![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা স্মৃতি কথা। আব্বা'র কাছ থেকে শোনা। কথাটা বলতে গিয়েও আমি বলি না। কেবল মনে হয়, এত বড় মানুষকে নিয়ে কথাগুলা বলবো। কোথাও যদি কোন ভুল হয়! কবিগুরু'র কাছ থেকে সাহস নিলাম। তিনি বলেছেন - "সেই সত্য যা রচিবে তুমি, / ঘটে যা তা সব সত্য নহে। কবি, তব মনোভূমি / রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।"
সম্ভবত ৬৯ এর দিকের ঘটনা। বঙ্গবন্ধু জনসংযোগ করতে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কুমিল্লা'র ব্রাহ্মণপাড়া থানার সাহেবাবাদ গ্রামেও তিনি গিয়েছিলেন। শুধু তাই না, সাহেবাবাদ বাজারে আমাদের একটা ঘর আছে। ঐ ঘরে নাকি বঙ্গবন্ধু এক রাত ছিলেনও! কথাটা আমি যখন আব্বার কাছে প্রথম শুনি, বিশ্বাস করি নাই। আব্বা মারা যাবার পর বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। কথায় কথায় বড় ভাইও বললেন-
আমাদের বাজারের ঘরেতো বঙ্গবন্ধু এক রাত ছিলেন। অনেক হাটাহাটির পর ঐদিন তাঁর পায়ে ব্যথা ছিলো। ব্যথা কি ব্যথা? প্রচন্ড ব্যথা! আমাদের গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক তখন ঝাড়ু ডাক্তার। বঙ্গবন্ধুর পায়ে সেই রাতে ঝাড়ু ডাক্তার কেরুসিন তেল গরম করে মাসাজ করে দিয়েছিলেন। এর কয়েক বছর পর তখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। ঝাড়ু ডাক্তার আসলেন ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে। গ্রামের মানুষ, বঙ্গবন্ধুর বাসায় ঢুকে ফ্লোরে বসতে যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নাকি তখন ঝাড়ু ডাক্তারকে টান দিয়ে বুকে নিয়ে বলছিলেন, তুই ঝাড়ু না! তুই ঐদিন আমারে যে সেবা করছিলি! তুই নীচে বসতেছোস কেন! তোর স্থান আমার বুকে।
কথাগুলা ঐ দিন বড় ভাইয়ের মুখে আবারো শোনার পর, কিছুটা বিশ্বাস করলাম। তার কারন
- বঙ্গবন্ধু সারা বাংলাদেশের নেতা ছিলেন। গ্রামে, গঞ্জে জনসংযোগ করতে গিয়ে সব সময় নিশ্চয়ই ভালো হোটেলে থাকার সুযোগ ছিলো না। তাই অজপাড়া গাঁ এর বাজারেও হয়ত এলাকার নেতাদের সাথে অনেক রাত উনার কাটাতে হয়েছে।
- বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিশক্তি ছিলো সাংঘাতিক ভালো! বহু বছর পর দেখা করতে গিয়ে কেউ নাম বলতে চাইলেও নাকি তিনি থামিয়ে দিয়ে বলতেন, তুই ওমুক না!
- বঙ্গবন্ধু প্রায় সবাইকেই তুই ডাকতেন। শোনা গল্পে ঝাড়ু ডাক্তারকেও বঙ্গবন্ধু "তুই" বলেই বলছিলেন, তুই ঝাড়ু না!
আমি তুচ্ছ মানুষ। এই লেখা বড় কারো নজরে পড়ার সম্ভাবনা কম। তারপরেও যদি কারো নজরে পড়ে যায়। ইতিহাস ঘেটে, এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে হয়ত এর সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। সত্য, মিথ্যা যাই হোক। আমি গ্রামের বাড়ী গেলে আমাদের বাজারের ঘরটাতে একবার হলেও অন্তত যাই। মনে মনে টাইম মেশিনে চড়ে পিছনে যাবার কথা ভাবি। বুঝার চেষ্টা করি, তখন ঘরটা কেমন দেখতে ছিলো। কোন জায়গাটায় বঙ্গবন্ধু বসছিলেন। পা ব্যথা নিয়ে সেদিন কি তিনি ঘুমাতে পেরেছিলেন? কোথায়, কিভাবে ঘুমিয়েছিলেন? বড় মানুষরা ছোট, ছোট অনেক স্মৃতিকথা'র জন্ম দিয়ে যান!
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
সুখী মানুষ বলেছেন: সত্যিই তাই...
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১২
মিঃ আতিক বলেছেন: যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই ...............
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
সুখী মানুষ বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমি আওয়ামীলিগের, বিশেষ করে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে সব কর্মকান্ড সাপোর্ট করতে পারি না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীনতা এত সহজে পেতাম না, এই কথা বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু'র জন্ম না হলে এমন একজন নেতার জন্য কত বছর আমাদের অপেক্ষা করতে হতো কে জানে। এরপর হয়ত মুক্তি মিলতো। শ্রদ্ধা বঙ্গবন্ধুর প্রতি, শ্রদ্ধা তার কথায় ঝাপিয়ে পড়া মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি, শ্রদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা সবার প্রতি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর সে জন্যই তিনি মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন।