![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
আমার ফটো-ফোবিয়া আছে। ঘটা করে ছবি তুলতে গেলে বিষয়টা চরম আকারে দেখা দেয়। চরম অস্বস্তিকর একটা ভীতি কাজ করে। মাঝেমাঝে মনে হয়, হয়ত মরে যাবো শীঘ্রই, তাই স্মৃতি হিসাবে কয়েকটা ছবি তুলে রাখতে চাইছে। শাকিল ভাই নামের এক ভদ্রলোক একেবারে এমনি এমনি আমাকে অনেক পছন্দ করেন। বেশ কয়েকদিন বললেন, ভাই চলেন এমওইউ'র পেপারটা হাতে নিয়া আপনার সাথে একটা ছবি তুলি। আমি এদিক সেদিক ইংকি পিংকি পে পু করে বিষয়টা অন্য দিকে ঘুরায়ে দিলাম।
কিন্তু বাসায় যেদিন ঘটা করে ছবি তোলার বিষয়টা আসে, সেদিন যতই অস্বস্তি লাগুক শেষমেষ রাজি হইতে হয়। এবং সব চাইতে ভদ্র যে অভিযোগটা শোনতে হয়, তা হইলো
- তোমারে মনে হয় পিটায়ে ক্যামেরার সমানে দাঁড়া করানো হইছে!
বিষয়টা আমি বুঝি। হাসতে গেলে মনে হয় জোর করে হাসতেছি। নরম্যালি দাঁড়ায়ে থাকলে মনে হয় মুখ ভোঁতা করে দাঁড়ায়ে আছি। উচ্ছলতা দেখাইতে গেলে খুব অস্বস্তিকর জোকার টাইপ লাগে। সব মিলায়ে আমার জন্য এ অনেক বড় এক মানসিক চাপ। একটা পর্যায়ে আমি এই চাপটা আর নিতে পারি না। খুব বাজে টাইপ একটা সিচুয়েশনের মধ্য দিয়ে ছবি তোলা সুখময় বিষয়টার করুণ পরিণতি ঘটে।
ঘটনাটা অনেকের কাছে খুব খোঁড়া যুক্তির মনে হইতে পারে। ডিস কভারিতে একবার দেখাছিলো, এক ভদ্র মহিলা প্রায় দশ গুন দূরত্ব ঘুরে তার মেয়ের স্কুলে যান। কারন সর্টকার্ট রাস্তাটায় ডানে মোড় নিতে হয়। তিনি ডানে মোড় নিতে পারেন না, ভয়ে তার হাত পা শক্ত হয়ে যায়। তাই বামে মোড় নিতে নিতে তিনি মেয়ের স্কুলে যান। এবং আবার বামে মোড় নিতে হয় এমন রাস্তায় ফিরেন। ঐ ভদ্রমহিলার জামাই কিন্তু বলে নাই, এইটা আবার কেমন ঢং!
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: এই মূহুর্তে নেট খুব স্লো।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: সেলফি তোলা হ্যাবিট করেন ঠিক হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আমার ফটো-ফোবিয়া আছে। ঘটা করে ছবি তুলতে গেলে বিষয়টা চরম আকারে দেখা দেয়। "
-ক্যামেরাটা পানিতে ফেলে দেন।