![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
মেয়েরাই মেয়েদের প্রধানতম শত্রু। উদাহরণ দেই
- শরিয়া ভিত্তিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়া একটা ইস্যু তৈরী হইছিলো কিছুদিন আগে। কালেরকণ্ঠে আমার এক বন্ধু চাকরী করতেন। তার অভিজ্ঞতা হইলো। তখন প্রচুর মেয়েরা ফোন দিতেন। ফোন দিয়েই প্রতিবাদ করে বলতেন
- বাপের সম্পত্তিতে মেয়ে ছেলে সমান ভাগ পাবে, এইসব নিয়া নাকি আপনারা লেখতেছেন!
- আপনার বক্তব্য কী?
- বক্তব্য মানে? সোজা কথা, মেয়ে আবার ছেলের সমান সম্পত্তি ক্যামনে পায়? মেয়ে তার বাবার বাড়ি থেকে পাবে ছেলের অর্ধেক। আর এইসব সম্পত্তি কেউ আনতে যায়!
মেয়েরা বলতে পারবেন ঘরে তাদের বেষ্ট ফ্রেন্ড কি বাবা নাকি মা। আমার দেখা বেশীর ভাগ পরিবারগুলাতেই মেয়েরা মা'কে বান্ধবী মনে করে ঠিকই। কিন্তু লিমিটের বাইরের কোন কিছু আব্দার করতে গেলে বাপকেই গোপনে গিয়ে কনভিন্স করে বলে, মা'কে ম্যানেজ করো আব্বা।
বউরা বলতে পারবেন শ্বশুরবাড়ীতে শাশুড়ি কেমন হয়। আর শ্বশুর কেমন হয়। পদেপদে শ্বশুড় দোষ ধরার চেয়ে বরং কিছুটা মেয়ের নজরে দেখেন বলেই আমার বিশ্বাস।
শেষমেষ গুলশান একটাকের কথাই বলি। এক নারী আমার উপর ঝাল ঝেড়ে বললেন, খুব তো আইছেন নিবরাসদেরকে নিয়ে লেখার জন্য। আপনার লেখুনী কোথায় থাকে যখন ফিলিস্তিনে, ইরাকে, সিরিয়ায় মুসলিমদেকরে ইহুদী নাসারারা মারে!
আচ্ছা ভদ্রমহিলা কি জানেন গুলশান এটাকে যে কয়টা মেয়ে মারা গেছে তাদের শরীরে কী পরিমান অত্যাচার করা হয়েছিলো? যতদূর জানি, মেয়েগুলার শুধু স্তনের মধ্যেই ছুরি'র আঘাত কয়েক ডজন। যে ডাক্তার ভদ্রলোক এর ময়না তদন্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি এত নিশংস অত্যাতার কোন বডিতে দেখেন নি, তিনি কেঁদেছেন।
অথচ নারীর প্রতি অসম্মান, অসম মর্যাদা, অত্যাচারে নারী কাঁদে না। প্রায় সব নারীরাই উল্টা যে পুরুষরা নারীর অধিকারের, সম্মানের দাবী করে, তাদেরকে খারাপ নজরে দেখে।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
সিগনেচার নসিব বলেছেন:
নারীর প্রতি অসম্মান, অসম মর্যাদা, অত্যাচারে নারী কাঁদে না।
প্রায় সব নারীরাই উল্টা যে পুরুষরা নারীর অধিকারের
সম্মানের দাবী করে, তাদেরকে খারাপ নজরে দেখে।
বাস্তব কথা বলছেন ভাই । ভাল লাগছে
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু একটা নিয়ে, কিছু একটা বলা, যার মাথাও নেই, লেজও নেই
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
সুখী মানুষ বলেছেন: এই জন্যই বই লেখতে বলেন অনেকে, লেখি না। মাগনা পড়েই অপমান করেন। টাকা দিয়ে যারা বই কিনে পড়বেন, তারা তো বাড়ীতে এসে মাইর দিয়া যাবেন ।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩০
তানিয়াজামানরুম্পা বলেছেন: জেনারালাইজড করা কি ঠিক হলো?
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
সুখী মানুষ বলেছেন: ভাই আমিতো পাঠ্যপুস্তকে কিছু লেখছি না। ব্লগে লিখছি। আমার চিন্তায় কমতি, ভুল থাকতেই পারে। আপনারা যখন আলোচনা করবেন, তখন এর মধ্য থেকে হয়ত ভালো কোন কিছু বের হয়ে আসতে পারে। সবাই মিলে, সফল আলোচনায় অবশ্যই ভালো কোন সিদ্ধান্তে পৌছানো যায়।
আমি স্বেচ্ছায় জেনারালাইজড করি নাই। আমার একান্ত নিজের দেখা'র উপর ভিত্তি করে লেখা। এক্সেপশনাল কেস থাকতে পারে। আবার এমনও হতে পারে আমিই হয়ত এক্সেপশনাল কেস বেশী দেখেছি।
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০১
সালমা শারমিন বলেছেন: সম্পত্তির ব্যপারটা যেটা বললেন..... আমি আমার ধর্মের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমার ধর্ম যা বলে আমি তার বাইরে যাব না, কারন আমি বিশ্বাস করি ইসলাম সবচেয়ে বৈষম্যহীন ধর্ম।
আর বাকি সব ব্যপার গুলোই আপনি শুধুমাত্র আপনার চিন্তাধারা থেকেই লিখেছেন।
আসলে এটা পুরোটাই আপনার একান্ত নিজস্ব চিন্তাধারা।
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
সুখী মানুষ বলেছেন: হ্যাঁ নিজস্ব ধারণা।
তবে ঘিন্না লাগে কখন জানেন? যখন দেখি গুলশান এটাকের জঙ্গিদের প্রতি মায়া নিয়ে মানুষজন কথা বলে। তারা মনে করে বিশ্বে মুসলিম ব্রাদারহুডের উপর যে আঘাত হচ্ছে, তার উচিৎ জবাব হয়েছে। নিরীহ বিদেশী বন্ধুদেরকে মারা হয়েছে, বাংলাদেশের এ কত বড় লজ্জা, ক্ষতি তা তারা বুঝে না।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: ধন্যবাদ সালমা শারমিন
লেখককে বলি,
সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার হয় না। সমান অধিকার হল গড়ে মানে এভারেজ। কিছু ক্ষেত্রে অধিকার বেশী কিছু ক্ষেত্রে অধিকার কম এটাই সঠিক নিয়ম(আমার মতে)। সৃষ্টি গত পার্থক্য যখন আছে তখন ভিন্নতা তো একটু থাকবেই। আপনি অনান্য প্রাণিকুলের দিকে তাকান তাহলে বুজতে পারবেন (পার্থক্য)। সমস্যা হয় যখন আপনি শরিয়া ভিত্তিক সম্পত্তি ভাগাভাগি মানবেন অথচ শরিয়া ভিত্তিক অনান্য নিয়ম মানবেন না। [ সবাই পৃথীবিকে নিজের মত করেই দেখতে চায় ] নারীই নারীর প্রধান শত্রু, ইসলাম ইসলামের শত্রু, বাঙ্গালী বাঙ্গলীর শত্রু এইগুলা আবেগী কথা আর গুলশান হত্যাকান্ড হল সন্ত্রসী কাজ এর সাথে আপনি মহিলার কথা কি মিলালেন বুজলাম না।
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫
সুখী মানুষ বলেছেন: "সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার হয় না"। একমত। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই ছেলে, মেয়েতে সুযোগ সুবিধায় তারতম্য করাও ঠিক না। সে হোক লেখাপড়া, সে হোক মতামতের, সে হোক অন্য যে কোন কিছু'র।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
সালমা শারমিন বলেছেন: জ্ঞান ক্ষুধা আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লেখককে সাহেব..... আমার ধারনা আমরা বড় অসহায় জাতি। এখানে প্রতি পদে পদে আমরা নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করি। আর ফায়দা হাসিল হয় আমাদের সমাজের রাজনৈতিকসহ নীতি নির্ধারনী লোকদের। আমাদের নারী পুরুষ বিতর্ক, আমাদের হিন্দু মুসলীম বিতর্ক, আওয়ামী বিএনপি বিতর্ক, আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক। এই দেশে এত বিতর্ক যে, শয়তান যেমন মোহাচ্ছন্ন করে সবসময় আমাদের ভাল কাজ থেকে দূরে রাখে, তেমনি রাজনৈতিকরা বিভিন্ন বিতর্ক তৈরি করে আমাদের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখে। কিছু কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলে না। গুলশান হামলা সহ সকল প্রকার হামলাকারীরা নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম এর কোন দ্বিমত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু কি বলেনতো, আমাদের যে বিতর্ক তৈরির স্বভাব।
তাইতো কোন এক বিশেষ ব্যক্তি নাকি বলেছিল.....প্রয়োজনে ১জন বাঙ্গালি ১০০ জন হয়ে যেতে পারে, কিন্তু কখনও ১০০জন বাঙ্গালি এক হতে পারে না।
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
সুখী মানুষ বলেছেন: "গুলশান হামলা সহ সকল প্রকার হামলাকারীরা নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম এর কোন দ্বিমত হওয়া উচিত "। একমত।
৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
" লেখক বলেছেন: এই জন্যই বই লেখতে বলেন অনেকে, লেখি না। মাগনা পড়েই অপমান করেন। টাকা দিয়ে যারা বই কিনে পড়বেন, তারা তো বাড়ীতে এসে মাইর দিয়া যাবেন "
-লেখা থেকে কমেন্টটা বেশী সঠিক
৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের শিক্ষিত মহিলাদের বেলায়, আপনার ধারণা মোটামুটি সঠিক; কিন্তু বাংলাদেশের নারী বলটে বুঝায় কোটী কোটী লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বন্চিত মা, বধু ও কন্যারা; এঁরা স্বাী ও পরিবারের উপর এত অসহায়ভাবে নির্ভরশীল যে, আগামী কাল কি হবে সেটা এঁদের কন্ট্রোলে নেই।
স্যরি, প্রথম কমেন্টের জন্য।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চাঁদগাজীর শেষ মন্তব্যটা বুঝলাম, একমতও । তবে লেখক আপনার সাথেও একমত! ঐ মেয়েগুলো শিক্ষিত হলেও মানসিকতা একই থাকে । বেশি কথা বলতে মানা ।
২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
সুখী মানুষ বলেছেন: সাধু ভাই, মোদ্দা কথা হচ্ছে, ব্যক্তি আমি মারামারি, কাটাকাটি, ঠকানো এইগুলা খুব অপছন্দ করি। ছেলে মেয়ে এক না। তবে কেউ কারো চেয়ে ছোট না, সবাই সমান। এইটাই ভাবতে সুখ লাগে। আর এই সুখের ভাবনায় ছেলেরা অনেকটা একমত হয়, কিন্তু মেয়েরা ঠকে থাকতেই বেশী পছন্দ করে। তারা মনে করেন, যত ঠকবেন, যত ছার দিবেন ততই তারা সংসারে লক্ষী বলে পরিচিত হবেন। আমি এইটা মানতে পারি না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
নারীই নারীর প্রধানতম শত্রু আপনার বক্তব্যের সাথে আমি একমত