নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী সিট

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

নারী সিটে বসলেই জেল, জরিমানা।
বিষয়টা হইলো, অন্ধ রাস্তা পার হইতে চায় না, তবু তারে পার করে দেওয়ার মত। কোন নারী কি আলাদা সিট চায়? আমি আমার মোটা ভ্রু বাজি রেখে বলতে পারি, কোন নারীই তার জন্য বাসে আলাদা সিট চায় না। তারা সেফটি চায়। দাঁড়ায়ে যেতেও তাদের সমস্যা নাই। শুধু সুবিধাবাদী হাত তার গায়ে না লাগলেই হয়।

এই আইন পাশ করার সময় কি ভাবা হয়েছে
- বাসে কোন নারী নাই। অথচ বাস ভর্তী পুরুষ মানুষ। তখন সিটগুলা ফাঁকা যাবে?
- সংরক্ষিত আসনের বাইরে কমন সিটে কোন নারী বসলে যদি তারে বিদ্রুপ করা হয়, তখন কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে আইনে? নাকি এইটা নারী নির্যাতন হিসাবে দেখা হবে?

অথচ পিঠ চুলকানের আলাদা হাতের দরকার ছিলো না। ছোট একটা কাঠি হলেই চলতো। যেমন আইন করা যেতো
- লাইনে দাঁড়ায়ে বাসে উঠতে হবে। লাইনে নারী না পুরুষ তা বিষয় না।

নারীদেরকে অতিরিক্তি সুবিধা দেওয়া মানে তাদেরকে দুর্বল করে ফেলা। পরীক্ষার হলে কাউকে সুবিধা দিয়ে উত্তরপত্র সাপ্লাই করা মানে কিন্তু তারে গাধা বানায়ে ফেলা। তবে হ্যাঁ, প্রতিবন্ধী ও বয়ষ্কদের জন্য আলাদা সিটের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এবং নিয়মটা এমন করতে হবে, যে কেউ বসতে পারবে। কিন্তু প্রতিবন্ধী বা বয়ষ্ক কেউ আসল, জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। উন্নত দেশে যা আইন ছাড়াই সবাই মন থেকেই মেনে চলে। আমাদের মন এত উন্নত না, বিষয়টা আইনের প্রয়োজনীয়তাই প্রমান করে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: আমিও লেখছিলাম তবে গুছিয়ে লিখতে পারি নাই।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

সুখী মানুষ বলেছেন: সুন্দর লিখছেন তো ভাই!

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এ বিষয়ে নারীদের বক্তব্য আশা করছি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

সুখী মানুষ বলেছেন: আমার ফেসবুকে সহমত পেয়েছি নারীদের কাছ থেকে। https://www.facebook.com/alladerdibba

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন:
নারীদেরকে অতিরিক্তি সুবিধা দেওয়া মানে তাদেরকে দুর্বল করে ফেলা, এইটা ভাল বলেছেন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

সুখী মানুষ বলেছেন: আমার বিশ্বাস, নারী, পুরুষ বলে আলাদা করার কিছু নাই। ডান হাত, বাম হাত দুইটাই আমার হাত। দুইটার অবস্থান, কাজ প্রায় এক। আবার কোথাও কোথাও ভিন্ন। কিন্তু কোথাও বিশেষত্ব দেওয়া মানেই মনে খটকা লাগানো।

ধন্যবাদ ভাই।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

স্পর্শ বিন্দু বলেছেন: লাইনে দাঁড়াইলে গায়ে হাত দেওয়া যায় না নাকি? সেই তো বাসেই উঠতে হবে। তারপরে কি হইবেক সুখী মানুষ? ব্যাডা মাইনষের চোখগুলা আর হাতগুলা কি পবিত্র হইয়ে যাইবে?

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

সুখী মানুষ বলেছেন: নাহ পবিত্র হবে না। বাসের সিট টিট আলাদা করে কিছু হবে না। নারীর সম্ভ্রমে কোথাও কোন অসম্মান হলে তার কঠিন একশন হতে হবে। তাহলে আর নারীর জন্য আলাদা কিছু করে, তাদেরকে অপমান করতে হবে না। নারী কম কিসে! কেন তার জন্য আলাদা করে কিছু করতে হবে? আর বয়স্ক, প্রতিবন্ধীদের জন্য সিষ্টেমতো সব দেশেই থাকে।

আপনি আমার উপর কেন রাগ করে কথা বললেন বুঝলাম না। আমার মনে হয়েছে, নারীকে আলাদা নজরে দেখার দরকার নাই। বিবেক জেগে উঠলে এমনিতেই যার যা প্রাপ‌্য তা পাবে।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আহঃ ! এই জাতি যদি মেয়েদেরকে যথাযোগ্য সম্মানের সাথে ঘরেই রাখতে পারতো, অথবা সম্মানের সাথে চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারতো অথবা অসম্মানের সাথে রুজি রোজগারের জন্য বাহিরে না পাঠাইতে পারতো !

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যত এরকম আইন করবে তত মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যাবে তারা নিগৃহীত হবে। আমরাইতো দেখেছি, মহিলার দাড়িয়ে থাকলে তাদেরকে সম্মানের সহিত উঠে বসতে দেওয়া হতো কিন্তু এখন আইন করে তাদেরকে বসার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে; কারণ কী? নিঃশ্চয় কারণ বলার অপেক্ষা রাখেনা, তাই নয় কি?




ভালো থাকবেন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পাবলিক বাসে উঠার অভিজ্ঞতা কম
অনেক সময় প্রয়োজনে উঠতে হয়। বেশীর ভাগ মানুষই ভাল । কিছু সংখ্যক পুরুষের জন্য আসলেই আমাদের সমাজটা এমন হয়েছে যে এখানে আইন করতে হয়েছে। তবে নারী প্রতিবন্ধিদের সীট থাকা ভাল- যাতে কোন নারী উঠলে পুরুষরা সীট ছেড়ে দিবে। স্বভাবতই নারীরা কিছু দূর্বল এবং অনেক সময় খাটো (আমার মত) দাঁড়াবার সময় উপরের হাতল নাগাল না পাওয়ার কারণে হেলেদুলে পড়ার অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়-তাছাড়া অনেক সময় ব্রেক কষলে নারীরা ছিটকে পুরুষদের উপরে পড়বেন-এমনিতে আমরা নারীদের পর্দা মানা হয় না তেমন একটা-কত গুনাহ এমনিতে হয়ে যায়। এইটুকু সুবিধা আমরা নারীরা পেতেই পারি। এই সুবিধা না থাকলে অনেকেই সীট ছাড়েন না আমি দেখেছি। একটা ছেলে একটা মেয়ের চেয়ে অবশ্যই সবল শক্তিশালী এবঙ দাড়ানোর ক্ষমতাও বেশী। সুতরাং সীট যখন ছাড়তেই চান না তখন এমন আইন দরকার ছিল। তবে কোন নারী বাসে না থাকলে সে সীটে তো পুরুষ বসতেই পারেন আইন সেখানে শিথীল করা যায় হাহাহাহাহাহ ;)

আমার এমন একটা অভিজ্ঞতা আছে খারাপ-যখন আমি ডিগ্রি পড়তাম । তখন হবিগঞ্জ বাসে চড়ে যেতে হতো। সেদিন উঠেছিলাম একটা টেম্পুতে ।একটা ছেলে আমার পাশে বসেছিল.... সুন্দর ভদ্র ছেলে কিন্তু বেটা ইচ্ছে করেই বারবার আমার গায়ে হাত দিতে শুরু করল-উপায়ন্তর না দেখে-তার পাশের এক ভাইকে বললাম ভাইয়া আপনি কি আমার পাশে বসবেন-ছেলেটাকে বললাম আপনি অইদিকে সরেন ভাল চানতো-আর কিছু বলি নাই । সে বুঝে উঠেগেলো। তখন এখনকার মত এত সাহস ছিল না। এখন হইলে মজা বুঝাইতাম কত ধানে কত চাইল। এমন ঘটনা আমি প্রায়ই শুনি...। অনেককে শুনেছি চুলের পিন দিয়ে খোঁচা দিতেও। মেয়েরা কোথাও নিরাপদ নেই যতই আমরা সমান অধিকার নিয়ে চিল্লাই না কেনো। আমরা নারী জাতির জন্য ইসলাম অনেক মর্যাদা দিয়েছে কিন্তু আমরা নারীরাই তা ভু লুণ্টি করে দিছ্ছি প্রতিনিয়ত। ব্যাটাদের মত পোষাক পরে -যাচ্ছেতাই স্বাধীনতা হাসিল করে- আমরা আমাদের সঁপে দিয়েছি -পুরুষদের হাতে খেলার পুতুল হিসাবে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের হেদায়েত করুন-যাতে আমরা শালীনতার ভিতর চলতে পারি। এতে আামাদেরই উপকার বেশী।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: হাস্যকর সব কর্মকান্ড। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নত হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। উন্নত না করে আইন করা নির্বোধের পরিচয়।

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২১

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

প্রিয় কেমন আছে?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

সুখী মানুষ বলেছেন: ৮ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে, আজ ভোরে আসলাম দেশে। প্রিয়'র হোম-সিকনেস মারাত্মক। সে এনজয় করে নাই। শুকায়ে কাঠি হয়ে গেছে :( । আপনি আছেন কেমন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.