![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বদলি খেলোয়ার, যে একজন star player'এর injury'র সুবাদে খেলা শেষ হবার ৫ মিনিট আগে মাঠে নেমে ২টি গোল করে খেলার ফলাফল ঘুরিয়ে দেয়।
আমি একজন মুসলিম-বাঙ্গালি। রাজনীতি নিয়ে আমার পড়াশোনা এবং আদর্শে ইসলামিস্ট (ইসলামি আইনের শাসনে বিশ্বাসী)।. ইসলামিস্ট ২ ধরনের আছে। Revolutionary ও Utopian.
১। Revolutionary রা বিশ্বাস করে যে ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করার একমাত্র উপায় "কিতাল" বা সশস্ত্র সংগ্রামী বিপ্লব।
২। Utopian রা বিশ্বাস করে যে ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থা শান্তিপূর্ণভাবে কায়েম করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই যখন মানুষ ইসলামে দীক্ষিত হবে এবং এর মর্ম বুঝবে তখন মানুষ নিজ উদ্যোগে ইসলাম কায়েম করবে।
উভয় ইসলামিস্ট গ্রুপের মিল হচ্ছে যে উভয়ই একই স্বপ্ন দেখে কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পদ্ধতি ভিন্ন। উভয়ই স্বপ্ন দেখে যে তারা গড়ে-তুলবে এক আদর্শ আধুনিক ইসলামিক রাষ্ট্র। সুদ মুক্ত অর্থ ব্যবস্থা, জাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা। এমন এক শাসন, যেখানে ইমানদার-কে জাকাত ও ট্যাক্সের ডাবল বোঝা নিতে হবে না আর বেইমান জাকাত না দিয়ে পালাতে পারবে না। যেখানে বিজ্ঞাপনে মিথ্যা বলে ধোঁকা দিয়ে নিজের প্রডাক্ট বিক্রি করে কোটিপতি হওয়া যাবে না আর সত্য বলে ধরা খেতে হবে না। অমুসলিমদেরকেও মর্যাদা সহকারে শান্তিপূর্ণভাবে সেই রাষ্ট্রে বসবাসের ও নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার থাকবে সেখানে ...
আমি এতদিন নিরঙ্কুশ Utopian Islamist ছিলাম। কিন্তু মিসরের অবস্থা দেখে আমার দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ভঙ্গ হতে চলেছে। মিসরের জনগণের ইচ্ছায়, বিনা যুদ্ধে ইসলামিক ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে একটি রাষ্ট্র গঠিত হতে চলেছিল। কিন্তু তা কি হয়েছে? কেনো হয় নি? কারণ তারা (???) কখনও হতে দিবে না। তারা মুখে যতই ডেমোক্রেসি, জনগণের মত, জনগণের ইচ্ছের কথা বলুক; আসলে তারা কেবল তাদের তাবেদার সরকার চায় ব্যাস। এর বাইরে কিছুই মধ্যপ্রাচ্যে হতে দিবে না তারা। মিসরের মত জনগণের সমর্থন প্রাপ্ত ইসলামিস্ট সরকারকে যদি চলতে না দেয়া হয় তাহলে আমার মত অনেক Utopian Islamist-ই হতাশ হবে। এটা শুধু Revolutionary Islamist-দের কথারই সত্যতা প্রমাণ করবে যে "শান্তিপূর্ণভাবে ইসলাম কায়েম সম্ভব নয়। অস্ত্র হাতে নিতেই হবে।"
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: আমি ও হুবহু এই মতেই বিশ্বাসী (এখন পর্যন্ত)। এবং এই মতের অনুসারীদেরকেই Utopian বলা হয়ে। আসলে এই টার্ম গুলার জন্যে কোনো সংস্থা নেই যে স্বীকৃতি দিবে। মূলত সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পদ্ধতির ভিত্তিতে এই দুই ভাগ আছে।
(Utopian Socialist- যারা মনে করে বিপ্লব ছাড়াই সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব, আর Revolutionary বা Scientific Socialist - যারা বলে বিপ্লব ছাড়া ক্ষমতা হস্থান্তর অলিক কল্পনা ছাড়া কিছুই না)
সেখান থেকেই আমি এই টার্ম দুটা ব্যবহার করেছি।
যাই হোক, আমি হুবহু আপনার মতে বিশ্বাসী কিন্তু এর বিপরীত যুক্তি গুলোও শুনেছি এবং যথেষ্ট শক্ত!
আল্লাহ ভালো জানেন!
২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বিশ্বের ধর্ম সংক্রান্ত কিছু পরিসংখ্যান নিয়ে নাড়াচাড়া করার ইচ্ছা থেকে এই লেখাটা। গোটা বিশ্বের ধর্ম রাজনীতি সমাজব্যবস্থা নিয়ে উইকিপিডিয়ার পরিসংখ্যানগুলো মোটামুটি প্রামাণ্য। তাই সেদিকেই চোখ রাখলাম।
প্রথমে ধর্ম বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা। বিশ্বের প্রধান তিনটি/ মতান্তরে চারটি ধর্ম হল খ্রীষ্টান, ইসলাম ও হিন্দু - বৌদ্ধ ধর্ম। এর মধ্যে খ্রীষ্টান ধর্মকে ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান, ইসলামকে সুন্নি ও শিয়া, হিন্দু-বৌদ্ধকে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে বিভক্ত করা যেতে পারে। বুদ্ধকে হিন্দু ধর্মের দশম অবতার বলে ধরা আর এই দুই ধর্মের মিল অমিলের বেশ কিছু দিক থাকায় এই দুই ধর্মকে একটি ধর্মের বিভাগ না দুই পৃথক ধর্ম বলা হবে, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক চলে। একই বিতর্ক ইদানীং উঠেছে খ্রীষ্টান ও ইহুদী সংক্রান্ত ধর্ম নিয়েও। আমরা এই বিতর্কে এই পরিসরে খুব বেশি না ঢুকে কোন ধর্মে কত মানুষ আস্থাশীল তা দেখে নি।
১) খ্রীষ্টান - ২১০ কোটি। এর ঘনিষ্ঠ ইহুদী ১কোটি ৫০ লক্ষ।
খ্রীষ্টানদের মধ্যে ৮৫ কোটি প্রোটেস্টান আর ক্যাথলিক ১২৫ কোটি।
২) ইসলাম - ১৫০ কোটি। এর মধ্যে ১২০ কোটি সুন্নি ও ৩০ কোটি সিয়া।
৩) হিন্দু - বৌদ্ধ ধর্ম - ২২০ কোটি। এর মধ্যে বৌদ্ধ ১২০ কোটি, হিন্দু ১০০ কোটি।
এই তিনটি/চারটি প্রধান ধর্মের পাশাপাশি আছেন বড় সংখ্যক নিরীশ্বরবাদী। তাদের সংখ্যা ১১০ কোটি।
খ্রীষ্টান ধর্মবিশ্বাসীরা বেশি সংখ্যায় মূলত ছড়িয়ে আছেন ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা - এই তিনটি মহাদেশ জুড়ে। আফ্রিকার দক্ষিণাংশেও তাদের আধিক্য। আফ্রিকার উত্তরাংশ, পশ্চিম এশিয়া জুড়ে মূলত ছড়িয়ে আছেন মুসলিমরা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে আছেন হিন্দু ও বৌদ্ধরা। অবশ্য এই অংশের তিনটি দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্থান ও ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর আধিক্য।
এর মধ্যে খ্রীষ্টান প্রধান দেশগুলিতে অভ্যন্তরীণ অশান্তি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তুলনামূলকভাবে কম। সেগুলি অর্থনৈতিকভাবেও বেশ অগ্রসর। তবে আফ্রিকার দক্ষিণ অংশের খ্রীষ্টান প্রধান দেশগুলি অর্থনৈতিকভাবে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। হিন্দু বৌদ্ধ প্রধান দেশগুলি - জাপান, কাম্বোডিয়া, থাইল্যাণ্ড, চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, লাওস, ভিয়েতনাম মোটামুটি সুসংহত রাজনৈতিক স্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে। [ বৌদ্ধ প্রধান মায়াম্মারে রয়েছে দীর্ঘ সেনাশাসন।] এর অনেকগুলিই আর্থিকভাবে অতি সমৃদ্ধ, অনেকগুলিতে দ্রুত আর্থিক বিকাশ ঘটছে।
মুসলিম প্রধান দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ইরাক, ইরান, সৌদি আরব, লিবিয়া , মিশর এর মতো তেল সম্পদে ধনী দেশ। মূলত মাটি থেকে তোলা তেল বিক্রি করেই এই সমস্ত দেশগুলি আর্থিকভাবে উন্নত। কিন্তু আফগানিস্থান, কাজাকিস্থান, পাকিস্থান, সোমালিয়া, সুদান, নাইজের - প্রভৃতি দেশ দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। রাজনৈতিক দিক থেকেও মুসলিম প্রধান পশ্চিম এশিয়া বা উত্তর আফ্রিকায় বেশ সঙ্কট। ইরাক বা আফগানিস্থান সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে বিধ্বস্ত, য়াবার তাদেরই ধ্বংসকারীদের ক্রীড়নক সৌদি আরব এর মত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বকারী শক্তি। লিবিয়া, মিশর, সিরিয়া গৃহযুদ্ধে দীর্ণ।
নিরীশ্বরবাদীরা বেশি করে ছড়িয়ে আছেন চীন, জাপান, সুইডেন, ডেনমার্ক, হংকং, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানী, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নিউজিল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশে। এই সমস্ত দেশগুলি আর্থিক বিকাশ, সুস্থিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক পরিসরের ব্যাপ্ত প্রকাশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: খুবই অপ্রাসংগিক মন্তব্য। আপনি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন ইসলামিক রাষ্ট্র সবচেয়ে খারাপ আর নাস্তিক/সেকুলার রাষ্ট্র সবচেয়ে ভালো। এই কাজের জন্যে আপনি পরিসংখ্যানের আশ্রয় নিয়েছেন (যা অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক ভালো)।
প্রথমত - মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র আর ইসলামি রাষ্ট্রের মধ্যে বিশাল তফাত বিদ্যমান। উপরে খারাপের তালিকার রাষ্ট্রগুলার কোনোটাই পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক রাষ্ট্র নয়। ইরান ইসলামিক-গণতন্ত্র (ভন্ডামী) রাষ্ট্র। সৌদি বাদে বাকি সবই সুডো ইসলামিক। সৌদি রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে ও সমস্যা আছে তবে তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম সেটা ইসলামিক রাষ্ট্র।
দ্বিতীয়ত - সফলতার মানদণ্ড কেবল অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নই হতে পারে না। সামাজিক ও পারিবারিক সুখ-শান্তি, নৈতিকতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, আদব-আখলাক ও বড় বিষয়। উদাহরণ - আপনাকে যদি এমন একটি জীবনের অফার দেয়া হয় যেখানে আপনি জীবনের প্রথম ৪০ বছর পৃথিবীতে সকল প্রকার আমোদ-ফুর্তি অবাধে করতে পারবেন, আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি ব্যক্তি হবেন কিন্তু শেষ ৪০ বছর একা কাটাতে হবে, এমন কি মৃত্যু সজ্জায় ও কেউ পাশে থাকবে না। আপনি গ্রহন করবেন? মূলত আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় তাই হচ্ছে। অঢেল সম্পদ, কিন্তু পারিবারিক বন্ধন-ভালোবাসা নেই বলে শেষ জীবন বৃদ্ধাশ্রমে কাটাতে হয়। আমাদের দেশে এক ঐশী নিয়ে কি তোলপার, অথচ আমেরিকা-ইউরোপে এগুলো দৈনন্দিন ব্যাপার। আপনি তো পরিসংখ্যানের মানুষ। আপনি জানেন কি, আমেরিকার ১৩% মানুষ Incest (মা-ছেলে/বাবা-মেয়ে/ভাই-বোনের যৌন সম্পর্ক) করে! এই দিক থেকে দেখুন তো মুসলিম দেশ গুলার কী অবস্থা! খারাপ না ভালো? জেনে রাখুন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদক মুক্ত জনগোষ্টি আমরা মুসলমানরা!
তৃতীয়ত - আমরা দুনিয়ার লাভের আশায় ইসলাম পালন করি না, পরকালের লাভের আশায় করি। তবে ইসলাম আমাদের বোনাস হিসেবে দুনিয়ার কল্যাণ ও এনে দেয়।
সব শেষে - আপনার পরিসংখ্যান প্রিয় মনের জন্যে আমার একটি পোস্ট পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইল - Click This Link
"কথায় আছে "মিথ্যা ৩ প্রকার -
১) মিথ্যা, ২) ডাহা-মিথ্যা, ৩) পরিসংখ্যান।""
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
তানজিব বলেছেন: রাইট ইউ আর
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
তানজিব বলেছেন: ভাই কোন একসময় ইখওয়ান Revolutionary Islamist-ছিল, Democracy তে ঢুকার পর সে তার Revolutionary ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে।
আর Utopian- দের কথা আপনার পোষ্ট থেকেই জানলাম। যাই হোক আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখব ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যাবস্হা জীহাদের মাধ্যমে হয়নি। কারন সামরিক জীহাদ ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যাবস্হার কাজ, কোন ব্যাক্তি বা গ্রুপের না।
আর আমরা সিরাতে দেখি রাসূল (স) মদিনায় যে ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যাবস্হা তৈরী করেছিলেন, সেটার প্রতিষ্ঠা পদ্ধতির কোথাও সামরিক বা গনতান্ত্রিক উপায় গ্রহন করার নজির নাই। বরং তা ছিল একটি Intellectual political movement।
কিন্তু ইখওয়ান বা জীহাদীরা তাদের নীজেস্ব উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন, Which is far from the Serah।
যেরেতু ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যাবস্হা (খিলাফত) প্রতিষ্ঠা কার একটি ইবাদত, তাই অবস্যই তা করতে হবে রাসূল (স) এর দেখানো পদ্ধতিতে। এবং এ সংক্রান্ত Ruling গুলোর জন্য প্রয়োজন ইসতিহাদের।
পরিশেষে আল্লাহ সুবহান ওয়ালা তায়ালার কাছে দোয়া করি, যে সমস্ত মুসলিম ভাইরা মিশরে মারা গেছেন তিনি যেন তাদের মাফ করেন এবং জান্নাত নসিব করেন।