![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
কল দেই। নম্বর বিজি, নম্বর বিজি...। দেখা হওয়ার পর বললাম
- মানুষ কতক্ষণ কথা বলে রে ভাই!
বিরস মুখে ছেলেটা বললো
- সরি বস, আপনে কল দিছেন দেখছি। কিন্তু কথাতো বলতেছিলাম না, ওয়াদা পালন করতে ছিলাম।
আগ্রহ জাগলো। কিন্তু কিছু জিজ্ঞাসা করলাম না। কিছুক্ষণ পর দেখলাম মোবাইল হাতে নিয়া একের পর এক কল দিয়েই যাচ্ছে। অপর পক্ষ থেকে উঠাচ্ছে না। কিন্তু সে কল দিয়েই যাচ্ছে। বুঝলাম, গতদিনও একই কান্ড করছে। আমার দিকে চোখ পড়তেই লজ্জা পেয়ে বললো
- পাগল একটা বুচ্ছেন! দিনে কয়েকবার ১০০ টা করে কল দিতে হয়। সে ফোন ধরে না, মোবাইল ভাইব্রেশন দিয়া বুকের উপর রেখে দেয়।
নিজের আমার প্রেমের অভিজ্ঞতা নাই। এইটা গর্ব করে বলার মত কথা না। তিনি মাঝেমাঝে খোটা দিয়ে বলেন
- এই জন্যইতো লাইফে প্রেম করতে পারো নাই।
কযদিন পর হয়ত প্রিয়'র বান্ধবী নিয়া কথা বললে, বিরক্ত হয়ে সে বলবো - বাবা এইসব বুঝবানা, তোমার লাইফের হিস্টোরি আমি জানি।
এই প্রেম না করতে পারার ঘাটতি আমি কমানোর চেষ্টা যে করি নাই তা না। নিজের জীবনে যখন কিছুতেই কিছু হইলো না, তখন আমি অন্যদের প্রেমের ঘটনাগুলা শোনতে শুরু করলাম। একেকটা প্রেম একেকটা উপন্যাস।
সমান্তরাল রেখা যে অসীমে গিয়ে মিলে যায় এই নিয়া একটা গল্প বলার জন্য লেখাটা শুরু করছিলাম। কিন্তু দা এর চাইতে আছাড় বড় হয়ে গেছে। তাই মূল গল্প আপাতত বাদ। ভূমিকাতেই শেষ করলাম। বাই দা ওয়ে, গল্পটা ইন্টারেষ্টিং ছিলো এবং কিঞ্চিৎ বড়দের।
উমমম, থাক ফাও হিসাবে পিতা-পুত্রের ছোট একটা প্রেম কাহিনী বলি। প্রিয়কে তো আমার পাশে শুইতে দেই নাই আজ পর্যন্ত। কারন ভয় হয়, পাছে আমার হাত পা ওর নাকে মুখে চাপ পড়ে। গতদিন সে তার মা'কে ডিঙ্গায়ে আমার কাছে আসলো। আমার গলা জড়ায়ে ধরে, একটা পা আমার উপড়ে উঠায়ে দিলো। ঢং করে বললো, বাবু বাবা। তারমানে বাবু আজকে বাবা'র কাছে ঘুমাবে।
প্রেম কাহিনীটা আরো বড় হইতে পারতো। কিন্তু ওর বেরসিক মা বাঁধ সাধলো। তিনি ঘুমে ঢুলুঢুলু। প্রিয়'রে একটা চড় দিয়া বললেন - তোর বাবু-বাবা আমি ছুটাইতাছি। আয়, তোর বালিশে ঘুমা! তোর জন্য আবার ওয়ালক্লথ সড়ায়ে বিছানা করবো?
©somewhere in net ltd.