![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক সময় নিয়ে আমার আসলে কিছু বলার নাই, আবার মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু বলার আছে; কোথা থেকে যে বলাটা শুরু করা উচিত, তাইতো বুঝি না, আবার কিছু যে বলবো, সেটা কাদের উদ্দেশ্যে বলা সেটাও বুঝতে পারছি না। আমার মেয়ের বান্ধুবি বাসায় এসেছে খেলা করতে, সে বলল, ‘অ্যান্টি, আমাদের ক্লাসে না একটা হিন্দু মেয়ে আছে, সে না খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ্ বলে না। আমরা ওর সাথে কথা বলি না, খেলি না।’ মনটা বিচলিত হল, আহা ৬/৭ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে ক্লাসে কেউ কথা বলে না, খেলে না, শুধুমাত্র সে অন্য ধর্মের বলে। আমি বললাম ‘মা, তুমি যদি এমন একটা জায়গায় কখনো যাও, যেখানে ক্লাসের সব বাচ্চারা অন্য ধর্মের, তোমার সাথে কেউ কথা বলে না, খেলে না, তুমি খাবার আগে বিসমিল্লাহ্ বলো দেখে সবাই হাসাহাসি করে, তোমার কি ভালো লাগবে??’ মাথা ঝাঁকায় সে ভালো লাগবে না। তাহলে তুমি ওর সাথে কথা বলবে, খেলা করবে যাতে সে জানে মুসলিম বাচ্চারা অনেক ভালো। আস্তে করে আচ্ছা বলে সে।
আমি জানি মানুষকে শ্রদ্ধা, সম্মান করতে হয়, সে ভিন্ন ধর্মের হতে পারে, ভিন্ন পেশার হতে পারে। আপনার কাছে আপনার ধর্ম যেমন মহিমান্বিত, আরেকজনের কাছে তার ধর্মও তেমন মহিমান্বিত। মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখাটাই শ্রেয় নয়কি! আমি আরেকজনের সাথে সেরকম ব্যবহার করবো, যেমন ব্যবহার আমি তার কাছ থেকে আশা করি। একি কথা প্রযোজ্য ভিন্ন পেশার মানুষের ক্ষেত্রেও। পিয়ন, রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালা, ড্রাইভার, বাসার গৃহপরিচারিকার সাথে কথা বলার সময়কার আপনার টোন আর উচ্চবিত্তের কোন আত্মীয়র সাথে কথা বলার টোন যদি একি রকম না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে উদার ভালো ধার্মিক মানুষ হলেন। আচ্ছা বুঝলাম আপনি এরকম হতে পারেননি, কিন্তু আমাদের সন্তানদের তো এমন বানাতে হবে, দেশের জন্য, দেশের ভবিষ্যতের জন্য।
নারে ভাই গোল্ডেন এ পেয়ে জান্নাতে যাবার তালিম না দিয়ে, সন্তানদের মমতা শেখাই, ভালবাসতে শেখাই, ছুটে না হয় যাক গোল্ডেন এ, টেনেটুনে পাশ করে বেহেস্তে যেতে পারলেই খুশি।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৩
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: রক্ষণশীল পরিবার চারিদিক অনেক বেড়ে গিয়েছে, ভয় লাগে ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: শয়তানের সবচাইতে বড় সার্থকতা হচ্ছে দুনিয়ার বেশিরভাগ খারাপ কাজ গুলি মানুষ স্রষ্টার নাম নিয়ে করে। আমাদের বিবেক নামের কাটা আমাদের সব সময় জানান দেয়, ঠিক হচ্ছেনা, ঠিক হচ্ছেনা! কিন্তু বিবেকের কথা শোনার মত মুক্ত বা সাহসী নই আমরা। আমাদের বাচ্চাদের ভাল মানুষ বানাতে চাই। মৌলিক আবেগ গুলো শেখাতে চাই। বাকিটা ওরা নিজেরাই বুঝে নেবে ঠিক
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৬
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: বেশিরভাগ ২ নম্বর লোকজন ধার্মিক সেজে থাকে, আমরা কিছু বলি না তাদের ধার্মিকতা দেখি
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
সেলিম৮৩ বলেছেন: লজিক্যাল & রাইট মি. এই সব দিন রাত্রি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
সেলিম৮৩ বলেছেন: এই ধরনের এটিচ্যুড বাচ্চারা শেখে মূলতঃ রক্ষণশীল পরিবার থেকে অথবা বন্ধুবান্ধব অথবা কোন গুরুজন থেকে।
এগুলো বাচ্চাদের ভিন্ন ধর্ম-বর্ণের প্রতি একটা বিদ্বেষ শিক্ষা দেয়।
সুতরাং পরিবার থেকেই ধর্মীয় সঠিক জ্ঞান , মানবিকতা শিক্ষা দিতে হবে।
শিশুরা পিতা-মাতাকে সবচেয়ে বেশি অনুকরন করে। তারপর বন্ধু-বান্ধব দ্বারা প্রভাব তো অাছেই।
সুতরাং নীতিকথা সবাই জানে-কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সে সব পিত-মাতা এবং শিক্ষক এই সমস্ত শিশু গড়ার কারিগর তারাই অমানবিক, নীতিবর্জিত।
সুতরাং ভালো কিছু অাশা করা-অাশাই থেকে যাচ্ছে।
অাপনার লেখা বাস্তবসম্মত - কিন্তু প্রতিষ্ঠা লাভের শতকরা হার খুব কম।