নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহায্য দরকার.... (অ কি একবার আসিয়া গানটার মানে বুঝতে)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

সাহায্য দরকার, উত্তর বঙ্গের ভাষা বুঝেন এমন কারো।
খুব পছন্দের একটা গান। কিন্তু অর্থ সব বুঝি না! যতটুকু বুঝি দিলাম। ভুলগুলা ঠিক করে দিতে হবে। গানটা'র মূল কথা যতদূর বুঝতে পারছি - পণের টাকা'র লোভে মা বাবা তাদের মেয়েকে পাগল একটা লোকের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। কিছুতেই মন বসছেনা তার সংসারে। স্বামীকে কাছেও আসতে দিচ্ছেনা সে। ফুল ফুটে, পাখী গায়। বাড়ীর পাশের নদীটার পাড় ধরে তার ফেলে আসা প্রেমিক পুরুষটাও চলাচল করে। কিন্তু তার সাথে দেখাও হয় না। তাই তাকে আকুতি করে বলছে, সোনার চাঁন একবার এসে দেখে যাও।


অ কি একবার আসিয়া
সোনার চাঁন্দ মোর যাও দেখিয়ারে
অ কি একবার আসিয়া
সোনার চাঁন্দ মোর যাও দেখিয়ারে।
(গ্রায়ের কোন এক বধু তার ফেলে আসা প্রেমিককে বলছে, সোনার চাঁন্দ একবার এসে দেখে যাও)

ওদিয়া ওদিয়া যানরে বন্ধু
ডারা না হন পার
ওরে থাক বোল তোর দিবার থোবার
দেখাই পাওয়া ভার রে।
অ কি একবার আসিয়া
সোনার চাঁন্দ মোর যাও দেখিয়ারে।
(ওদিয়া = ঐ দিক দিয়া, ডারা = ছোট নদী, বোল = কথা, দিবার থোবার = দেবার
অর্থাৎ ফেলে আসা সেই প্রেমিক নদীর পার দিয়ে চলে যায়। নদী পার হয়ে কাছেও আসে না। কথা দেবার দরকার নাই, অন্তত দেখাটাওতো পাওয়া যায় না সেই বন্ধু'র)

কুড়া কান্দে কুড়ি কান্দে
কান্দে বালি হাঁস
ও রে ডাহুকি কান্দনে কই মুই
ছাড়মু ভাইয়ার দেশরে।
অ কি একবার আসিয়া
সোনার চাঁন্দ মোর যাও দেখিয়ারে।

(কুড়া = পাখী, কুড়ি = পাখী। পাখী'র কান্না দেখেও মনে হয় আমি ভাইয়ের দেশ ছেড়ে চলে যাবো। কিন্তু কথা হইলো, বধুতো আছে তার বরের বাড়ীতে। তো ভাইয়ের দেশ ছাড়া'র কথা কেন আসলো, ক্লিয়ার না)

আইলত ফুটে আইলকাশিয়া
ডোলাত ফুটে হোলা
অরে বাপ মায় বেচেয়া খাইছে
সোয়ামী পাগলারে।
অ কি একবার আসিয়া
সোনার চাঁন্দ মোর যাও দেখিয়ারে।
(আইলত = জমি'র মাঝে যে আইল থাকে এর মধ্যে, আইলকাশিয়া = কাঁশফুল, ডোলা = ঝিল, হোলা = শাপলা ফুল। বাপ মায় বেচেয়া খাইছে = পণ এর টাকার বিনিময়ে বিয়ে'র নামে বিক্রি করে দিয়েছে। অর্থাৎ মাঠে কাঁশ ফুল ফুটছে, ঝিলে শাপলা ফুটছে। কিন্তু মনের মধ্যে অশান্তি নিয়ে ঘুরছি, মা বাবা টাকা'র বিনিময়ে পাগলা একটা মানুষের কাছে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে।)

লোকে যেমন ময়নারে পুষে
পিঞ্জিরায় ভরিয়া
অ রে ঐ মত নারীর যৌবন রাখিছোঁ বান্ধিয়ারে।
অ কি একবার আসিয়া
সোনার চাঁন্দ মোর যাও দেখিয়ারে।
(রাখিছোঁ = রেখেছি। এই কথাগুলা আমার কাছে বড় কষ্টের মনে হইলো। বলতেছে খাঁচায় যেমন ময়না পাখী ভরে রাখে। এমন করে যৌবন আমার বন্দী রেখেছি। তার মানে পাগলা সেই স্বামীকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা মেয়েটা। তাকে কাছেও আসতে দিচ্ছেনা।)

https://www.youtube.com/watch?v=MjRUYEmeQMI

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

আহলান বলেছেন: এটা তো মনে হয় উত্তর বঙ্গের ভাষা ..রংপুর বা আশে পাশের .... দক্ষিণে এমন ভাষা ব্যবহার হয় না ...

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

সুখী মানুষ বলেছেন: মনে ছিলো উত্তর, লেখতে হয়ে গেলো দক্ষিণ, ঠিক করে দিচ্ছি ভাই।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

গানটি খুব ভাল লাগে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

সুখী মানুষ বলেছেন: বিজন দা! সুখে আছি, আপনি? কত দিন কথা হয় না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.