![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
গ্যাসের দাম দ্বিগুন হচ্ছে।
বিষয়টা ঠিক প্রিয়'র উপর মাইর বন্ধ করে দেওয়ার মত ঘটনা। গত কয়দিন আগে ঘোষণা দেওয়া হইলো প্রিয়'কে আর মাইর দেওয়া হবে না। ও তো আর ঘোষণা বুঝে না। কিন্তু বুঝলো যে ওর গায়ে আর হাত উঠতেছে না। কী কী করলে ওর উপরে হাত উঠবে তা সে এক্সপেরিমেন্ট করা শুরু করলো।
- টি টেবিলের উপরে মোড়া উঠায়ে, এর উপরে উঠলো। ছেলে হবার সুবিধা ব্যবহার করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব কয়টা সোফা হিসু করে ভিজালো। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও অবাক হয়ে সে দেখলো, তার গায়ে হাত উঠতেছে না।
- ঘরে তিনটা বেডরুম। তিনটা বেডেই আলাদা আলাদা ভাবে হিসু করে ভিজালো। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও অবাক হয়ে সে দেখলো, তার গায়ে হাত উঠতেছে না।
- ওর মায়ের মোবাইল আছাড় দিয়ে তিন টুকরা করলো। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেওও অবাক হয়ে সে দেখলো, তার গায়ে হাত উঠতেছে না।
- (... আরো অনেক অনেক কিছু...)
গত পরশু, ফুটপাথে দাঁড়িয়ে আছি। সে একা একা নীচে নামবে। মোখিক নিষেধ করা হইলো, কথা না শোনে লাফ দিলো। বাম হাতের কনুইয়ে পিচঢালা পথের আঁচড় লেগে ছিলে গেলো।
সরকার নিজের মত করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ভালো-মন্দ বলার মত কোন বিরোধী দল নাই। সরকারও একে একে জনগণের টল্যারেন্স লেভেল চেক করতেছে। জনগণ ভয়ে কিছুই বলছে না। এমন করে জনগণকে উপেক্ষা করতে করতেই হয়ত একদিন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে সরকার। জনগণকে পুলিশি অত্যাচার দিয়ে চুপ রাখা হয়ত আপাতদৃষ্টিতে সেফ মনে হচ্ছে। কিন্তু এতে করে আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের দিকেই কিন্তু সরকার ধীরেধীরে আগাবে।
প্রাসঙ্গিক ভাবে পুলিশি অত্যাচারের একটা উদাহরণ দেই। গতদিন, আমার এক রিলেটিভের মটরসাইকেল পরপর ছয়বার আটকাইছে পুলিশ। এরমধ্যে একজনের ব্যবহার হইলো এই রকম
- কী করোছ?
- তুই তুকারি করেন কেন?
- কতবড় সাহস! পুলিশের মুখের উপর কথা? কী করছ বল্
- জ্বী ছাত্র
- ও ছাত্রগিরী ুদাস?
(বাকী কথাগুলা টুওওওট...)
ফলাফল: পকেটের চব্বিশশো টাকা ছয় চেকপয়েন্টে শেষ। এই হইলো আমার সোনার বাংলাদেশ।
২| ২০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
বিজন রয় বলেছেন: গ্যাসের দাম দ্বিগুণ হলো আর বেতনও কমে গেল।
বাহ! শান্তি এলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: আরো দেখার বাকী আছে জনাব!