![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
নারী অধিকারের কথা বলাটা কঠিন বিপদের। ব্যাকরণের ভাষায় এই বিপদকে বলে, শাঁখের করাত। যে করাত এই দিকে টান দিলেও কাটে, ঐ দিকে ধাক্কা দিলেও কাটে। পুরুষরা তখন আড়ালে গালি দিয়ে বলে, লুচ্চা শ্রেণীর পুরুষ না হইলে নিজে পুরুষ হয়েও নারীর কথা এমন ভাবে কেউ বলে! আর নারীরা ভ্রু কুঁচকায়ে বলে, আঁতলামী দেখে মরে যাই...।
বাসে উঠলেই পুরুষ মানুষের মনে পড়ে যে তারা সিংহ। ইঞ্জিনের আগুনের উপর কয়েকটা সিট দয়া করে মেয়েদের জন্য বরাদ্দ আছে। বিষয়টা খুব নোংড়া একটা করুণা ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না আমার কাছে। এরপরেও বহু পুরুষকে বলতে শুনছি, পুরুষদের সিটে আপনারা বসছেন কেন? বাকী সিটগুলা যে কমন সিট তা বুঝার মত জ্ঞান ঐ (কা)পুরুষদের নাই।
আর একটা কমন ঝগড়া ক্ষমতাবান পুরুষেরা বাসে করেন। তা হইলো, সমান অধিকার, সমান অধিকার বলেন, তো পুরুষের মত ঝুলে যান না কেন? মনে কতটা বিনম্র শ্রদ্ধা আর অসীম ভালোবাসা থাকলে এমন সুন্দর যুক্তি দিতে পারে ভাবছেন! যারা ধর্মের দোহাই দেন, তাদেরকে বলি - মেয়েটা কি ভীরের মধ্যে আর দশটা পুরুষের সাথে লেপ্টায়ে দাঁড়াবে? যেখানে অনেক (কা)পুরুষই মনে করে বাসই হচ্ছে মাগনা রোমাঞ্চের শ্রেষ্ট জায়গা! ভাইরে মেয়েরাও রোমাঞ্চ চায়, তবে ভীরের মধ্যে গায়ে হাত দেওয়া নোংড়া রোমাঞ্চ না। নাইট কুইন ফুল যেমন সাধনা করে, যত্ন করে ফুটাতে হয়; ঠিক তেম যত্নের ভালোবাসার রোমাঞ্চ তারা চান।
আরেকটা কমন যুক্তি আমি পাঁচ বাচ্চার পুরুষ কলিগকেও দিতে শুনছি। তা হইলো, ওমুক মেয়েটার কথা চিন্তা করছেন! এক বাচ্চা ফুটায়েই ছয় মাস ছুটি! (অ)ভদ্রলোক এই কথা বলতে পারছেন, কারন তার নিজের বউয়ের প্রতি মিনিমাম কোন শ্রদ্ধাবোধ তার নাই। বাচ্চা পেটে আসার পর থেকে একটা মায়ের উপর দিয়ে কী কী যায় তা খুব কাছ থেকে ফিল করার মত এত বড় মনের মানুষ তিনি না।
কাজী নজরুল ইসলাম বলে গেছিলেন - আসিতেছে শুভ দিন, দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ। সেই শুভ দিন অলরেডি চলে আসছে। যে কোন সুবিধা যদি পুরুষ হিসাবে আপনি একটা পান, আর তার তিনগুন একটা মেয়ে পায়। তাহলে অভিযোগ করার কোন যুক্তি আমি অন্তত পুরুষ হিসাবে খুঁজে পাই না। আমার মনে হয়, বাকী দুইটা হচ্ছে - দিনে দিনে যে ঋণ জমা হয়ে আছে তারই শোধ।
একটা মেয়েকে বেশী সুবিধা দেওয়া কিন্তু আমি পরকে যে সুবিধা দিলাম তা না। এ সুবিধা আমিই আমার মাকে, বোনকে, মেয়েকে দিলাম। কারন আমি আপনার ঘরের মেয়েদেরকে সম্মান, সুবিধা দিলে তবেই না আমার ঘরের মেয়েরাও তা পাবে তা সমাজের কাছে আশা করতে পারি, নাকি?
একটা গোপন কথা পুরুষদের কানে কানে বলি - মেয়েরা বড় খারাপ জিনিস, জানেন? এরা এতটাই খারাপ যে, নিজে একটা আপেল খেয়ে যদি মেয়েদেরকে দুইটাও দেন, তারা তা নিবে। ঐ যে বল্লাম না, তারা খারাপ? আর তার বড় কারনটা হইলো, এই মূর্খের জাত অর্ধেকটা আপেলও নিজে খাবে না। একটা আপেল অন্যদের মধ্যে বিলি করবে। এবং বাকী অর্ধেকের সিংহ ভাগটাই আপনাকে খাওয়াবে। তো এতই যারা মূর্খ তাদেরকে ঠকাবেন না, তাদের বিরুদ্ধে খোঁড়া যুক্তি দিবেন না, তো কাদের বিরুদ্ধে দিবেন বলেন?
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৭
নাজনীন পলি বলেছেন: নারী অধিকারের কথা বলাটা কঠিন বিপদের। কথা সত্য । আমি অধিকার নিয়ে বলতে যেয়ে বিপদে আছি ।
সকল পুরুষদের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক এই কামনা করি ..
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
ঝাপসা বালক বলেছেন: আমি কিছু বলব না । আমি কিছু বলব না ।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০১
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: কল্যাণকর সৃষ্টির অর্ধেকটুকু যার প্রাপ্ত তিনিই তো ভালবাসার মানুষ
আর ভালবাসার মানুষকে ঠকানো যায় নাকি?
সকল মানুষের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক...
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: আমরা শিক্ষিত হচ্ছি কিন্তু স্বশিক্ষার অভাব রয়েছে বলে এমন নিম্ন রুচিকর ভাষা চলে আসে ...
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
কাবিল বলেছেন: একটা মেয়েকে বেশী সুবিধা দেওয়া কিন্তু আমি পরকে যে সুবিধা দিলাম তা না। এ সুবিধা আমিই আমার মাকে, বোনকে, মেয়েকে দিলাম। কারন আমি আপনার ঘরের মেয়েদেরকে সম্মান, সুবিধা দিলে তবেই না আমার ঘরের মেয়েরাও তা পাবে তা সমাজের কাছে আশা করতে পারি, নাকি?
সুন্দর বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের বোধ জাগ্রত হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে