নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে

শুভ রায় চৌধুরী

শুভ রায় চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘোষনা নামা

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে এখনও আমরা বিতর্কে জড়াই। এটা আমাদের জাতির জন্য লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমরা স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে মারামারি করি।



স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে জাতীয়তাবাদী পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন আবার গণতন্ত্রী পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। আর এর মাঝে যাঁতাকলে পিষ্ঠ হচ্ছে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যারা এখনো রাজনীতি কি বুঝতে পারেনি। জীবনের বিকাশমান সময়ে যদি তার বাবার কাছে প্রশ্ন করতে হয় আচ্ছা বাবা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা আসলে কে দিয়েছেন? হ্যা লজ্জিত আমরা চরম লজ্জিত, যখন আমাদের অনুজরা দ্বিধায় ভোগে আমাদের দেশের অস্থিত্বের প্রশ্নে।



আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন অথবা বিষয়টা নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছেন তারা হয়তো জেনে থাকবেন কীভাবে অন্ধের মতো একদল মিথ্যাচার করছে? যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামীল।



ইতিহাসের এত গুলো জলন্ত প্রমান থাকা সত্ত্বেও তাদের মনে কি এতটুকু ভাবোদয় হয় না?



১। ১৯৭১ সালে যারা আমাদের চরম বিরোধিতা করেছিল এবং এটিকে বিশ্বের কাছে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরেছিল সেই আমেরিকার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার ২৬শে মার্চ ১৯৭১ সাল তারিখের মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল “আজ মুজিব পূর্ব পাকিস্থানকে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ঘোষনা করেন, এতে পাকিস্তান গৃহ যুদ্ধে নিপতিত হলো।”

২। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ “বোষ্টন গ্লোব” এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন।

৩। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ। ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় ওয়াশিংটন স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বৈঠক হয়। ড. হেনরি কিসিঞ্জার এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় ওয়াটার গেট খ্যাত ‍সিআই এর তত্কালীন পরিচালক রিচার্ড হেলমস তখ্য দেন, গোপন বেতার বলছে, মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন।

৪। ১৯৭১ সালের ছাব্বিশে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রচারিত হয় টেলিগ্রাম আর এতে বলা হয়েছিল “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগনকে যেকোন মূল্যে বাংলাদেশের মাটি থেকে শত্রু সেনাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান। সূত্র: মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা। পৃষ্ঠা-৯০৩।

৫। টিক্কাখান ও নিয়াজির জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে ছাব্বিশে মার্চ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষনার কথা উল্লেখ করেন। তবে তিনি এ জন্য বরাত দেন ডেবিড লোশাকের। লোশাকের বই ছাপা হয় ১৯৭১ সালে লন্ডনে। তিনি এতে বলেন, “পঁচিশে মার্চের অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে বেতারে মুজিবের অস্পষ্ট কণ্ঠ ভেসে আসে। মনে হলো, পূর্ব ধারনকৃত রেকর্ড বাজানো হয়েছে। মুজিব পূর্ব পাকিস্তানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ঘোষনা করেন।”







২৫শে মার্চ ১৯৭১ এর মধ্যরাতের পর ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেওয়া হয়। ঘোষনাটি ছিল এরকম (হুবহু তুলে দেওয়া হলো)

‍‍“This may be my last message, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved”



এবং ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ সন্ধ্যায় মেজর জিয়া চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে যান এবং সেখান থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা করেন।

ঘোষনাটি ছিল এরকম (হুবহু তুলে দেওয়া হলো)

“This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the direction of Bangobondhu Mujibur Rahman, hereby declare that Independent People's Republic of Bangladesh has been established. At his direction , I have taken the command as the temporary Head of the Republic. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bengalees to rise against the attack by the West Pakistani Army. We shall fight to the last to free our motherland. Victory is, by the Grace of Allah, ours. Joy Bangla.”



আর আজ ৪২ বছর পরও বেগম জিয়া বলেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। যেহেতু জিয়াউর রহমান ২৭শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন তাই উনাদের (বি এন পি) উচিত ২৭শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা।

একটা জলন্ত মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমাণিত করতে চায় আর তাদের সমর্থিত কর্মী বাহিনীরা অন্ধবিশ্বাসের মতো তা নিয়ে নাচানাচি করে বেড়ায়।২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে ফুল দিতে গিয়েও তারা স্লোগান ধরে ‌‍‌‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও সালাম’। যেন অবস্থা এরকম যে তারা শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে প্রমান করবেন।



ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ১৯৯৪ সালে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া জিয়াউর রহমান বা অন্য কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা সংবিধানের ১২৩ক ধারা অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ





আমার ফেবু

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.