নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে মেয়েদের প্রেম...

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪১

প্রেম বিষয়ে বাঙ্গালী পুরুষদের পরিস্কার অবস্থান - বিচারতো মানিইনা, তালগাছটাও আমার। উদাহরণ দেই
- আমি প্রেম করবো। আমার বোন, মেয়ে, ভাতিজি, ভাগ্নি প্রেম করতে পারবে না।
আরে ভাই, আমি যার সাথে প্রেম করবো, তারে কি উপরওয়ালা আত্মীয়হীন করে আসমান থেকে টুপ করে দুনিয়ায় ফেলছে? সেওতো কারোনা কারো বোন, মেয়ে, ভাতিজি, ভাগ্নি, নাকি!
- সিনেমা, নাটকে যখন নায়ক নায়িকার মিল না হবে তখন কেঁদে বুক ভাসাবো। অথচ ঘরে এসে নিজের নারী আত্মীয়দের প্রেমের কথা শুনলেই মাথায় আগুন জ্বলে উঠবে।

এর একটা প্রচ্ছন্ন কারন হইলো, আমাদের দেশের মেয়েরা সমানতালে এখনো আর্থিকভাবে সাবলম্বী না। পুরষরা যেহেতু সংসার চালায়। তাই পুরুষ অভিভাবকের মাথায় সবার আগে আসে, যে ছেলেটার সাথে প্রেম করতেছে, সে কি পারবো মেয়েটার দায়িত্ব নিতে? যদি সংসারে অভাব দেখা দেয়? যদি সংসারটা না টিকে? এত এত টেনশন কিন্তু থাকতো না, যদি মেয়েরাও সমানভাবে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতো।

আমাদের দেশে মেয়েদের প্রেম মানেই মরণ! এরা না পায় সমাজের সুনজর, না পায় সংসারের। নিরাপত্তাহীনতার একটা শূন্যতাতো মনে থাকেই। যে পুরুষটার উপর নির্ভর করবে, সে ছেড়ে গেলে কী হবে এই ভয়ও মনে থাকে। অথচ নিজে যদি আর্থিক, সামাজিক ভাবে সচ্ছল হতো, এত এত টেনশন কাজ করতোনা মনে। ভালোবাসা মানে ভালোবাসাই হইতো তখন। ভালোবাসা মানে, হে পুরুষ তুমি কি আমার দায়িত্ব নিতে পারবা'র আকুতি হইতো না। প্রচ্ছন্ন আকুতি দিয়ে যে প্রেম শুরু হয়, এই প্রেম পরিণয় পর্যন্ত গড়ানোর পরেও মেয়েটা কখনোই স্বাধীন হয়না। পুরুষের মোহ কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যায়। তখন প্রেয়সী হয়ে যায় গৃহে'র কাজ করা একজন মহিলামাত্র।

মেয়েটার প্রেমে'র প্রতিটা দিন কাটে অনিশ্চিৎ অন্ধকার ভবিষ্যতের ভয়ে। পরিবারের মানুষগুলার সাপোর্ট তখন আরো বেশী দরকার। অথচ পরিবারের মানুষগুলাই তখন বেশী শত্রু। যে মা বন্ধবীর মত ছিলেন, তিনি আরো বড় শত্রু। কারন মা বেচারী জানেন, পুরষ শাসিত এই সমাজে মেয়েটার সিদ্ধান্ত পরিবারের পুরুষরা মেনে নিবেনা। যদি ছেলেটা খারাপ হয়, যদি সংসার ভেঙ্গে যায়। বাপ, ভাই, আত্মীয় কেউ আর মেয়েটাকে ফেরত নিবে না। মেয়েটা যাবে কোথায়? এই ভয়েই মা কিছুতেই চান না মেয়েটা নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিক।

আমি বলছিনা মেয়েদের চাকরী, ব্যবসা করতেই হবে। কিন্তু আর্থিকভাবে সাবলম্বী যে হতেই হবে, এর কোন বিকল্প নাই। সে হোক উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া, হোক জমানো টাকা বা হোক অন্য কোন উপায়ে পাওয়া। আর্থিক, সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়া মেয়েরা বুঝবেই না আসলে টেনশন ফ্রি প্রেম জিনিসটা কতটা স্বর্গীয়। আর সেই প্রেম স্বর্গকেও হার মানাবে যদি পরিবারের প্রতিটা সদস্য থাকে পাশে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫১

মার্কো পোলো বলেছেন:
হাচা কথা বলছেন। মেয়ে মানেই বিকল্প কোন কিছুর চিন্তা করা হয় না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

সুখী মানুষ বলেছেন: এই পোষ্টের প্রথম মন্তব্যটাই এত সুন্দর করে পেলাম? সত্যিই ভাবছিলাম, অনেক গালি শুনবো...।
ধন্যবাদ মার্কো পোলো ভাই।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব কোন যুক্তি না। ধর্মীয় কারণেই বেশী বাধা দেয়া হচ্ছে। ইসলামে মানা আছে বলেই এখনো অভিভাবকরা এটা মেনে নিতে পারছে না। প্রেম করা মানে তো শুধু প্রেম না। আরো অনেক বেশী কিছু। এগুলো ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ। প্রেম যদি হয়েই যায় তাহলে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা উচিত। তখন আবার ছেলে রাজি হয়না। কাজেই মেয়েদেরও উচিত যে ছেলে বিয়ের দায়িত্ব নিতে পারবে তার সাথেই প্রেম করা। আর বাকীগুলো সময় ও চরিত্র নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

সুখী মানুষ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে।
তবে কি জানেন, ধর্ম আজকাল ঐ অর্থে ক'জনইবা মেনে চলে বলেন? অথচ প্রতিঘরেই অলমোষ্ট মেয়েরা বড় চাপে আছে। মা'বাবা, গার্ডিয়ানের মতের সাথে তাল মিলিয়ে চলো, তো ঠিক আছে। কিন্তু সবাই ভুলেই যায়, মেয়েটারও নিজের মত আছে, সেও স্বাধীন একজন স্বত্তা।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মেয়েদের প্রেমের কোন যুগের কথা বলছেন? বর্তমান যুগ তো মনেই হল না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

সুখী মানুষ বলেছেন: আশেপাশে দেখেই লেখলামরে ভাই। একটু খবর নিয়ে দেখেন, হাসিমুখের আড়ালে কত চাপাকান্না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.