;)
আপনি যে রসিক মানুষ তা বুঝলাম। হে হে হে...

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

মুনতা বলেছেন: ভাল লাগলো পোস্টটা। অফলাইনে পড়ছিলাম। কমেন্ট করার জন্য লগইন করলাম।
+++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সুখী মানুষ বলেছেন: আহারে আপনারে লগইন করার কষ্ট দিলাম :)
যাক, ভালো লাগায় / ভালো বাসায় একটু আধটু শ্রম দিতেই হয় ;)
ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার কথার সাথে সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.