নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোঃ সাহিদুল ইসলাম (সাঈদ), জন্ম থেকে গ্রামের বাড়িতেই বড় হয়ে উঠা এবং গ্রামের বাড়িতেই থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পড়াশুনা শেষ করি। তারপর পাড়ি জমানো খুলনা শহরে সেখান ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্ত্তি হওয়া এবং ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে বি.বি.এস এবং এ

মো: সাহিদুল ইসলাম

আমি মোঃ সাহিদুল ইসলাম (সাঈদ), আমি সাঈদ নামেই বেশি পরিচিত। জন্ম থেকে সাতক্ষীরা জেলার, তালা থানার তেতুলিয়া ইউনিয়ানের শিরাশুনী গ্রামে বসবাস করি, গ্রামের বাড়িতেই বড় হয়ে উঠা এবং বাড়িতেই থেকে প্রাথমিক, ২০০৫ এ হাইস্কুল ও ২০০৭ এ ইন্টামিডিয়েট শেষ করি। তারপর থেকে খুলনা ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্ত্তি হওয়া এবং ক্যাম্পাসে থেকে পড়াশুনা করা ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে বি.বি.এস এবং এম.বি.এস পড়াশুনা শেষ করি। খুলনাতে থাকা অবস্থায় কিছু পার্টটাইম জব ও করেছি। ২০১১ তে বি.বি.এস তৃতীয় বর্ষে পড়া অবস্থায় চাকুরির জন্য পাড়ি জমানো ঢাকার শহরে। ঢাকাতে স্বনামধন্য কিছু গুপ অফ কম্পানীতে চাকুরী করছি । সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠানে ছিলাম সেখানে ২০১৪ এর আগষ্ট থেকে একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেছি প্রায় ৭ বছর। তাবে একটা কথা না বল্লেই নয় চাকুরীর পাশাপাশি মনে একটা জেদ ছিল যে বেশি দিন “চাকুরী করব না, চাকুরী দিব” যার ফলে স্বাধীন পেশাজীবী জগতে ভাল ভাবে দাড়াবার জন্য অনলাইনে জগতে কিছু একটা করার প্রত্যায়ে ২০০৮ থেকে লেগে থাকলেও খুব বেশি ভাল করতে পারছিলাম না। প্রতিদিন আমার অফিস টাইমের পর বিজি হয়ে যেতাম আমার পার্সোনাল অনলাইনের কাজ নিয়ে বাহিরে তেমন একটা সময় কাটানো বা আড্ডা দেওয়া আসলে আামার কোন দিন হয়ে ওঠেনী। তবে সারাদিন কম্পিউটারে বসে নতুন কিছু শিক্ষতে খুব ভাল লাগে তাইতো আস্তে আস্তে এস.এ.ও , এস.ই.এম. এম.এম.এম, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভোলপমেন্ট, ই-মেইল মাকেটিং, ইউটিউব মাকেটিং, প্রিন্ট অন ডিমান্ট, সিপিএ মাকেটিং, এ্যাফিলাইট মাকেটিং, ডিজিটাল মাকেটিং, আইটি এর উপরে বেশ ভাল দক্ষতা যেমন সি.সি.এন.এ. এর কাজও শিক্ষা, সর্বশেষ ই-কমার্স বিজনেস, ড্রপশিপিং এবং ইন্টারন্যাশনাল ই-কমার্স বিজনেস শিক্ষা এবং অন্যদের শিক্ষানোর সামন্য চেষ্টা করার লক্ষ্যে ফাইনালী কাজ করে যাচ্ছি। সাথে আইটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছি প্রথমে নাম সিয়াম ডিজিটাল আইটি থাকলেও বর্তমানে নাম চেন্জ করে GetUp Marketers LLC করা হয়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী অনলাইন ভিত্তিক সকল কাজের সার্ভিস দিয়ে থাকি। এ্যামাজন, ওয়ালমার্ট, ইবে, ইটসি, টিকটক শপসহ ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর পাশাপাশি বাংলাদেশে ই-কর্মাস বিজনেস বিজনেস চালিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া সারা বিশ্বব্যাপি ড্রপশিপিং বিজনেস চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আমার প্রতিষ্ঠানে মুটামুটি ৩৫ জনের মত লোক কাজ করছে । আশা আছে ২০৩০ সালের মধ্যে নিজস্ব বিল্ডিং এ একটা অফিস হবে। আমার খুবই ভাল লাগে নতুন নতুন কিছু শিক্ষতে এবং অন্যদের শিক্ষাতে তারই ধারাবাহিকতায় আমি অনেককে কাজ শিক্ষানোর জন্য মেন্টরিং করছি গত ২০১৮ থেকে যেখানে এখন পযর্ন্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপরে শিক্ষা দিয়ে আসছি। আপনারা চাইলে আমার ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট স্কিল একাডেমি বাংলাদেশ একদিন সময় করে ভিজিট করে আসতে পারেন এবং দেখতে পারেন আমার স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং গুলো। লক্ষ যেহেতু বড় কিছু তাই এই সেক্টরে আশা করি আরও ভাল কিছু করব এবং নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি করব ইনশাল্লাহ। প্রতিনিয়ত কাজ শিখছি এবং কাজ করছি সাথে অন্যদেরও শিক্ষানোর সামান্ন চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার ইউটিউব চ্যানেলটাও ভিজিট করে আসবেন এবং সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন নতুন পুরাতন ভিডিও গুলো দেখলে আশা করি অনেক কিছু শিক্ষতে পারবেন। আপনারাও যারা ঘরে বসে আছেন এবং যারা আমার মত চাকুরী করতে চান না বা ভাল লাগে না তারা একটু সময় নিয়ে যেকোন একটা কাজ শিক্ষে ফেলুন এবং শুরু করে দিন মুক্ত পেশা। আপনাদের কে স্বাগতম জানাছি এই সেক্টরে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার এই কিচ্ছা পড়ার জন্য । আর হা আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না । যেকোন প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।

মো: সাহিদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

Drop Shipping বিজনেস কি? এবং যেভাবে শুরু করবেন পর্ব ১

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫৬

আসসালামু আলাইকুম এবং সবাইকে স্বাগতম আজকের লেখায়। আজকে আমরা কথা বলবো ড্রপ শিপিং নিয়ে। ড্রপ শিপিং কি এবং কিভাবে ড্রপ শিপিং শুরু করা যায়?

ড্রপ–শিপিং কি?
ড্রপ-শিপিং হলো একটি eCommerce Business Model, এই পদ্ধতিতে একজন বিক্রেতা তার পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যম হিসাবে ই-কমার্স সাইট গুলো সম্পর্কে সবাই জানি, ই-কমার্স সাইট গুলো ড্রপ-শিপিং পদ্ধতিতে তাদের সেবা প্রদান করে থাকে। এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে বিক্রেতাকে পণ্য মজুদ করে রাখার প্রয়োজন হয় না, কারণ পন্য মজুদ রাখার কাজটি পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারী করে থাকে। আর পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীই ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। ই-কমার্স সাইট গুলো (বিক্রেতা) এর দায়িত্ব হলো কাস্টমারের (ক্রেতা) কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করা এবং Wholesaler(পাইকারি বিক্রেতা) অথবা Supplier (সরবরাহকারী) এর কাছে কাস্টমারের যাবতীয় তথ্য যেমন- নাম, ঠিকানা ফোন নাম্বার ইত্যাদি পৌঁছে দেয়া। Amazon, eBay, Shopify, এবং আরো অনেক ইকমার্স সাইট এই মডেল উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

Dropshipping Business Model:
ড্রপশিপিং বিজনেস কিভাবে কাজ করে ? সোজা কথায় আপনার নিজের স্টোরে কোন প্রোডাক্টের ইনফো রাখলেন এরপর কাস্টমার আপনার স্টোরে ঢুকে সেই প্রোডাক্টটি কিনতে অর্ডার করল এবার আপনি একজন সাপ্লায়ারের নিকট থেকে উক্ত পন্যটি কিনে তা আপনার কাস্টমারের নিকট পাঠিয়ে দিলেন এই প্রসেসটাই ড্রপশিপিং।

নিচের ভিডিও টা থেকে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন ।


ড্রপ–শিপিং পদ্ধতিটি কয়েকটি ধাপে কাজ করে, ধাপগুলো হলো–
কাস্টমারের বিক্রেতার ওয়েবসাইটে (ইকমার্স সাইট)পণ্যের অর্ডার
বিক্রেতার সেই অর্ডার Wholesaler অথবা Supplier এর কাছে হস্তান্তর
Wholesaler অথবা Supplier মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছান।

চেইন পদ্ধতিতে ড্রপ–শিপিং ব্যবসা পরিচালিত হয়:
Manufacturers: ম্যানুফেকচারার পন্য তৈরি করে থাকে, তারা সরাসরি কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করে না, উৎপাদিত পণ্য তারা Wholesalers বা Supplier এর কাছে একটি বড় অংশ আকারে বিক্রি করে।

Wholesalers: Wholesalers বা Supplier Manufacturers কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে এবং পন্য মজুদ করে রাখে।

Retailers: ইকমার্স সাইট গুলো সরাসরি কাস্টমারের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে।

মনে করুন, আপনি Ebay- অনলাইন স্টোরে একটা টি-শার্টি অর্ডার করলেন, আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পেমেন্ট করলেন।

এবার Ebay কর্তৃপক্ষ সে অর্ডার তাদের Supplier এর কাছে পাঠিয়ে দেবে। কারণ, Supplier-ই পণ্য মজুদ করে থাকে।

তারপর Supplier সেই নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি আপনার ঠিকানায় পৌঁছে দেবে।

বর্তমানে ড্রপ-শিপিং ব্যবসা জনপ্রিয়তায় শীর্ষে, এই জনপ্রিয়তার কিছু সুবিধাজনক কারণ রয়েছে। সাধারণত অন্য ব্যবসার তুলনায় ড্রপ-শিপিং ব্যবসা সহজ ও ঝামেলা মুক্ত। যেহেতু ড্রপ-শিপার(বিক্রেতা) কে পণ্য মজুদ, রক্ষণাবেক্ষণ ও কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া, এই কাজগুলো করতে হয় না, আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন রকম খরচও হয় না, ঝুঁকিও কম। কম দামে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রয় করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইন স্টোরকে রক্ষণাবেক্ষণ যায়, শুধুমাত্র ইন্টারনেটসহ একটি কম্পিউটার থাকলেই হবে। এইসব কারনেই ড্রপ-শিপার এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আমাদের দেশেও ব্যবসাটি সম্পর্কে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছে, সফলতাও পেয়েছে।

সুবিধাঃ
খরচ কম: একটা অনলাইন স্টোর তৈরি করতে তুলনামূলক খরচ অনেক কম। আপনার যদি IT Knowledge থাকে তবে সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ড্রপ-শিপিং এ গুদাম ঘর ভাড়া দেয়া, আসবাবপত্র তৈরি, বিদ্যুৎ বিল আরও আনুসাংগীক খরচ করার প্রয়োজন হয় না।

পন্য মজুদঃ একজন ড্রপ-শিপার এর পণ্য মজুদ করে রাখার দরকার হয় না। তাই গুদামজাত করার খরচ নিয়ে ভাবতে হয় না।

পণ্যের প্রাচুর্যতাঃ অনলাইনে পণ্যের ছড়াছড়ি তাই ড্রপ-শিপার চাহিদা মত পণ্য বাছাই করতে পারে।

পরিচালনাঃ আপনি যেখানেই থাকুন, শুধুমাত্র ইন্টারনেটসহ একটি কম্পিউটার থাকলেই যেকোনো স্থান থেকে এটি পরিচালনা করতে পারবেন।

কাস্টমারের সংখ্যাঃ একজন ড্রপ-শিপার সারা বিশ্বব্যপী পণ্য বিক্রি করতে পারে অর্থাৎ মার্কেট অনেক বড়, সে চাইলে কাস্টমারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে আর সে যদি কাস্টমারকে খুশি করতে পারে তবে তার স্টোর থেকে পরে সে আবার পণ্য কিনবে।

ঝুঁকিঃ
প্রথমেই সকলে যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হলো- একটা লাভজনক পণ্য খুঁজে বের করা, কাজটি বেশ কষ্টকর। মার্কেটে হাজার হাজার পণ্য থাকে, একই পণ্য অনেকই সেল করে, এর মধ্যে থেকে সঠিক পণ্য খুঁজে বের করতে হবে।

Supplier এর কাছে পণ্যের ঘাটতি, অনেক সময় দেখা যায় আপনার কাস্টমার যে পণ্যটি অর্ডার করেছে সেই পণ্যটি আপনার Supplier এর স্টকে আর নেই, অনেক সময় Supplier কাস্টমারের কাছে পণ্য পাঠাতে দেরি করে সেক্ষেত্রে কাস্টমারের সাথে আপনার ব্যবসায়িক সম্পর্ক খারাপ হবে অর্থাৎ সেল হারাবেন।

আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে, বিশেষ করে আপনার অনলাইন স্টোর রক্ষণাবেক্ষণের এবং কাস্টমার সংগ্রহ করার দক্ষতার উপর।

অনলাইনে শুধু আপনি পণ্য সেল করবেন না, আপনার অনেক প্রতিযোগী থাকবে। প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকাটা একটা চ্যালেন্স। যেহেতু শুরু করার জন্য সামান্য বিনিয়োগ প্রয়োজন, তাই অনেক প্রতিযোগিতায় রয়েছে। ড্রপ-শিপিং কোম্পানিগুলি খুব কম মূল্যে পণ্যগুলি অফার করে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য, আপনার প্রায়ই পণ্যের মূল্য খুব কম করার প্রয়োজন হয়।

আপনার যেহেতু পণ্য উৎপাদের সুযোগ থাকে না, কারণ Manufacturer এই দায়িত্বে থাকে তাই পণ্যের গুনগতমানের উপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রন থাকে না।

ড্রপ-শিপিং ব্যবসার ক্ষেত্রটি অনেক বড়, ব্যবসায় সফল হতে হলে একজন ড্রপ-শিপারকে কিছু বিষয়ের উপর বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।

কিভাবে শুরু করবেনঃ
ড্রপ-শিপিং ব্যবসা শুরু করতে গেলে কিছু পুর্ব প্রস্তুতির দরকার হয়। এই প্রস্তুতি আপনাকে ভবিষ্যতে কাজ সহজ করতে সাহায্য করবে।

পণ্য/Niche নির্বাচনঃ
প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অনলাইনে আপনি কি পণ্য বিক্রি করবেন অর্থাৎ নিস কি? নিচের নিস তালিকাটি লক্ষ্য করুন-

Body Weight Fitness
Novelty Socks
Yoga
Performance Clothing
Travel Backpacks
Roller Derby
প্রতিটি একটা নিস, Body Weight Fitness সম্পর্কিত পণ্য গুলো কি, ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি।

Dropshipping Business Model:
পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, তা হলো–
পণ্যটি কাদের জন্য- অর্থাৎ পণ্যটি কাদের প্রয়োজন, আপনার কাস্টমার কারা। উদাহরণ স্বরূপ-লেডিস হ্যান্ডব্যাগ, লেডিস হ্যান্ডব্যাগের কাস্টমার কারা, মেয়েরা।

অনলাইনে এর চাহিদা কেমন- “Body Weight” এই Keyword টি মানুষ Google এ প্রতিদিন বা প্রতিমাসে কি পরিমাণ সার্চ করে সেইটা জানতে হবে। এটা জানার জন্য বিভিন্ন প্রকার Tools আছে, যা সার্চ ভ্যালু জানতে পারবেন। Google Keyword Planner একটি কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল।

কিভাবে নিস বাছাই করবেন:
Google Keyword Planner Search গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার একটি টুল, যা আপনাকে জানাতে পারে যে কতগুলি কীওয়ার্ড প্রতি মাসে কি পরিমাণ সার্চ হচ্ছে। যদিও এই টুলটি বেশিরভাগ এসইও পেশাদারদের দ্বারা এবং গুগল অ্যাডওয়ার্ডস বিশেষজ্ঞ দ্বারা ব্যবহৃত হয়, গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুল হল আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকরা অনলাইনে কী খুঁজছে তা খোঁজার একটি দুর্দান্ত উপায়। এই সময়ে, আপনি যে তথ্য খুঁজছেন তা হল প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড অনুসন্ধানকারীর সংখ্যা এবং বিড কত। এই সংখ্যাটি আপনাকে জানাবে এই কিওয়ার্ডটি কতটা জনপ্রিয় এবং লাভজনক।

AMAZON SEARCH গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানারের মত Amazon Search বক্সও সার্চ করে দেখতে পারেন কি ধরনের পণ্য বেশি সেল হয়।

RESEARCH SOCIAL MEDIA আপনি Social Media গুলোতেও সার্চ করে দেখতে পারেন। ইতোমধ্যে যারা এই ব্যবসা করে, তাদের Social Media সাইট গুলো লক্ষ্য করুন, তারা কি সেল করছে, তাদের অডিয়েন্স কারা। এই গুলোর উপর অনুসন্ধান করুন তাহলে নিস খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।

যেসব পণ্যের পরিমাণ ও প্রতিযোগী অনলাইনে কম সেই সমস্ত পণ্য বিক্রি করার চেস্টা করবেন। এমন কিছু পণ্য নির্বাচন করুন যেগুলো কিনতে একজন কাস্টমার ব্র্যান্ডের কথা না ভাবে। আপনি যদি TV কিনতে চান, চাইবেন (Sony, Panasonics, LGs, etc) ব্র্যান্ডের পণ্য, ব্র্যান্ডের পণ্যের দাম নির্দিষ্ট থাকে এর থেকে বেশি লাভ করা অসম্ভব। এমন একটি পণ্য নির্বাচন করুন যেগুলো সব ধরনের আয়ের মানুষ কিনতে পারে, ব্র্যান্ডের কথা না ভেবে শুধু প্রয়োজন মেটানোর কথা ভাবে। Novelty Socks অর্থাৎ মোজা, কারো জানার ইচ্ছা নেই মোজাটি ব্র্যান্ডের কিনা।

আপনি যখন পণ্য নির্বাচন তখন আরো একটি বিষয় মনে রাখবেন- $১০ এর পণ্য সেল করতে যতখানি পরিশ্রম করতে হয়, $১০০০ এর পণ্য সেল করতে একই পরিশ্রম করা লাগে। তাই চেস্টা করুন বেশি দামের পণ্য সেল করার। কারণ Profit Margin যদি ২০% ধরি তবে $১০ এর পণ্য সেল করলে পাবেন $২, $১০০০ এর পণ্য সেল পাবেন $২০০, পরিশ্রম সমান পর্যায়ের করতে হয়।

নিস নির্বাচন করতে সময় নিয়ে ভাল করে রিসার্চ করে নিসটি ঠিক করুন। একটা ভাল নিস নির্বাচন খুবই গুরুত্বপুর্ন, কারণ এর উপর আপনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।

Identify Competitors/প্রতিযোগীঃ
আপনি নিস নিয়ে কাজ করবেন, একই নিস নিয়ে অন্য একজন কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক, যারা একই নিস নিয়ে কাজ করে তাদের কে একে অপরের প্রতিযোগী/ Competitors বলে। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে Competitors রিসার্চ খুব জুরুরী। আপনার যখন নিস নির্বাচন হয়ে যাবে তখন আপনার Competitors খুঁজে বের করুন, দেখুন তারা কি ধরনের পণ্য বেশি সেল করছে, তাদের পণ্য গুলোর দাম, সেলের পরিমাণ, রিভিউ দেখুন। চেষ্টা করুন তাদের পণ্যের চেয়ে দাম কম করতে। তাদের কাস্টমারদের খুঁজুন, Social Media –তে Competitors এর Like Follower খেয়াল করুন।

সমস্ত রিসার্চ এর কাজ শেষ হয়ে গেলে, এবার Supplier খুঁজে বের করতে হবে। আগামী পর্বে দেখাব কিভাবে একজন ভাল Supplier খুঁজে বের করতে হয়। সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আর বিস্তারিত জানতে আমাদের ফেসবুক গুপে জয়েন্ট করুন : view this link

আমাদের ওয়েব সাইট : view this link

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল : view this link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.