নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে

শুভ রায় চৌধুরী

শুভ রায় চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র প্রধানের মৃত্যু ও আমাদের আর্তনাদ

২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

রাষ্ট্রপতি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, এটা আমার জন্যে যেরকম কষ্টের তেমনি পুরো জাতির জন্যেও অনেক বড় কষ্টের বটে। আমি জানি উনার মতো রাজনীতিবিদ বাংলাদেশে খুব বেশী জন্ম নেয়নি এবং নিবেও না। উনি সরকারি দলের রাজনীতিবিদ ছিলেন এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু উনাকে ভালোবাসেন না এমন লোক বাংলাদেশের মাটিতে একেবারেই নগন্য। আর তা আরও গভীরভাবে আমরা প্রত্যক্ষ করলাম উনার জীবনাবসানের পর গণমানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে। এই মূহুর্তে আমার উনার একটা উদ্বৃতির কথা খুব মনে পড়ছে, যদিও হুবহু ‍দিতে পারলামনা (পুরোটা মনে নেই)।

“পরমকরুনাময় আল্লাহ আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং আমরা যেন যদি দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করে আমাদের এই জীবন সার্থক করিতে পারি।”



আজ আমরা খুব হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি আমাদের দেশে এরকম একজন রাজনীতিবিদ কত প্রয়োজন?

উনার মৃত্যুর পর আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু সাহেব উনার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন -

“১/১১ পরবর্তী সময়ে তিনি যখন পুরো আওয়ামীলীগের হাল ধরেছিলেন। তখনও তিনি একা কোন সিদ্ধান্ত নিতেন না, সবার কথা তিনি শুনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সাথে মিটিংয়ে বসে সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন। একা কোন সিদ্ধান্ত নিতেন না। এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মিডয়ায়ও কোন কথা বলতেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই মিডিয়ায় তা জানাতেন।”



আজ আমরা জানি আমাদের এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গণতন্ত্রের কতটুকু অভাব। আওয়ামীলীগ এবং বি,এন,পি, এর নেতৃবৃন্দের মধ্যেকার অন্তর্কোন্দলের মাঝে পড়ে আমাদের মতো ছাত্ররা সহিংস হয়ে উঠছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় পড়ালেখা, বন্ধুত্ব, প্রেম এবং সুস্থ্য রাজনীতি চর্চার বদলে হয় অস্ত্রের মহড়া। কিন্তু আমরা যদি একে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতাম তাহলে অবশ্যই আমদের বাংলাদেশ একটি উদাহরন হয়ে থাকতো।



আমাদের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ মার্চ, ২০১৩ তারিখে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে যখন ভর্তি

হন তখন আমি মনে মনে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন উনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাক (যদিও এটা আমার উচিত হয়নি)। কারণ অবশ্য ছিল দুটি। এক. যেন উনার শারীরিক কষ্ট দূর হয়ে যায়। দুই. যেন উনি উনার কৃতকর্মের সম্মানটুকু পান।

“দুই” এর যুক্তিটা হলো এরকম- বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তো আমাদের সবারই তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিরোধী দলকে সবসময় চাপের মধ্যে রাখার একটা চর্চা আমাদের বাংলাদেশে আছে। আর আগামীতে যদি পট পরিবর্তনের জন্য যদি আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে। তাহলে তিনি এ সম্মানটুকু পেতেন কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম।





সব মানুষের জীবনেই মৃত্যু অনিবার্য তবে সে মৃত্যু যেন হয় সম্মানের।

মানুষ তোমাকে মনে রাখবে আজীবন, তোমার এই অবদান শেষ হবে না কোনদিন।



আমার ফেবু

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.