নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরণ্যে রোদন

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

আমার রেফারেন্স দিলেই হবে, এই কথা এক ভদ্রলোকরে বলছিলাম। তারপরেও বললেন
- তবু আপনি ফোন করে বলে দেন।
বললাম
- ভাই আমার নাম শুনে যে তার সাধ্যমত কাজটা করে দিবে না, সে আমার ফোন পেয়েও করে দিবে না।
ভদ্রলোক এরপরেও কাচুমাচু করেন। দিলাম ফোন। ফোন দিয়ে বলে দিলাম, ভাইয়ের কী লাগে দেখেন। আপনার মেক্সিমামটা কইরেন প্লিজ। যারে ফোন দিলাম, তিনি বিব্রত। আমারে কয়
- অরুণ ভাই, এইটা আপনে ফোন দিয়ে বলা লাগলো! উনি আইসা আপনার নাম বললেইতো হইতো।

কয়দিন পর ভদ্রলোক আবার আসলেন। একই লোকের কাছে আরেকটা রিকুয়েষ্ট করে দিতে হবে। তারে বললাম, একটা শোনা গল্প বলি শোনেন-

বিল গেটস এর ছোট কালের এক বন্ধুর ছেলে তার মা'রে প্রতিদিন বলে
- মা তুমি যে বলো, বিল গেটস বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। কই বাবা মারা যাবার পর'তো আমাদের কোন কাজে লাগলো না!
ভদ্রমহিলা বিল গেটসকে ফোন দিয়ে, ঘটনা বললেন। বির গেটস বললেন
- তুমি ওরে বলো ওমুক দিন, ওমুক রেষ্টুরেন্টে থাকতে। আমি ওর সাথে লাঞ্চ করবো।

বিল গেটস সেখানে গিয়ে লাঞ্চ করলেন ছেলেবেলার বন্ধুর ছেলের সাথে। পত্রিকায় হেড লাইনে আসলো
- বিল গিটসকে লাঞ্চ করালেন তার শৈশবের বন্ধুর ছেলে ওমুক।
ভিতরে ডিটেইল নিউজ আসলো। ছেলেবেলার বন্ধুকে ভুলে যাননি বিল গেটস। তাই বন্ধুর ছেলের সাথে লাঞ্চ করছে ছুটে এসেছেন এত দূর, ব্লা ব্লা ব্লা।

এরপর কেটে গেলো আরো অনেক দিন। ছেলে তার মা'রে খোঁচায়
- মা, কই কিছুতো হচ্ছে না! চাকরী, বাকরী কিছু'তো দিলো না। উল্টা আরো পকেটের টাকায় লাঞ্চ করাইলাম।
ঘেন ঘেন শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে মা আবার ফোন দিলেন
- বিল, তুমি কি ওর চাকরীর ব্যাপারে কিছু করতে পেরেছো?
বিল গেটস অবাক হয়ে কয়
- ও এখনো কিছু করছে না?
ভদ্র মহিলা ততোধিক অবাক হয়ে বললেন
- তুমি কি কাউকে বলে দিয়েছিলে ওকে চাকরী দেওয়ার জন্য?
বিল গেটস হতাশ হয়ে বললো
- আমি বিল গেটস ওর শহরে গিয়ে ওর সাথে লাঞ্চ করে আসলাম, পত্রপত্রিকায় নিউজ হইলো। এর পরেও যদি ও এইটারে কাজে লাগায়ে কিছু করতে না পারে, ওরে দিয়ে কিছু হবে না।

ভদ্রলোক গল্পটা শুনলেন। এরপর বললেন
- অথচ দেখেন, বিল গেটস কিন্তু এত কিছু না করে একটা চাকরী দিয়া দিলেই পারতেন। এইটাতো তার কাছে কোন বিষয়ই না!

আমি মনে মনে ভাবলাম, অরুণ মায়ের উপদেশ ছিলো, কামারের দোকানে কোরান পইড়ো না। তুমি উপদেশ মানো নাই!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

আজকাল কম পোস্টে কেন?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

সুখী মানুষ বলেছেন: বিজন দা আমি বেসিক্যালি আর ব্লগ করি না। পুরানো ব্লাগাররাও নাই, আর নতুন ব্লগাররা তাদের ব্লগ পড়িনা বলে বাজে ভাবে এটাক করে। এইসব ভালো লাগে না। আমি আসলে সামো'র ইন্টারফেসে এসে বাংলা লেখি। এই লেখা কপি করে ফেবুতে দিয়ে দেই। মাঝে মাঝে মনে হয় একটা পোষ্ট করে যাই, তাই পোষ্ট করি। তবে, পোষ্ট করার সময় আপনি, প্রমানিক দা সহ আরো কয়েকজনের কথা মনে পড়ে।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২২

কেন্দ্রবিমুখ সঞ্জয় বলেছেন: ভালো লাগলো
দারুন লিখনি

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

আসলেই কামারের দোকানে কোরান পড়া অর্থহীনই বটে ;)

+++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.