![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
পল্লী বিদ্যুৎ বিষয়ে একটা সাহায্য দরকার...
আমাদের জমি'র উপর একটা পল্লী বিদ্যুৎ এর খুঁটি আছে। জমিতে আমরা এখন পুকুর কাটবো। খুঁটি সড়ায়ে নেওয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করলাম। দেখা গেলো ১৫০০ টাকা দিয়ে এপ্লিকেশন করা লাগে, করলাম। ওমা! এখন আবার ৬৫ হাজার টাকা চায়! আমার কথা হইলো
- আমার জমি'র উপর যে খুঁটি বসাইলো, কই কোন পার্মিশন তো নেয় নাই।
- বছরের পর বছর আমারে তো কোন ভাড়া দেয় নাই।
- নিজের প্রয়োজনে যখন আমি বললাম খুঁটি সড়াও, কেন আমার পকেটের ১৫০০ টাকা দিয়ে এপ্লিকেশন করতে হবে?
- এখন কেন আবার ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া লাগবে?
- ৪ মাসের মধ্যে খুঁটি সড়ানোর কথা, প্রায় ২ বছর হয়ে গেলো, কোন সাঁড়াশব্দ নাই। এখন আবার টাকা চায়। দুই দিন পর যে আবারো টাকা চাবে না এর গ্যারান্টি কী?
- এত বড় একটা অর্গানাইজেশন, লক্ষ লক্ষ এদের খুঁটি। নিশ্চয়ই এদের কোন না কোন নীতিমালা আছে। জনগণের পকেট থেকে বিনা যুক্তিতে এমন করে টাকা নেওয়ার মত কোন নীতিমালা কি আদৌ আছে? আর থাকলেই বা এর যৌক্তিকতা কী?
পল্লী বিদ্যুৎ তার খুঁটি নিজের মনে করে পুতে গেছে, এখন সড়াতে টাকা চাচ্ছে। দুইদিন পরে নগর বিদ্যুৎ গিয়া খুটি গাঁড়বো, উপশহর গ্যাস গিয়া পাইপ টানবো, সেমি রাজধানী ওয়াটার সাপ্লই গিয়া পাইপ টনাবো...। কেউই টানার সময় পার্মিশন নিবে না। আমার জমি ব্যবহার করবে বলে কোন ভাড়া দিবে না। কিন্তু যখন আমার নিজের প্রয়োজনে জমিতে কাজ করতে যাবো, তখনই টাকা দিয়ে তাদের হাতে পায়ে ধরে সড়াতে হবে। এই জমির মালিকানা লইয়া আমি কী করিবো?
জানতে চাচ্ছি, করনীয়টা কী?
নাকি নিজের জমিও রামপাল মনে করে বসে থাকবো?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
সুখী মানুষ বলেছেন: এইটাই ভাবতেছি। আমি লাখ টাকা খোয়াতে রাজি মামলা করে, কিন্তু এমনি এমনি টাকা দিবো না...
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
পবন সরকার বলেছেন: এ তো দেহি নিজের থাইকাও নাই।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
সুখী মানুষ বলেছেন: হ রে ভাই
একটু আগে একই লেখা আবার লেখলাম...
জন্মভূমি আমারে নিরহংকারী হইতে সাহায্য করতেছে।
কবিগুরু বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না, তাই কষ্ট করে তিনি লিখেছিলেন, সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে। বাংলাদেশে জন্মাইলে তার আর দোয়া টোয়া করা লাগতো না অহংকার চোখোর জলে ডুবানোর জন্য। এমনি এমনিই অহংকার নাক দিয়া, চোখ দিয়া বাইর হইতো।
আমাদের জমির উপর থেকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সড়াইতে গিয়া তা হাঁড়ে হাড্ডিতে টের পাইতেছি। জমিতে পুকুর কাটবো, খুঁটি জমির মাঝখানে। খুঁটিটা চার, পাঁচ হাত এদিক সেদিক সড়ায়ে দিলেই হয়। তারজন্য কেন আমাকে ১৫০০ টাকা দিয়ে এপ্লাই করা লাগলো? আমার দোষ কোথায়? প্রথম প্রশ্ন হইলো, কেন আমি ১৫০০ টাকা দিবো, কেন? এইটাই পল্লী বিদ্যুৎ এর নিয়ম। কিন্তু কেন!
কথা হয়ত এতদূর আসতো না। আসছে, কারন এখন আবার ৬৫ হাজার টাকা চাচ্ছে। পরে আরো কত চাইবো কে জানে! দেখি, আজকে বড় ভাই গেছেন কুমিল্লার জোনাল অফিসে। আমি স্পষ্ট বলে দিছি, ৬৫ পয়সাও না। টাকা বল ার ুটকি দিয়া বের হয় না।
দেশের নিয়ম, দুর্নীতি আমারে বাধ্য করতেছে ফিল করতে, আমার নিজের জমিটাও আমার না।
আমার শরীরতো জ্বলতেছে প্রথম ১৫০০ টাকা'র কারনেই! কেন আমি ১৫০০ টাকা দিবো? খুঁটি সড়ায়ে নেওয়ার এপ্লাই করতে ১৫০০ টাকা কেন লাগবে? কেন!
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
রানা আমান বলেছেন: আপনার জমি কোন পল্লি বিদ্যুতের এলাকায় ? কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ ১ না ২ না ৩ ?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
সুখী মানুষ বলেছেন: কুমিল্লা জেলার, ব্রাহ্মণপাড়া থানা'র সাহেবাবাদ গ্রাম।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
রানা আমান বলেছেন: দুঃখিত ভাই, উত্তর দিতে কদিন দেরী হয়ে গেল । কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ ১ এ আমার পরিচিত কজন কর্মকর্তা আছেন তাদের সাথে কথা বলে যেটা জানলুম তা হচ্ছে - দেশের যে কোন স্হানে বিদ্যুতের লাইন টানার জন্য খুঁটি বসাতে পল্লী বিদ্যুৎ এর কারো (জমির মালিকের) অনুমতির প্রয়োজন নেই তবে বসানো খুঁটি সরাতে যথোপযুক্ত টাকা জমা দিলে ,খুঁটি সরানো যাবে । পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠন করার সময়ে বিদ্যুৎ আইনে নাকি এরকম বিধান রাখা হয়েছিলো । ও হ্যাঁ আপনার এলাকা কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ ২ এর আওতায় পড়েছে ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
সুখী মানুষ বলেছেন: জমি সব সরকারের, জনগণ খাজনা দিয়ে শুধু ভোগ করতে পারে। এরপরেও সরকার যদি রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কোন জমি কারো কাছ থেকে নেয়, পারমিশন নিয়েই নেয়। বাজারদরে তার মূল্য পরিশোধ করেই নেয়। পল্লীবিদ্যুৎ কি সরকারের চাইতেও বড় মালিক জমি'র!
প্রশ্ন হইলো ১৫০০ টাকা দিয়ে যে এপ্লাই করা লাগে খুঁটি সড়ানোর, এইটাইতো অমানবিক! একটা গরীব মানুষের ধরের একটুকরা জমিই আছে। সে কোত্থেকে দিবে ১৫০০ টাকা? আমি এই ১৫০০ টাকা দিয়ে এপ্লাই করেছি দেড় বছর আগে, এখনো কোন কাজ শুরু হয় নাই। এখন এসে যে ৬৫ হাজার টাকা চাচ্ছে, তারওতো কোন নীতিমালা থাকা উচিৎ, তাইনা? আর নীতিমালা যদি নিজের ইচ্ছামত ৬৫ কোটি টাকা লিখে রাখে, আমার এইটাই মানতে হবে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: কেস করে দেন।