![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখাটা আমার প্যাশন। তবুও লিখি খুব কম। তখনই লিখি যখন আর না লিখে কোন উপায় থাকে না। মাথাটা যখন ভার হয়ে যায়, চিন্তাগুলো প্রসববেদনার মত কষ্ট দেয়, তখন লিখতে বসি। লিখে কিছু পরিবর্তন করার আশা করি না। নিজের ভাবনাগুলো নিজের কাছে আর একটু ভাল করে প্রকাশ করার জন্য লিখি। আমারর চরিত্রগুলোর আনন্দ-বেদনা আর বদলের সঙ্গী হবার জন্য লিখি।\nআমার সবচাইতে বড় পরিচয়- আমি সিরিয়াস পাঠক। আপাতদৃষ্টিতে অসামাজিক। নিজেকে মাঝে মাঝে ভীষণ বিরক্তিকর বলে মনে হয়; ঠিক তখনই মনে পড়ে, ঈশ্বর/আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা বড় ভালবেসে আমায় তৈরি করেছেন। তিনি আমার হাজার খামতি সত্ত্বেও আমাকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন। একথাটা ভাবলে নিজেকে বা অন্যকে ভালবাসতে বা ক্ষমা করতে আর অসুবিধা হয় না। \nআমার ফেসবুক ঠিকানা: https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial
থাইল্যাণ্ডে এসেছি গত মাসের শেষের দিকে। সারাদিন ট্রেনিংয়ের শেষে সন্ধ্যা বেলায় আমরা মাঝে মাঝে ঘুরতে বের হই। গত দুই দিন ধরে চেংমাই ঘুরে দেখলাম।
আমরা মোট দশজন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছি এই কোর্স করতে। মজার ব্যাপার হল দশজন ছেলেমেয়ে এসেছে দশটা দেশ থেকে। তাই cross-cultural communication করতে গিয়ে ভারি মজার মজার সব ঘটনা ঘটছে। সবার যোগাযোগের কমন ভাষা ইংরেজি । তবু সবারই আগ্রহ অন্য ভাষার দু একটা শব্দ শিখে নেওয়া্র ব্যাপারে। কোন বন্ধু যেন নিজেকে দলছুট বা একা না ভাবে, সে ব্যাপারে শিক্ষকসহ সবারই সমান খেয়াল।
কিগ্যান নামে এক শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকান ছেলে যেই টের পেল যে আমি রাস্তাঘাট চিনি না, অমনি সে সবাইকে ছেড়ে আমার সাথে হাটতে হাটতে চলে এল আমার সাথে। পুরোটা পথ হাটতে হাটতে আমাকে রাস্তা চেনানোর জন্য অসংখ্য চিহ্ন মুখস্থ করাল। ওর দুটো ক্যামেরা আছে বলে আমাকে একটা দিয়ে রেখেছে যাতে আমি সেটা দিয়ে ইচ্ছেমত ছবি তুলতে পারি কারণ আমার ক্যামেরাটা ডিএসএল আর নয় এবং তা দিয়ে ফুল মেনু কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই প্রত্যেককে নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আর যে গার্লস হোস্টেলে আমার থাকার ব্যবস্থা হয়েছে সেখানকার মেয়েগুলোও ভীষণ ভাল।
এবার আসা যাক, থাইল্যাণ্ডের জীবন যাত্রা সম্পর্কে। দুই সপ্তাহয় আমি তেমন একটা ঘোরার সময় পাই নি। আমি যে এলাকাটায় থাকি সেটার নাম চেত ইয়োদ। পাশেই একটা মন্দির আছে এই নামে। সেই মন্দিরের নামেই নামকরণ। এয়ারপোর্ট থেকে গাড়িতে করে আসতে বিশ মিনিট লাগে। জায়গাটা সুপার হাইওয়ের এক পাশে।
বেশ মফ:স্বল মফ:স্বল ভাব আছে জায়গাটায়। কারণ জায়গাটা খুব ফাকা আর নিরিবিলি। বেশিরভাগ মানুষই স্বাধীনভাবে চলাচলের জন্য বাইক চালায়। যাদের বাইক নেই, তারা প্রায় ১৫ মিনিট পায়ে হেটে হার্বারে যায়। সেখান থেকে 'সং তাও' নামে এক রকমের যান পাওয়া যায়- বাহনটা আমাদের দেশের টেম্পোর থাই সংস্করণ আর কি। এছাড়াও আছে টুকটুক- বাংলাদেশের রিকশার মতই অনেকটা। তবে আমাদের রিকশার মত অত সুলভ নয় জিনিসটা। যে যানবাহনই নিতে চান না কেন, আপনাকে হার্বারে বা কোন বড় রাস্তার সামনে গিয়ে দাড়াতে হবে। আমাদের দেশে যেমন বাসার গেট খুলেই 'এই রিকশা' বলে হাক দিয়ে রিকশা দাড় করে ফেলা যায়, এখানে সে উপায় নেই।
একা চলাচলের ব্যাপারে আমার এখনো তেমন কনফিডেন্স আসে নি কারণ আমি থাই বলতে পারি না আর ওরা থাই ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। ইংরেজি বলা তো দুরের কথা, বোঝেও না। তাই দু একটা ছোটখাট কেনাকাটার জন্য আমি কয়েক পা দূরের সেভেন/ইলেভেন স্টোর ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার ঝুকি নিই না। অন্য কোথাও ঘুরতে গেলে দল বেধে যাই।
তবে থাইরা খুবই হাসিখুশি।এমনকি রাগ প্রকাশের জন্যও ওদের বিশেষ রকমের হাসি আছে। আপনাকে দেখলেই চিনুক না চিনুক, চোখাচোখি হওয়া মাত্রই 'সোওয়াদিখা/সোওয়াদিখাপ' বলে হাত জোড় করে মাথা নুইয়ে স্বাগত জানাবে। মেয়েরা বলে 'সোওয়াদিখা' আর ছেলেরা বলে 'সোওয়াদিখাপ'। অচেনা মানুষকে এভাবে স্বাগত জানানোর ব্যাপারটা আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে।
পোশাক আশাকের ব্যাপারে পশ্চিমাদের সাথে তেমন একটা পার্থক্য আমার চোখে ধরা পড়ছে না।কখনো কখনো আমার বয়সী মেয়েদের পোশাক আশঙ্কাজনক রকমের সংক্ষিপ্ত।আমার সাথে থাকা পশ্চিমা রুমমেটদেরও হার মানায়।
বার আর ক্যাফের ব্যাপারে আমি রীতিমত লা-জওয়াব। রাস্তার পাশের খাবারগুলোর স্বাদ অসাধারণ। দামেও সস্তা। একটা সসেজ কিংবা বেকড ব্যানানা কিনতে লাগছে ১০ বাথ।বেকড্ ব্যানানা! শুনতে অদ্ভূত লাগছে না? কিন্তু স্বাদটা অসাধারণ! পকেটে টাকা একটু বেশি থাকলে ঢুকে পড়া যায় কোন ক্যাফে তে। ওখানে কফির ধরণ বুঝে দাম। তবে এক কাপ ল্যাটে পাওয়া যায় ৫০-৬০ বাথের মধ্যে। দামটা আমার কাছে মোটামুটি সস্তাই মনে হল।এখনো স্টারবাক্সে যাওয়া হয় নি।আমাদের কারোরই অত ট্যাকের জোর নেই কিনা।
তবে জেনে রাখা ভাল যে, আপনি যদি রবিবারে চেংমাইয়ের ধারে কাছে থাকেন তবে নাইট বাজারটা ঘুরে আসতে পারেন। দারুণ দারুণ জিনিস পাবেন ওখানে। তবে দামাদামি করতে হবে।
অনেকক্ষণ বকবক করলাম। বিদায় নিই আপাতত। ঘড়িতে বারটা বেজে গেছে। যাওয়ার আগে বলি, কাপখুন খাআআআ (ধন্যবাদ)।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: চেংমাইয়ে থাকি কীনা? এই মুহুর্তে আছি। অক্টোবরের ৬ তারিখ পর্যন্ত থাকব। হ্যা, জায়গাটা আসলেই সুন্দর।যাওয়ার মধ্যে আমি দই সুটেপ দেখলাম, এছাড়াও স্টিকি ফলে গিয়েছিলাম। মুগ্ধ হওয়ার মতই।
পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
ময়নুল েহােসন বলেছেন: আমি আসছি September 12, 2013. থাকব বিশ তারিখ পর্যন্ত
I need your help badly ([email protected]).
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: অবশ্যই। তবে আমি ১৫ তারিখে সাউদার্ন থাইল্যাণ্ডে চলে যাচ্ছি চেংমাই ছেড়ে। অক্টোবরের ৫ তারিখ পর্যন্ত ওখানেই থাকব। তারপরও আপনার যে কোন রকম প্রশ্ন থাকলে আমাকে করতে পারেন। আমি বেশি কিছু জানি না এখনো। তবু আপনাকে সাহায্য করতে পারলে খুবই খুশি হব।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
ডরোথী সুমী বলেছেন: বেকড ব্যানানা! লোভ দেখাচ্ছেন! দেশে নিয়ে না আসলে খবর আছে। আর, এতো রিকশা খোঁজেন কেন? হাঁটেন। যত হাঁটবেন, রাস্তা চিনবেন। ফ্রী এডভাইস......
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: জ্বি ম্যাডাম! ধন্যবাদ। আপনার মুখে আগুন! আমি মরি আমার জ্বালায়!
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
ময়নুল েহােসন বলেছেন: ডরোথী সুমী এর সাথে সহমত!
আমার কিছু University সর্ম্পকে জানা দরকার যারা DBA(Doctor of Business) course offer করছে।
আর কোথায় কোথায় ঘুরে দেখা যেতে পারে!!!
আপনার mail এর জন্য Wait করছি. . . . . . . . . . . .
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: জ্বি ভাইয়া, ঘুরে দেখার মত আরো জায়গা আছে। এয়ারপোর্টে নেমেই আপনার চোখ আটকে যাবে একটা পাহাড়ের গায়ে- যার নাম হল দই সুটেপ। দই সুটেপে বিশাল এক বৌদ্ধমন্দির আছে। চেংমাই আসলে এটা না দেখে যাওয়া রীতিমত ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন স্টিকি ফল- অসম্ভব সুন্দর ঝর্ণা। আমি ছবিগুলো শিগগিরই পোস্ট করব ভাবছি। হ্যা ভাইয়া, আমি আপনাকে ইমেইল করব। তবে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় পাই নি। কারণ সারাদিন ট্রেনিংয়ের পর আর কোথাও তেমন যাওয়ার সুযোগ থাকে না।
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
ময়নুল েহােসন বলেছেন: Not to worry!
OK চেংমাই, স্টিকি ফল এই দুইটা spot ঘুরে আগে অপরাধীদের কাতার থেকে সরে দাড়াই বাকিটা পরে দেখা যাবে ।
Mail এর Subject হবে থাই-সামু OK!
৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছবি দিন । আমরা ও দেখতে পারব আপনি যা দেখেছেন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ছবি কখনো দিই নি এর আগে। তবে আলাদা করে শুধু ছবি দিয়েই একটা পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। কাল চেষ্টা করে দেখব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০
তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লাগলো অভিগ্বতার গল্প।কিছু ছবি দিলে আরো ভালো লাগত।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। হ্যা, ছবি দেব শিগগিরই।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
েবনিটগ বলেছেন: =
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: Apnake dhonyobad.
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো!!!
আরো জানতে চাই অভিজ্ঞতা.......
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: Amaro bhalo laglo apnar montobyo Peye. Hi, kal e AR ekta post korbo bhabchi.
১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
শাহজাহান মুনির বলেছেন: কাপখুন খাআআআ (ধন্যবাদ)।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: বাহ! পড়ার জন্য কাপখুনখাআআআআ!
আর ছেলেরা বলে, "কাপখুন খাআআআআপ!"
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনি কি মূলতঃ চিয়াং মাই থাকেন? গিয়েছিলাম ওখানে, সুন্দর জায়গা... অর্কিড গার্ডেন, একটা গুহা আর থাটন লং নেক ভিলেজেও গিয়েছিলাম...