নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশৃঙ্খল আমার জীবন, বিচিত্র আমার স্বভাব।\nঅনিচ্ছাসত্ত্বেও তবু কিছু শৃঙ্খলের বেড়ীতে বাঁধা আমি।\nএকমাত্র লক্ষ্য, এই শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত হওয়া।\n\nনির্মল, বিশুদ্ধ পবনে শ্বাস নিতে চাই।\nঅসীম নীল আকাশে ডানা মেলতে চাই।\nচাই দিক-দিগন্ত, সীমা-পরিসীমা পেরিয়ে অজানার প

শুভ্র২৪

বিশৃঙ্খল আমার জীবন, বিচিত্র আমার স্বভাব। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তবু কিছু শৃঙ্খলের বেড়ীতে বাঁধা আমি। একমাত্র লক্ষ্য, এই শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত হওয়া। নির্মল, বিশুদ্ধ পবনে শ্বাস নিতে চাই। অসীম নীল আকাশে ডানা মেলতে চাই। চাই দিক-দিগন্ত, সীমা-পরিসীমা পেরিয়ে অজানার পানে ছুটতে। চাই তিমির রাতে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শুনতে। সঙ্গ চাই অযুত জোনাকীর। চাই পূর্ণিমা রাতে ভরা শশীর জ্যোৎস্নায় অবগাহন করতে। চাই শেয়ালের ডাক শুনতে। বৃষ্টির সাথে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাই বর্ষার প্রথম জলে। চাই স্নিগ্ধ সবুজের স্পর্শ পেতে। চাই স্বাধীনতা, চাই নীল আকাশে ডানা মেলা বিহঙ্গের সঙ্গী হতে। চাই মুক্ত জীবন, চাই নীল ফুঁড়ে গিয়ে সূর্যটাকে ছুঁয়ে দিতে।

শুভ্র২৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও আমার প্রলাপ

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৫

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে জানেন?
অবশ্যই জানেন।
১৯৫২ সালের সেই দিনে কি হয়েছিলো জানেন?
সেটাও জানেন।
এবার বলুন তো সেইদিন কত জন শহীদ হয়েছিলেন?
গুগল করতে হচ্ছে? ( আমারও করতে হচ্ছে এবং সেজন্যে আমি ভীষণ লজ্জিত)
২১শে ফেব্রুয়ারী ও ২২শে ফেব্রুয়ারী এই দুই দিনে পুলিশের গুলিতে মোট কতজন মারা যান তা অজানা। (কেউ জেনে থাকলে জানাবেন)
পুলিশ কিছু লাশ গুম করে ফেলে বলে জনশ্রুতি আছে। তবে মোট ৬ জন ভাষা শহীদের নাম জানা যায়। তারা হলেন,
রফিকউদ্দীন আহমদ
আবুল বরকত
শফিউর রহমান
আব্দুল জব্বার
আব্দুস সালাম
অহিউল্লাহ( মাত্র ৮/৯ বছরের বালক ছিলেন)
আপনি আমি তাদের নাম মনে রাখবো, কিংবা তাদের আত্মত্যাগের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হবে, একথা চিন্তা করে তারা আন্দোলনে যাননি। তারা গিয়েছিলেন নিজেদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে। এছাড়া আর কোনো আকাঙ্খা তাদের ছিলো না।
তাই বলে আমাদের দায় নেই? আমরা তাদের মনে রাখবো না?
কি লাভ মনে রেখে?
-নিজের গর্বটা বোঝেন। এমন নজির কিন্তু আর কোথাও নেই। আপনার দেশেই ঘটেছে, শুধুমাত্র আপনার দেশে। তাও আবার আপনারই জন্য। গর্ব করেন নাম জানেন না? কাদের জন্যে গর্ব করেন জানতে হবে না?
আপনাকে আর কিচ্ছু করতে হবেনা। শুধু তাদের কথা, তাদের অবদানের কথাটা মনে রাখুন। সেটাই আপনাকে দিয়ে আপনার অজান্তে কিছু একটা করিয়ে নেবে।
এবার একটু অন্যদিকে যাই।
"খাইতেসি, কইতেসি, কিরাম, সেরাম" এগুলো শুনতে খারাপ লাগে?
-ভাষা সৈনিকগণ কিন্তু প্রমিত বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করেন নি। তাঁরা আন্দোলন করেছেন মাতৃভাষা বাংলার জন্য। তাঁদের মধ্যেও হয়তো কেউ নোয়াখালী, বরিশাল, চট্টগ্রাম কিংবা অন্য কোনও অঞ্চলের আঞ্চলিক বাংলায় কথা বলতেন। ইভেন তাঁদের মধ্যেকার শিক্ষিতরাও হয়তো কথার মধ্যে দুই একটা ইংলিশ ঢুকিয়ে দিতেন। সুতরাং, সুশীলগণ, আমাদের মৌখিক ভাষার সমালোচনা করবেন না। এভাবে কথা বলাটাও আমাদের অধিকার।
তবে তাদের জন্য অধিকার কিনা জানিনা, যারা চিবিয়ে চিবিয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তের মতো ইংলিশ অ্যাকসেন্টে বাংলা বলেন।(আমার ভার্সিটির একজন টিচার আছেন এমন। তিনি চিবিয়ে চিবিয়ে আ-আ করতে করতে বাংলা বলেন। কথার মধ্যে প্রচুর ইংলিশ শব্দ উপস্থিত থাকে।সেটা যে বৃটিশ বা আমেরিকান অ্যাকসেন্ট না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।) এদের কথা শুনলে আক্ষরিক অর্থে আমার চামড়ার নীচে জ্বলে। এই বিকৃতিটাও হয়তো তাদের অধিকার। ভাষার উৎপত্তিই তো বদলে যাবার জন্য।
পরিশিষ্টঃ সবাই অমর একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হোক। শহীদদের আত্মা শান্তি পাক।
(অগোছালো লেখার জন্য দুঃখিত। যে কোনও ত্রুটি মার্জনা করবেন।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


২১ ফেব্রূয়ারীকে সব শিক্ষিত মানুষ সন্মান করে, যারা পড়ালেখা করার সুযোগ পয়নি, তাদের মনে কি আমি বলতে পারবো না।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৫

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: অগোছালো হলে ওও চমৎকার লিখেছেন,

একুশ নিয়ে আমার এ পোস্টটা পড়ার জন্য অনুরোধ রইল,
পোস্ট লিংক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.