নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাঙাল মামার বলোগ

একটি ভীষণ না থাকাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাই

কাঙাল মামা

....:: রাজাকার মুক্ত ব্লগ চাই :::.... আমি খুব সাধারন এক মানুষ। ৩ বছর ধরে Electronics And Electrical Engineering এ গ্রাজুয়েশন করার চেষ্টা করতেছি...আরো ১ বছর বাকি.. আমি ও পজেটিভ....রক্ত লাগলে আওয়াজ দিবেন.. গান আর রক্তের ব্যাপারে কোনো সাহায্য লাগলে কাঙাল মামা ছাড়া আর কারো কাছে যাবেন না!!! আমি যা ভাববো তাই লিখবো। আমার সাথে ভালো থেকে নিজের ভালো থাকা নিশ্চিত করবেন। জীবনে এতটা ঘৃণা আর কাউকে করি না যতটা রাজাকার আর শিবিরদের করি। ব্লগটাকে ভালো লাগে, তাই লিখে যাই। প্রথম আলোর নিকটা আমারই।কিন্তু ওখানে কোনো লেখা লিখবো না।ঐটা শুধুমাত্র "চর দখল" টাইপের রেজিস্ট্রেশন।

কাঙাল মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের প্রতি আমার আগ্রহ নাই যে কারনে

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৪

নামের শুরুতে মোহাম্মদ, তিরিশটা রোজা রাখা এবং প্রতি জুমায় মসজিদে যাওয়া সত্বেও ধর্মের প্রতি আমি কোনো আগ্রহ খুজে পাই না।



মনে আছে, ছোটবেলায় যখন হুজুরের কাছে পড়তাম, ফ্যানের প্রচন্ড বাতাসে সবগুলা বইয়ের পাতা উল্টাইলেও একমাত্র আমপারার কোনো পাতাই উল্টাইতে পারতো না। আমি হুজুরকে জিজ্ঞাসা করলাম, সব বইয়ের পাতা বাতাসে উল্টাইতে উল্টাইতে বইও উল্টায় যাইতেছে কিন্তু আমপারাটা উল্টায় না কেন? হুজুর বল্লো,"এটা আল্লাহর বই। এখানে আরবী হরফ আছে। সব বই এর সাথে তো এর তুলনা চলে না।" আল্লাহর এই অসীম লীলা দেখে ছোটোবেলায় বিমোহিত হয়েছিলাম।



বাইরে খেলা কম করতাম বলে ঘরে বসে টিভি দেখাটাই আমার জন্য একটা বিনোদন ছিলো।আরেক হুজুর এসে দেখতো আমি সবসময় টিভি নিয়ে থাকি।উনি আমাকে বল্লেন, "এক লোক সারাদিন টিভি দেখতো। এরপর একদিন সে মারা গেলো।তার বন্ধু তাকে কবর দিয়ে আসার সময় তার মনে হলো তার পাসপোর্টটা কবরে ফেলে এসেছে।তো সে আবার কবর খুড়লো আর দেখলো ঐ টিভিপাগল লোকটা কবরে শুয়ে আছে আর তার দুচোখে দুইটা গরম জলন্ত লোহার শিক"। আমি এরপর টিভি দেখা কমায় দিয়ে নামাজ রোজা শুরু করলাম।



আস্তে আস্তে দেখলাম সব বইয়ের পাতা বামদিকে উল্টাতে হয়, কিন্তু যাবতীয় আরবি বইগুলোর পাতা ডানদিকে উল্টায় পড়তে হয়।ফ্যানের বাতাস একটা নির্দিষ্ট কোণে সব বইয়ের উপর পরছিলো, উল্টা হওয়ায় শুধু আমপারাটাই উল্টায় নাই। ফ্যানের বাতাস ঠিক বিপরীত দিক থেকে আসলে শুধু আমপারাটাই উল্টাইতো।



"কবরের আজাব" এই ছিনেমাটার কথা আমরা সবাই জানি, ভয় দেখিয়ে ধর্মের দিকে টানার একটা উপায় হিসাবে এটা বানানো হইছে।



আমি বুঝি না, যেই ধর্মের অধীনে কোরআন শরীফের মত একটা বই আছে, যাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য এক সুন্দর ইতিহাস আছে, তারা কেনো গাছপালার রুকু-সেজদার ছবি দেখিয়ে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয়? খ্রিস্টানদের টাকা আছে, তাই তারা টাকা দিয়ে খ্রিস্টান বানায়। আগে যারা দাওয়াত দিতো তারা কি আগুনে কোরান পুড়ে না বা মাছের পেটে আল্লাহর নাম - এইসব বলে মানুষকে ইসলামের পথে আনতো?



ধর্মের নামে মাজার, মাসে মাসে সেখানে টাকা দেয়া, না দিলে উপরওয়ালা নাখোশ হবে, ধর্মের ভয় দেখিয়ে ফতোয়া দেয়া চলছেই। সাথে আছে কোরানের লাইনগুলার ভূল বা নিজের মনমত অনুবাদ করে জিহাদের নামে বোমাবাজি। আর রাজনীতিতে ধর্মের নামে যে বাটপারি চলে তা আর নতুন করে কি বলবো? প্রতিটা দল এই জিনিসটাকে ব্যাবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়।



কয়েকদিন আগে চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের দশম শ্রেণীর ইসলাম ধর্মের একটা প্রশ্ন দেখলাম। বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থায় সৃজনশীল প্রশ্নের আলোকে করা।



"নাফিজ এবং সুমন সিদ্ধান্ত নিলো যে ১লা বৈশাখে তারা ধুতি ও কপালে তিলক পড়বে। হৃদি ও শবনম লাল শাড়ীর সাথে কপালে মানানসই টিপ পড়বে। তারা সারাদিন ডিসি হিলে সময় কাটাবে।তাদের প্রত্যেকের পিতামাতা মুসলিম এবং তারাও নিজেকে মুসলিম হিসাবে পরিচয় দেয়।"



এই অনুচ্ছেদটি পড়ার পর নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে বলা হয়,

১) মুসলিম হওয়া সত্বেও তাদের এই ধরনের কাজ করার মূল কারন কি?

২) মুসলমানগন কিভাবে এই ধরনের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারে?

৩) কুফরের পরিনতি বর্ণনা কর।







দশম শ্রেনীর বইতে আছে, আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব অবিশ্বাস/অস্বীকার করা হলো কুফর। ইচ্ছা করে ক্রুশ,পৈতা পড়াও কুফর। কিন্তু কপালে টিপ দিয়ে শাড়ি পরলে কি আল্লাহকে অবিশ্বাস করা হয়?তার মানে শাড়ি বা ধুতি পড়া অমুসলিমদের কাজ?ধুতি হিন্দুরা পড়ে বলে আমরা পড়তে পারবো না? খ্রিস্টানরা কিন্তু শার্ট-প্যান্ট পড়ে! আমরা কি স্কুলের বাচ্চাদের এগুলাই শিখাইতেছি?



আমি এমন এক স্কুলে পড়ছি যেখানে টুপি মাথায় দিয়ে যেতে হত, দুপুরে নামাজ পড়া লাগতো, আরবী কবিতা এমনকি আরবী ব্যাকরণ মুখস্ত করা লাগতো।এখন ভার্সিটিতে পড়ি আর ভাবি, হয়তো কোনোদিন ঐ ব্যাকরণ বা কবিতাগুলা কোনো না কোনো কাজে আসবে।



এরচেয়ে কোরানের বাংলা একটু একটু করে সম্পূর্নটা শিখতে পারলেও কাজে দিত।



হয়তো ভাবতে পারেন, ইসলামের প্রতি আমার এত ক্ষোভ কেনো? আমি বলবো, কোনো ধর্মের প্রতিই আমার কোনো ক্ষোভ নাই। কোনো ধর্মই বলে না খারাপ কাজ করতে। কিন্তু ধর্মের অবৈধ ব্যাবহার আমাকে এর প্রতি বিতৃষ্ণ করে তুলে।



আমার কাছে তাই বাচাঁর জন্য ধর্ম লাগে না, আমি ভালো তো সব ভালো।

মন্তব্য ১২৮ টি রেটিং +৩৪/-৯

মন্তব্য (১২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৪১

নাজিম উদদীন বলেছেন: ভয় ভয় ভয়, পাছে সব নষ্ট হয়।:)

মৃত্যুভয় না থাকলে ধর্ম এত চাগান দিত না।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫২

কাঙাল মামা বলেছেন: মরার ভয় করলে যে ঠিক মত বাচা যায় না? :(

২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৪২

সবাক বলেছেন: মামা ফাটাইসেন!!


জোস লিখছেন।

পর্যবেক্ষনে রাখলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৩

কাঙাল মামা বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি মন্তব্যের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানা যাবে।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৪৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: চমৎকার

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৩

কাঙাল মামা বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম ভাই :)

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫১

কালের কলস বলেছেন: আপনার হুজুরের বিদ্যার দৌড় কত জানান নি?
তিনি কি আদৌ শিক্ষিত ছিলেন?!
মৃত্যু সবার জীবনে একদিন আসবেই,
কে কি বলল, তা বিবেচনা না করে নিজ বুদ্ধিতে চলুন,
ইচ্ছে হলে আল্লাহকে মানবেন, না হলে মানবেন না, এটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যপার,
পোষাক মানুষের ধর্ম পরিচয় বহন করে সত্য, তবে একদিন শখ করে কিছু একটা পরিধান করলে ধর্মহীন হয়ে পড়ার মতো টুনকো ধর্ম ইসলাম নয়।
ভালো থাকবেন।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০০

কাঙাল মামা বলেছেন: আমি কিন্তু আল্লাহকে মানা না-মানার কথা বলি নাই।

হ্যা। ইসলাম অনেক শক্ত ধর্ম। নাহলে এতদিন চলতে পারতো না। তবে কিছু লোক ঠুনকো মনে করে। রাস্তায় মূর্তি দেখলে এদের ঈমান নস্ট হয়।

হুজুররা শিশুদের যা ইচ্ছা বুঝায়। শিশুরাও বুঝে যায়। কিন্তু ওরা একসময় বুঝতে পারে হুজুররা ফাপর নিছে/ভয় দেখাইছে। তখন ওদের মনের অবস্থা কেমন দাড়ায় আর তখন ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা জাগাই স্বাভাবিক নয় কি?

"মৃত্যু সবার জীবনে একদিন আসবেই,
কে কি বলল, তা বিবেচনা না করে নিজ বুদ্ধিতে চলুন"

হুমম, এভাবেই চলতে হয়।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৩

সাধারণমানুষ বলেছেন: মৃত্যুভয় না থাকলে ধর্ম এত চাগান দিত না।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০২

কাঙাল মামা বলেছেন: কথা ঠিক।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমি এককালে জানতাম উলুধ্বনি চরমরকম হিন্দুয়ানী কাজ। পরে দেখি ইরানি মহিলারা অহরহ উলুধ্বনি দেয়।

তারপর আবার শুনি খোদাহাফেজ নাকি কইতে হয় না। বলতে হবে আল্লাহ হাফেজ। খোদা ফার্সি শব্দ।

যামু কই :)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৭

কাঙাল মামা বলেছেন: হাহাহাহাহা!!

আসলেই, এই জিনিসগুলা নিয়া আমিও অনেক কনফিউসড। কোনটা যে ঠিক! এই ঠিক-বেঠিকের তালে পইড়া আজকালকার পোলাপান ধর্ম নিয়া আর মাথা ঘামাইতে চায় না।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৬

সৌরদীপ্ত বলেছেন: ভাল বলেছেন , আসলে আমিও মাঝে মধ্যে ভাবি স্কুলে পড়া আরবি কবিতা কোথায় কাজে লাগবে । গ্রাজুয়েশান শেষ করে ফেললাম কিন্তু এখনো সেগুলোর কোন প্র‌য়োগ দেখলাম না (হয়ত আমি EEE Graduate বলে) !

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১০

কাঙাল মামা বলেছেন: তারচয়ে আপনার কি মনে হয় না কুরআনের বাংলা শিখাইলে অনেক লাভ হইতো? সিলেবাস এরকম করে বানায় কেনো ওরা যেটা কোনো কাজেই আসবে না?

আমিও আপনার পথে যাইতেছি......EEE. ;)

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

অলস ছেলে বলেছেন: আইচ্ছা। পছন্দ অপছন্দ কিছুই করতে পারলাম না। বহুত ভালো কথা বলেছেন, আবার উলটো কথাও ছাড়েন নি। প্রশ্নপত্রে আমি কোন সমস্যা দেখি না। আর ধর্ম ভালো না লাগাটাই এখন স্বাভাবিক। সময় যাইতে দেন।

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৮

অলস ছেলে বলেছেন: আইচ্ছা। পছন্দ অপছন্দ কিছুই করতে পারলাম না। বহুত ভালো কথা বলেছেন, আবার উলটো কথাও ছাড়েন নি। প্রশ্নপত্রে আমি কোন সমস্যা দেখি না। আর ধর্ম ভালো না লাগাটাই এখন স্বাভাবিক। সময় যাইতে দেন।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১৮

কাঙাল মামা বলেছেন: ধর্ম জিনিসটা কোনো দিক দিয়াই খারাপ না। কিন্তু আজকাল এটার কি ব্যাবহার হইতেছে সেটাই দেখার বিষয়।

মনে আঘাত দিয়া থাকলে সরি। আমি কাউরে আঘাত করতে কিছু লিখি নাই।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০০

অমাবশ্যার চামচিকা বলেছেন: জটিল হয়েছে।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১৯

কাঙাল মামা বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু পরিস্থিতি মন খারাপ করে দেয়।

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৩

সবাক বলেছেন:
কালের কলস বলেছেন:
আপনার হুজুরের বিদ্যার দৌড় কত জানান নি?
তিনি কি আদৌ শিক্ষিত ছিলেন?!
মৃত্যু সবার জীবনে একদিন আসবেই,
কে কি বলল, তা বিবেচনা না করে নিজ বুদ্ধিতে চলুন,
ইচ্ছে হলে আল্লাহকে মানবেন, না হলে মানবেন না, এটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যপার,
পোষাক মানুষের ধর্ম পরিচয় বহন করে সত্য, তবে একদিন শখ করে কিছু একটা পরিধান করলে ধর্মহীন হয়ে পড়ার মতো টুনকো ধর্ম ইসলাম নয়।
ভালো থাকবেন।

================

@ লেখক...
আপনি চাইলে কালের কলসের এ মন্তব্য থেকে আগামি এক সপ্তাহের হাসির খোরাক নিয়ে নিতে পারেন। ;)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২৩

কাঙাল মামা বলেছেন: হুমম।

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৫

আহমদ মূসা বলেছেন: এরকম আহাম্মকি মার্কা পোস্টের জন্য মাইনাছ

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২৪

কাঙাল মামা বলেছেন: ঠিকাছে। কিন্তু আমি আমার মত প্রকাশ করছি মাত্র। :)

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৬

তৃষ্ণার্ত পথিক বলেছেন: হু, আমারও মাথাব্যাথা নাই, কারণ কেউ যখন বলে বড় বড় খ্রিষ্টান বিজ্ঞানীরা কুরআন পড়ে সব কিছু আবিস্কার করে আর পরে নিজের আবিস্কার বলে চালায়, তাদের গবেষণার কোন মূল্য নাই, তখন আর আমি আল্লাহ আর কুরআন নিয়ে চিন্তা করার মতো কিছু পাইনা।

কুরআনের চেয়ে সুন্নাহ কিংবা খলিফাদের জীবনের ঘটনাগুলো আজ মুসলিমদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এরকম কি হবার কথা ছিল?

অবশেষে ভাবি , নিজের মতো নিজে থাকি। এটাই সমাধান।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২৬

কাঙাল মামা বলেছেন: হুমম। এটাই এখন সমাধান হয়ে গেছে।

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৮

সাগর ঢাকা বলেছেন: আমার কাছে তাই বাচাঁর জন্য ধর্ম লাগে না, আমি ভালো তো সব ভালো।
.....

চরম বলেছেন....++

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২৬

কাঙাল মামা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৯

সবাক বলেছেন:
আহম্মক মূসা (আহমদ মূসা) নামের একটি চরিত্র সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের "সাইমুম সিরিজ" এ আছে। একটি প্রধান চরিত্রের অমন আহম্মকি ডিটেকটিভ বুদ্ধি দেইখা কেলাশ ৭/৮ এই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতাম।


১২ নং মন্তব্য দ্রষ্টব্য

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৩০

কাঙাল মামা বলেছেন: ৩ সপ্তাহের ব্লগারদের কাছ থেকে এরচেয়ে ভালো মন্তব্য আশা করা যায় না। আরেকটু বড় হোক, টিকে থাকুক, যুক্তি দিয়ে কথা বলুক। আমি কান পেতে শুনবো।

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রশ্নপত্রের ধরন দেইখা তব্দা খাইলাম। :|

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৩১

কাঙাল মামা বলেছেন: কুফর বুঝাতে কেন শাড়ি টিপ ধুতি টেনে আনলো সেটাই বুঝলাম না। ডিরেক্ট আল্লাহকে অবিশ্বাস করার কথা আনলেই হইতো।

১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১৮

বাবর মোহাম্মদ বলেছেন: Sensitive matter. বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর... প্রশ্নপত্রে প্রয়োগটা ভুল। কৌশলে ধর্মের সাথে ঐতিহ্যের দন্দ্ব তৈরী করার চেষ্টা।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪১

কাঙাল মামা বলেছেন: হুজুর মোল্লাগুলা কিন্তু কোনোদিনই বাংলার এই ঐতিহ্যকে মেনে নেয় নাই। তাদের কাছে পহেলা বৈশাখ ফালতু, মূর্তি দেখলে ঈমান নস্ট হয়ে যায়। কিন্তু ইসলাম কি এতও পাতলা যে সামান্য এসব কারনে ঈমান চলে যাবে? কাফির হয়ে যাবে?

বিশ্বাস করবেন না কেন? অবশ্যই করবেন। কিন্তু বাচ্চাদের কেন উলটা পালটা বুঝাবেন? বড়দের কেন জিহাদের নামে বোম ধরায় দিবেন? আমার প্রশ্নতো সেটাই!!

১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২০

অপরিচিত_আবির বলেছেন: ইস্কুলে আরবি কবিতা নামক যন্ত্রণাটা আমিও পার করসি।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪৩

কাঙাল মামা বলেছেন: মুখস্ত বিদ্যা আমার কম। বাংলা কবিতাই ৮ লাইন পাড়তাম না, আরবীতো মেলা দূর। আরবীতে নাম্বার উঠাইতাম ইসলামের সাহিত্যমূলক প্রশ্ন দিয়া।

১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২১

ইরফান রিজভী বলেছেন:

২০| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২২

বৃত্তবন্দী বলেছেন: @মিতা- লিখছেন ফাটাফাটি...



@অলস ছেলে- প্রশ্নপত্রে কোনো সমস্যা নেই? কারনটা বলবেন?
ক্লাশ নাইন টেন থেকে এভাবে সাম্প্রদায়িকতার ছবক দেয়া হচ্ছে এটা আপনার কাছে কোনোই সমস্যা না?
সাথে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ভুল একটা ফ্রেমে আবদ্ধ করা হচ্ছে সেটাও কি চোখে পড়ছে না?
নাকি আপনার নিজস্ব ধারণাও এরকমই?

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪৬

কাঙাল মামা বলেছেন: এইখানে মিতা কেডা?? :-/

হ্যা, আমিও ঐ সাম্প্রদায়িকতার কথাই বলতে চাইছিলাম, শব্দটা মাথায় আসতেছিলো না :)

২১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৩২

পথে-প্রান্তরে বলেছেন: একদম ঠিক বলছেন । নিজে ভালো তো সব ভালো । এহেন ভালো মানুষ বেহেশতে না গিয়া যাইবো কই ?

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪৯

কাঙাল মামা বলেছেন: হাহাহাহাহা!!!! আপনি কি মনে করেন আমি বেহেশতের আশা করি?? দোজখের সাতটা স্তরের নিচের স্তরেও আমার জায়গা হবে না। দুইদিনের এই জীবনে পাপ কম করি নাই।

২২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৩৪

আকাশনীল বলেছেন: মামা জোস লিখছ জোস। কিন্তু রেটিং দিতে গিয়া দেখি আগে নাকি একবার দিসি। কুন্সময় দিলাম কেমনে দিলাম ইয়াদ নাই। :(

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫১

কাঙাল মামা বলেছেন: রেটিং ব্যাপার না তো !! :)

অনেকদিন পর দেখলাম। ভালো আছেন?

২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪২

শয়তান বলেছেন: শেষ লাইনটায় অনেককিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন ।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫৩

কাঙাল মামা বলেছেন: মনের কথা বলতেই ব্লগ লিখি। এসব লিখলে মন হালকা হয় :)

২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪৪

হোরাস্‌ বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। নিজে ভাল তো সব ভাল। প্লাস।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫৬

কাঙাল মামা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪৭

একজন সুখীমানুষ বলেছেন: বৃত্তবন্দী বলেছেন

@অলস ছেলে- প্রশ্নপত্রে কোনো সমস্যা নেই? কারনটা বলবেন?
ক্লাশ নাইন টেন থেকে এভাবে সাম্প্রদায়িকতার ছবক দেয়া হচ্ছে এটা আপনার কাছে কোনোই সমস্যা না?
সাথে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ভুল একটা ফ্রেমে আবদ্ধ করা হচ্ছে সেটাও কি চোখে পড়ছে না?
নাকি আপনার নিজস্ব ধারণাও এরকমই?



এই কমেন্টই অলস ছেলের মানসিক দৈন্য প্রকাশ করছে।

২৬| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪৭

বাবর মোহাম্মদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুজুর মোল্লাগুলা কিন্তু কোনোদিনই বাংলার এই ঐতিহ্যকে মেনে নেয় নাই। তাদের কাছে পহেলা বৈশাখ ফালতু, মূর্তি দেখলে ঈমান নস্ট হয়ে যায়। কিন্তু ইসলাম কি এতও পাতলা যে সামান্য এসব কারনে ঈমান চলে যাবে? কাফির হয়ে যাবে?

বিশ্বাস করবেন না কেন? অবশ্যই করবেন। কিন্তু বাচ্চাদের কেন উলটা পালটা বুঝাবেন? বড়দের কেন জিহাদের নামে বোম ধরায় দিবেন? আমার প্রশ্নতো সেটাই!!

১০০% একমত।

২৭| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫১

বাবর মোহাম্মদ বলেছেন: কিন্তু বাচ্চাদের কেন উলটা পালটা বুঝাবেন? বড়দের কেন জিহাদের নামে বোম ধরায় দিবেন?

আমাকে বললেন নাকি?

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫৬

কাঙাল মামা বলেছেন: আরে নাহ!! ওদের কে বলছি, যারা বোম ধরায় দিয়া চোখের সামনে বেহেশতের হুরপরির মূলা ঝুলায় দেয়!

২৮| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫৬

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: প্রশ্ন পত্রের বিষয়টি ছাড়া আর সব বিষয়ে আপনার সাথে একমত। এক সময় অজ্ঞ ধর্ম প্রেমিকরা নিজের মন গড়া কেচ্ছা দিয়ে মানুষকে ধর্মের দিকে টানার চেষ্টা করতো। আমিও শুনেছি এমন অনেক আজগুবি ক্চ্ছো। ইরাকে যখন আক্রমন চলছিল আমাদের মাজার প্রেমিকরা বলেছিল সেখানে বড় পীরের মাজার আছে, আমেরিকা কিছু করতে পারবে না। ইসলাম কিন্তু মিথ্যা জুজুর ভয় দেখিয়ে দ্বীন দার বানানোর কথা কোথাও বলেনি। এ কারণে ধর্মের প্রতি আগ্রহ হারানো কি ঠিক হলো? আপনি যদি বাজারে মাছ কিনতে যান পদ্মার ইলিশ, কক্সবাজারে ইলিশ, পঁচা ইলিশ, তাজা ইলিশ, অধা পঁচা ইলিশ ইত্যাদির বিক্রেতারা ভাল বলে সবাই ডাকবে। তাই বলে কি মাছ কেনা ছেড়ে দেবেন? নাকি আপনার জ্ঞান বুদ্বি খাটিয়ে আসল এবং ভাল মাছটা কিনবেন? সুতরাং কার সাথে অভিমান করে নিজেকে ধর্ম হীন বানাবেন? একবার ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:২৪

কাঙাল মামা বলেছেন: ভালো বলছেন। আমার বয়স কম, আমাকে এভাবে কেউ বুঝায় বলে নাই। আজকালকার পোলাপানদের কেউ এভাবে যুক্তি দিয়া বুঝায় বলেও না। সবাই ভয় দেখায়। আগুনের ভয়, দোজখের ভয়!!

হ্যা, ইসলাম কখনই ভয় দেখিয়ে কিছু করতে বলে নাই।ভাবতে চাই। ভেবেও দেখি। আর আমি ঠিক ধর্মহীন নই। একটু বিরক্ত আর কি :(

অনেক মূল্যবান মন্তব্য। ধন্যবাদ :)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:২৯

কাঙাল মামা বলেছেন: তৃষ্ণার্ত পথিক বলেছেন: @লোমান সাহেব, প্রশ্নপত্র নিয়ে আপনার দ্বিমত পোষণ করার কারণ এবং সেই সাথে এই প্রসঙ্গে আপনার মতামতটা জানতে পারি???

আমিও জানতে চাই।

২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:১২

তৃষ্ণার্ত পথিক বলেছেন: @লোমান সাহেব, প্রশ্নপত্র নিয়ে আপনার দ্বিমত পোষণ করার কারণ এবং সেই সাথে এই প্রসঙ্গে আপনার মতামতটা জানতে পারি???

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:২৯

কাঙাল মামা বলেছেন: উনি নিচে উত্তর দিয়েছেন। দেখতে পারেন। কমেন্ট নাম্বার ৫২

৩০| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:২৩

সবাক বলেছেন: মামা.......

বৃত্তবন্দীর মিতা কথন ধর্তে পারেন্নাই?

shuvo666blog এটা কি আফনার লগইন নেম?

উনার নামও শুভ :)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:২৬

কাঙাল মামা বলেছেন: আমার নামও শুভ। উনার নাম যে শুভ সেটাও জানি। আড্ডায় মুখামুখি পরিচয় হইছিলো। কিন্তু মিতা বলতে কি বুঝাইলো?? :-/

৩১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩০

রিয়াজরানা বলেছেন: মাত্র ১টা ভিডিও দেখলাম ফেসবুক এ.....

দেখে ভয়ও পাইছি .... লজ্জাও লাগছে .......

নামায পড়া শুরু করতে হবে ..........


লিংক

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩৬

কাঙাল মামা বলেছেন: ডাউনলোড হইতেছে। দেখতেছি।

নামাজ পড়েন, নামাজ পড়া ভালো। :)

৩২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৪২

ইরফান রিজভী বলেছেন: ভাই আমার মনের কথা আপনি বলে দিয়েছেন। আমিও আল্লাহকে বিশ্বাস করি কিন্তু সেই বিশ্বাস টা আমি নিজের বিবেক দিয়ে করি। হুজুর দের বাহাদুরিতে আমিও অতিষ্ট। তবে একটা কথা বলি। আমি হয়তোবা পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি না। ইভেন আমি রোজাও রাখি না ঠিক মত। কিন্তু ধর্মের প্রতি তথা আল্লাহর প্রতি একটা টান আমার আছে বলে আমার বিশ্বাস । তবে সেইটা কোন আবজাব ভাবে না। বেশ যুক্তিতর্কে বাধা। যাক সে কথা। অন্য একদিন কোন ব্লগে প্রসঙ্গ হলে জানাবো। আর একটা আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যাবস্থা যে পর্যন্ত আরো বস্তুনিষ্ট, আরো আধুনিকায়ন করা না হয় ততদিন পর্যন্ত সেই সব "তথাকথিত" হুজুর দের জন্ম এই দেশে হয়েই যাবে।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১৯

কাঙাল মামা বলেছেন: হুজুর দের বাহাদুরিতে আমিও অতিষ্ট।

বাকিটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

৩৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৫৪

অন্য কেউ বলেছেন: ইরফান রিজভী বলেছেন:..."ধর্মের প্রতি তথা আল্লাহর প্রতি একটা টান আমার আছে বলে আমার বিশ্বাস । তবে সেইটা কোন আবজাব ভাবে না। বেশ যুক্তিতর্কে বাধা।"...

খিক!

"যাক সে কথা। অন্য একদিন কোন ব্লগে প্রসঙ্গ হলে জানাবো।"

অপেক্ষায় থাকলাম!

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১৬

কাঙাল মামা বলেছেন: সমস্যা কি? হাসেন কিলা? খারাপ কিচু তো কয় নাই!!

৩৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১৩

শয়তান বলেছেন: খিকজ @ অন্য কেউ

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২০

কাঙাল মামা বলেছেন: :-/

৩৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১৫

সবাক বলেছেন:
একই নামের হইলে মনে হয় মিতা কয় :)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২১

কাঙাল মামা বলেছেন: ব্লগীয় ভাষা :)

৩৬| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: পোষ্টের সর্বাংশে একমত না হলেও মূল বিষয়ের প্রতি আন্তরিকতা থাকায় ভাল লেগেছে।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২৮

কাঙাল মামা বলেছেন: মূল বিষয় = ধর্মের যাচ্ছেতাই/ভূল/স্বার্থপরের মত ব্যাবহার।

আর ফলাফল হিসাবে, "শুধুমাত্র আমার" বিরক্ত লাগা ও মন তিতিয়ে যাওয়া।

৩৭| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২৬

আট আনা বলেছেন: নিয়মটা এরকম যে, যেসব পোষাক, চিহ্ন কিংবা আচার পরিষ্কারভাবে অন্য ধর্মের পরিচয় বহন করে সেসব পরা নিষেধ। যেমন খ্রীষ্টানদের ক্রশ, হিন্দুদের তিলক কাটা ইত্যাদি। কোট-টাই, সার্ট-প্যান্ট তো সবাই পরে, ওটা পরা দেখলে তো কাউকে কোন নির্দিষ্ট ধর্মের বলে মনে হয়না, এইজন্য ওগুলাতে সমস্যা নাই।

পোষাক, আচার ইত্যাদি আবার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়, তখন ইসলামের দৃষ্টিতেও সেভাবই পরিবর্তন হবে। যেমন ১০০ বছর আগেও নাকি হিন্দু-মুসলিম সবাই ধূতি পরত, কিন্ত এখন তো হিন্দুরাও ততোটা পরেনা, বয়স্করা পরে। রাস্তায় ধূতি পরা কাউকে দেখলেই আমরা ধরে নিতে পারি যে সে লোকটা হিন্দু। এইজন্য বর্তমান সময়ে ধূতি পরা মুসলিমদের জন্য নিষেধ।

একজন বললো যে ইরানে নাকি উলু দেয়া হয়। ভাল কথা, সেখানে ওটা লোকাচার হতে পারে যা সব ধর্মের মানুষ করে। সেটাতে সমস্যা নাই। কিন্তু বাংলাদেশের একটা বাড়ি থেকে উলু ধ্বনি আসলে আমরা চোখ বন্ধ করেই ধরে নেব সেই বাড়িতে হিন্দু লোকের বসবাস। এইজন্য বাংলাদেশে মুসলিমদের উলু দেয়া নিষেধ হবে।

স্থানীয় আচারের প্রভাব কতটুকু তার আরেকটা উদাহরণ দেই, কিছুটা অফটপিক। আমি যে শহরে থাকি তার ২ টা মসজিদ আছে। বাংগালী মুসল্লী খুবই কম। বেশীরভাগ মিডলইষ্টের আর আমেরিকান মুসলিম। রেগুলার নামাজ বা জুম্মার নামাজে ওখানে অনেক ইয়াং ছেলেই থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট আর লম্বা স্যান্ডো গেন্জি পরে আসে, ইমাম তো কিছুই বলেনা। আমি জানিনা বাংলাদেশে এভাবে গেলে ঢুকতে দেবে কিনা।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:১২

কাঙাল মামা বলেছেন: যুক্তি সম্পন্ন কথা।

৩৮| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৩৫

আট আনা বলেছেন: আমি কোন ইসলাম বিশারদ না, কথাগুলো আমার নিজস্ব ধারনা।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:১৬

কাঙাল মামা বলেছেন: ইসলাম বলছে নিজের বুদ্ধিতে চলতে আর সহায়ক হিসাবে কোরান-হাদিস রাখতে। ভন্ড লোকের তো আর অভাব নাই, বরং আমরা নিজেদের বুদ্ধিতেই চলবো। আর এজন্য ইসলাম বিশারদ হওয়া লাগে না।আপনার ধারনা আমার কাছে ভালো লাগছে।

৩৯| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৩৭

ভাদাইম্যা পোলা বলেছেন: এরকম তো অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে, তাই বলে আপনি হতাশ হয়ে যাচ্ছেন কেন? নিজামীও তো বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছে, তাই বলে কি আমরা আমাদের জাতীয়তা ভুলে যাব? বাংলাদেশ তো বেশ কয়েকবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাই বলে কি আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসব না? ঐ সব লোকের উদাহরণ দিয়ে আপনি দয়া করে ইসলামকে ভুল বুঝবেন না। আপনি নিজেই বলছেন যে, স্কুলে কুরাআনের অনুবাদ পড়ালেই ভাল হত। তো এখন আপনার জ্ঞান বুদ্ধি বেড়েছে, এখন পড়ুন না। ইসলাম আসলে কি, তা বোঝার জন্যে নিজে কুরআন-হাদীস পড়ার বিকল্প নাই। আমরাই যদি হতাশ হয়ে পড়ি তাহলে তো ধর্ম ব্যাবসায়ীরা সহজেই তাদের স্বার্থ হাসিল করবে। ভাল থাকবেন।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২৯

কাঙাল মামা বলেছেন: আমি ইসলাম কে ভুল বুঝি নাই। আমি বলি নাই ইসলামে জিহাদের নামে বোমাবাজি চলে, ইসলামের কোনো দোষ দেখাও পাপ। এর উপরে কোনো ধর্ম নাই। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ এটার এবিউজ করে, সেটাই খারাপ লাগে, এই আর কি।

এখন ব্যাস্ততা এমন যে হুজুর/ইমামরা যা বলবে, তা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কে যায় ইন্টারনেট ঘেটে, কোরআন/হাদিস পড়ে সঠিক দিক নির্দেশনা খুজতে? ধর্ম নিয়ে মানুষের এত গবেষনা করার সময় কোথায়?

নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়া হলেও ধর্ম ব্যাবসায়ীদের সামান্য হলেও তো চিনি ফলে এদের এড়িয়ে যাওয়া যায় সহজেই, কিন্তু ছোট বাচ্চারা কি এখানে অসহায় না?

তারপরও ইচ্ছা আছে সম্পূর্ন কোরানের বাংলা পড়ার। একটা বই কিনেও রেখেছি, অল্প একটু পড়া হইছে সেটা :)

৪০| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:০৩

ধীবর বলেছেন: ধর্ম শিক্ষার সাথে অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে গুলিয়ে ফেলেন। আর শিক্ষার শুরুটাই যেখানে শৈশবকাল এবং কৈশোর সেখানে সে সময় থেকেই ধর্ম শিক্ষাটাও শুরু করতে হয়। এতে আপত্তির কি আছে। মনে রাখতে হবে প্রত্যেক ধর্মেই আচরণ এবং পোষাক আসাকের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিস্ট আছে। তবে সেই বৈশিস্ট যেন অন্য ধর্মের প্রতি বিরুপতা সৃস্টি না করে, সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

লেখকের সাথে কয়েকটা ব্যাপারে সহমত। ভয় দেখিয়ে ইসলাম চর্চাতে বাধ্য করার রীতিটি আপত্তিজনক, এবং কোরানের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক বটে। আর যে মোল্লাতন্ত্রের কারণে এই কুপ্রথাটি চালু হয়েছে, তার উদ্ভব ঔপনিবেশিক বৃটিশদের অসৎ উদ্দেশ্যপ্রসুত ষড়যন্ত্রের কারণে। যেহেতু জ্ঞান অর্জনের সবগুলি ক্ষেত্রই এখন উন্মুক্ত, তাই অর্ধশিক্ষিত মোল্লাদের মুখের কথায় অন্ধ আস্থার প্রয়োজন দেখছি না।

সেই সাথে এটাও ঠিক, যে বাঙ্গালি সংস্কৃতির নামে আমাদের কিছু কিছু আচার, আমাদের ধর্মবিশ্বাসের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। যেমন মৃতের ছবিতে ফুলে মালা দান। সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ কিন্তু একজন মৃতের জন্য প্রার্থন অনুষ্ঠানেরই আয়োজন করে থাকে। এর পর মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা। অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠরা মিলাদ মেহফিল আয়োজন করে থাকে। দুই ক্ষেত্রেই সংখ্যাগরিষ্ঠদের আচরণ সঠিক।

টিভিতে মাস খানেক বা তার বেশি আগে দেখলাম, রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হকের স্মরণে যে অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে শিশু কিশোররা কৃষ্ণ লীলা স্মরণে গুজরাটি কায়দায় কঞ্চি নৃত্য করছে। এই ধরণের আচার নিশ্চই অসাম্প্রদায়িক নয়? ছায়ানট যে ধরণের সংস্কৃতি চর্চা শেখাচ্ছে, সেটা ইসলাম তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতিরও পরিপন্থি। উত্তরীয় পড়িয়ে দেয়া, মঙ্গলপ্রদিপ প্রজ্জ্বালন, কঞ্চি নৃত্য এসব আমাদের সংস্কৃতি নয়। অনেকে বলেন অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠায়, জনমত গড়ে তোলার কাজে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান সৃস্টি করা হয়েছে।

দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য দুঃখিত। শেষ কথা হলো, কারো ব্যাক্তি আচরণে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে, ইসলাম ত্যাগ করা ঠিক হবে না। আর যে কায়দায় আমাদের দেশের মোল্লারা ইসলাম শিক্ষা দিয়ে থাকে, সে পথটিও সঠিক নয়।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮

কাঙাল মামা বলেছেন: ইসলাম ত্যাগ করার কথা আমিও ভাবি না। চোর চুরি করবে বলে কি থালা বাদ দিয়ে মাটিতে ভাত রেখে খাবো? তবে আমি একটু বিরক্ত, এই যা :(

৪১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:৩২

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: নিজের কিছু ঘটনা মনে পড়ে গেল। অনেকটা এরকম।

জ্ঞানই দার খুলে দেয়।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩২

কাঙাল মামা বলেছেন: একমত।

৪২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:১৭

ইরফান রিজভী বলেছেন: আমার জনে মতে, মিতা মানে বন্ধু। কারন ইঙরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের ম্যাগাজিন-এ আগে একটা বিভাগ নিয়মিত পড়তাম যার নাম ছিলো Write to Mita। প্রথমে আমিও বুঝতাম না কেন মিতা শব্দটি ব্যাবহার হলো। পড়ে জানতে পারলাম বিষয়টি। (অপ্রাসঙ্হিক; তবে এখানে কেউ মনে হয় এই বিষয়টি তুলেছেন, তাই আমিও চালিয়ে দিলাম ।)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩

কাঙাল মামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। জানলাম :)

৪৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:১৮

বৃত্তবন্দী বলেছেন: ওহে বালক "মিতা" শব্দটার আভিধানিক অর্থ বন্ধু। আর আমি শিশুকাল হইতেই দেখিয়া আসিতেছি যে দু'জনের নাম এক এবং তাদের মাঝে মোটামুটি পরিচয় থাকিলেই একে অন্যকে "মিতা" হিসেবে সম্বোধন করিয়া থাকে...

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৪৫

কাঙাল মামা বলেছেন: জানলাম, ধন্যবাদ :)

৪৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৫৭

অগ্নিগিরি বলেছেন:
আপনি মনে হয় কোরআন শরীফের প্রথম দুই আয়াতের বঙ্গানুবাদ এখনো জানেন না!? এটা বিশ্বাসীদের জন্য পথ প্রদর্শক। ইসলাম আপনার মত উচ্চ মগজধারীদের একটু সমস্যাই করবে মনে হচ্ছে! আপনাদের জন্য ইসলাম বিশেষ কিছু সুবিধা দিতে পারবে না!
হুজুরদের দোহাই দিয়ে পাশ কাটাতে চাচ্ছেন না-কি!? নিজের বিদ্যা-বুদ্ধির দৌড় কি ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়ার মত?
যাই হোক জ্ঞানের গভীরতা যত বেশি বিশ্বাসের পরিধি ততই অতল। ইসলামকে অপব্যবহার করছে আপনার মতই কিছু যুক্তিবাদী বুদ্ধিজীবী।
নিজেদের সুবিধামত পরিপাটি করে সাজাচ্ছে, সব সময়-ই!!!

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫২

কাঙাল মামা বলেছেন: ওরে বাপরে! আমি কখন ইসলামের অপব্যবহার করলাম? আমি তো অপব্যবহারের শিকার মাত্র!!!

আমি আল্লাহকে বিশ্বাস না করলে নামাজ পড়ি কেনো?

লেবু জিনিসটা আসলেই সুন্দর। কিন্তু লেবু কচকাইতে কচকাইতে যখন তিতা হয়ে যায়, তখন আর সেটার প্রতি আপনার আগ্রহ চলে যাওয়াই স্বাভাবিক।

এখন ব্যাস্ততা এমন যে হুজুর/ইমামরা যা বলবে, তা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কে যায় ইন্টারনেট ঘেটে, কোরআন/হাদিস পড়ে সঠিক দিক নির্দেশনা খুজতে? ধর্ম নিয়ে মানুষের এত গবেষনা করার সময় কোথায়?

৪৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ভালো লেখা। আপনিতো EEE না, ECE!

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪

কাঙাল মামা বলেছেন: আমি ECE তে ছিলাম, এরপর ডিপার্টমেন্ট চেন্জ করছি এই বছরে, কিন্তু ব্লগ প্যানেলটা এখনও ঠিক করা হয় নাই। আপনি মনে করায় দিলেন :)

*** ইসিই তে পাওয়ার পড়ায় না, ইইই তে পাওয়ার পড়ায়, এইটাই দুইটার মধ্যে মূল পার্থক্য। নাহলে দুইটারই সিলেবাস হবাহু এক।

৪৬| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:১৯

ত্রিভুজ বলেছেন: সবার মন্তব্য আর আপনার পোস্ট পড়লাম কাঙাল মামা। একটু অবাক হলাম এজন্য যে আপনাদের কারোই ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) সম্পর্কে ধারনা এত কম বলে।

বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু হঠকারী ঐ প্রশ্নটাকে সমর্থন করছি না। ওটাও কোন এক ধর্ম মূর্খের কাজ হবে... কিন্তু সেই ব্যক্তির সাথে এই পোস্টের পোস্টার আর উপরের মন্তব্যকারীদের সাথে তেমন কোন তফাৎ দেখতে পেলাম না।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

কাঙাল মামা বলেছেন: হ্যা, ধর্ম নিয়া একটু ঘাটাঘাটি কমই করা হয়। যা শুনি বা দেখি সব আশেপাশের মানুষগুলো থেকে। দোষ আমারো আছে, হুজুরদের ভুল দেখিয়ে পাশ কাটা যতটা সোজা, নিজে নিজে ভুলটার ঠিক বের করা ততটাই কঠিন। কিন্তু ব্যস্ততার এই যুগে আমরা আলেম/ইমামদের কাছ থেকেই জানার ইচ্ছা রাখি।কিন্তু উনারা যেভাবে সামান্য কয়েকটা বিষয়ের মধ্যে ঘুরায় ফিরায় ইসলামের গুষ্ঠি উদ্ধার করতেছেন, তাতে ইসলামের মূল নীতি, জীবন দর্শন কিছুই প্রকাশ পাইতেছে না।

ঐ প্রশ্নওয়ালা আমাদের স্যার। উনি আমাদের শিখাবে। আর আমরা সরল মনে তাই শিখবো। উনার চান্স আছে সঠিকটা শিখানোর। আমাদের সঠিকটা জানার চান্স খুবই কম।

এনিওয়ে, আপনি এগুলা নিয়ে অনেক ঘাটান। আপনার হয়তো ইসলাম নিয়ে অনেক জ্ঞান আছে। তাই আমার এই আহাম্মকি পোস্ট আপনাকে অবাক করতেই পারে :)

কিন্তু আপনি নিজে এই পর্যন্ত কতজনকে ভূল শুধরিয়ে দিয়েছেন?

৪৭| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:০৪

রোহান বলেছেন: কোথায় জানি পড়েছিলাম একটা শিশুর মনস্তাত্বিক বিকাশের যা কিছু তার বেসিক গুলো ছয় বছরের মাঝেই গড়ে উঠে। ছয় বছরের মাঝে আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম শিশু কি করে, বাসায় একটা হুজুর রেখে আরবী শিখে। এখন আসি ম্যাক্সিমাম হুজুরের কথায়, আমার শৈশবের হুজুরের কথাই বলি আগে। উনি ঐ এলাকার কমন হুজুর ছিলেন মানে এলাকার বেবাক পোলাপাইনের দ্বীনের বেসিক শিক্ষার দ্বায়িত্ব উনার আছিলো ;) প্রথমদিন আসলেন বিশাল একটা বেত নিয়ে, আইসাই খবর দিলেন নাস্তা পাতি দেবার লিগা আর বেয়াদপের মতো বসার কারনে কান ধইরা টাইনা বেত দেখায় কইলেন আমারে নাকি লাঠির উপ্রে রাখতে হবে ;) পরেরদিন একই বেত নিয়ে আগমন এবং তিনদিনের মাথায় আমার চরম প্রতিবাদের মুখে উনার প্রত্যাগমন :) স্কুলে হুজুর স্যারদের কাছে ইসলামের এমন কিছু শিখছি বলে মনে পরে না যেটা আজও মনে দাগ কেটে আছে। কিংবা ধর্মের যেসব টেক্সট বুক সেগুলোও মনে হয় মুখস্ত করে, সাজেশন দেখে আর পাতা গুনে নাম্বার দেওয়া হুজুরদের কল্যানে লেটার নিয়ে পাশ করে গেছি... স্কুলে যেসব শিক্ষক ধর্ম শিক্ষা দেন তাদের যতটা দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করা কিংবা টিভি - সিনেমা দেখার বিরোধীতায় সোচ্চার হতে দেখা যায় তার এক শতাংশও ইসলামের মূল নীতি, জীবন দর্শন, কোরআনের কোন আয়াতের ব্যাখ্যা - এসব নিয়ে কথা বলতে দেখি নি। হয়তো এখানেই তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, কিন্তু এই সীমাবদ্ধতাই তো আধুনিক সমাজের শিশু কিশোর দের সামনে হাস্যকর কিছু টেক্সট ছাড়া আর কিছু দিতে পারছে না তাই না।

এক জুম্মায় ধানমন্ডির এক বিশাল মসজিদের ইমাম খুতবায় ধর্ম নিয়ে যতটুকু আলোচনা করলেন, তার চেয়ে বেশী আলোচনা করলেন আজকাল মেয়েরা উড়না কেমনে পড়ে, কি কি দেখা যায়, কি কি ঢাকা উচিত ছিলো -- ব্লা ব্লা... বুঝলাম এভাবে চলা ইসলাম সাপোর্ট করে না কিন্তু এই নিয়ে রীতিমতো এক্সরেটেড লেভেলের ডায়লগ চালিয়ে না গিয়ে দু এক লাইনেই তো মূল কথা বলা যেতো, বাচ্চা বাচ্চা ছেলেপেলেরা যারা বাবার সাথে এসেছে তারা কি শিক্ষা নিলো? এরকম অনেকের খুতবা নিয়ে অনেক মজার গল্প আছে তাই না :)

এসব মানেই কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে আমি তা না। ইসলাম একটা অতি পরিচিত এবং শ্রেষ্ঠতম জীবন ব্যবস্থা। তবে ধর্ম সবার আগে আমার নিজের তার পরে পাশের জনের। ধর্ম আমার বিশ্বাস আর আমার বিশ্বাস এতো ঠুনকো না যে সামান্য একটা গাছের ছবি দেখে আমার ধর্মকে মহান ভাবতে হবে। আবার এতো ঠুনকো না যে একটা মুর্তি দেখলেই আমার ধর্ম নষ্ট হয়ে যাবে।

ইসলাম সংশ্লিষ্ট বোদ্ধারা ভালো বলতে পারবেন তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এটুকু বুঝি আমার কোনো কাজ কুফরী তখন হবে যখন আমি সেটাকে কুফরী হিসাবে বিশ্বাস করে করবো তাই না? বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুসলমান মেয়ে শাড়ির সাথে টিপ পরে, এখানে সবাই স্রেফ সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে টিপ পড়ছে, কেউ তো সিঁদুর হিসেবে পড়ছে না তাই না... আবার ধুতি পড়া কিংবা তিলক লাগিয়ে যাওয়া এটা একটা উৎসবের অংশ। ব্যক্তিগতভাবে এই জিনিসটা আমার কাছেও বাড়াবাড়ি মনে হয় তবে এটাও ঠিক কোনো মুসলমান নিশ্চয় রাম নাম জপার জন্য তিলক পরে নাই, স্রেফ পহেলা বৈশাখের রঙীন উৎসবে সামিল হবার জন্যই করেছে, তো কুফরী হলো কেমনে? টাই নাকি ক্রুসের আদলে বাঁধা হয় তাই টাই পড়া কুফরী, পরে এই ব্লগে দেখলাম শিবিরের এক নিহত নেতার টাই পড়া ছবি আর তখন বিরোধীরা সবাই টাই পড়লে দোষের কিছু নাই এরকম কমেন্টে ভাসায় দিলেন...। আজব এই ব্লগ...

লেখককে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টের জন্য। তবে ইসলামকে প্রকৃতরুপে জানলে, মা-বাবা থেকে পাওয়া শিক্ষা গুলোকে কাজে লাগালে আশা করি চারপাশের গর্ধব কিছু ইসলামের বর্ম পরিহিত ধান্দাবাজদের আচরণ ধর্ম সম্পর্কে কারো প্রকৃত আগ্রহ দমাতে পারবে না :)

@ ত্রিভুজ আপনার শেষ লাইনের (৪৬) মাজেজা বুঝলাম না ;)

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০২

কাঙাল মামা বলেছেন: আপনার কমেন্টটা ২ বার পরলাম! সত্যি বলতে কি আমার লেখার চেয়ে আপনার কমেন্টটায় বিষয়টা আরো পরিষ্কার হয়েছে :)

৪৮| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:০০

ত্রিভুজ বলেছেন: মাজেজা আছে। পরে বলবো...

৪৯| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:১৯

স্পাইডার বলেছেন: হাস্যকর

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৪৩

কাঙাল মামা বলেছেন: তারমানে আপনি বলতে চাইতেছেন ইসলামের অবৈধ ব্যাবহার করা হয় না?

নাকি এটা দেখে আমার যে মেজাজ তিতিয়ে যায় সেটা হাস্যকর?

মানুষ কখন আগ্রহ হারায়?এই ব্লগে আস্তিকনাস্তিক নিয়ে যত ক্যাচাল হইছে, এখন সেটা নিয়ে কোনো পোস্ট দেখলে কি আপনার কোনো আগ্রহ জন্মাবে? লেবু বানিয়ে ধর্মব্যাবসায়ীরা ইসলামকে কম কচকায় নাই। আর আমরা, বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা (মাদ্রাসার বাচ্চা তো আছেই!!) সেই ধর্মব্যাবসায়ীদের শিকার।

এটা বুঝি হাস্যকর? :)

৫০| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২৬

বৃত্তবন্দী বলেছেন: লেখক এই পোস্টে তার একান্ত ব্যক্তিগত কথা লিখেছেন। একটা দু'টা উদাহরণ টেনেছেন তার রেফারেন্স হিসেবে। আর কমেন্ট যারা করেছেন তারাও বিভিন্ন প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন।
এর ভিতরেও মহান ত্রিভুজ সাহেব মাজেজা খুজে পেয়েছেন। আবার উনি বলেওছেন যে মাজেজার ব্যাপারটা উনি পরে বলবেন।
আশা করছি উনার পূর্ববর্তি পিছলামীর মতো এটাও কোনো পিছলামীর উদাহরণ হয়ে থাকবে না।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

কাঙাল মামা বলেছেন: তৃভূজের জন্য না, সত্যি বলতে কি আমার এখন এই পোস্টটা নিয়েই এখন চরম বিরক্ত লাগতেছে। শান্তিমত দুইডা কথা কইবারও পারি না কোথাও। মনের ভাব খুলে বলার জায়গা দুনিয়াতে কমই আছে :(

ডাইরি লিখি না তাই ভাবছিলাম ব্লগটাকে ডাইরি হিসাবে ব্যাবহার করবো। কিন্তু কয়েকটা শাহবাগের আড্ডাতে গিয়া ভারচুয়াল মুখোশ হারাইলাম। এখন এখানে ডাইরি টাইপের কথা লিখলে মান সম্মান আর থাকবো না!!

৫১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:১৭

সাইলেন্সার বলেছেন:

ইসকুলে তো সমাজ বইয়ে পৌরনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি পড়েছেন।
ঐগুলা আপনার কি কাজে লাগছে?
কৃষিবিজ্ঞান পড়েছেন, এখন কি কৃষিকাজ করেন?

শিরোনাম দেখে একটা ভাল পোস্ট আশা করেছিলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:০৮

কাঙাল মামা বলেছেন: আমি আমার চারপাশের কয়েকটা উদাহরন টেনে আমার মনের ভাব প্রকাশ করছি। এটা একান্তই ব্যাক্তিগত। আপনার ভালো না লাগাটা স্বাভাবিক।

শিক্ষাব্যাবস্থায় সবসময়েই ভূল আছে। ইসলাম শিক্ষাও এর বাইরে নয়। কৃষিটা যতটা অপশনাল, ইসলাম ততটা নয়।আপনি মুরগীর বিভিন্ন রোগের নাম, কারন ও প্রতিকার পড়ে ভুলে যেতে পারেন। সেটা কাজে লাগার সম্ভাবনা খুবই কম যদি না আপনি ঐ লাইনে যান।

কিন্তু স্কুলে যে দোয়াদুরুদ/ আরবী উচ্চারন পড়ায় সেটা আপনার সবসময়েই লাগবে। তো পড়াবাই যখন ভালো জিনিসই পড়ান! আরবী কবিতা ব্যাকরন কেনো? ইসলামের মূল নীতি বা ইসলামিক জীবন দর্শন নয় কেনো? আমি চাই এমন পড়াশোনা যেখানে আমি ইসলামকে জানতে পারবো। আমি বুঝতে পারবো কারা ভন্ডামী করে আর কারা দোজখের ভয় দেখিয়ে বোমাবাজি করে।

আপনাকে হতাশ করার জন্য সত্যই দুঃখিত। ব্লগে একটা পোস্ট দেয়ার আগে কয়েকবার ভাবি সেটা কি কাউকে কষ্ট দিবে নাকি। তারপরেও হয়ে যায়!

৫২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:০৯

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: তৃষ্ণার্ত পথিক বলেছেন: @লোমান সাহেব, প্রশ্নপত্র নিয়ে আপনার দ্বিমত পোষণ করার কারণ এবং সেই সাথে এই প্রসঙ্গে আপনার মতামতটা জানতে পারি???

আমিও জানতে চাই।

প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। প্রশ্ন পত্রের ব্যাপারে আমার নিরবতার কারণ ছিল, আসলে বইতে কি লিখা আছে তা পরিস্কার না জেনে মন্তব্য করতে চাই নাই, এই যা। ধর্মের নামে গোঁরামী এবং কুরআন সুন্নাহর বিপরীত অযৌক্তিক কিছু নিজেও সাপোর্ট করিনা অন্যকেও সাপোর্ট করতে উৎসাহিত করি না। আমি আসলে কোন আলেম নই তার পরেও ঐ তিনটি প্রশ্নের ব্যাপারে আমার নিজস্ব মন্তব্য পেশ করছি -

এই অনুচ্ছেদটি পড়ার পর নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে বলা হয়,
১) মুসলিম হওয়া সত্বেও তাদের এই ধরনের কাজ করার মূল কারন কি?
২) মুসলমানগন কিভাবে এই ধরনের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারে?
৩) কুফরের পরিনতি বর্ণনা কর।


আমার মনে হয় ৩ নং পশ্নটি পহেলা বৈশাখ, ধূতী, কপালে টিপ ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। প্রশ্ন কর্তার সাথে কথা বলে বিষয়টি ক্লিয়ার হতে পারেন। তিনি যদি এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে থাকেন তাহলে বলবো 'কুফর' কি তিনি বুঝেন নাই। অথবা প্রশ্ন করেছেন কোন সাধারণ শিক্ষক, তিনি ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নন। এটাকে ইসলামী কালচার পরিপন্থী আখ্যায়িত করতে পারেন। কুফরি কোন অবস্থাতেই বলা যাবে না।
আমরা বিয়ের অনুষ্টান, পহেলা বৈশাখ সহ আরো অনেক প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করেথাকি যেখানে ইসলামী শরীয়া'হ র খেলাপ হয়ে যাচ্ছে। আমরা কিন্ত কুফরির নিয়্যতে এসব করিনা। আনন্দ পাবার জন্যই করি। এসব করতে গিয়ে সীমা লঙ্গন হলে পাপ যে হবে এতে কোন সন্ধেহ নাই। প্রতিটি পাপ তো কুফরী নয়।
দুনিয়াতে প্রত্যেক কিছুর শ্রেনী বিভাগ আছে। তেমনি মুসলমানেরও তাদের ধর্ম পালনের আনুপাতিক হারে হয়তবা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি শ্রেনীর মধ্যে ফেলা যায়। সরা সরি কুফরিতে? Never

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:০৮

কাঙাল মামা বলেছেন: বইতে শাড়ি,ধুতি,তিলকের কথা লেখা নাই। ক্রুশ/পৈতা আছে।

আপনার মন্তব্যের সাথে একমত এবং জানানোর জন্য ধন্যবাদ :)

৫৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:১৮

ত্রিভুজ বলেছেন:

@কাঙাল মামা
আমি মানুষকে সঠিক পথে আনার দায়িত্ব পালন করি না বা করার মত যোগ্যতা নাই। আপনাদের ধর্ম বা ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান কম বলেছি তার কারণ হচ্ছে ইসলামে খুব পরিষ্কার ভাবেই বলা আছে যার যার কর্মফল তার তার। এখন কোন ব্যটা ইসলামের নামে কি করলো.. সমাজে ইসলামের নাম নিয়া কি হয় তার উদাহরণ দেখিয়ে কিন্তু দায়মুক্ত হতে পারবেন না। ব্যক্তিগত ভাবে আপনি কতটুকু কি করলেন সেটাই আসল।

একটা ছোট উদাহরণ দেই... বাংলাদেশের আইন আদালতে গেলে দেখবেন কত অবিচার হচ্ছে। উকিল, জজ সব অনৈতিক কাজে জড়িয়ে আছে। সঠিক বিচার খুব কম মানুষ পাচ্ছে। সন্ত্রাসী, ঘুষখোর, দূর্নীতিবাজ সব পার পেয়ে যাচ্ছে। এর জন্য যদি আপনি ঘোষণা করেন "এদের দেখেই আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নাই" এবং তারপর আইন অমান্য করতে শুরু করেন তাহলে কিন্তু পুলিশ আপনাকে ঠিকই ধরবে। আদালতে গিয়ে বলেন, 'ঐ ব্যটা আইন না মেনে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে তাই আমিও মানিনি', তাহলে সেটা কতটুকু গ্রহনযোগ্য হবে?

আমাদের চারিদিকে অনেক ধরনের সিস্টেমই বিদ্যমান। তার প্রায় সবগুলোই ঠিকঠাক মত চলছে না.. কিন্তু তার জন্য আমরা কেই সেই সিস্টেমের উপরে আস্থা হারাই না.. কিন্তু ইসলামের বেলায় যত সমস্যা। কারণটা আসলে কি বলে মনে হয়?

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:২৫

কাঙাল মামা বলেছেন: সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।

মানুষ মনে হয় আজকাল ধর্ম ব্যাপারটাকে খুব একটা আমলে নেয় না, সেজন্য পাশ কাটাতে অযৌক্তিক টালবাহানা করে। (এটা আমার মতামত)

৫৪| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২৯

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: কাঙাল মামা কে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি - আচ্ছা মামা আপনি রাজাকার মুক্ত ব্লগের স্লোগান দিয়ে মাঠে নেমেছেন। আপনার সঠিক জ্ঞানের আলোকে রাজাকার কারা আর এই 'না' এর কারন কি? শিবির ঘৃনার তালিকায় শীর্ষে থাকার করানটাও যদি পারেন। শুধু মাত্র কৌতুহলের বশঃবতি হয়ে প্রশ্ন। মাইন্ড করলে কিন্তু sory.

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:১৪

কাঙাল মামা বলেছেন: আমি যখন ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করি, তখন এখানে অনেকে স্বাধীনতা বিরোধী পোস্ট দিতো। এদের বিরুদ্ধে লাগতে গিয়া অনেক ভালো ব্লগার ব্যান হইছিলো। এসব দেখে মন খারাপ হইয়া থাকতো। আরো মেজাজ খারাপ লাগতো যখন দেখতাম পাকিস্তানদের সাপোর্ট করে যারা পোস্ট দিত এদের কিছুই হইতো না।

আপনি হ্য়তো জেনে থাকবেন ব্লগে বেশ কয়েকজন লোক আছে যারা এসব পাকিস্তানী সাপোর্টারদের ব্লগ থেকে ভাগাইছে, যদিও তারা এখনো অন্য নিকে আছে। ১৬ ডিসেম্বর বা ২৬ মার্চে তারা ঠিকই "পাক সার জামিন সাদ বাদ" গেয়ে পোস্ট দেয়। ঐ সময়টাতেই আমার ব্লগে আমি লিখে রাখছিলাম "রাজাকার মুক্ত ব্লগ চাই"।

শিবিরদের দেখতে পারি না কারন এরা অহেতুক রক্ত নিয়ে খেলে। হয়তো তাদের উদ্যেশ্যটা মহান, কিন্তু রক্ত কোনো সলিউশন নয়। শুধু শিবির না, ছাত্রদের নিয়ে গড়া কোনো দলই দেখতে পারি না। শিবিরদের একটু বেশি দেখতে পারি না কারন তারা ইসলামকে ব্যাবহার করে! ওদেরকে দেখলেই কেমন জানি লোভী লোভী মনে হয়। তবে আমি পারসোনালি কিছু শিবিরকে চিনি, উনারা অনেক ভালো মানুষ। একেবারে সত্যিকারের মুসলমান যারা ইসলামের সাথে সাথে চলে আবার নিজেদের এডুকেশনাল স্ট্যাটাস অনেক ভালো। এরকম অনেকেই আছে। তাদেরকে আমি যথেস্ট সম্মান করি। আর এদেরকে ঠিক শিবির বলতেও আমার ভালো লাগে না।

আর রাজাকারদের না চিনার কোনো কারন নাই। আগের আমলেরগুলাকে রাজাকার বলতাম, আর এখনেরগুলাকে স্মার্টলি যুদ্ধপরাধী বলি! বাট জিনিস একই। ৭১ সালে যখন দেশ ভাগ করার চিন্তা আসলো, তখন হাতে গোনা কয়েকজন লোক ছাড়া সবাই রাজি ছিলো। সুতরাং এতগুলা মানুষ দেশ ভাগ করার জন্য মারা গেলো, এরপর ৩৬ বছর পর এসে যারা বলবে ভাই-ভাই মিলে থাকলেও পারতাম, তাহলে কেমনে হবে? এখন তো এটা মানা যায় না। তাহলে তো এতগুলা মানুষের মৃত্যর কোনো দাম থাকলো না! তবে অনেক রাজাকাররাও পরিস্থিতির শিকার।হয়তো নিজ ফ্যামিলিকে বাচাতে এই রাস্তায় নেমেছিলো।

অবশ্য এখন বুঝে গেছি, এসব রাজাকার টাইপের লোকেরা সবসময়েই থাকবে। এদের রক্তই এমন। ৭১ এর বিরোধীতা করা এদের স্বভাবজাত স্বভাব!! এদের তাই এভয়েড করি। তবে আস্তে আস্তে নতুন জেনারেশন আসতেছে।এরা এতটা মূরজাফর না। বাংলাদেশের শেষ রাজাকারটা একসময় ঠিকই মারা যাবে, কিন্তু ৭১ এর চেতনা রয়ে যাবে নতুনদের মাঝে সবসময় :)

৫৫| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:৪৩

এন এইচ আর বলেছেন: মামা বহুত জ্ঞান লাভ করলাম পোস্ট আর সব গুলা কমেন্ট পড়ে........।

২০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:১৬

কাঙাল মামা বলেছেন: হ মামা, আমিও অনেক কিছু জানছি আর নিজের কিছু ভূল ঠিক করছি :)

৫৬| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:০২

রী্য বলেছেন: বিবেক ও মনষত্ব জীবনের বা জীবন যাপনের শ্রেষ্ঠ জিনিস । আমাদের বাংলাদেশে ৯৮ ভাগ মুসলিম হওয়া সত্বেও করাপশনে..... ১০৫০ ভাগ এগিয়ে । শতকরা ৯৫ ভাগ সরকারী চাকরীজীবি মুসলিম, পাঁচ ওয়াক্ত না হোক জুম্মার দিনে তো পড়ে.... তবুও এদের ঘুষখোর সারা প্রথিবীতে আর নেই ........ এগুলো সবই বিবেকের পতন.... ধর্ম মানুসের প্রয়োজনে, ধর্মের প্রয়োজনে মানুষ না।

২০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:১৫

কাঙাল মামা বলেছেন: আরে ভাই!!! জটিল পয়েন্ট ধরছেন! :) মন্তব্যে ঝাজা!! +

৫৭| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০০

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: আমার প্রশ্নের সুন্ধর জওয়াব দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মধ্যে আমি একটি সুন্ধর, পরিচ্ছন্ন এবং সত্যবাদী মানসিকতা অবলোকন করেছি। যে কারণে বার বার বিরক্ত করছি। আপনি যে বিভাগ নিয়ে লিখা পড়া করছেন একটি ভাল সাব্জেক্ট। দোয়া করি আগামীতে একজন দক্ষ প্রকৌশলী হিসাবে প্রতিষ্টিত হোন।
আমি আপনার তুলনায় যথেষ্ট সিনিয়ার, আমার মেয়ে ইংলিশ অনার্স পড়ছে। একজন সিনিয়ার হিসাবে পরার্শ হচ্ছে, মনের মধ্যে কারো প্রতি ঘৃনা না রাখলেই ভাল। ঘৃনা করবেন পাপকে পাপীকে নয়। পাপীর শাস্তি তো আল্লাহ দেবেন। আমরা দেব কেন? আমরা যদি ঘৃনার মাধ্যমে পাপীকে শাস্তি দেই তাহলে সে পাপ মুক্ত হয়ে যাচ্ছে আর আমার মনটা কলুশিত হয়ে থাকছে। মন প্রফুল্ল রাখার জন্য সকলের প্রতি ভাল বাসা পোষন করা উচিৎ।
স্বধীনতার এত বছর পরও যদি কেউ বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোন স্বপ্ন দেখে বা পাকিস্তানের জাতী সঙ্গীত গায় আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে সে বা তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দানের বিকল্প নেই। এসব পানি ঘোলা করার চক্রান্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার। আমি রাজাকার দেখেছিলাম ( তখন আমি সিক্সে পড়ি) তারা ছিল রিকশা ঠেলা ওয়ালা জাতীয় লোক পেটের দায়ে তৎকালীন সরকারী চাকুরীতে যোগ দিয়েছিল। ১৬ই ডিসেম্বর অনেকটা অপ্রত্যাশীত ভাবে আমরা স্বাধীনত পেয়ে যাই। সেদিন সকালেও আমরা মরিচ্চা( W আকৃতির গর্ত) খনন করতে ছিলাম অ্যামেরিকান নৌবহর আক্রমন চালাবে বলে সংবাদ শুনে। যে কারণে তখন রাজাকারেরা একজনও পালাতে পারেনি। আমার মতে ৯০% রাজাকার আমাদের বীর মুক্তি যোদ্ধারা খতম করেছেন স্বাধীনতার পর পরই। আমরা যে গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলাম সেখানকার বোর্ড ঘরে ১০/১২ জন রাজাকার ধরে এনে হিসেম্বরে হাঁড় কাঁপানো শীতে টিউব ওয়েলের ঠান্ডা পানি মাথার উপর ঢালতে ঢালতে মেরেফেলেছিল। অনেক পরিস্থিতির শিকার নির্দোষ রাজাকার যারা মুক্তি যোদ্ধা এবং জন গনের কল্যণ করেছিল তারা মুক্ত হয়েছিল। বর্তমানে রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ইত্যাদি শব্দগুলি রাজনীতি দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে অনেকটা।
শিবিরের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি অবশ্য বর্তমান প্রচলিত অন্যান্য দলের সাথে তুলনা করলে শিবিরকে একটু আপগ্রেটেড মনে করি। আমার মূল্যায়ন ভুল ও হতে পারে। তারা যেহেতু ইসলামের কথা বলে সেহেতু তারা আরো নির্লোভ ও মানুষের প্রতি সদয় হওয়া দরকার।
আমি আবুধাবী থাকি। আগামী ২৪ তারিখ দেশে আসার প্লান করেছি। দোয়া করবেন। আপনা মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য দূঃখীত।

২০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:১২

কাঙাল মামা বলেছেন: রিপ্লাই দিতে দেরী হলো বলে দূঃখীত। যদিও আমার নাম সবসময়েই অনলাইনে থাকে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি সবসময় পিসির সামনে থাকি। পিসি যতক্ষন চলে, ব্লগে লগিন অবস্থায় থাকে।

দোয়া করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।

হ্যা, এটা ঠিক।রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ইত্যাদি শব্দগুলি রাজনীতি দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এখন। শিবিরকে আমিও উপরে রাখি অন্য সবার চেয়ে। এরা ইসলামের কথা তো বলেই, এদের শিক্ষার হার অন্যদলের চেয়ে একটু বেশিই মনে হয়।

সময় নষ্ট করা কোনো ব্যাপার না, ব্লগে সময় দেইই কিছু জানার জন্য, নিজের ভূলগুলা সুধরিয়ে নেওয়ার জন্য আর মনের ভাবনাগুলো শেয়ার করতে।আপনার সাথে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

দেশে আসুন, আপনাকে আগাম শুভেচ্ছা :)

৫৮| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১৯

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: লেট রিপলাই এর কারণ আমিও তাই ভেবেছিলাম। আপনার সাথে মত বিনিময় করে বেশ মজা পেয়েছি। সময় সুযোগ মত আবারও মত বিনিময় হতে পারে ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ, ভালথাকুন।

২১ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬

কাঙাল মামা বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন, ধন্যবাদ :)

৫৯| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০৫

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: দিলের কথা কইছেন ভাই!
++++

২১ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:১৩

কাঙাল মামা বলেছেন: :-/

৬০| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

নুশেরা বলেছেন: আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: দিলের কথা কইছেন ভাই!

আমি শান্তর কথায় ডিটো দিলাম। ধর্মের ব্যাপারটা যেখানে নিঃশর্ত বিশ্বাসের, সেখানে যুক্তি দেয়ার হাস্যকর দিকটা এরা দেখেনা। আর যে প্রশ্নপত্র দেখালেন, তাতে আতঙ্কিত হবার সমূহ কারণ আছে।

২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

কাঙাল মামা বলেছেন: হুমম...

৬১| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মানুষ বলেছেন: আমি বুঝি না, এই জীবনে আমি যদি নামাজ রোজা না করি, পরকালে যে পাছাটা পুড়বে সেটা আমার নিজের। হুজুরদিগের কেন এত মাথাব্যাথা আমাকে বেহেস্তে নেবার জন্য।

পৃথিবীর যাবতীয় অশান্তির অন্যতম কারণ ধর্ম। আপনার মতো আমার কাছেও বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম লাগে না, আমি ভালতো সব ভাল।

২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

কাঙাল মামা বলেছেন: লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ:)

৬২| ২৫ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪৯

পাথুরে বলেছেন: ভাই আমি আস্তিক মানুষ। খোদা বিশ্বাস করি। অন্য ধর্মেও বিদ্বেষ পোষণ করি না। তাই বলে এইসব কাঠমোল্লাদের সমর্থন করতে পারি না। এরাই সহজ উদার ধর্মটাকে কঠিন করে তুলছে,ভুলভাবে ব্যাখ্যা/উপস্থাপন করছে।

২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০০

কাঙাল মামা বলেছেন: একমত।

৬৩| ২৫ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইডা দেখছি। ঐ ছাগলা টিচাররে যতদূর শুনছি চাকরি থিকা বাদ দিছে। এমুন পাগলা হুজুরগো গলায় দড়ি দিয়া পিটান উচিত যারা ধর্মীয় উস্কানী ছড়ায়!

২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০৪

কাঙাল মামা বলেছেন: হ :(

৬৪| ২৫ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:১০

ইউনুস খান বলেছেন: ............................................

২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০৫

কাঙাল মামা বলেছেন: বাকশূন্য হইয়া গেলেন নাকি? :-/

৬৫| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:২১

দুর্বলতার অমিত বলেছেন: অসাধারন লাগলো ..++++++++++++

২২ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৪২

কাঙাল মামা বলেছেন: আচ্ছা! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.