![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোহান চলে গেলো শান্তিরক্ষা মিশনে, ছোট মেয়েটা তখন পেটে, দু’মাস বাকি তার পৃথিবীতে আসবার। নিজের সব থেকে নাজুক সময়ে সবচেয়ে বেশি নির্ভরতার মানুষটি চলে গেল। যদিও যাবার সময় বারবার বলে গেলো, ‘আমি আসবো, আমাদের বাবু যখন আসবে, আমি আসবো’। কিন্তু কেন জানি না আমি বুঝতে পারছিলাম, সে আসতে পারবে না, নিজেকে একটা শক্ত মানুষে পরিবর্তিত করলাম। লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদি, সবার সামনে দেখাই, ‘এইতো ভালো আছি’। অস্থিরতা ৩ বছরের সেবন্তিকে নিয়ে, আমার শান্তশিষ্ট লক্ষ্মী মেয়েটা বাবা যাবার পর কেমন যেন হয়ে গিয়েছে, চুপচাপ থাকে আবার এমন অস্বাভাবিক দুষ্টামি করে, সবার মাঝে মুখ লুকানোর জায়গা পাইনা আমি। হসপিটালে নতুন বাবু সোনাকে যখন আনতে যাবো, সেবন্তি মাকে ছাড়া কিভাবে থাকবে, এটা নিয়েই বেশি চিন্তা হতো। কিভাবে কেমন করে যেন সবকিছু পাড়ি দিয়ে ছোট মায়াবতী দুটো মেয়ে নিয়ে, যশোরে নিজের বাসায় ফিরলাম। দু’মাসের অবন্তি সোনাপাখি অন্য বাবুদের থেকে একটু ভিন্ন, ভয়ানক কান্নাকাটি করে, শুধু তাই নয় ঘুমায় না সে; চিকিৎসাশাস্রে একে বলে, ‘কলিক বেবি’। দিনের পর দিন ঘুমহীন রাতের সাথে তার অকারন কান্নাকাটিতে প্রায়ই বিধ্বস্ত আর অস্থির হয়ে পড়তাম। গৃহপরিচারিকা রাবেয়া ঝামটা দিত, ছোট বাচ্চাদের জিনরা বিরক্ত করে, নজর টিপ পরাও না, বাচ্চাতো কাঁদবেই। সে নিজেই কাপড় পুড়িয়ে সরিষার তেল মিশিয়ে কাজল বানাল। মুখ-চোখে লেপটে থাকে বলে আমি বেশি একটা লাগাতে দিতাম না। সেদিন বড় মেয়েকে গোসল, জামা কাপড় পড়ানোর পালা শেষ করে, ছোট মেয়েকে গোসল করিয়ে গা মুছিয়ে দিয়ে গেলাম জামাকাপড় আনতে। জামাকাপড় এনে দেখে, সেবন্তি নজর টিপ পড়িয়ে দিচ্ছে ছোট আপুকে, সাথে নিজের জামাকাপড় আর অবন্তির সারা মুখ ভরিয়ে ফেলেছে কাজলের কালিতে। আমাকে দেখে বলে, ‘মা নজর লেগে যাবে তো’। এত স্নিগ্ধ, মমতাপূর্ণ সে দৃশ্য আমারও মনে হল, একটু কালি না হয় থাক, নজর লেগে যাবে তো। আমার মেয়ে দুটি যেন এরকম শুভ্রতায় ভরা মায়াময় জীবন কাটাতে পারে। অনেক ভালোবাসি মা তোমাদের। তোমাদের বাবাকেও অনেক ভালোবাসি।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার অবশ্য কোন ধরনের কুসংস্কার নাই
আমার মেয়েরা আদরের উপরেই থাকে, আপনার জন্য আবার একটু চিপা দিয়ে দিলাম
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লেখাটি ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ভাল লাগল সন্তানের প্রতি আপনার অনুভূতির কথা ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: মজার ব্যাপার হলো, এইটা আমি একটা প্রতিযোগিতার জন্য লিখেছিলাম, ঐ যে দাগ থেকে দারুন কিছু, ফেলটু মেরে এখানে দিয়েছে ভালো লাগলো জেনে ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
আরমিন বলেছেন: অনেক মায়া দিয়ে লেখা পোস্টটা আপু, ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: আমি আসলে খুবই লজ্জিত, আমার সব লেখা কেমন দুই মেয়ে কেন্দ্রিক হয়ে যায়। ভালো থাকবেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: আমি আসলে খুবই লজ্জিত, আমার সব লেখা কেমন দুই মেয়ে কেন্দ্রিক হয়ে যায়। ভালো থাকবেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
আরমিন বলেছেন: লজ্জিত হবার কি আছে? মায়েরা তো এমনিই হয়!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
এই টিপ দেয়া ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ভাবিদের( ডাক্তার) কাছে আমি বকা খেয়েছি!! একটা কুসংস্কার নিয়ে ঘুরছি , এই জন্য!
যাই হোক! মায়ের মন সব সময়ই চায় কিসে তার বাচ্চা ভালো থাকবে!
ভালো থাকুন অনেক সবাইকে নিয়ে!
শুভেচ্ছা
পিচকি পরী দুইটার জন্য আদর!