নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা পথের বিকল্প খুঁজি না...............

সুপ্তময়

স্মৃতির পিছু টান,,,, মুখরিত সেই অধ্যায়,,,,

সুপ্তময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৮

প্রতিটি ক্রিয়ার পজেটিভ ও নেগেটিভ দিক দুটোই থাকে।তৎকালীন পুর্ব পাকিস্থানের রাজনীতির পজেটিভ দিক ছিল “বাংলাদেশ” যার জন্ম হয়েছিল একটি রাজনৈতিক চেতনার মধ্যে দিয়ে উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা।
স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির নেগেটিভ দিক হল ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট ও ৩ রা নভেম্ভর। স্বাধীন হওয়ার মাত্র চার বছরের ভিতরেই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের ছাড়াই চলতে শুরু করে বাংলাদেশ।জাতীয় হিসেবে অবশিষ্ট থাকে ইলিশ,কাঠাল,দোয়েল কিংবা বাঘ।
ডালিম-ফারুক-রশিদ এর মাধ্যমে খন্দকার মোস্তাক আহমেদের ৮২ দিনের ক্ষমতার সার্থকতা আর নতুন রাজনীতির প্রবর্তন করেন প্লাসি হিরো খ্যাত জিয়াউর রহমান।উক্তি দেনঃ-“Money Is No Problem”.
“I Will Make Politics Difficult For The Politicians.”
চক্রান্তের সামাজিক ও বৈধ রূপ হিসেবে তখন থেকেই রাজনৈতিক পর্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করে বাংলাদেশের জনগন।রাজনীতির নেগেটিভ দিকগুলো(পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত)প্রদর্শনের মাধ্যমে চেতনা ধ্বংসের শুরুটাও সেখান থেকেই।
এক্ষেত্রে হিটলারের একটি উক্তি মনে পড়েঃ ”If You Want To Shine Like Sun First You Have To Burn Like It.”
তবে কি বীরোত্তম জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুড়েই নিজে সূর্য হতে চেয়েছিলেন !!!!!!
ফলে রা-জ-নী-তি এর সংজ্ঞা ও পরিবর্তিত হয় এভাবেঃ”রাতারাতি জনপ্রিয়তার ন্য নীতি বিসর্জন দিয়ে তিল কে তাল করার নামই রাজনীতি”।এতদিনে পুরোপুরি আসক্তিতে সারাদেশ।
সামরিক যুদ্ধনীতিতে কোন পরাজয় থাকে না।উদ্দেশ্য থাকে সরাসরি প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা অথবা বিজিত প্রতিপক্ষকে জয়ের সুফল থেকে বঞ্চিত করা।স্বাধীন হওয়ার ৪৪ বছর পর ও যদি স্বাধীনতা খুঁজতে হয় আমাদের তবে কি ভারতের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য ভেঙে সৃষ্টি হওয়া পাকিস্থানের রাজনীতি আজ ও সফল!!!!!!যদিও ভারতবর্ষের ইতিহাসে বাংলাদেশের জন্ম উল্লেখযোগ্য ঘটনার একটি।
এরূপ নগ্নতা প্রদর্শন রোধে সামাজিক সচেতনাই একমাত্র প্রতিষেধক।রাজনৈতিক সচেতনতার মাধ্যমেই ভাষা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া সম্ভব।কারন রাজনৈতিক সচেতনতাই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল একটি বৃহৎ নৃ-তাত্ত্বিক জাতীয়তাবাদ “বাংলাদেশী” নয় “বাঙ্গালীর”।।
যেহেতু বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই রাজনীতির পজেটিভ দিক প্রদর্শন করতে দেওয়া হয়নি তাই কাজটা অনেক কঠিন কারন এই ৪৪ বছরে তো আর কম প্রজন্ম হয়নি যারা বংশানুক্রমেই স্লোগান দেয় “জিয়ে পাকিস্থান”এর পরিবর্তে “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” আর ধর্মকে ব্যবহার করে অস্ত্র হিসেবে।বড় হয়ে সবকিছু বোঝার পর অন্ধ বিশ্বাস,ধর্ম ভীরুতা,সামাজিকতার ভয়ে সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয় সামান্য অংশই।চুপ থেকে,সদ্ব্যবহার করে,নৈতিক দিক থেকে অপরিবর্তিতই থেকে যাচ্ছে বেশির ভাগ অংশ।।
পরিশেষে সুকান্ত ভট্টাচার্য এর “কলম” কবিতার কয়েকটি লাইন দিয়েই শেষ করছিঃ
''মজুর দেখ নি তুমি?হে কলম,দেখ নি বেকার?
বিদ্রোহ দেখ নি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার?
কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস,
প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!''

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.